বর্তমান পত্রিকা : Bartaman Patrika | West Bengal's frontliner Newspaper | Latest Bengali News, এই মুহূর্তে বাংলা খবর
কলকাতা
 

জলে ডুবে মর্মান্তিক পরিণতি সল্টলেকে, প্রশিক্ষণে দমবন্ধ, মায়ের পাশেই মৃত্যু

নিজস্ব প্রতিনিধি, বিধাননগর: মায়ের সঙ্গেই অনুশীলনে গিয়েছিল মেয়ে। একই সুইমিং পুলে মায়ের সঙ্গে সাঁতারও কাটছিল। একটা সময় ‘দমবন্ধ’ করে ডুব সাঁতার অনুশীলন করছিল মেয়ে। মেয়েকে ডুব দিতে দেখেছিলেন মা। কিন্তু, দেড় মিনিটের বেশি কেটে যাওয়ার পর মেয়ে না ওঠায় সঙ্গে সঙ্গে সেখানে ডুব দেন মা। জলের তলা থেকে যখন অচৈতন্য মেয়েকে তুললেন, তখন তার হাত-পা ঠান্ডা! দ্রুত হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলেও শেষরক্ষা হল না। মেয়েকে মৃত বলে ঘোষণা করলেন চিকিৎসকরা। মঙ্গলবার এমনই মর্মান্তিক দুর্ঘটনা ঘটল সল্টলেক সেন্ট্রাল পার্কের সুইমিং পুলে। শোকে আচ্ছন্ন হয়ে পড়েছে মৃতার পরিবার। বাকরুদ্ধ প্রতিবেশীরাও।
পুলিস ও পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃতার নাম এলিনা দত্ত ভট্টাচার্য (১৫)। সে দশম শ্রেণির ছাত্রী। মা ডালিয়া দত্ত ছিলেন আইআইটি খড়্গপুরের ছাত্রী। বর্তমানে তিনি সল্টলেকে তথ্য-প্রযুক্তি সংস্থায় কর্মরত। বাবা আনন্দ ভট্টাচার্যও সল্টলেকে তথ্য-প্রযুক্তি সংস্থায় কর্মরত। এলিনার এক বোনও রয়েছে। সল্টলেকের এ-ই ব্লকে তাঁদের বাড়ি। চারজনই বিধাননগর পুরসভার সুইমিং পুলে অনুশীলন করেন। ডালিয়াদেবী নিজেও একজন নামী সাঁতারু। তিনি জাতীয় স্তরেও সাঁতার প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়েছিলেন। এলিনাও বহুদিন ধরে সাঁতার শিখছে। সেও একাধিক পুরস্কার নিয়ে এসেছে। দুর্ঘটনার পরই এদিন বিধাননগর পুরসভার পক্ষ থেকে সুইমিং পুল বন্ধ রাখা হয়।
এলিনার দাদু তথা আইআইটি খড়্গপুরের প্রাক্তন অধ্যাপক গৌরাঙ্গলাল দত্ত বলেন, নাতনি খুবই ভালো সাঁতার জানে। কিন্তু, আচমকাই দুর্ঘটনা ঘটে গিয়েছে। আমি নিজেও ওই পুলে সাঁতার কাটতে যেতাম। এদিন সকালে বড় নাতনিকে নিয়েই মেয়ে সাঁতার অনুশীলনে গিয়েছিল। নাতনি আন্ডার ওয়াটার অনুশীলন করছিল। মেয়ে নিষেধ করেছিল। মেয়ে পুলেই ছিল। নাতনি ডুব দেওয়ার পর নীচে কাউন্টিং করছিল। কিন্তু দেড়-দু’মিনিট হয়ে যাওয়ার পরেও সে ওঠেনি। তারপরই মেয়ে জলের তলায় গিয়ে তাকে উদ্ধার করে। সকাল ১০টায় মেয়েই আমাকে ফোন করে বলল, বাবা সব শেষ! বাবু (এলিনার ডাক নাম) আর নেই!
আর জি কর হাসপাতালে ময়নাতদন্তের পর এদিন সন্ধ্যায় সল্টলেকের বাড়িতে এলিনার মৃতদেহ নিয়ে আসা হয়। শেষ শ্রদ্ধা জানাতে তাদের বাড়িতে যান বিধাননগরের মেয়র কৃষ্ণা চক্রবর্তী, ডেপুটি মেয়র অনিতা মণ্ডল সহ আরও দুই মেয়র পারিষদ। মেয়র বলেন, এই মর্মান্তিক দুর্ঘটনায় আমরা সবাই মর্মাহত। 
এদিন বাড়িতে দেহ ঢুকতেই কান্নার রোল ওঠে। এলিনার ছোট বোন চতুর্থ শ্রেণিতে পড়ে। এদিন বিকেলে তারও অনুশীলনে যাওয়ার কথা ছিল। কিন্তু সন্ধ্যার পর দিদির মৃতদেহ এল বাড়িতে। নিজের চোখকেও সে বিশ্বাস করতে পারছিল না। এই তো সকালেই দিদি মায়ের সঙ্গে গেল। শেষ বিদায়ে দিদির দেহের পাশে সে রাখল কয়েকটি চকোলেট আর একটি চিঠি!  

8th     May,   2024
 
 
অক্ষয় তৃতীয়া ১৪৩১
 
রাজ্য
 
দেশ
 
বিদেশ
 
খেলা
 
বিনোদন
 
আজকের দিনে
 
রাশিফল ও প্রতিকার
ভাস্কর বন্দ্যোপাধ্যায়
এখনকার দর
দিন পঞ্জিকা
 
শরীর ও স্বাস্থ্য
 
বিশেষ নিবন্ধ
 
সিনেমা
 
প্রচ্ছদ নিবন্ধ