বর্তমান পত্রিকা : Bartaman Patrika | West Bengal's frontliner Newspaper | Latest Bengali News, এই মুহূর্তে বাংলা খবর
দেশ
 

টাকা-মাদক উদ্ধারে রেকর্ড, শীর্ষে ডাবল ইঞ্জিন রাজস্থান

নয়াদিল্লি: লোকসভা নির্বাচন শুরু হতে এখনও তিনদিন বাকি। এর মধ্যেই নগদ, মাদক, মদ ও উপহারসামগ্রী উদ্ধারে রেকর্ড গড়ল নির্বাচন কমিশন। সোমবার কমিশনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, ১ মার্চ থেকে এখনও পর্যন্ত ৪ হাজার ৬৫৮ কোটি টাকার নগদ এবং বিভিন্ন সামগ্রী বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। উল্লেখযোগ্য বিষয় হল, এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি কালো টাকা-মাদক উদ্ধার হয়েছে ডাবল ইঞ্জিন রাজ্যগুলি থেকেই। বিরোধীদের কটাক্ষ, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এবং বিজেপির নেতারা ডাবল ইঞ্জিন রাজ্যে উন্নয়নের ঢাক পিটিয়ে থাকেন। তবে তথাকথিত সেই ‘উন্নয়ন’ যে ভোট পাওয়ার জন্য যথেষ্ট নয়, তা বুঝতে পেরে ভোটদাতাদের মন জয়ে ‘উপহার’ দেওয়া শুরু হয়েছে। কমিশনের প্রকাশিত তথ্যেই দেখা যাচ্ছে, ‘উপহার’ দিয়ে ভোট কেনার ক্ষেত্রে সবচেয়ে এগিয়ে প্রধানমন্ত্রী মোদির সাধের ‘ডাবল ইঞ্জিন’ রাজ্যগুলিই। অর্থ ও সামগ্রী উদ্ধারে শীর্ষে রয়েছে ডাবল ইঞ্জিন রাজস্থান। সম্প্রতি কংগ্রেসের হাত ছাড়িয়ে মরুরাজ্যের শাসন ক্ষমতার দখল নিয়েছে গেরুয়া শিবির। তারপরই এই ‘সরকারি’ তথ্য মোদিব্রিগেডের পক্ষে বেশ অস্বস্তিজনক। মুখ্যমন্ত্রী ভজনলাল শর্মার এই রাজ্য থেকে উদ্ধার হয়েছে ৭৭৮ কোটি ৫০ লক্ষ টাকারও বেশি টাকার কালো টাকা ও মাদক। দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে স্বয়ং মোদির রাজ্য গুজরাত। এখান থেকে ৬০৫ কোটি টাকার বেশি নগদ ও সামগ্রী উদ্ধার হয়েছে। তৃতীয় স্থানে বিজেপি-শিবসেনা শাসিত মহারাষ্ট্র। এই রাজ্য থেকে উদ্ধার হয়েছে ৪৩১ কোটি টাকারও বেশি। তালিকার একেবারে শেষে রয়েছে বাংলা। এখানে উদ্ধার হয়েছে নগদ ১৩ কোটি টাকা। নগদ ও উপহার মিলিয়ে উদ্ধার হওয়া সামগ্রীর মোট পরিমাণ ২১৯ কোটি ৬০ লক্ষ টাকা।
কমিশন জানিয়েছে, নগদ ও পণ্য বাজেয়াপ্ত করার দিক থেকে ৭৫ বছরের যাবতীয়  রেকর্ড এবার ভেঙে গিয়েছে। এত বিপুল পরিমাণ অর্থ ভোটের আগে কখনও উদ্ধার হয়নি। ২০২৪-এর নির্বাচন শুরুর আগে ১ মার্চ থেকে প্রতিদিন ১০০ কোটি টাকার অর্থ ও সামগ্রী উদ্ধার হয়েছে বলে কমিশন জানিয়েছে। রিপোর্টে বলা হয়েছে, ‘২০১৯ সালের গোটা নির্বাচন পর্বে ৩ হাজার ৪৭৫ কোটি টাকা উদ্ধার হয়েছিল। এবার ভোট শুরুর আগে সেই রেকর্ড ছাপিয়ে গিয়েছে।’ 
উদ্ধার হওয়া সামগ্রীর মধ্যে সবচেয়ে বেশি রয়েছে অবশ্য মাদক। এখনও পর্যন্ত মোট ২ হাজার ৬৮ কোটি ৮৫ লক্ষ টাকার মাদক উদ্ধার হয়েছে। ২০১৯ সালে গোটা নির্বাচন পর্বে ১ হাজার ২৭৯ কোটি ৯০ লক্ষ টাকার মাদক উদ্ধার হয়েছিল। দেখা যাচ্ছে, আগের বারের থেকে এবার বাজেয়াপ্ত হওয়া মাদকের পরিমাণ প্রায় দ্বিগুণ। দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে ১ হাজার ১৪২ কোটি ৪৯ লক্ষ টাকার উপহার সামগ্রী। তৃতীয় স্থানে, ৫৬২ কোটি টাকার মূল্যবান অলঙ্কার। মদ উদ্ধার হয়েছে ৪৮৯ কোটি ৩১ লক্ষ টাকার। আর নগদের পরিমাণ ৩৯৫ কোটি ৩৯ লক্ষ টাকা। 
কমিশনের দাবি, নির্বাচনে সকল প্রার্থী এবং সব দল যাতে একই রকম সুযোগ-সুবিধা পান, তা নিশ্চিত করা হচ্ছে। তাই নির্বাচনে অসৎ আচরণ রুখতে সবরকম ব্যবস্থা নিচ্ছে কমিশন। আকাশপথে নজরদারি, আর্থিক লেনদেনে কারচুপি রুখতে পরিসংখ্যান বিশেষজ্ঞদের সাহায্য নেওয়া হচ্ছে। সীমান্তে চেকপোস্টগুলিতেও অতিরিক্ত নজরদারি চলছে। শুরু হয়েছে ধরপাকড়। আর সেই সূত্রে বিপুল পরিমাণ নগদ, মাদক এবং সামগ্রী বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে।

16th     April,   2024
 
 
অক্ষয় তৃতীয়া ১৪৩১
 
কলকাতা
 
রাজ্য
 
বিদেশ
 
খেলা
 
বিনোদন
 
আজকের দিনে
 
রাশিফল ও প্রতিকার
ভাস্কর বন্দ্যোপাধ্যায়
এখনকার দর
দিন পঞ্জিকা
 
শরীর ও স্বাস্থ্য
 
বিশেষ নিবন্ধ
 
সিনেমা
 
প্রচ্ছদ নিবন্ধ