বর্তমান পত্রিকা : Bartaman Patrika | West Bengal's frontliner Newspaper | Latest Bengali News, এই মুহূর্তে বাংলা খবর
দেশ
 

বছরে ৫০০ ইঞ্জিন তৈরিতে বাইরে থেকে ৪ হাজার কোটির সামগ্রী কিনবে সিএলডব্লু
সুপার ফ্লপ মোদির আত্মনির্ভর প্রকল্প

সুমন তেওয়ারি  চিত্তরঞ্জন: রেলইঞ্জিন প্রস্তুতিতে ব্যবহৃত ৮০ শতাংশ সামগ্রীই বাইরে থেকে আমদানি করছে সিএলডব্লু। বুধবার ভেন্ডার মিটে চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে এসেছে। কর্তৃপক্ষের মতে, আগামী বছর ৫০০রেলইঞ্জিন তৈরির লক্ষ্যমাত্রা রয়েছে। যার জন্য প্রায় চার হাজার কোটি টাকার সামগ্রী বাইরে থেকে কিনতে হবে। এনিয়ে শোরগোল পড়েছে। যে কারখানায় রেল ইঞ্জিনের সবকিছুই প্রস্তুত হতো, সেখানে বেশিরভাগ সামগ্রীই ভেন্ডারদের মাধ্যমে কিনে সিএলডব্লুকে ধীরে ধীরে ‘অ্যাসেম্বল ইউনিটে’ পরিণত করছে রেলমন্ত্রক। দীর্ঘদিন ধরেই শূন্যপদে নিয়োগ নেই। একের পর এক ম্যানুফ্যাকচারিং ইউনিটকে ধীরে ধীরে শুকিয়ে দিয়ে কারখানা বন্ধের কৌশল নেওয়া হয়েছে বলে শ্রমিক সংগঠনগুলির অভিযোগ। উৎপাদনের রেকর্ড দেখিয়ে বাহবা নেওয়া রেল কারখানায় যে ‘আত্মনির্ভর ভারত’ স্লোগান সুপার ফ্লপ, তা এদিন পরিষ্কার হয়ে গিয়েছে।
আলপিন থেকে এলিফ্যান্ট, রেল ইঞ্জিনের সবকিছু‌ই তৈরি হয় সিএলডব্লুতে। এই কথাই প্রচলিত ছিল শিল্পাঞ্চলে। কয়েক দশক আগেও যতগুলি ইঞ্জিন প্রস্তুত হতো, সবই এখানকার শ্রমিকদের হাতের তৈরি। কিন্তু এখন যে পরিস্থিতি সম্পূর্ণ বিপরীত, তা এদিনের ভেন্ডার ডেভেলপমেন্ট মিটেই প্রকাশ্যে আসে। সিএলডব্লু সূত্রে জানা গিয়েছে, একটা সময় এখানে ১৪ হাজারের বেশি কর্মী ছিল। তা কমে দাঁড়িয়েছে ১০ হাজারের আশেপাশে। অথচ আগে যে পরিমাণ রেল ইঞ্জিন তৈরি হতো, তার প্রায় দ্বিগুণ তৈরি হচ্ছে। রেকর্ড পরিমাণ ইঞ্জিন তৈরি করে গিনেস বুকে নামও উঠেছে সিএলডব্লুর। স্বাভাবিকভাবেই বাইরে থেকে মনে হতো, অত্যন্ত ভালোভাবে কারখানা চালাচ্ছে রেলমন্ত্রক। এদিন কার্যত হাটে হাঁড়ি ভাঙা যায়। 
জানা গিয়েছে, উৎপাদন বাড়াতে গিয়ে নিজস্বতা হারিয়েছে সিএলডব্লু। রেল ইঞ্জিনের ব঩ডি থেকে ‘হৃৎপিন্ড’ প্যানেল বোর্ড পর্যন্ত আউটসোর্সিং করে আনা হচ্ছে। এখানে শুধু সব পার্টস জুড়ে ইঞ্জিন প্রস্তুতির কর্তৃত্ব নেওয়া হচ্ছে। এতে শীর্ষ আধিকারিকদের বুকের ছাতি চওড়া হলেও আশঙ্কা বাড়ছে সাধারণ শ্রমিক থেকে নিচুতলার আধিকারিকদের। যেভাবে বিভিন্ন পার্টস আউটসোর্সিং করে বাইরে থেকে আনানো হচ্ছে তাতে আর বাকি ম্যানুফ্যাকচারিং ইউনিটগুলির আয়ু কত তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে।
রেল কর্তৃপক্ষ সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রায় এক হাজার রকমের পার্টস ভেন্ডারদের মাধ্যমে সংগ্রহ করতে হয়। প্রায় এক হাজার ভেন্ডার এনরোল রয়েছে কারখানায়। ভেন্ডার নিয়ে রীতিমতো সমস্যাতেও পড়ছে কর্তৃপক্ষ। জানা গিয়েছে, এমন শতাধিক পার্টস রয়েছে, যা মাত্র একজন ভেন্ডারই সরবরাহ করে। এতে তারা ইচ্ছা মতো দাম হাঁকায়। এই পরিস্থিতি থেকে বের হতে কর্তৃপক্ষ এদিন ৭৪টি পার্টস ডিসপ্লে করে বাকি ভেন্ডারদের তা প্রস্তুত করতে উৎসাহিত করেছে। যাতে একটি পার্টস সংগ্রহ করতে কোনও একজন ভেন্ডারের প্রতি নির্ভরশীল না হতে হয়। আত্মনির্ভর ভারতের স্লোগান তোলা কেন্দ্র সরকারের রেলমন্ত্রক কেন এত ভেন্ডারদের প্রতিই নির্ভরশীল হয়ে যাচ্ছে, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। সাধারণ শ্রমিক থেকে নেতা সবারই প্রশ্ন, অন্য ভেন্ডারদের উৎসাহিত না করে কেন সেই সব গুরুত্বপূর্ণ সামগ্রী সিএলডব্লু নিজেরা তৈরি করতে উদ্যোগ নিচ্ছে না?
সংস্থার জিএম সতীশ কাশ্যপ বলেন, আমরা সামনের বছর ৫০০ ইঞ্জিন তৈরির লক্ষ্যমাত্রা নিয়েছি। তারজন্য চার হাজার কোটি টাকার সামগ্রী ভেন্ডারদের কাছ থেকে কিনতে হবে। সেফ্টির বিষয় ছাড়া নিয়োগ করার কোনও সিদ্ধান্ত মন্ত্রক নেয়নি। 

28th     January,   2021
 
 
কলকাতা
 
রাজ্য
 
বিদেশ
 
খেলা
 
বিনোদন
 
আজকের দিনে
 
রাশিফল ও প্রতিকার
ভাস্কর বন্দ্যোপাধ্যায়
এখনকার দর
দিন পঞ্জিকা
 
শরীর ও স্বাস্থ্য
 
বিশেষ নিবন্ধ
 
সিনেমা
 
প্রচ্ছদ নিবন্ধ