বর্তমান পত্রিকা : Bartaman Patrika | West Bengal's frontliner Newspaper | Latest Bengali News, এই মুহূর্তে বাংলা খবর
রাজ্য
 

দেশের গণতন্ত্র বিপন্ন, রাহুরূপী মোদিকে হটানোর ডাক মমতার

নিজস্ব প্রতিনিধি, পাত্রসায়র ও সংবাদদাতা, পুরুলিয়া: তৃতীয় দফার ভোট গ্রহণ চলছে রাজ্যের চার কেন্দ্রে। আর তখনই সেই নির্বাচনী কেন্দ্রগুলি থেকে কয়েকশো কিমি দূরে দাঁড়িয়ে দেশকে রাহুমুক্ত করার ডাক দিচ্ছেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কে সেই রাহু? বাংলার মুখ্যমন্ত্রী কোনও সংশয় রাখেননি—সগর্জনে আম জনতার সামনে বলেছেন, ‘দেশকে বিক্রি করে দেওয়ার ছক কষা রাহুর নাম নরেন্দ্র মোদি’। বঞ্চনা, সন্দেশখালি কাণ্ড, তৃণমূলের নামে অপপ্রচারের অভিযোগ তাঁকে যে এতটুকু দমাতে পারেনি, তার প্রমাণ দেড় মাস ধরে রাজ্যের একের পর এক প্রান্তে দিয়ে চলেছেন মমতা। অন্যথা হয়নি মঙ্গলবারও। বিষ্ণুপুর লোকসভার পাত্রসায়রে নির্বাচনী জনসভা থেকে তাঁর তোপ, ‘মোদি ম্যাজিক শেষ। এবার বিজেপি উৎখাতের পালা।’ মুখ্যমন্ত্রীর বার্তা, ‘আপনাদের আশীর্বাদ নিয়ে লড়তে যাচ্ছি। ভাইদের হাততালি, মায়েদের উলুধ্বনি, আশীর্বাদ, দোয়া নিয়ে যাচ্ছি। আগামী দিন যেন ভারতবর্ষ রাহুমুক্ত হয়, মোদি-রাহু থেকে মুক্তি পায়। যেন নতুন স্বাধীনতা সংগ্রামে ভারতবর্ষের গণতন্ত্রের জয় হয়।’ 
এদিন তৃণমূল নেত্রী পুরুলিয়ার পাড়ায় দলীয় প্রার্থী শান্তিরাম মাহাতর সমর্থনে সভা করেন। সেখান থেকে তিনি বিষ্ণুপুর লোকসভার পাত্রসায়রের গরুহাটতলার মাঠে আসেন। এদিন পুরুলিয়া ও বিষ্ণুপুর দুই সভা থেকেই মমতা প্রধানমন্ত্রীকে এক হাত নেন। বারবার সেই প্রসঙ্গে বলেন, ‘এত বড় মিথ্যাবাদী প্রধানমন্ত্রী দেখিনি। তিনি যাতে ফিরতে না পারেন, সেই জন্য ভোট দেবেন না।’ এদিন মমতা তাঁর ও মোদির প্রতিশ্রুতির ফারাক বুঝিয়েছেন। লক্ষ্মীর ভাণ্ডার হোক বা স্বাস্থ্য সাথী, উপচে পড়া ভিড়কে তাঁর প্রশ্ন, ‘এইসব পেয়েছেন তো?’ হর্ষধ্বনিতে প্রাপ্তি সংবাদ দিয়েছে জনতা। মমতা বলেন, ‘মোদি যেগুলো দেবে বলেছিল, তা কি দিয়েছে? সবার পকেটে ১৫ লক্ষ করে টাকা কি দিয়েছে? ৫০ হাজার দিয়েছে?’ তাই মোদিকে তিনি মিথ্যার ‘গুরু’ বলেও কটাক্ষ করেছেন। 
মমতার প্রশ্ন, ‘১০০ দিনের কাজের টাকা কি মোদি দিয়েছে?’ উত্তর আসে, ‘না’। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘এই টাকা আমরা দিয়েছি। তিন বছর পরপর বাংলা প্রথম হলেও এই টাকা বাংলাকে দিল না। গর্ধবের দল ভাজপা জানে না। আমরা দুর্নীতি করিনি। বরং ২৪ কোটি টাকা বাঁচিয়েছি। তাই বিজেপি মিথ্যেবাদী।’ এদিন পাত্রসায়রের সভা থেকে মুখ্যমন্ত্রীর মুখে উঠে আসে সন্দেশখালির প্রসঙ্গও। বলেন, ‘সন্দেশখালি দেখেছেন তো! টাকা দিয়ে মেয়েদের সম্মান কীভাবে বিক্রি করে দিয়েছে! এরা পারে না, এমন কাজ নেই।’ তিনি আরও বলেন, ‘রাতের বেলায় গাড়িতে করে লুকিয়ে আরএসএস ও বিজেপির কিছু লোক বাড়ি বাড়ি ভোটের জন্য টাকা দিতে যাচ্ছে। দু’-একজন মহিলা সাথীকেও নিচ্ছে। তাই আমি পরিষ্কার বলছি, আগে বলবেন ১৫ লক্ষ টাকা দাও, তারপর দু’-তিন হাজার।’ 
এখানেই শেষ নয়, ‘খেলা হবে’ স্লোগানেও শান দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। তাঁর প্রশ্ন, ‘ভাই-বোনেরা খেলা হবে তো? হাতা খুন্তি, হাঁড়ি, ফুটবল, ধামসা মাদলের খেলা হবে! মোদিবাবুকে বিদায় জানানোর খেলা হবে! তাই মনে রাখবেন, এবার ভোট তৃণমূলকে দিতেই হবে। জোড়াফুলে যদি ভোট না দেন, ওরা ঘাড় ধাক্কা দিয়ে সবাইকে দেশ থেকে বের করে দেবে। দেশটাকে বিক্রি করে দিয়েছে বিজেপি।’ 

8th     May,   2024
 
 
অক্ষয় তৃতীয়া ১৪৩১
 
কলকাতা
 
দেশ
 
বিদেশ
 
খেলা
 
বিনোদন
 
আজকের দিনে
 
রাশিফল ও প্রতিকার
ভাস্কর বন্দ্যোপাধ্যায়
এখনকার দর
দিন পঞ্জিকা
 
শরীর ও স্বাস্থ্য
 
বিশেষ নিবন্ধ
 
সিনেমা
 
প্রচ্ছদ নিবন্ধ