বর্তমান পত্রিকা : Bartaman Patrika | West Bengal's frontliner Newspaper | Latest Bengali News, এই মুহূর্তে বাংলা খবর
কলকাতা
 

হাওড়া স্টেশন সংলগ্ন বহু বাসস্ট্যান্ডই শেডহীন, রোদে ঝলসে যাচ্ছে শরীর

নিজস্ব প্রতিনিধি, হাওড়া: গ্রীষ্মের শুরু থেকেই দাপটের সঙ্গে ব্যাটিং করছে গরম। টানা তাপপ্রবাহে কার্যত প্রাণ ওষ্ঠাগত। যাঁরা নিত্যদিন রুটি-রুজির টানে পথে বের হন, তাঁদের অবস্থা আরও খারাপ। রীতিমতো ঝলসে যাচ্ছে শরীর। হাওড়া স্টেশন হয়ে প্রতিদিন লক্ষ লক্ষ মানুষ যান কর্মস্থলে। বাসের জন্য তাঁদের অপেক্ষা থাকতে হয় স্ট্যান্ডে। অথচ সেইসব স্ট্যান্ডে কোনও শেড নেই। ফলে কাঠফাটা রোদের মধ্যেই দাঁড়িয়ে থাকতে হয় তাঁদের। এ নিয়ে নিত্যযাত্রীরা প্রায় সকলেই ক্ষুব্ধ।
এই সমস্যা নতুন নয়। হাওড়া স্টেশন সংলগ্ন টার্মিনাস থেকে প্রতিদিন শহর ও শহরতলির কয়েক হাজার বাস ছাড়ে। নিত্যযাত্রীরা এই বাসের উপরেই নির্ভরশীল। সূর্যের গনগনে আঁচে গা সেঁকে যাতায়াত করতে হয় তাঁদের। কয়েকটি বাস স্ট্যান্ডে শেড থাকলেও তা অপর্যাপ্ত। সেই জায়গাগুলি আবার দখল করে গজিয়ে উঠেছে অস্থায়ী দোকান। বাকি অংশ চলে গিয়েছে ভবঘুরেদের দখলে। ফলে বেশির ভাগ বাসই এসে দাঁড়ায় খোলা জায়গায়। চাঁদিফাটা রোদ মাথায় নিয়েই বাসের অপেক্ষায় থাকেন যাত্রীরা। একটু ছায়া খুঁজতে গেলে আবার বাস ‘মিস’ করে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে। যাত্রীদের দাবি, হাওড়ামুখী বা কলকাতামুখী বাস টার্মিনাসে কিংবা হাওড়া ব্রিজে ওঠার মুখে নতুন করে শেড করা দরকার, যাতে এই গরমে একটু ছায়ায় দাঁড়াতে পারেন যাত্রীরা। শুধু গরম নয়, যাত্রীদের একই সমস্যায় পড়তে হয় বর্ষাকালেও। বিনোদ সিং নামে এক নিত্যযাত্রী বলেন, ক’দিন যা গরম পড়েছে, তাতে রাস্তায় মাথা ঘুরে যাওয়ার জোগাড়। ট্রেন থেকে নামার পর বাস ধরার জন্য কিছুক্ষণ যে শান্তিতে দাঁড়াব, তার উপায় নেই। একমাত্র ভরসা সাবওয়ে। আরেক নিত্যযাত্রী ঐন্দ্রিলা রক্ষিত বলেন, নতুন শেড তৈরি করেই বা কি হবে? দু’দিন বাদে তো সেখানে নতুন দোকান বসে যাবে। আমাদের দেশে ফুটপাত ও ছাউনি তৈরি হয় দখল হওয়ার জন্য। প্রশাসন সব দেখেও নিশ্চুপ। নিত্যযাত্রী উজ্জ্বল ঘোষ বলেন, কলকাতার রাস্তায় বিধায়ক বা সাংসদ তহবিলের টাকা দিয়ে দেখি বাসস্ট্যান্ড তৈরি করা হয়। হাওড়ার সাংসদ বা বিধায়কদের তহবিলের টাকায় কি এমন বাসস্ট্যান্ড তৈরি করা যায় না? যেগুলি দখল হয়ে গিয়েছে, সেগুলি কি খালি করা যায় না? অফিস টাইমে হাওড়া বাসস্ট্যান্ডে পা ফেলার জায়গা থাকে না। গরমে সিদ্ধ হয়ে কোনওরকমে ঠেলাঠেলি করে বাসে উঠতে হয়। উত্তর হাওড়া বিধায়ক গৌতম চৌধুরী বলেন, আমি প্রস্তাবটি খতিয়ে দেখব। নিত্যযাত্রীদের সুবিধার্থে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেব। যেহেতু ভোট চলছে, তাই প্রতিশ্রুতি দিচ্ছি না। তবে ভোট মিটলেই এ নিয়ে প্রশাসনিক স্তরে কথা বলব। 

5th     May,   2024
 
 
অক্ষয় তৃতীয়া ১৪৩১
 
রাজ্য
 
দেশ
 
বিদেশ
 
খেলা
 
বিনোদন
 
আজকের দিনে
 
রাশিফল ও প্রতিকার
ভাস্কর বন্দ্যোপাধ্যায়
এখনকার দর
দিন পঞ্জিকা
 
শরীর ও স্বাস্থ্য
 
বিশেষ নিবন্ধ
 
সিনেমা
 
প্রচ্ছদ নিবন্ধ