বর্তমান পত্রিকা : Bartaman Patrika | West Bengal's frontliner Newspaper | Latest Bengali News, এই মুহূর্তে বাংলা খবর
দেশ
 

প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী জওহরলাল নেহরুর মৃত্যুবার্ষিকীতে শ্রদ্ধাজ্ঞাপন কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়্গে এবং নেত্রী সোনিয়া গান্ধীর। ছবি: পিটিআই

নাবালক পড়ুয়াদের দিয়ে প্রচার করিয়ে প্রশ্নের মুখে খোদ নির্বাচন কমিশন

নিজস্ব প্রতিনিধি, নয়াদিল্লি: ‘নির্বাচন সংক্রান্ত কাজে কোনওভাবেই শিশুদের ব্যবহার করা চলবে না। তাদের দিয়ে বিলি করানো যাবে না প্যামফ্লেট, পোস্টার। দেওয়ানো যাবে না স্লোগান।’ গত ৫ ফেব্রুয়ারি জাতীয় নির্বাচন কমিশনের তরফে রাজনৈতিক দলগুলির উদ্দেশে জারি করা হয়েছিল এই কড়া নির্দেশিকা। অথচ সেই কমিশনই এখন নাবালক পড়ুয়াদের দিয়ে ‘ভোট দিন’ প্রচার করানোয় উঠছে প্রশ্ন। দিল্লির প্রায় পাঁচ হাজার স্কুলের ২৮ লক্ষ পড়ুয়াকে দিয়ে শুরু হয়েছে প্রচারাভিযান। 
পড়ুয়ার মাধ্যমে তাদের বাবা-মাকে দিয়ে ভরানো হচ্ছে ‘সঙ্কল্প পত্র’ নামে বিশেষ ফর্ম। যেখানে থাকছে পড়ুয়ার নাম। বাবা-মা, অভিভাবকের নাম, ঠিকানা, ফোন নম্বর। স্কুলের হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপের মাধ্যমে বিলি করা ওই বিশেষ ফর্মের ফরম্যাটে বাবা-মার প্রতিশ্রুতি আদায় করে নেওয়া হচ্ছে ভোট দেওয়ার। প্রিন্টআউট নিয়ে ফর্ম ফিলআপ করিয়ে জমা করতে বলা হচ্ছে স্কুলে। কেন এভাবে নাবালকদের দিয়ে করা হবে সচেতনতা প্রচার? প্রশ্ন অভিভাবকদের। অনেকেই রাজি হচ্ছেন না ফর্ম ফিলআপে। এদিকে, পড়ুয়াদের চাপ স্কুলগুলি চাপ দিচ্ছে বলে অভিযোগ।
এপ্রসঙ্গে পশ্চিমবঙ্গের নারী ও শিশু কল্যাণমন্ত্রী শশী পাঁজার খোঁচা, ‘যে কমিশন ভোটে শিশুদের ব্যবহারে মানা করছে, তারাই কী করে বাচ্চাদের মাধ্যমে এধরনের সঙ্কল্প পত্র লিখিয়ে নিচ্ছে? এটা অনৈতিক। এতে বাচ্চাদের মানসিক চাপও বাড়ানো হচ্ছে।’ যদিও জাতীয় নির্বাচন কমিশনের জয়েন্ট-ডিরেক্টর অনুজ চন্দক বিতর্ক এড়াতে সাফাই দেন, ‘ভোটদানের হার বাড়াতেই হয়তো দিল্লির নির্বাচনী আধিকারিকের এই উদ্যোগ।’
সাত দফার লোকসভা নির্বাচনে দিল্লিতে ভোট ২৫ মে। ভোটদানের হার বাড়ানোর লক্ষ্যেই এই উদ্যোগ বলে জানিয়েছেন দিল্লির মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক পি কৃষ্ণমূর্তি। স্কুল পড়ুয়াদের মাধ্যমে কমপক্ষে ৫০ লক্ষ অভিভাবককে ভোটদানে উৎসাহিত করাই টার্গেট, বললেন তিনি। ২০১৪ হোক কিংবা ২০১৯-এ রাজধানীতে ভোটের হার ছিল জাতীয় গড়ের চেয়ে কম। ২০১৪ সালের লোকসভা নির্বাচনে ভোটদানের জাতীয় গড় ছিল ৬৬.৪৪ শতাংশ। আর দিল্লিতে ছিল ৬৫.১ শতাংশ। ২০১৯ সালে ভোটদানের জাতীয় গড় ছিল ৬৭.৪ শতাংশ। দিল্লিতে তা কমে দাঁড়ায় ৬০.৬ শতাংশে। 
তবে স্কুল ছাত্রদের দিয়ে এভাবে প্রচার করানোয় সমালোচনায় সরব অভিভাবকদের একাংশ। কণিকা জৈন, বৈশাখী মুখোপাধ্যায়, অঞ্জলি শর্মা, ঋষভ চাড্ডা, শাকিব আলম, লক্ষ্মী চৌহান মতো অভিভাবকদের বক্তব্য, এভাবে স্কুলকে ব্যবহার করে ভোটদানের প্রচার ঠিক নয়। কৌশলে বাচ্চাদের মনেও রাজনীতির মন্ত্র ঢেলে দেওয়া হচ্ছে। ফর্মেই বলা আছে, নেতা বেছে নেওয়ার সঙ্কল্প। ফোন নম্বর চাওয়াটাও ঠিক কাজ হচ্ছে না।

6th     May,   2024
 
 
কলকাতা
 
রাজ্য
 
বিদেশ
 
খেলা
 
বিনোদন
 
আজকের দিনে
 
রাশিফল ও প্রতিকার
ভাস্কর বন্দ্যোপাধ্যায়
এখনকার দর
দিন পঞ্জিকা
 
শরীর ও স্বাস্থ্য
 
বিশেষ নিবন্ধ
 
সিনেমা
 
প্রচ্ছদ নিবন্ধ