বর্তমান পত্রিকা : Bartaman Patrika | West Bengal's frontliner Newspaper | Latest Bengali News, এই মুহূর্তে বাংলা খবর
দেশ
 

মহারাষ্ট্রজুড়ে গৃহযুদ্ধ শিবসেনার
রাজ্যে ফিরতে নারাজ ভীত সিন্ধে শিবির 

নিজস্ব প্রতিনিধি, নয়াদিল্লি: বিনা যুদ্ধে সূচ্যগ্র মেদিনী দিতে নারাজ উব্ধব থ্যাকারে। নাটকের শেষ দৃশ্যের আগে তিনি ইস্তফা দেবেন না। কারণ, এখন আর সরকার নয়, দলের অধিকার রক্ষাই প্রধান লড়াইয়ে পরিণত। এই পরিস্থিতিতে শনিবার মহারাষ্ট্রের রাস্তায় নেমে এল শিবসেনার গৃহযুদ্ধ। বিক্ষোভ-ভাঙচুর দেখে গুয়াহাটির সাততারা হোটেলের নিরাপদ আশ্রয়ে বসেও কালঘাম ছুটেছে বিদ্রোহী শিবিরের। পরিবারের জন্য নিরাপত্তা চেয়ে মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধবকে চিঠি লিখেছেন একনাথ সহ ৩৮ জন বিধায়ক।
এতদিন মনে করা হচ্ছিল, ৫১ জন বিধায়ককে সঙ্গে নিয়ে বিজেপিতে যোগ দিয়ে কিংবা নির্দল হিসেবে সমর্থন করে উদ্ধবের সরকারের পতন ঘটাবেন একনাথ। কিন্তু এখন তিনি নিজেদেরই প্রকৃত শিবসেনা হিসেবে দাবি করছেন। বালাসাহেব থ্যাকারের ছবি সামনে রেখে তাঁর শিবির শুধু সরকার নয়, গোটা দলটি উদ্ধবের থেকে ছিনতাই করতে উদ্যত। তাই আর বিবৃতির লড়াই নয়। শিবসেনা কার? থ্যাকারে পরিবারের নাকি বিদ্রোহী সিন্ধে শিবিরের? এই চাপানউতোরে এদিন উত্তাল হয়ে ওঠে গোটা মহারাষ্ট্র। পুনে থেকে পালঘর, আওরঙ্গাবাদ থেকে নাসিকে চলে চরম বিক্ষোভ, ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ। দুই যুযুধান শিবিরের সমর্থক শিবসৈনিকরা রাস্তায় নেমে পড়ায় ক্রমেই বিপজ্জনক হয়ে উঠছে আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি। মুম্বইজুড়ে জারি করা হয়েছে ১৪৪ ধারা। ফাঁকা হয়ে যাচ্ছে শিবসেনার প্রভাবযুক্ত শহরগুলির রাস্তাঘাট।
কোণঠাসা উদ্ধব থ্যাকারের পতন যখন স্রেফ সময়ের অপেক্ষা বলে মনে করা হচ্ছিল, তখনই প্রত্যাঘাত করেছেন তিনি। দলের জাতীয় কর্মসমিতির বৈঠক ডেকে এদিন জেলাস্তরের সব পদাধিকারীকে দিয়ে ঘোষণা করিয়ে দিয়েছেন, ‘বিদ্রোহী বিধায়করা যাই করুক, তাঁরা উদ্ধবের সঙ্গেই থাকছেন। তাঁর নেতৃত্বেই আগামী দিনে  নির্বাচনে লড়াই করবেন।’ এদিকে, আরব সাগরের তীরে ক্ষিপ্ত শিবসৈনিকদের রণং দেহি মূর্তি দেখে থেকে বহু দূরের কামাখ্যা পাহাড়ের পাদদেশে বসে ভয়ে কাঁপছেন বিদ্রোহীরা। প্রশ্ন উঠছে, এখনও কেন তাঁরা সেখানে লুকিয়ে বসে আছেন? মুম্বইয়ে আসছেন না কেন? চাপ বাড়াতে তাঁদের পুলিসি নিরাপত্তাও প্রত্যাহার করে নিয়েছে উদ্ধব সরকার। তাতে আরও আতঙ্ক বেড়েছে সিন্ধে শিবিরে।
অন্যদিকে, বিধানসভার সদস্যপদ বাতিলের প্রস্তাবের প্রেক্ষিতে ১৬ জন বিদ্রোহী বিধায়ককে শোকজ নোটিস পাঠিয়েছেন ডেপুটি স্পিকার। ইমেলে পাঠানো অনাস্থা প্রস্তাবের দাবিও তিনি নস্যাৎ করেছেন। জানা যাচ্ছে, একনাথ সিন্ধের পৃথক দল অথবা নিজেদের প্রকৃত শিবসেনা হিসেবে ঘোষণার উদ্যোগের একটিও নির্বাচন কমিশনের বিধি অনুযায়ী সম্ভব নয়। পৃথক দল গড়তে প্রত্যেককে বিধায়ক পদ থেকে ইস্তফা দিতে হবে। আবার শিবসেনাকে নিজেদের বলে দাবি করাও সম্ভব নয়। কারণ, আইনত শুধুই বিধায়ক নিয়ে একটি দল হয় না। অতএব, বিজেপিতে মিশে যাওয়া ছাড়া এই বিদ্রোহীদের সামনে কোনও উপায় নেই। সেক্ষেত্রে ভবিষ্যতে শিবসেনা ভোটব্যাঙ্ক থেকে তাঁরা বঞ্চিত হবেন। সুতরাং উদ্ধব থ্যাকারের সরকার হয়তো রক্ষা পাবে না। কিন্তু একনাথ সিন্ধের ‘সেনাপ্রধান’ হওয়ার স্বপ্ন অধরাই থেকে যাবে!

26th     June,   2022
 
 
কলকাতা
 
রাজ্য
 
বিদেশ
 
খেলা
 
বিনোদন
 
আজকের দিনে
 
রাশিফল ও প্রতিকার
ভাস্কর বন্দ্যোপাধ্যায়
এখনকার দর
দিন পঞ্জিকা
 
শরীর ও স্বাস্থ্য
 
বিশেষ নিবন্ধ
 
সিনেমা
 
প্রচ্ছদ নিবন্ধ