বর্তমান পত্রিকা : Bartaman Patrika | West Bengal's frontliner Newspaper | Latest Bengali News, এই মুহূর্তে বাংলা খবর
দেশ
 

বাংলাদেশে ব্লগার খুনে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত ফয়জল
ভারতেই আল কায়েদার সংগঠনের দায়িত্বে
হেফাজতে নিল কলকাতা এসটিএফ

শুভ্র চট্টোপাধ্যায়, কলকাতা: বাংলাদেশের ব্লগার অনন্তবিজয় দাসকে খুনের ঘটনায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত অপরাধী ফয়জল আহমেদকে গ্রেপ্তার করল বেঙ্গালুরু পুলিস। আল কায়েদার (আল কায়েদা ইন ইন্ডিয়ান সাব কন্টিনেন্ট) সহযোগী সংগঠন আনসারউল্লা বাংলা টিমের এই সদস্য নাম ভাঁড়িয়ে ভারতে গা ঢাকা দিয়েছিল। পুলিস সূত্রের খবর, সে বাংলা ও অসমে আল কায়েদার সংগঠন বাড়ানোর কাজ করছিল। জড়িয়ে প঩঩ড়েছিল জাল নোটের কারবারেও। এই তথ্য হাতে আসার পরই ফয়জল আহমেদ ওরফে শাহিদ মজুমদারকে বেঙ্গালুরু থেকে জেরার জন্য কলকাতায় এনেছে এসটিএফ।
বাংলাদেশ পুলিস সূত্রের খবর, অনন্ত ২০১৫ সালের মে মাসে খুন হন। তিনি ধর্মনিরপেক্ষ ও নাস্তিক মতবাদের জন্য জনপ্রিয় ছিলেন। মুক্তমনর হয়ে ব্লগ লিখতেন। তাঁকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে খুন করে ফয়জল, আব্দুল খায়ের রশিদ আহমেদ এবং হারুন অর রশিদ। তখন হারুন আর রশিদ ধরা পড়ে। অন্যরা পলাতক ছিল। সাতবছর বিচার চলার পর বাংলাদেশের আদালত এবছর চারজনকে মৃত্যুদণ্ড দেয়।
সম্প্রতি বাংলাদেশ র‌্যাবের কাছে খবর আসে, ফয়জল ভারতে আশ্রয় নিয়েছে। শাহিদ মজুমদার নামে অসম থেকে ভোটার, আধার ও প্যান কার্ড তৈরি করেছে। খুলেছে গোটা দশেক ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট। এখানে বাংলাদেশ থেকে টাকা ঢুকছে। মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত এই অপরাধী যে ফোন ব্যবহার করছিল তার নম্বর জোগাড় করেন বাংলাদেশের পুলিস আধিকারিকরা। সেটি পাঠানো হয় ভারতীয় নিরাপত্তা এজেন্সির কাছে। তারা এই নম্বর ট্র্যাক করতে গিয়ে দেখে, শাহিদ রয়েছে বেঙ্গালুরুর বোমানহাল্লি থানা এলাকায়। খবর দেওয়া হয় কর্ণাটক পুলিসকে। তারা খোঁজ নিয়ে জানতে পারে, ফয়জল ছদ্মবেশে গাড়ি ড্রাইভারের কাজ করছে। শাহিদ যেখানে গাড়ি চালাত, বেঙ্গালুরু পুলিস সেখানেই পৌঁছে যায়। সংগৃহীত তথ্যের ভিত্তিতে গ্রেপ্তার করা হয় তাকে। ফয়জলকে জেরা করে বেঙ্গালুরু পুলিস জানতে পারে, ২০১৫-র জুনের শেষে সে বসিরহাট সীমান্ত পথে পশ্চিমবঙ্গে ঢোকে। সেখানেই থাকত। তার সঙ্গে যোগাযোগ হয় আল কায়েদার স্লিপার সেলের। এরপরই ওই জঙ্গি সংগঠনের হয়ে সে কাজ করতে শুরু করে। এখানে পালিয়ে থাকার সময় পাকিস্তানের আল কায়েদা প্রধানের সঙ্গে সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং সাইট মারফত তার যোগাযোগ হয়। বাংলা ও অসমে সংগঠন বাড়ানোর দায়িত্ব পায় ফয়জল। সেইমতো মালদহ, মুর্শিদাবাদ, দুই ২৪ পরগনা সহ কয়েকটি জেলায় গিয়ে ‘দাওয়াত’ দিয়ে নতুন জঙ্গি নিয়োগ করতে শুরু করে সে। অসমে আনসারুল্লা বাংলা টিমের সঙ্গে যোগাযোগ গড়ে তোলে। সেখানে গিয়ে আল কায়েদার জন্যও কাজ শুরু করে। তার মূল লক্ষ্য ছিল, অসম ও বাংলায় ‘ফ্রি জোন’ তৈরি করা। উত্তর-পূর্বের মিজোরাম ও মণিপুরেও সংগঠন তৈরির কাজ শুরু করেছিল ফয়জল। মিজোরাম থেকে ড্রাইভিং লাইসেন্স জোগাড় করে সে। তাকে শাহিদ মজুমদার নামেই সকলে চিনত। বাংলাদেশে আল কায়েদার দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতাদের কাছ থেকে সে টাকা পেত। তা দিয়ে কেনা হয়েছে অস্ত্রসহ নানা সামগ্রী। প্রশিক্ষণের জন্য একাধিক শিবির খুলেছিল এরাজ্যের সীমান্ত লাগোয়া জেলায় এবং অসমে। এর সঙ্গেই জাল নোট এনে মালদহ, মুর্শিদাবাদ ছড়াচ্ছিল। এই সংক্রান্ত তথ্য জানানো হয় এসটিএফকে। 

6th     July,   2022
 
 
কলকাতা
 
রাজ্য
 
বিদেশ
 
খেলা
 
বিনোদন
 
আজকের দিনে
 
রাশিফল ও প্রতিকার
ভাস্কর বন্দ্যোপাধ্যায়
এখনকার দর
দিন পঞ্জিকা
 
শরীর ও স্বাস্থ্য
 
বিশেষ নিবন্ধ
 
সিনেমা
 
প্রচ্ছদ নিবন্ধ