বর্তমান পত্রিকা : Bartaman Patrika | West Bengal's frontliner Newspaper | Latest Bengali News, এই মুহূর্তে বাংলা খবর
দেশ
 

জাতপাতের জটিল অঙ্কেই লুকিয়ে কন্নড়ভূমের ভবিষ্যৎ

নিজস্ব প্রতিনিধি, শিমোগা: একাধিক জাতি, উপজাতি ও জাতপাতের জটিল অঙ্ক। কর্ণাটকের রাজনৈতিক ইতিহাস বরাবরই ঘুরপাক খেয়েছে এই তিন সমীকরণে। সেই ইতিহাসকে মাথায় রেখেই চলতি লোকসভা ভোটে ঘুঁটি সাজিয়েছে যুযুধান তিন দল—কংগ্রেস, বিজেপি ও জেডিএস। লিঙ্গায়েত ও ভোক্কালিগা। কর্ণাটকের রাজনীতিতে সবচেয়ে ‘প্রভাবশালী’ দুই সম্প্রদায়। রাজ্য রাজনীতিতে ক্ষমতা দখলের লড়াইয়েও বরাবরই পরস্পর বিরোধী শিবিরকে সমর্থন করেছে ভোক্কালিগা ও লিঙ্গায়েত সমাজ। বিজেপির প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বি এস ইয়েদুরাপ্পা লিঙ্গায়েত সমাজের প্রভাবশালী নেতা। প্রথম থেকেই তাঁকে ও গেরুয়া শিবিরকে সমর্থন করেছে লিঙ্গায়েত সমাজ। অন্যদিকে, কংগ্রেস নেতা ডি কে শিবকুমার আবার ভোক্কালিগা সমাজের প্রতিনিধি।
বিজেপি সূত্রের দাবি, গত বিধানসভা নির্বাচনে জগদীশ শেট্টারের মতো প্রভাবশালী লিঙ্গায়েত নেতা দলবদল করায় বিপাকে পড়তে হয়েছিল। বিজেপির থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছিলেন বহু লিঙ্গায়েত ভোটার। কিন্তু এবারে বেলগাভি আসনে প্রার্থী হয়েছেন শেট্টার। ফলে সেই সমস্যা নেই। লিঙ্গায়েত সমাজে হাভেরি কেন্দ্রের প্রার্থী বাসবরাজ বোম্মাইয়ের প্রভাবও কম নয়। সব মিলিয়ে ভালো ফলের আশা করা যেতেই পারে। এই ভাবনার সঙ্গে পুরোপুরি সহমত নন লিঙ্গায়েত সম্প্রদায়ের নেতা রুদ্রমণি। তাঁর মতে, এবারের ভোটে লিঙ্গায়েত সম্প্রদায়ের যাবতীয় ভোট বিজেপি পাবে, এমন ভাবা ঠিক নয়। অস্বস্তির কাঁটা আরও আছে। সম্প্রতি ধারওয়াড় আসনে বিজেপি প্রার্থী তথা কেন্দ্রীয় মন্ত্রী প্রহ্লাদ যোশির প্রকাশ্যে বিরোধিতা করেছেন লিঙ্গায়েত নেতা শিরাহাট্টি-বালেসুর মঠের ফকির দিনগালেশ্বর স্বামীজি। 
হাত শিবিরের বড় ভরসা ভোক্কালিগা ভোটব্যাঙ্ক। একটা সময়ে ভোক্কালিগা সমাজের ভোটাররা কোথাও কংগ্রেসকে আবার কোথাও জেডিএসকে সমর্থন করত। কিন্তু সেই ছবিটাই বদলে গিয়েছে ২০২৪ নির্বাচন পর্বে। প্রধান কারণ অবশ্যই কর্ণাটকের উপ মুখ্যমন্ত্রী ডি কে শিবকুমার। পাশাপাশি, লোকসভা ভোটে বিজেপির সঙ্গে জোট করায় জেডিএসের থেকে মুখ ফিরিয়েছেন বহু ভোক্কালিগা ভোটার। এছাড়া কুরুবা (ওবিসি) নেতা সিদ্ধারামাইয়া রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী ও দলিত মল্লিকার্জুন খাড়্গে দলের সভাপতি হওয়ায় দলিত সমাজের কাছে ইতিবাচক বার্তা গিয়েছে। ফলে চিরাচরিত ভোটব্যাঙ্কের পাশপাশি এই অংশকেও পাশে পাওয়া যাবে।
এই সমীকরণের প্রভাব পড়েছে নির্বাচনের প্রার্থী বাছাইয়ের ক্ষেত্রেও। রাজ্যের মোট ২৮ আসনের মধ্যে ছ’টিতে ভোক্কালিগা ও পাঁচটিতে লিঙ্গায়েত প্রার্থী দিয়েছে কংগ্রেস। অন্যদিকে, বিজেপি প্রার্থী দিয়েছে ২৫টি আসনে। তার মধ্যে লিঙ্গায়েত সমাজের ন’জন ও ভোক্কালিগার তিনজনকে প্রার্থী করেছে গেরুয়া শিবির। জোটসঙ্গী জেডিএসর হাতে থাকা বাকি তিনটির মধ্যে দু’জন প্রার্থীই ভোক্কালিগা।
ভোক্কালিগা সম্প্রদায়ের নেতা শ্রীকান্তের কথায়, ‘জাতপাতের রাজনীতি অঙ্কের মতো নয়। একের সঙ্গে এক মিলে দুইয়ের বদলে কখনও তা ১১ হয়ে যায়, কখনও আবার শূন্য। এবারের ভোটে বিজেপি-জেডিএস জোট নিয়েও সন্দিহান তিনি। তাঁর মতে, জোট হয়েছে উপরের তলায়। কিন্তু নিচুতলায় দু’দলের নেতা-কর্মীরা একে অপরকে কতটা সাহায্য করবে, তা নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে। 
অঙ্ক সত্যিই কঠিন। জটিলও!

6th     May,   2024
 
 
অক্ষয় তৃতীয়া ১৪৩১
 
কলকাতা
 
রাজ্য
 
বিদেশ
 
খেলা
 
বিনোদন
 
আজকের দিনে
 
রাশিফল ও প্রতিকার
ভাস্কর বন্দ্যোপাধ্যায়
এখনকার দর
দিন পঞ্জিকা
 
শরীর ও স্বাস্থ্য
 
বিশেষ নিবন্ধ
 
সিনেমা
 
প্রচ্ছদ নিবন্ধ