বর্তমান পত্রিকা : Bartaman Patrika | West Bengal's frontliner Newspaper | Latest Bengali News, এই মুহূর্তে বাংলা খবর
রাজ্য
 

‘বস্তি পুনর্বাসনে বাংলার বাড়িই
শহর-সজ্জার নতুন রূপরেখা’

টানা চারবারের কাউন্সিলারের দায়িত্ব সামলে ফের পাঁচবারের দৌড়ে তিনি। ৮৫ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কংগ্রেসের প্রার্থী দেবাশিস কুমার। শুধু কাউন্সিলার নন, তিনি তৃণমূল কংগ্রেসের দক্ষিণ কলকাতার জেলা সভাপতিও। তিনিই আবার রাসবিহারীর বিধায়ক। স্বাভাবিকভাবেই দেবাশিসবাবুর কাঁধে রয়েছে ‘গুরুদায়িত্ব’। দিনভর ব্যস্ততা। তাঁর ফাঁকেই ডোভার টেরেসে বিধায়কের কার্যালয়ে বসে ‘বর্তমান’-এর প্রতিনিধি অর্ক দে’কে জানালেন তাঁর আগামীর এজেন্ডা।

প্রশ্ন: গত ২০ বছরে অনেকটাই বদলেছে শহর। এই প্রথম ‘বিধায়ক’ দেবাশিস কুমার কাউন্সিলার ভোটে লড়ছেন। সামগ্রিকভাবে কতটা তফাত মনে করছেন? 
উত্তর: সেভাবে আলাদা কিছু তো মনে হয় না। মানুষকে পরিষেবা দেওয়াই আমার কাজ। সেই দায়িত্ব ধারাবাহিকভাবে পালন করছি। বিধায়ক হিসেবে সেই কাজের পরিধি হয়তো বেড়েছে। নিজের ওয়ার্ডের সঙ্গে রাসবিহারী বিধানসভা কেন্দ্রের অন্য ওয়ার্ডেও সময় দিতে হচ্ছে। সকালে নিজের ওয়ার্ড ঘুরে বিকেলে অন্য ওয়ার্ডে কর্মিসভা বা জনসংযোগ কর্মসূচিতে যেতে হচ্ছে। ব্যস্ততা বলতে এইটুকুই বেড়েছে।
প্রশ্ন: টানা পঞ্চমবার পুরভোটের দৌড়ে। কতটা কাজ করতে পেরেছেন? আপনি নিজে কতটা সন্তুষ্ট?
উত্তর: গত ২০-২১ বছর ধরে যা করেছি, তা এলাকাবাসী জানেন। পুর পরিষবায় কোনও খামতি রাখিনি। অনেক কাজ হয়েছে। আরও কাজ বাকি। পরিষেবার কোনও শেষ হয় না। আজ কোনও এলাকায় জলের চাপ যা রয়েছে, আগামীকাল সেটা যদি বাড়ানো যায়, তা মানুষের উপকারেই আসবে। আবার, যেখানে এখন বৃষ্টির জল আধ ঘণ্টায় নেমে যায়, সেখানে আগামী দিনে ১০ মিনিটে জল নামাতে পারলে দুর্ভোগ থেকে রেহাই পাবে মানুষ। ফলে, সন্তুষ্টির কোনও জায়গা নেই।
প্রশ্ন: কাউন্সিলার হিসেবে আপনার উল্লেখ্যযোগ্য কাজ?
উত্তর: এলাকার কয়েকটি জায়গায় পরিস্রুত পানীয় জলের সমস্যা ছিল। এখন বস্তি থেকে অভিজাত এলাকা, সর্বত্রই ১০০ শতাংশ মানুষ পরিস্রুত পানীয় জল পাচ্ছেন। ছোট-বড় মিলিয়ে আমার এলাকায় ৩২টি বস্তি আছে। সেখানে শৌচাগারে ২৪ ঘণ্টা জল সরবরাহের ব্যবস্থা করেছি। কলকাতার খুব কম ওয়ার্ডে এমন পরিষেবা মেলে। ফলে, বস্তিতে জল জমিয়ে রাখার প্রবণতা কমেছে। সেই সূত্র ধরেই ম্যালেরিয়া ও ডেঙ্গুর প্রকোপ অনেকটা নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। ওয়ার্ডে সবুজায়নের চেষ্টা করেছি। প্রচুর গাছ লাগিয়েছি। বাড়ি বাড়ি থেকে জঞ্জাল তুলে কম্প্যাক্টর স্টেশনে নিয়ে যাওয়ার জন্য ছোট ছোট ব্যাটারিচালিত গাড়ির ব্যবস্থা করেছি। বস্তি এলাকায় আগে কেবলের তার ঝুলত। ফলে প্রতিনিয়ত বিপদের আশঙ্কা ছিল। এখন লোহার বিমের উপর অ্যালুমিনিয়াম ‘ট্রে’ রেখে তার মধ্যে দিয়ে কেবল পাঠানোর ব্যবস্থা করেছি। ফলে, অগ্নিকাণ্ড কিংবা বিদ্যুৎপৃষ্ট হওয়ার ঘটনা এড়ানো গিয়েছে। দৃশ্যদূষণ আগের থেকে কমেছে। করোনার সময় এই ওয়ার্ডেই দু’টি সেফ হোম করেছিলাম। ভেন্টিলেশন ছাড়া সেখানে করোনার প্রায় সব চিকিৎসাই হতো। 
প্রশ্ন: আগামীদিনে কী করতে চান? নিজের কোনও অ্যাজেন্ডা? 
উত্তর: অনেক কিছুই বাকি আছে। বস্তিবাসীদের পুর্নবাসন দিয়ে ‘বাংলার বাড়ি’ প্রকল্প রূপায়ণের পরিকল্পনা রয়েছে। ৩২টি বস্তির বাসিন্দাদের পাকা ছাদ, আরও উন্নততর জীবনযাত্রা উপহার দেওয়াই আগামী দিনে লক্ষ্য। 
প্রশ্ন: এবার আপনার জয়ের ব্যবধান কত হবে বলে মনে হয়?
উত্তর: প্রত্যেক পুরভোটেই আমার ব্যবধান বেড়েছে। ২০০০ সাল থেকে টানা চারবার যথাক্রমে ৬৫০, ২৫০০, ৫৫০০, ৫৭৫০ ভোটে জিতেছি। কাজের নিরিখে মানুষ ভোট দিয়েছেন। ভোটের ব্যবধানটা মানুষের উপরেই ছেড়ে রাখলাম।

3rd     December,   2021
 
 
কলকাতা
 
দেশ
 
বিদেশ
 
খেলা
 
বিনোদন
 
আজকের দিনে
 
রাশিফল ও প্রতিকার
ভাস্কর বন্দ্যোপাধ্যায়
এখনকার দর
দিন পঞ্জিকা
 
শরীর ও স্বাস্থ্য
 
বিশেষ নিবন্ধ
 
সিনেমা
 
প্রচ্ছদ নিবন্ধ