বর্তমান পত্রিকা : Bartaman Patrika | West Bengal's frontliner Newspaper | Latest Bengali News, এই মুহূর্তে বাংলা খবর
রাজ্য
 

মোদির ভাষণে মিথ্যার বেসাতি: মমতা, বাংলায় এসে ধর্মের নামে বিভাজন! তোপ নেত্রীর

নিজস্ব প্রতিনিধি, রায়না: দ্বিচারিতা? নাকি শুধুই ভোট জোগাড়ের তাগিদ? অসমে যাদের শাসনে ১৯ লক্ষ হিন্দু বাঙালির নাম ন্যাশনাল রেজিস্টার অব সিটিজেনস (এনআরসি)  থেকে বাদ গিয়েছে, সেই বিজেপির ‘পোস্টার বয়’ নরেন্দ্র দামোদর দাস মোদি নাকি বাংলায় এসে হিন্দুত্বের জিগির তুলছেন! হিন্দুরা এখানে দ্বিতীয় শ্রেণির নাগরিক—এহেন অভিযোগ তুলে বিভাজনের রাজনীতি উস্কে দিচ্ছেন! যে রাজ্যে বিভাজন, মেরুকরণ আর ধর্মীয়করণকে ঠাঁই দেওয়া হয় না, সেই বাংলাতেই ব্যবহার করলেন ধর্মীয় বিভাজন ও মেরুকরণের নির্বাচনী তাস। তবে প্রচার-যুদ্ধে এক ইঞ্চি জমিও যে ছাড়া যায় না, তা কিছুক্ষণের মধ্যেই ফের প্রমাণ করে দিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। শুক্রবার প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যকে ঝাঁঝালো ভাষায় তিনি শুধু খণ্ডনই করলেন না, দ্ব্যর্থহীন ভাষায় বললেন, ‘বাংলায় এসে মিথ্যার বেসাতি করছেন মোদি’। বর্ধমান-পূর্ব কেন্দ্রের দলীয় প্রার্থীর সমর্থনে দু’টি সভা করেন মমতা। আর দুই মঞ্চ থেকেই তাঁর তোপ, ‘মিথ্যা, আর সেইসঙ্গে বিভাজন ও মেরুকরণের সরাসরি উস্কানি। সবটাই শুধু প্রচার। প্রচারের জন্য একটা সিনেমাও বানানো হয়েছে। শান্তি-সম্প্রীতির পীঠস্থান বাংলার মানুষই এর জবাব দেবেন।’ 
গো-বলয়ে গেরুয়া শিবিরের একমাত্র ইউএসপি—মেরুকরণ। আর সেটাই নাপসন্দ মমতার। বারবার বিভাজনের বিরুদ্ধে সরব হয়েছেন তিনি। শুক্রবারও তার ব্যতিক্রম ছিল না। যে দু’টি সভা এদিন মমতা করেছেন, প্রচণ্ড গরমের মধ্যেও জমায়েতের নিরিখে তা অতীতের যাবতীয় রেকর্ড ভেঙেছে বলে দাবি ওয়াকিবহাল মহলের। জনসমুদ্রের সিংহগর্জনকে সাক্ষী রেখে তৃণমূল সুপ্রিমো বলেছেন, ‘অসমে কী হয়েছে! হিন্দু দরদী? অথচ এনআরসি করে হিন্দুদেরই নাম বাদ দেওয়া হয়েছে। এখন আবার সিএএ করতে চাইছে। নাগরিকদের নাগরিক হওয়ার পরীক্ষা দিতে হবে। সবাইকে জেলে পাঠিয়ে দেবে। আপনারা কি জেলে যেতে চান? হিন্দু, আদিবাসী, সংখ্যালঘু সবার অধিকার কেড়ে নেবে। জাতি, ধর্ম, সংবিধান বিক্রি করে দিয়েছে। এবার দেশ বিক্রি করার পালা।’ এই পর্বেই নাম না করে মোদি-শাহকে মমতার আক্রমণ—‘নিজের অধিকার চাইলে চোর-ডাকাত, মধু-বিধুদের দূর করুন! দুর্নীতির মাস্টার মাইন্ড এই মধু-বিধু। ওঁনারাই একমাত্র সৎ, বাকি সবাই চোর! বিজেপি ওয়াশিং মেশিন। সব চোর, ডাকাত আর মাফিয়াকে সেই মেশিনে ঢুকিয়ে সাফসুতরো করা হচ্ছে।’ গত দু’দিন ধরে মধু-বিধু বলে নির্বাচনী সভায় যাঁদের কথা বারবার উল্লেখ করছেন মমতা, নাম না করলেও, তাঁরা যে পদ্মপার্টির দুই শীর্ষ নেতা মোদি-শাহ, তা স্পষ্ট বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল। এই পর্বে নির্বাচন কমিশনকেও একহাত নিয়েছেন মমতা। বলেছেন, ‘কমিশনে নিজেদের মনোনীত লোক বসিয়েছে বিজেপি। তাদের অফিস থেকে যা লিখে দেওয়া হচ্ছে, সেটাই করছে কমিশন।’ মমতার তোপ, ‘সাধারণ দেশবাসীর নিত্যদিনের সমস্যা... মূল্যবৃদ্ধি, বেকারত্ব নিয়ে তো একটাও শব্দ তাঁর মুখে শোনা যায় না! ওদের কাউকে প্রশ্ন করলেই রামমন্দির, জি-২০ সম্মেলনের কথা বলে। কিন্তু মানুষের সমস্যা নিয়ে মোদিবাবুর মুখে একটাও কথা আপনারা শুনতে পান? শুধুই ভাঁওতা, মিথ্যা প্রতিশ্রুতি। সবটাই বিজেপির জুমলা।’

4th     May,   2024
 
 
অক্ষয় তৃতীয়া ১৪৩১
 
কলকাতা
 
দেশ
 
বিদেশ
 
খেলা
 
বিনোদন
 
আজকের দিনে
 
রাশিফল ও প্রতিকার
ভাস্কর বন্দ্যোপাধ্যায়
এখনকার দর
দিন পঞ্জিকা
 
শরীর ও স্বাস্থ্য
 
বিশেষ নিবন্ধ
 
সিনেমা
 
প্রচ্ছদ নিবন্ধ