বর্তমান পত্রিকা : Bartaman Patrika | West Bengal's frontliner Newspaper | Latest Bengali News, এই মুহূর্তে বাংলা খবর
দেশ
 

অধিকারী পরিবারের সদস্যের পক্ষে অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের রায়! খারিজ করল ডিভিশন বেঞ্চ
 

নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: এবার অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের রায় খারিজ করে দিল খোদ কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি টি এস শিবজ্ঞানম ও বিচারপতি হিরণ্ময় ভট্টাচার্যর ডিভিশন বেঞ্চ। জানা গিয়েছে, কাঁথি পুরসভা এলাকায় বাতিস্তম্ভ বসানোর নামে প্রচুর টাকা নয়ছয় হয়। এই দুর্নীতিতে অধিকারী পরিবারের বড় ছেলে কৃষ্ণেন্দু অধিকারীর নাম জড়ায়। সেই সুবাদেই কৃষ্ণেন্দুবাবুকে ১৬০ নম্বর ধারায় নোটিস পাঠিয়ে আয়কর রিটার্ন জমা দিতে বলেন এগরার এসডিপিও। সেই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন কৃষ্ণেন্দু। অভিযোগ, সেই মামলায় রাজ্যকে কোনও বক্তব্য পেশের সুযোগ বা হলফনামা দাখিলার সুযোগ না দিয়েই একপেশে রায় দেন অভিজিৎ। ১৬০ নম্বর ধারায় জারি করা ওই নোটিস খারিজের পাশাপাশি ওই এসডিপিও’র বিরুদ্ধে পাঁচ লক্ষ টাকা জরিমানার নির্দেশ দেন তৎকালীন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। এরপরই সেই নির্দেশ চ্যালেঞ্জ করে ডিভিশন বেঞ্চের দ্বারস্থ হয়েছিল রাজ্য। সোমবার অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের সেই নির্দেশ ‘অবৈধ’ বলে ঘোষণা করেছে প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ। ডিভিশন বেঞ্চ জানিয়েছে, সিঙ্গল বেঞ্চ এক্ষেত্রে সঠিক ভাবে আইনের পথ অনুসরণ করেননি। তাই ওই নির্দেশ খারিজ করে ফের মামলাটি অন্য সিঙ্গল বেঞ্চে পাঠিয়েছে প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ। 
এদিন প্রধান বিচারপতির এজলাসে রাজ্যের তরফে মামলায় সওয়াল করেন রাজ্যের অ্যাডভোকেট জেনারেল কিশোর দত্ত ও আইনজীবী সব্যসাচী ভট্টাচার্য। রাজ্যের তরফে দাবি করা হয়, সিঙ্গল বেঞ্চে রাজ্যের অনেক কিছু বলার থাকলেও, তা বলতে দেওয়া হয়নি। এমনকী হলফনামা দিতে চাইলে, তাও গ্রহণযোগ্য হয়নি। রাজ্যের এই যুক্তি শুনেই অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় ওই নির্দেশ খারিজ করে দিয়েছে ডিভিশন বেঞ্চ। এছাড়াও এসডিপিওকে নিজের পকেট থেকে পাঁচ লক্ষ টাকা জরিমানা জমা দেওয়ার যে নির্দেশ দিয়েছিলেন অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়, তাও খারিজ করে দিয়েছে ডিভিশন বেঞ্চ।
প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চের এহেন নির্দেশের পরই ‘বিচারপতি’ অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় ও বিজেপির যোগসূত্র তত্ত্ব নিয়ে ফের জোর চর্চা শুরু হয়েছে আইনজীবী ও রাজনৈতিক মহলে।  অনেকেই বলছেন, বেছে বেছে যেদিন অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় পূজাবকাশকালীন বেঞ্চের দায়িত্বে ছিলেন, সেদিনই এই মামলা ফেলা হয়েছিল। ফলে ‘বিচারপতি’ ও রাজনৈতিক দলের(বিজেপি) যোগসূত্র যে অনেক আগে থেকেই ছিল, তা ক্রমশই স্পষ্ট হচ্ছে। আইনজীবী সব্যসাচী ভট্টাচার্য বলেন, ‘ওঁর এরকম একাধিক রায় আছে। তবে তিনি এই রায় দিয়েছিলেন অধিকারীদের তোষামোদ করার জন্যই।’ তিনি আরও প্রশ্ন তুলেছেন, ‘এই কারণেই কী  বিচারপতি পদ ছাড়ার পর তমলুক আসনে টিকিট পেয়েছেন? এটা কী অধিকারীদের তোষামোদের পুরষ্কার? এটা তো এখন জলের মত পরিষ্কার, যে বিচারপতি পদে থেকেই তিনি একটি রাজনৈতিক দলের সঙ্গে ক্রমাগত যোগাযোগ রেখে যাচ্ছিলেন।’  

30th     April,   2024
 
 
অক্ষয় তৃতীয়া ১৪৩১
 
কলকাতা
 
রাজ্য
 
বিদেশ
 
খেলা
 
বিনোদন
 
আজকের দিনে
 
রাশিফল ও প্রতিকার
ভাস্কর বন্দ্যোপাধ্যায়
এখনকার দর
দিন পঞ্জিকা
 
শরীর ও স্বাস্থ্য
 
বিশেষ নিবন্ধ
 
সিনেমা
 
প্রচ্ছদ নিবন্ধ