বর্তমান পত্রিকা : Bartaman Patrika | West Bengal's frontliner Newspaper | Latest Bengali News, এই মুহূর্তে বাংলা খবর
রাজ্য
 

শিলিগুড়িতে নিজের ওয়ার্ডেও
হেরেছেন অশোক ভট্টাচার্য

সুব্রত ধর, শিলিগুড়ি: বিধানসভা ভোটে শিলিগুড়ি শহরে নিজের জেতা ৬ নম্বর ওয়ার্ডেও পর্যুদস্ত হয়েছেন সিপিএম প্রার্থী অশোক ভট্টাচার্য। শুধু তাই নয়, শহরের অধিকাংশ ওয়ার্ডে সিপিএম গোহারা হেরেছে। সেই তুলনায় তৃণমূল কংগ্রেসের ফলাফল অনেকটাই সন্তোষজনক। এমন প্রেক্ষাপটে আগামী পুরভোটে সিপিএম শহরের মাটি থেকে মুছে যেতে পারে বলেই রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের আশঙ্কা। সিপিএমের অন্দরেও এ নিয়ে জোর চর্চা চলছে। ইতিমধ্যে দলের একাংশ নেতৃত্বে বদল আনার দাবি তুলেছে। 
শহরে সিপিএমের শক্ত ঘাঁটিগুলির মধ্যে ৬ নম্বর ওয়ার্ড অন্যতম। ডাঙিপাড়া ও মহানন্দাপাড়ার একাংশ এই ওয়ার্ডে অবস্থিত। এলাকাগুলি ঘনবসতিপূর্ণ। সংশ্লিষ্ট বস্তিগুলিতে সংখ্যালঘুদের সংখ্যাই বেশি। গত পুরভোটে শহরের এই ওয়ার্ড থেকেই জয়ী হয়ে শিলিগুড়ি পুরসভার মেয়র হন অশোকবাবু। যদিও এবার বিধানসভা ভোটে তিনি এই এলাকাতেও হেরে গিয়েছেন। এখানে লিড পেয়েছে তৃণমূল। তাদের প্রাপ্ত ভোট ২০৮৬টি। সিপিএম এবং বিজেপির প্রাপ্ত ভোট যথাক্রমে ৭৫৯ এবং ১৫৭৭। উল্লেখ্য, এই ওয়ার্ডে তৃণমূলের দার্জিলিং জেলার সমতলের পার্টি অফিস রয়েছে। যদিও অশোকবাবু আগেই বলেছেন, মেরুকরণের ভোট হওয়ায় এমন ফল হয়েছে। সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ডের বাইরে শিলিগুড়ি বিধানসভা কেন্দ্রের অধীনে পুরসভার ৪৭টি ওয়ার্ডের মধ্যে আরও ৩৩টি ওয়ার্ড রয়েছে। যারমধ্যে ১২টি ওয়ার্ড দীর্ঘদিন ধরে বামফ্রন্টের কব্জায়। যদিও এবারের বিধানসভা ভোটে ১১টি ওয়ার্ড থেকেই সিপিএম ধূলিস্যাৎ হয়ে গিয়েছে। সেই তালিকায় পুরসভার প্রাক্তন ডেপুটি মেয়র রামভজন মাহাত, জল বিভাগের প্রাক্তন মেয়র পরিষদ সদস্য শরদিন্দু চক্রবর্তী, পরিবেশ বিভাগের প্রাক্তন মেয়র পরিষদ সদস্য মুকুল সেনগুপ্ত, বিল্ডিং বিভাগের প্রাক্তন মেয়র পরিষদ সদস্য মুন্সি নুরুল ইসলাম, মহিলা সমিতির জেলা সভানেত্রী স্নিগ্ধা হাজরা প্রমুখের ওয়ার্ড রয়েছে। এছাড়াও এই তালিকায় রয়েছে ২, ৩, ১০, ২২, ২৬, ২৮, ২৯, ৪৫, ৪৬ ও ৪৭ নম্বর ওয়ার্ড। প্রতিটি জায়গাতেই সিপিএমের স্থান তৃতীয়। বহু বুথে তাদের ভোট দু’অঙ্কের সংখ্যাই টপকাতে পারেনি। এমনকী, দু’টি বুথে তাদের ভোট নেমে এসেছে একঅঙ্কে। একটি বুথে দু’টি, আরএকটি বুথে সাতটি ভোট পেয়েছে তারা।  
শুধুমাত্র নিজেদের কব্জায় থাকা ১৯ নম্বর ওয়ার্ডে লিড ধরে রেখেছে সিপিএম। একদা লালদুর্গে সিপিএমের এমন দশা নিয়ে রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মধ্যে জোর চর্চা শুরু হয়েছে। রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের একাংশের বক্তব্য, অনেকদিন ধরেই এখানে সিপিএমে নেতৃত্ব নিয়ে দ্বন্দ্ব চলছে। ইতিমধ্যে দু’জন প্রাক্তন কাউন্সিলার সিপিএম ছেড়েছেন। তাঁদের মধ্যে একজন তৃণমূলে, অপরজন বিজেপিতে আছেন। সিপিএম ছেড়ে বিজেপিতে নাম লিখিয়ে এবার বিধানসভা ভোটে প্রার্থী হন শঙ্কর ঘোষ। ভোটের ময়দানে নিজের ‘রাজনৈতিক গুরু’ অশোকবাবুকে হারিয়ে জয়ী হয়েছেন তিনি। নেতৃত্বে বদল না হওয়ার জেরেই এখানে সিপিএমের পিঠ দেওয়ালে ঠেকে গিয়েছে বলে মনে করছেন অনেকে। কাজেই আগামী পুরভোটে এই শহরে দলের অস্তিত্ব ধরে রাখাই এখন সিপিএমের পক্ষে চ্যালেঞ্জের। অন্যদিকে, ১৭, ২০, ২৩ এবং ৩০ নম্বর এই চারটি ওয়ার্ডে লিড ধরে রেখেছে তৃণমূল। পাশাপাশি সিপিএম, কংগ্রেস ও নির্দলের দখলে থাকা চারটি ওয়ার্ডেও লিড পেয়েছে তৃণমূল। সেগুলি হল ৬, ১৫, ১৬ ও ২১ নম্বর ওয়ার্ড। তৃণমূলের দার্জিলিং জেলার (সমতল) মুখপাত্র বেদব্রত দত্ত বলেন, তৃণমূলকে বেকায়দায় ফেলার পরিকল্পনা করতে গিয়ে সিপিএম সাফ হয়ে গিয়েছে। -ফাইল চিত্র

5th     May,   2021
 
 
কলকাতা
 
দেশ
 
বিদেশ
 
খেলা
 
বিনোদন
 
আজকের দিনে
 
রাশিফল ও প্রতিকার
ভাস্কর বন্দ্যোপাধ্যায়
এখনকার দর
দিন পঞ্জিকা
 
শরীর ও স্বাস্থ্য
 
বিশেষ নিবন্ধ
 
সিনেমা
 
প্রচ্ছদ নিবন্ধ