বর্তমান পত্রিকা : Bartaman Patrika | West Bengal's frontliner Newspaper | Latest Bengali News, এই মুহূর্তে বাংলা খবর
রাজ্য
 

নিয়োগ দুর্নীতি শিক্ষক সমাজের মাথা হেঁট করে দিয়েছে, আক্ষেপ ব্রাত্যর

নিজস্ব প্রতিনিধি, দক্ষিণ ২৪ পরগনা: শিক্ষক নিয়োগে দুর্নীতি নিয়ে অনুশোচনামূলক মন্তব্য করলেন শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু। মঙ্গলবার ডায়মন্ডহারবারের সরিষা হাইস্কুল মাঠে তৃণমূলপন্থী প্রাথমিক ও মাধ্যমিক শিক্ষক সংগঠনের রাজ্য সম্মেলনে যোগ দিয়ে তিনি বলেন, তিন-চার বছর ধরে শিক্ষাদপ্তরই সবচেয়ে বেশি চর্চার মধ্যে রয়েছে। দু-একজনের জন্য শিক্ষক সমাজের মাথা হেঁট হয়ে গিয়েছে। তাঁদের এই কীর্তি-কলাপের দায়িত্ব দল নিতে পারে না। নাম না-করে ঘুরিয়ে প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়কেই এদিন নিশানা করেন ব্রাত্যবাবু। শিক্ষক নিয়োগে দুর্নীতি যে সমাজে ভয়ঙ্কর প্রভাব ফেলেছে, তা অকপটে স্বীকার করেন তিনি। তাঁর কথায়, মানসিক অবমাননা যেমন হয়েছে তেমনই পক্ষপাতিত্ব নিয়েও যথেষ্ট আলোচনা এবং সমালোচনা হয়েছে।
শিক্ষামন্ত্রীর দাবি, তবে এই অধ্যায় থেকে সরকার ঘুরে দাঁড়িয়েছে। পরিস্থিতিও সামলে নেওয়া গিয়েছে। সম্পূর্ণ স্বচ্ছতার ভিত্তিতেই ১০ হাজার নিয়োগপত্র দিয়েছে সরকার। আগামী দিনে এভাবেই নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন হবে। জোর গলায় দাবি করেন শিক্ষামন্ত্রী। ভোটের আগে বিরোধীরা এই শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি নিয়ে সরব হয়েছে। তৃণমূলের বিরুদ্ধে প্রচারে সেটাকেই হাতিয়ার করেছে তারা। মন্ত্রীর নিদান, তৃণমূলপন্থী শিক্ষকদের মাধ্যমে সরকারের স্বচ্ছ নিয়োগ নীতির খবর জেলায় জেলায় ছড়িয়ে দিতে হবে। এভাবেই ভোঁতা করতে হবে বিরোধীদের অপপ্রচার। 
আগত শিক্ষকদের উদ্দেশে তিনি আরও জানান, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় শিক্ষকদের অনেক সুযোগ-সুবিধা দিয়েছেন। এবার সেই ঋণ মেটানোর সময় এসেছে তাঁদের। রাজ্যে তৃণমূলের ৪২ জন প্রার্থীর পক্ষে প্রত্যেক শিক্ষক নিজ নিজ জেলায় গিয়ে প্রচার করবেন এবং মানুষকে বোঝাবার দায়িত্ব নেবেন। 
এদিকে, এদিনের সম্মেলনকে ঘিরে যথেষ্ট বিশৃঙ্খলার সৃষ্টি হয়। ডায়মন্ডহারবার মহিলা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে মিছিল করে সরিষা হাইস্কুল মাঠে আসার কথা ছিল শিক্ষকদের। কিন্তু তীব্র গরম এবং ১১৭ নম্বর জাতীয় সড়কে তীব্র যানজটের কারণে শেষমুহূর্তে বাতিল করা হয় মিছিলটি। তাৎপর্যপূর্ণ বিষয় হল, শিক্ষামন্ত্রী এদিন মঞ্চ থেকে ঘোষণা করেন, এই সম্মেলনে ৩৫ হাজার শিক্ষক তাঁদের নাম নথিভুক্ত করেছেন। পশ্চিমবঙ্গ তৃণমূল প্রাথমিক এবং মাধ্যমিক শিক্ষক সংগঠনের তরফে দাবি করা হয়  যে, অন্তত ১৫-১৬ হাজার শিক্ষক এই সমাবেশে আসবেন। কিন্তু এদিন দেখা গেল, মন্ত্রী আসার পরও মাঠের একাংশের চেয়ার খালিই!  উপস্থিত অনেকের অভিযোগ, সমাবেশে ভিড় করেছিলেন মূলত প্রাথমিক, চুক্তিভিক্তিক ও পার্শ্ব শিক্ষকরা। মাধ্যমিক শিক্ষকদের উপস্থিতি ছিল মূলত প্রতিনিধিত্ব স্তরেই। খাওয়া-দাওয়ার ব্যবস্থা নিয়েও ভীষণ বিশৃঙ্খলার অভিযোগ পাওয়া যায়। যদিও এসব অভিযোগ মানেননি উদ্যোক্তারা। অন্যদিকে উপস্থিতি কম হওয়ার পক্ষে তাঁদের সাফাই, যানজটের কারণে অনেক বাস আমতলাতেই আটকে পড়েছিল। তাই ইচ্ছা থাকা সত্ত্বেও বহু শিক্ষক যথাসময়ে সভাস্থলে পৌঁছতে পারেনি। - নিজস্ব চিত্র 

17th     April,   2024
 
 
কলকাতা
 
দেশ
 
বিদেশ
 
খেলা
 
বিনোদন
 
আজকের দিনে
 
রাশিফল ও প্রতিকার
ভাস্কর বন্দ্যোপাধ্যায়
এখনকার দর
দিন পঞ্জিকা
 
শরীর ও স্বাস্থ্য
 
বিশেষ নিবন্ধ
 
সিনেমা
 
প্রচ্ছদ নিবন্ধ