বর্তমান পত্রিকা : Bartaman Patrika | West Bengal's frontliner Newspaper | Latest Bengali News, এই মুহূর্তে বাংলা খবর
রাজ্য
 

রাজ্যের এক-তৃতীয়াংশের বেশি আসনে নির্ণায়ক মহিলারা

শুভঙ্কর বসু, কলকাতা: নারী সশক্তিকরণ। আচমকা এই একটি শব্দে বড্ড জোর দিয়েছেন নরেন্দ্র মোদি। বাংলায় এলেই তাঁর সভার সামনের সারিতে দেখা যাচ্ছে মহিলাদের। তাঁর ভাষণে-সম্ভাষণে সব সময় বিরাজ করছেন মা-বোনেরা। কোচবিহারে ভোটপ্রচারে গিয়েও বলছেন, ‘সন্দেশখালির জবাব দিতে হবে।’ কিন্তু কেন? একুশের বিধানসভায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মহিলা ভোটের উপর ভর করেই ২০০ পার করেছিলেন বলে? সেখান থেকে বিজেপি শিক্ষা নিতে পারে, কিন্তু নারী সশক্তিকরণে জোর দেওয়ার নেপথ্যে রয়েছে অন্য ভোট রাজনীতি। আরও স্পষ্ট করে বলতে গেলে, সমীকরণটা লুকিয়ে ভোটার তালিকাতেই। ভোটার সংখ্যা বিশ্লেষণ করেই দেখা যাচ্ছে, লোকসভা ভোটে বাংলায় এক-তৃতীয়াংশেরও বেশি আসনে ‘নির্ণায়ক ফ্যাক্টর’ হতে চলেছেন মহিলা ভোটাররাই। ভোটার তালিকা বলছে, গত পাঁচ বছরে রাজ্যে পুরুষ ভোটারদের ঘাড়ে নিঃশ্বাস ফেলে মহিলা ভোটারের সংখ্যা উল্লেখযোগ্য হারে বেড়েছে। শুধু তাইই নয়, এবার রাজ্যের তিনটি আসনে পুরুষ ভোটারদের ছাপিয়ে গিয়েছেন মহিলারা।  
২০১৯ সালে রাজ্যে মোট ভোটার সংখ্যা ছিল ৭ কোটি ১ হাজার ২৮৪। এবার তা বেড়ে হয়েছে ৭ কোটি ৫৯ লক্ষ ২৫ হাজার ৫৭১ জন। শতাংশের বিচারে বৃদ্ধির হার ৮.৪। এই সামগ্রিক বৃদ্ধির হারে পুরুষদের পিছনে ফেলে ৯.৬ শতাংশ হারে মহিলা ভোটার বৃদ্ধি পেয়েছে রাজ্যে। সেখানে পুরুষ ভোটারের বৃদ্ধির হার ৭.২ শতাংশ। ২০১৯ সালে রাজ্যে মাত্র একটি কেন্দ্র, দমদমে পুরুষ ভোটারের তুলনায় মহিলা ভোটারের সংখ্যা বেশি ছিল। এবার আরও দু’টি কেন্দ্র—যাদবপুর এবং হুগলিতে পুরুষদের ছাপিয়ে গিয়েছেন মহিলা ভোটাররা। যাদবপুর ও হুগলি লোকসভা কেন্দ্রে রীতিমতো পুরুষ ভোটারদের টক্কর দিয়ে হারিয়ে দিয়েছেন মহিলা ভোটাররা। 
শুধু এই তিন কেন্দ্রই নয়। আরও অন্তত দশটি কেন্দ্রে মহিলা ভোটার এবং পুরুষ ভোটারের কমবেশি পার্থক্য ১ শতাংশেরও কম। যেমন জঙ্গলমহলের ঝাড়গ্রাম কেন্দ্রে ৩৯১ জন বেশি পুরুষ ভোটার রয়েছেন। শতাংশের বিচারে মাত্র ০.০২। অথচ ২০১৯ সালে এই কেন্দ্রে ১৭ হাজার ২৪৭ জন বেশি পুরুষ ভোটার ছিলেন। এছাড়াও দার্জিলিংয়ে এবার মহিলা-পুরুষ ভোটারের পার্থক্য মাত্র ২ হাজার ২৮৯, অর্থাৎ ০.১২ শতাংশ। এরপর তফশিলি উপজাতিভুক্ত আলিপুরদুয়ার কেন্দ্রের পরিসংখ্যান বলছে, এবার এই কেন্দ্রে পুরুষ ও মহিলা ভোটারের পার্থক্য ৪ হাজার ৮৪৮, অর্থাৎ মাত্র ০.২৭ শতাংশে নেমে গিয়েছে। 
এছাড়াও মালদহ দক্ষিণ, বারাসত, শ্রীরামপুর, মেদিনীপুর, বাঁকুড়া, বর্ধমান-দুর্গাপুর এবং বীরভূম ছাড়াও একাধিক কেন্দ্রে মহিলা ও পুরুষ ভোটারের পার্থক্য ২০ হাজার বা তার নীচে। সমাজ বিজ্ঞানী এবং রাজনীতিবিদদের একাংশের ধারণা, পশ্চিমবঙ্গে কন্যাশ্রী এবং লক্ষীর ভাণ্ডারের মতো প্রকল্পই মহিলাদের ভোট আগ্রহ বাড়িয়েছে। নির্বাচন কমিশনের এক কর্তার কথায়, ‘২০১৯ সালে পশ্চিমবঙ্গে ভোটার অনুপাত ছিল ৯৪৯। এবার তা বেড়ে হয়েছে ৯৬৮। সম্ভবত গোটা দেশে পশ্চিমবঙ্গের এই বৃদ্ধি সর্বাধিক।’

16th     April,   2024
 
 
কলকাতা
 
দেশ
 
বিদেশ
 
খেলা
 
বিনোদন
 
আজকের দিনে
 
রাশিফল ও প্রতিকার
ভাস্কর বন্দ্যোপাধ্যায়
এখনকার দর
দিন পঞ্জিকা
 
শরীর ও স্বাস্থ্য
 
বিশেষ নিবন্ধ
 
সিনেমা
 
প্রচ্ছদ নিবন্ধ