বর্তমান পত্রিকা : Bartaman Patrika | West Bengal's frontliner Newspaper | Latest Bengali News, এই মুহূর্তে বাংলা খবর
রাজ্য
 

বিজেপিকে উপড়ে ফেলবে  মা-বোনেরা, হুঙ্কার মমতার  

সুমন তেওয়ারি, আসানসোল: লক্ষ্মীর ভাণ্ডার বাংলার মহিলাদের আত্মনির্ভরতার প্রতীক। লক্ষ্মীর ভাণ্ডার বাংলার মা-বোনেদের সঙ্গে যোগসূত্রের মাধ্যম। সেই ভাণ্ডার বন্ধ করে দেওয়ার হুমকি যারা দিচ্ছে, সেই বিজেপিকে মা-বোনেরাই উপড়ে ফেলে দেবেন। একথা মনেপ্রাণে বিশ্বাস করেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। নিজের সেই বিশ্বাসকে ভিত্তি করেই নির্বাচনী জনসভার মঞ্চ থেকে শনিবার মমতার হুঙ্কার—‘সাহস থাকলে লক্ষ্মীর ভাণ্ডারে হাত দিয়ে দেখাক। মায়েদের ঝাঁঝরি-হাতা দেখেছ! মা-বোনেরা যখন খেলতে নামবে, তোমাদের উপড়ে দেবে। বিজেপি সরকারকে উপড়ে ফেলবে।’ জনগর্জনে বাংলার মুখ্যমন্ত্রীকে সায় দিয়েছে সভায় উপস্থিত মহিলাদের স্বতঃস্ফূর্ত আবেগ, উচ্ছ্বাস আর উন্মাদনা। দলীয় প্রার্থী শত্রুঘ্ন সিনহার সমর্থনে এদিন আসানসোল ও কুলটিতে নির্বাচনী সভা করেন তৃণমূল সুপ্রিমো। তীব্র তাপপ্রবাহ উপেক্ষা করে এদিনের সভা ছিল ভিড়ে ঠাসা। আর তাতে মহিলাদের উপস্থিতি নজরকাড়া। কুলটির সভা থেকেও মমতা বলেন, ‘বিজেপি লক্ষ্মীর ভাণ্ডার বন্ধ করতে চায়। মা, বোনেদের একটা ভোটও এরা পাবে না। লক্ষ্মীর ভাণ্ডার সারা জীবন চলবে।’ 
এসএসসির চাকরিহারা ইস্যু এবং সন্দেশখালিতে সিবিআই-এনএসজি’র অভিযান নিয়েও সুর সপ্তমে তোলেন মমতা। তিনি বলেন, ‘মনে হচ্ছে যেন যুদ্ধ হচ্ছে। ওখানেই যে বোমাগুলো ছিল, তার কী প্রমাণ আছে! এমনও হতে পারে ওঁরাই গাড়িতে করে তা এনেছেন। রাজ্য পুলিসকে জানানো হয়নি। আমি খবর পেয়েছি, হাসনাবাদে এক বিজেপি নেতার বাড়িতে বোমা বিস্ফোরণ হয়েছে। বিজেপি ভাবছে, বোমা মেরে, চাকরি খেয়ে নির্বাচন জিতে যাবে। ভাত দেওয়ার ক্ষমতা নেই, কিল মারার গোঁসা‌ই। বেকারত্বের নিরিখে দেশের থেকে ভালো জায়গায় রয়েছে বাংলা। তাও তো তোমরা চাকরিগুলো খেয়ে নাও!’ তৃণমূল সুপ্রিমো বলেন, ‘মনে রাখবেন, আমার কাছে ১০ লক্ষ চাকরি রেডি আছে। কিন্তু দিতে পারছি না। কারণ রাম, বাম আর শ্যাম তিনজন মিলে যখন তখন মহাতীর্থ চলে যাচ্ছে। সেখানে গিয়ে বেল বাজাচ্ছে। ব্যাস... চাকরি খারিজ।’ মমতার কথায়, ‘প্রধানমন্ত্রী বলে গিয়েছেন, তৃণমূল সরকারের জন্য বাংলায় উন্নয়ন হয়নি। আমি পরিসংখ্যান দিয়ে ওঁনাকে চ্যালেঞ্জ করছি, জিডিপি গ্রোথ দেশের ৮.৮৭ শতাংশ, বাংলায় ১১.৮৪ শতাংশ। কৃষি ক্ষেত্রে উন্নয়ন হার দেশে ১.৮২ শতাংশ, বাংলায় ২.১১ শতাংশ। শিল্পক্ষেত্রে দেশের উন্নয়নের হার ৫.৪, বাংলায় ৭.৪। আসলে বিজেপি জেনে গিয়েছে তাঁরা ২০০র বেশি আসন পাবে না। তাই প্রধানমন্ত্রী আত্মবিশ্বাস হারিয়ে ফেলেছেন। আমাদের নেতৃত্বে ইন্ডিয়া জোটই সরকার গড়বে। ভোট মিটতেই আমরা বিরোধীরা আলোচনা করে সরকার গড়ব।’ 
তিনি বলেন, ‘রেশন আমরা‌ই ঩দিচ্ছি। বছরে রাজ্যের দেওয়ার কথা ৯ হাজার কোটি ও কেন্দ্রের দেওয়ার কথা ৭ হাজার কোটি টাকা। অর্থাৎ, দু’বছরে কেন্দ্রের ১৪ হাজার কোটি টাকা দেওয়ার কথা। কিন্তু তার মধ্যে ১২ হাজার কোটি টাকা আমাদেরই দিতে হয়েছে। পাশাপাশি আমাদের ভাগের ১৮ হাজার কোটিও দিয়েছি। আমাদের তরফে ফ্রি’তে দেওয়া রেশনের চাল ফুটছে মোদিবাবুর হাজার টাকার গ্যাসে। আমরাই একমাত্র সরকার, যারা পেনশন দিই।’ মমতার কটাক্ষ, ‘মোদিজি, জনতা এবার আপনার দামটাই কমিয়ে দিয়েছে। তা বুঝবেন ভোটের ফলে...।’ 

28th     April,   2024
 
 
অক্ষয় তৃতীয়া ১৪৩১
 
কলকাতা
 
দেশ
 
বিদেশ
 
খেলা
 
বিনোদন
 
আজকের দিনে
 
রাশিফল ও প্রতিকার
ভাস্কর বন্দ্যোপাধ্যায়
এখনকার দর
দিন পঞ্জিকা
 
শরীর ও স্বাস্থ্য
 
বিশেষ নিবন্ধ
 
সিনেমা
 
প্রচ্ছদ নিবন্ধ