বর্তমান পত্রিকা : Bartaman Patrika | West Bengal's frontliner Newspaper | Latest Bengali News, এই মুহূর্তে বাংলা খবর
রাজ্য
 

এরাজ্যে দ্বিতীয় শ্রেণির নাগরিক হিন্দুরা: মোদি

সুখেন্দু পাল, অগ্নিভ ভৌমিক, সৌম্যদীপ ঘোষ: কোনও উন্নয়ন বা বিকাশের কথা নয়, এবারের লোকসভা ভোটে মেরুকরণই আসল অস্ত্র প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির। শুক্রবার বাংলায় তিনটি সভা করে সেকথা তিনি আবার বোঝালেন। তৃণমূলের বিরুদ্ধে তুললেন সংখ্যালঘু তোষণের অভিযোগ। আর সরাসরি বলে দিলেন, ‘এরাজ্যে হিন্দুরা দ্বিতীয় শ্রেণির নাগরিক!’ 
এদিন বর্ধমানের তালিতে সাইয়ের মাঠে সভা করেন মোদি। মাঠ ভরাতে বিজেপিকে পাশের রাজ্য ঝাড়খণ্ড থেকেও লোক আনতে হয়েছিল। সভায় প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘বাংলায় হিন্দুদের সঙ্গে কী হচ্ছে? জয় শ্রীরাম বললে তৃণমূলের রাগ হচ্ছে। গায়ে জ্বর আসছে। তৃণমূলের এক বিধায়ক বলছে, হিন্দুদের দু’ঘণ্টায় ভাগীরথীতে ভাসিয়ে দেব। এটা রাজনীতির ভাষা? এদের রামমন্দির তৈরি করতে আপত্তি রয়েছে। রামনবমীর শোভাযাত্রায় বাধা দেয়।’ বীরভূমের আহমদপুর এবং নদীয়ার কৃষ্ণনগরের সভাতেও ছিল একথার প্রতিধ্বনি। তিনটি সভাতেই ঘুরিয়ে ফিরিয়ে সন্দেশখালির প্রসঙ্গ তোলেন মোদি। বলেন, ‘সন্দেশখালিতে দলিত বোনদের উপর এতবড় অপরাধ হল। সারা দেশ বিচার চাইছে। আর তৃণমূল চাইছে অপরাধীদের বাঁচাতে। অপরাধীর নাম শাহজাহান শেখ বলেই তাকে বাঁচানোর চেষ্টা হয়েছে। কারণ তৃণমূল তুষ্টিকরণের রাজনীতি করে। মানুষের থেকে এদের কাছে ভোটব্যাঙ্ক বড়। সন্দেশখালি নিয়ে কয়েকজন মহিলা গান বেঁধেছে। তা শুনে শিউরে উঠতে হয়।’ সন্দেশখালিতে অস্ত্র উদ্ধার নিয়েও রাজ্যের শাসকদলকে বিঁধেছেন তিনি। শুধু তৃণমূল নয়, বাম-কংগ্রেসকেও এদিন প্রধানমন্ত্রী আক্রমণ করতে ছাড়েননি। তিনি বলেন, ‘ওরা বলছে বিজেপির বিরুদ্ধে ভোট জিহাদ কর। জিহাদের মানে সারা দেশ জানে। বলছে, মোদিকে গুলি মারো। লাঠি দিয়ে আঘাত করো। আমি এসবে ভয় পাই না।’ ধর্মের ভিত্তিতে সংরক্ষণ, ক্ষমতায় এলে সম্পত্তি লুটের মতো অভিযোগও তিনি ফের তুলেছেন কংগ্রেসের বিরুদ্ধে। রাহুল গান্ধীর দল ক্ষমতায় এলে সংবিধান বদলে দেবে, সেই জুজুও দেখিয়েছেন। আর সাফ জানিয়ে দিয়েছেন, তৃণমূল, বাম এবং কংগ্রেস ভোটব্যাঙ্কের জন্য সিএএ বন্ধ করার পক্ষে। ভোটব্যাঙ্কের স্বার্থেই ওরা একথা বলছে। কিন্তু সিএএকে আটকাতে পারবে না। মতুয়াদের সব সরকারি প্রকল্পের সুবিধা দেওয়ার কথা বলেও ভোট প্রার্থনা করতে পিছ পা হননি প্রধানমন্ত্রী।
২০১৪ বা ২০১৯ সালে বর্ধমান-দুর্গাপুর কেন্দ্রে ভোট প্রচারে এসে মোদি শিল্পায়নের বার্তা দিয়েছিলেন। কিন্তু বিজেপি জমানার ১০ বছরে এখানে একটি কারখানাও খোলেনি। এদিন তাই শিল্পায়ন ইস্যুতে কোনও মন্তব্য করতে শোনা যায়নি প্রধানমন্ত্রীকে। বরং দুর্নীতি ইস্যুতেই তিনি বারবার আক্রমণ করেছেন রাজ্যের শাসকদলকে। বলেছেন, ‘তৃণমূল কংগ্রেস সমস্ত কেন্দ্রীয় প্রকল্পে তোলাবাজি, লুটপাট, দুর্নীতি করছে। গরিব মানুষের রেশন পর্যন্ত ছাড়েনি ওরা। তৃণমূলের এই তোলাবাজি চলতে দেব না। এটাই মোদির গ্যারান্টি!’

4th     May,   2024
 
 
অক্ষয় তৃতীয়া ১৪৩১
 
কলকাতা
 
দেশ
 
বিদেশ
 
খেলা
 
বিনোদন
 
আজকের দিনে
 
রাশিফল ও প্রতিকার
ভাস্কর বন্দ্যোপাধ্যায়
এখনকার দর
দিন পঞ্জিকা
 
শরীর ও স্বাস্থ্য
 
বিশেষ নিবন্ধ
 
সিনেমা
 
প্রচ্ছদ নিবন্ধ