বর্তমান পত্রিকা : Bartaman Patrika | West Bengal's frontliner Newspaper | Latest Bengali News, এই মুহূর্তে বাংলা খবর
রাজ্য
 

কমিশনের নিরপেক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন তুলে
মমতার পাশে দেশের সব বিরোধী দল
দিনে ধর্না, রাতে জনসভা প্রতিবাদী নেত্রীর

নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা ও বারাসত: নির্বাচন কমিশনের ‘শাস্তি’ মাথা পেতে নিয়ে গোটা দুপুর কাটিয়েছেন গান্ধী মূর্তির পাদদেশে। কালো চাদর জড়িয়ে, মুখ কালো মাস্কে ঢেকে নীরব প্রতিবাদকে ভাগ করেছেন সহকর্মী-সহযোদ্ধাদের সঙ্গে। ছবি এঁকেছেন, কবিতা লিখে ব্যক্ত করেছেন প্রতিবাদ। আর ধর্নাপর্বের  ঠিক কয়েক ঘণ্টা পর? ফের রণাঙ্গণে। 
২৪ ঘণ্টা পরে স্বমহিমায় রাজনৈতিক মঞ্চে প্রত্যাবর্তন! নাগাড়ে উলু, শঙ্খধ্বনি আর হর্ষ-উল্লাসে মঙ্গলবার রাতে ‘ঘরের মেয়েকে’ আন্তরিকতার সঙ্গে বরণ করল বারাসত আর বিধাননগর। চলতি নির্বাচনী পর্বে এই প্রথম রাতের প্রচার সভায় জনস্রোত ঢেউ আকারে আছড়ে পড়ে জানান দিচ্ছিল—‘বাংলা নিজের মেয়েকেই চায়।’ দর্শক-শ্রোতার সেই আবেগ-উচ্ছ্বাসকে কুর্নিশ করলেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বললেন—‘ল্যাজেগোবরে হয়ে হারবে জেনেই আমাকে আটকানোর মরিয়া চেষ্টা শুরু করেছে বিজেপি। কিন্তু এতে লাভ হবে না। কোটি কোটি টাকা, লোকলস্কর, রাঘববোয়াল থেকে চুনোপুঁটি, আর সব এজেন্সিকে কাজে নামিয়েও হারবে ওরা। কারণ আমি স্ট্রিট ফাইটার, জানি কীভাবে ফাইট করতে হয়!’ বারাসত স্টেডিয়াম আর বিধাননগরের বিএফ-সিএফ ময়দানের কালো মাথার ভিড়ের শরীরী ভাষা একই। গলায় শুধু মমতার নামে জয়ধ্বনি। নির্বাচন কমিশনের প্রচার নিষেধাজ্ঞা শেষে যেন আরও প্রত্যয়ী মমতা। আত্মবিশ্বাসের সুর গলাতেও—‘মমতাকে হারানোর ক্ষমতা ওদের (বিজেপি) কেন! কারও নেই!’ কোথা থেকে এল এই প্রত্যয়? জবাব মিলেছে তৃণমূল সুপ্রিমোর কথাতেই—‘লড়াই করে যাব, যতক্ষণ দেহে আছে আশ, আর আপনাদের বিশ্বাস!’ সুর আরও চড়িয়ে মমতার হুঙ্কার—‘এবারের নির্বাচন বাংলা মা’কে বাঁচানোর লড়াই, গুন্ডাদের হাত থেকে বাংলাকে রক্ষার লড়াই, বাংলার ইজ্জত বাঁচানোর লড়াই, সর্বোপরি দেশ বাঁচানোর লড়াই।’ তৃণমূল সুপ্রিমোর অঙ্গীকার—‘বাংলাকে গুজরাত করতে দিচ্ছি না, দেব না, এটা আমার চ্যালেঞ্জ।’ 
নিষেধাজ্ঞার কারণে যে ক’টি প্রচার সভায় তিনি অংশ নিতে পারেননি, তা আজ, বুধবার প্রচারের শেষ দিনে সামলে দেবেন বলেই বার্তা দিয়েছেন মমতা। আজ শীতলকুচির সেই অভিশপ্ত বুথে জখমদের কাছে পৌঁছে যাবেন তিনি... মাথাভাঙার হাসপাতালে। অংশ নেবেন উত্তরবঙ্গের প্রচার সভায়। সেখান থেকে দক্ষিণবঙ্গের হরিণঘাটার সভাতেও। নির্বাচন কমিশন নিয়ে এদিন একটি শব্দও খরচ করেননি তৃণমূল সুপ্রিমো। প্রচার থেকে তাঁকে নিবৃত্ত রাখার বিষয়টিকে রাজনৈতিক প্রতিহিংসা চরিতার্থ করার অভিযোগের মোড়কে ভরে নিক্ষেপ করেছেন গেরুয়া শিবিরের দিকে। প্রচার-নিষেধাজ্ঞা নিয়ে নিজের উপলব্ধিকে মমতা এদিন ব্যবহার করেছেন ‘গান্ধীয় মার্গে’। বলেছেন—‘আজ সত্যাগ্রহ করলাম।’ কেন তাঁর উপর এই নিষেধাজ্ঞা, সেটা যথাযথ কি না, তা নিয়েও কোনও মন্তব্য করেননি সরাসরি। তাঁর কথায়, ‘কী বলেছিলাম আমি! বলেছিলাম, বাংলা রক্ষার এই লড়াইয়ে সবাই ঐক্যবদ্ধভাবে (জাত-ধর্ম নির্বিশেষে) ভোট দিন, সে তো আজও বলছি! কিন্তু যে বা যাঁরা বিভাজনের কথা বলছে, ঘৃণার কথা বলছে, তাঁদের কোনও শাস্তি হবে না! একটা নির্বাচনে আমাকে আটকানো হচ্ছে কেন, বুঝতে পারছি না। বিজেপি নেতারা প্রচার করে যাবেন, আর আমি পারব না!’ এবার গলার স্বর নামিয়ে জনতার দরবারে মমতার আর্জি—‘প্রচার করতে পারলাম না। এর বিচারের ভার জনতার হাতেই ছাড়লাম!’  

14th     April,   2021
 
 
কলকাতা
 
দেশ
 
বিদেশ
 
খেলা
 
বিনোদন
 
আজকের দিনে
 
রাশিফল ও প্রতিকার
ভাস্কর বন্দ্যোপাধ্যায়
এখনকার দর
দিন পঞ্জিকা
 
শরীর ও স্বাস্থ্য
 
বিশেষ নিবন্ধ
 
সিনেমা
 
প্রচ্ছদ নিবন্ধ