বর্তমান পত্রিকা : Bartaman Patrika | West Bengal's frontliner Newspaper | Latest Bengali News, এই মুহূর্তে বাংলা খবর
রাজ্য
 

জনসভা শেষের আগেই মাঠ ছাড়লেন কর্মীরা, মতুয়াগড়ে অস্বস্তিতে বিজেপি

সুদীপ্ত কুণ্ডু, মাজদিয়া: ২৯ এপ্রিল রানাঘাটের দত্তপুলিয়ায় বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডার কর্মসূচি ফ্লপ শোয়ে পরিণত হয়েছিল। শুক্রবারও একই ছবির পুনরাবৃত্তি হল রানাঘাট কেন্দ্রের মাজদিয়ায়। তবে এবার নাড্ডা নয়, সভা ছিল অমিত শাহর। দত্তপুলিয়ার মতো এই এলাকাও অন্যতম মতুয়া বলয় হিসেবে পরিচিত। এদিন দুপুরে মাজদিয়া রেলস্টেশন সংলগ্ন ময়দানে রানাঘাট কেন্দ্রের প্রার্থী জগন্নাথ সরকারের সমর্থনে জনসভা করেন দেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। নির্ধারিত সময়ের প্রায় দেড় ঘণ্টা দেরিতে সভাস্থলে আসেন শাহ। সভার শুরু থেকেই মাঠে ভিড় ধরে রাখতে হিমশিম খাচ্ছিলেন বিজেপি কর্মীরা। তার উপর অমিত শাহের মাত্র মিনিট দশেকের বক্তৃতা শেষ হতে না হতেই মাঠ ছাড়তে শুরু করে দিয়েছিলেন অনেকেই। 
কৃষ্ণনগর লোকসভা কেন্দ্রের পদ্ম প্রার্থীর সমর্থনে এদিন জেলায় অসমের মুখ্যমন্ত্রী আসার কথা থাকলেও তা বাতিল হয়ে যায়। এদিকে রানাঘাট কেন্দ্রের প্রার্থী জগন্নাথ সরকারের হয়ে দুপুর ৩টে নাগাদ মাজদিয়ার সভায় আসার কথা ছিল শাহের। শেষ পর্যন্ত বিকেল ৪টে ২০মিনিট নাগাদ সভাস্থলে আসেন শাহ। মাত্র ১০ মিনিটের বক্তব্যে দুর্নীতি ইস্যুতে রাজ্যকে তুলোধনা করা, সন্দেশখালি প্রসঙ্গ এবং নাগরিকত্ব নিয়ে হাতেগোনা কয়েকটি কথা বলেন। 
এদিন মঞ্চে রানাঘাট লোকসভা কেন্দ্রের প্রার্থী জগন্নাথ সরকার ছাড়াও একাধিক বিধায়ক, রাজ্য ও জেলা সভাপতিও উপস্থিত ছিলেন। কর্মীদের আশা ছিল, নির্বাচনের দু’দিন আগে মেগা জনসভায় কর্মী-সমর্থক ছাড়াও সাধারণ মানুষের ভিড় উপচে পড়বে। সর্বোপরি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে নিয়ে এসে শাহি চমক দিতে চেয়েছিল বিজেপি নেতৃত্ব। কিন্তু অমিত শাহের বক্তব্য শেষ না হতেই সভাস্থলের সামনের অংশ থেকে চেয়ার খালি হতে শুরু করে। অমিত শাহ তখনও মঞ্চ ছাড়েননি। অথচ ততক্ষণে মাঠ ছাড়তে থাকে ভিড়ের একটা বড় অংশ। কেন মাঠ ছাড়ছেন, এই প্রশ্ন করতেই অনেকে বলেন, অমিত শাহকে দেখার খুব ইচ্ছে ছিল। তাই এসেছিলাম। হিন্দি কথা কিছুই তো বুঝি না। আবার কেউ কেউ বলেন, বেলা ১২টা নাগাদ এসেছিলাম। এই গরমে চার ঘণ্টা অপেক্ষা করলাম। মাত্র ১০ মিনিট বক্তৃতা রাখলেন। আরও দেরি করলে বাড়ি ফেরার ট্রেন ধরতে এক ঘণ্টা অপেক্ষা করতে হবে। দলীয় কর্মীদের অনেকেই বলছেন, কৃষ্ণগঞ্জে সাংগঠনিক দুর্বলতা রয়েছে। তার থেকেও বেশি রয়েছে গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব। যদিও এবিষয়ে নদীয়া দক্ষিণ সাংগঠনিক জেলা বিজেপির সভাপতি পার্থসারথি চট্টোপাধ্যায় বলেন, শাহর সভা উপলক্ষ্যে মাঠের ভিতরে যত লোক ছিল, তার দ্বিগুণ জনস্রোত ছিল রাস্তায়।
বিজেপি সভায় ফাঁকাই পড়ে রইল চেয়ার। - নিজস্ব চিত্র

11th     May,   2024
 
 
অক্ষয় তৃতীয়া ১৪৩১
 
কলকাতা
 
দেশ
 
বিদেশ
 
খেলা
 
বিনোদন
 
আজকের দিনে
 
রাশিফল ও প্রতিকার
ভাস্কর বন্দ্যোপাধ্যায়
এখনকার দর
দিন পঞ্জিকা
 
শরীর ও স্বাস্থ্য
 
বিশেষ নিবন্ধ
 
সিনেমা
 
প্রচ্ছদ নিবন্ধ