বর্তমান পত্রিকা : Bartaman Patrika | West Bengal's frontliner Newspaper | Latest Bengali News, এই মুহূর্তে বাংলা খবর
কলকাতা
 

বলাগড়ের ভরা মাঠে আহ্বান মমতার, ‘হুগলিতে উন্নয়নের আলো জ্বালাতে রচনাকে জেতান’

নিজস্ব প্রতিনিধি, চুঁচুড়া: উন্নয়নই তাঁর বাজি। বুধবার বলাগড়ের সভায় এসে উন্নয়নের জন্যই তৃণমূলকে ভোট দেওয়ার আবেদন জানিয়ে গেলেন দলের সুপ্রিমো তথা রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর উন্নয়নের তালিকায় অন্যান্য প্রকল্পের সঙ্গে রয়েছে শিল্পও। তাই হুগলির উন্নয়নের খতিয়ান পেশ করে ভোটের বাজারে ডানলপ ও জেশপ কারখানা নিয়ে মুখ খুললেন মমতা। অভিযোগের আঙুল তুলেছেন বিজেপির দিকে। তাঁর দলের প্রার্থী রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়কে কেন জেতাতে হবে? রবিঠাকুরের জন্মদিনে তাঁকে আশ্রয় করেই কাব্যিক উত্তর দিয়েছেন তৃণমূল নেত্রী। যাঁর অর্থ আঁধার ছেয়েছে হুগলিকে। আলো জ্বালাতে হবে। উন্নয়নই পারে সেই আলো জ্বালাতে।
বুধবার বলাগড়ের কুলিয়াপাড়ার মাঠে ছিল তৃণমূলের নির্বাচনী জনসভা। বেলা ৩টের মধ্যেই তিলধারনের জায়গা ছিল না সেখানে। ছাউনি ঘেরা এলাকার আশপাশেও ছিল থোকা থোকা ভিড়। মাঠে যাওয়ার রাস্তার ধারে উৎসাহী জনতার সমাবেশ। নির্ধারিত সময়ের অনেকটা পরেই আসেন তৃণমূল সুপ্রিমো। তখন বারে বারে আকাশের দিকে চাইছিলেন উৎসুক জনতা। উদ্দেশ্য একটাই, ‘দিদি’র কপ্টারের খোঁজ নেওয়া। যখন আকাশে কপ্টারের দেখা মিলল, তখনই ‘দিদি’, ‘দিদি’ গর্জনে মুখরিত হয়ে উঠল মাঠ। সভায় এসেই উন্নয়নের খতিয়ান পেশ করতে শুরু করেন মুখ্যমন্ত্রী। তাঁর কথায় উঠে এসেছে রেলমন্ত্রী থাকাকালীন তিনি বাংলার জন্য কী কী কাজ করেছেন, তার খতিয়ান। হুগলিকে বীরভূমের সঙ্গে জুড়ে দিয়ে উত্তরবঙ্গে যাওয়ার বিকল্প রাস্তার পরিকল্পনা করেছে রাজ্য সরকার। এদিন তৃণমূল সুপ্রিমো বলেন, হুগলির ইতিহাস ও ঐতিহ্য আছে। সেই মাটির সম্মান রাখতে হবে। আমরা মানুষের পাশে, উন্নয়নের কাজে থাকি। তাঁর কথায় এসেছে বলাগড়ের সবুজদ্বীপ, সিঙ্গুরের কৃষিনির্ভর শিল্প, মন্দির-মসজিদের উন্নয়ন প্রকল্প, চন্দননগরের আলো হাবের মতো একাধিক কাজের কথা। সঙ্গে এসেছে ডানলপ। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ডানলপ কারখানা আমরা চালাতে চেয়েছিলাম। কিন্তু বিজেপি সরকার তা করতে দেয়নি। কারণ, ওই কারখানার মালিক ওদের লোক। আমি মানুষের পাশে থাকি। তাই ডানলপের কর্মহারাদের প্রতিমাসে আর্থিক সাহায্য দিয়েছি। সিঙ্গুরের জমিহারা মানুষদেরও দিয়েছি। আগামী দিনে সকলের ঘর হবে, ১০০ দিনের কাজের টাকা দিয়েছি। বিজেপি কী করেছে? শুধু বাংলার মানুষকে বঞ্চিত করেছে। তাই গলা তুলে বলতে হবে, কাজ নাই, ভোটও নাই।
বাংলায় ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সমস্ত স্থান যে তাঁর কাছে সমান, তাও স্পষ্ট করে দিয়েছেন তৃণমূল নেত্রী। উন্নয়নের প্রসঙ্গে ‘বাংলার দিদি’ জুড়ে দিয়েছেন ‘দিদি নম্বর ওয়ান’কে। রচনাকে কেন প্রার্থী করেছি জানেন? ‘অন্ধকারের উৎস হতে উৎসারিত আলো, সেই তো তোমার আলো’— সেই আলোই হল রচনা। তখন প্রবল করতালিতে মাঠে কান পাতা দায়। 
প্রচারের ফাঁকে চুঁচুড়ার মল্লিক কাশিম হাটে বাজার করছেন রচনা। -নিজস্ব চিত্র

9th     May,   2024
 
 
অক্ষয় তৃতীয়া ১৪৩১
 
রাজ্য
 
দেশ
 
বিদেশ
 
খেলা
 
বিনোদন
 
আজকের দিনে
 
রাশিফল ও প্রতিকার
ভাস্কর বন্দ্যোপাধ্যায়
এখনকার দর
দিন পঞ্জিকা
 
শরীর ও স্বাস্থ্য
 
বিশেষ নিবন্ধ
 
সিনেমা
 
প্রচ্ছদ নিবন্ধ