বর্তমান পত্রিকা : Bartaman Patrika | West Bengal's frontliner Newspaper | Latest Bengali News, এই মুহূর্তে বাংলা খবর
কলকাতা
 

কচুবন, আগাছা ও আবর্জনার স্তূপ, ট্যাংরায় উধাও হতে বসেছে ২ পুকুর

নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: সচেতনতার বার্তাই সার। শহরের বিভিন্ন অঞ্চলে আবর্জনা ফেলে জলাজমি বা পুকুর বোঝানোর চক্রান্ত চলছেই। এবার ট্যাংরা এলাকা থেকেও পুকুর ভরাটের অভিযোগ উঠেছে। কলকাতা পুরসভার ৫৮ নম্বর ওয়ার্ডে একাধিক জলাশয় উধাও হয়ে যাওয়ার পথে। ১২ নম্বর এবং ১৯ নম্বর গোবিন্দ খটিক রোডে দু’টি জলাশয় আগাছা ও আবর্জনা দিয়ে ভরাট হয়ে যাওয়ার উপক্রম। স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি, এক সময় ঘাট ছিল। পুকুরে স্নানও করা যেত। 
কিন্তু, সেসব এখন অতীত। কচুবন এবং আগাছার জঙ্গলে ঘাট গায়েব হয়েছে। আবর্জনা জমতে জমতে জলও উধাও।
১২ নম্বর গোবিন্দ খটিক রোডের পুকুরটির কথাই ধরা যাক। কয়েক বিঘের পুকুর এখন কয়েক কাঠায় এসে ঠেকেছে। এলাকায় ৪০ বছর ধরে বাস করছেন সুরেশ শর্মা। তিনি বলেন, আম্বেডকর ক্লাবের পিছনে এই পুকুরে এক সময় বাড়ির সব কাজ হতো। একটা সুন্দর ঘাটও ছিল। আমরা মাছও ধরতাম। অপর স্থানীয় বাসিন্দা দিলীপ রায়ের কথায়, চোখের সামনে ঘাটগুলি বুঝে গেল। সবাই নোংরা ফেলে। এলাকায় একটা ভ্যাট তৈরি করা যেত। সেটা না থাকায় বাসিন্দারা পরিত্যক্ত এই পুকুরেই আবর্জনা ফেলছেন। স্থানীয় যুবক ষষ্ঠী হাজরা। তিনি বলেন, ছোটবেলায় অনেক দাপাদাপি করেছি এই পুকুরে। টলটলে জল ছিল। স্নান করতাম। কিন্তু এখন দেখলে কষ্ট হয়।
অন্যদিকে, ১৯ নম্বর গোবিন্দ খটিক রোডের পুকুরটিও আগাছা আর কচু গাছে ভরে আছে। স্থানীয় বাসিন্দা বাপি সর্দার আক্ষেপের সুরে বলেন, এভাবেই ধীরে ধীরে পুকুর বুজে যাবে, আর সেখানে অট্টালিকা তৈরি হবে। ২০১২-১৩ সালেও এখানে মাছ চাষ হয়েছে। তখন লিজের টাকা নিতে মাঝে মাঝে মালিকও আসতেন। এখন তা দেখা যায় না। বেঁচে আছেন কি না, তাও আমরা জানি না।
স্থানীয় ৫৮ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলার তথা পুরসভার শিক্ষা বিভাগের মেয়র পারিষদ সন্দীপন সাহা বলেন, সচেতনতার অভাব রয়েছে স্থানীয় বাসিন্দাদের মধ্যে। বারবার বলেও আবর্জনা ফেলা বন্ধ করা যায়নি। কয়েকবার পরিষ্কারও করে দেওয়া হয়েছে। কিন্তু ফের যে কে সেই। জলাশয় বাঁচানোর জন্য স্থানীয় বাসিন্দাদের এগিয়ে আসতে হবে। স্থানীয় বাসিন্দাদের তরফে অভিযোগ পাওয়ার কথা স্বীকার করেছেন পুরসভার পরিবেশ বিভাগের মেয়র পারিষদ স্বপন সমাদ্দারও। তিনি বলেন, অভিযোগ এসেছে। বিভাগীয় আধিকারিকরা খতিয়ে দেখে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেবেন। ইতিমধ্যেই পুকুরের মালিককে নোটিস ধরিয়েছি। জলাশয় ভরাট করতে দেওয়া হবে না। - নিজস্ব চিত্র

8th     May,   2024
 
 
অক্ষয় তৃতীয়া ১৪৩১
 
রাজ্য
 
দেশ
 
বিদেশ
 
খেলা
 
বিনোদন
 
আজকের দিনে
 
রাশিফল ও প্রতিকার
ভাস্কর বন্দ্যোপাধ্যায়
এখনকার দর
দিন পঞ্জিকা
 
শরীর ও স্বাস্থ্য
 
বিশেষ নিবন্ধ
 
সিনেমা
 
প্রচ্ছদ নিবন্ধ