বর্তমান পত্রিকা : Bartaman Patrika | West Bengal's frontliner Newspaper | Latest Bengali News, এই মুহূর্তে বাংলা খবর
কলকাতা
 

হাওয়া অফিসের কাছে এলাকাভিত্তিক তাপমাত্রা জানানোর দাবি শহরবাসীর

নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: শনিবার সন্ধ্যায় বাইপাসে বাস স্ট্যান্ডে দাঁড়িয়ে সন্দীপ হালদার। মোবাইলে তাপমাত্রা দেখলেন। দেখাচ্ছে ট্যাংরার তাপমাত্রা ৩৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস। ফিলস লাইক ৪১। তাঁর পাশে দাঁড়িয়ে বন্ধু অর্ণব মহাপাত্র। তাঁর মোবাইলে আবার দেখাচ্ছে ট্যাংরার তাপমাত্রা ৩৮ ডিগ্রি। ফিলস লাইক ৪৪। দু’জনে দু’জনের মুখের দিকে তাকালেন। প্রবল ধন্দ তৈরি হল। তাঁরা একা নন। 
গোটা শহর এই ধন্দে ভুগছে। শুরু হয়ে যাচ্ছে তর্ক। মোবাইলে খবরের নোটিফিকেশন আসছে। সে খবরেও পরস্পরবিরোধী তাপমাত্রার খবর। এবার প্রশ্ন উঠছে, কোনটি সঠিক? তাপমাত্রার ঠিক খবর দেখাচ্ছে কোন সংস্থার ফোন? তাপমাত্রা তো আর সংস্থাগুলি নিজেদের খেয়ালখুশি মতো বদলে দিতে পারে না? তাদের দেখানো তাপমাত্রার নিশ্চয় কিছু ভিত্তি আছে? সেটি কী? শহরজুড়ে এবার এই প্রশ্নগুলিই ঘোরাফেরা শুরু করেছে। নাগরিকদের কেউ বলছেন, এই গুরুতর বিষয় বেসরকারি হাতে ছেড়ে না দেওয়ায় ভালো। আবহাওয়া দপ্তরের খবরের উপরই ভরসা করা উচিত। কারণ এই তীব্র দাবদাহের মধ্যে গন্তব্যের তাপমাত্রা জেনে তবেই না রওনা দেবে মানুষ? এই সিরিয়াস বিষয়টি এতদিন ছিল হাসিঠাট্টার আড়ালে। তবে এই গ্রীষ্মে ভয়ানক কষ্টের পর তা গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন হয়েই উঠে আসছে সামনে। নাগরিকদের দাবি, আবহাওয়া দপ্তরের এলাকাভিত্তিক তাপমাত্রা জানানোর পরিকাঠামো প্রস্তুত করা উচিত। 
প্রসঙ্গত আবহাওয়া দপ্তর কলকাতা শহরের যে তাপমাত্রা প্রকাশ করে তা আলিপুর আবহাওয়া অফিসে নেওয়া। আলিপুর আবহাওয়া অফিস থেকে সম্প্রতি দমদম কেন্দ্রের অধিকর্তার দায়িত্বে গিয়েছেন গণেশ দাস। তিনি বলেন, ‘আলিপুর কেন্দ্রের চারপাশে অনেক বহুতল। সে কারণে সেখানে হাওয়া চলাচল কিছুটা ব্যাহত হয়। গরম হাওয়ার যাতায়াত আটকে যায়। গরম হাওয়া বেশি বইলে তাপমাত্রা বেশি দেখাত।’ ফলে গত কয়েকদিন ধরে দেখা যাচ্ছে, দমদম, বারাকপুর প্রভৃতি জায়গায় তাপমাত্রা তুলনামূলক বেশি। দমদম আবহাওয়া কেন্দ্র বিমানবন্দর সংলগ্ন এলাকায়। বারাকপুরের আবহাওয়া দপ্তরের তাপমান যন্ত্রটি থাকে বায়ুসেনার এয়ারবেসে। এই দু’টি কেন্দ্রই অনেক বেশি খোলামেলা জায়গায় রয়েছে। ফলে সেখানে গরম হাওয়া বেশি মাত্রায় প্রবাহিত হয়। 
মূল কলকাতা শহরের জন্য আবহাওয়া দপ্তরের একমাত্র আলিপুরেই তাপমাত্রা পরিমাপের ব্যবস্থা আছে। যদিও নয়াদিল্লি, চেন্নাই, মুম্বই, বেঙ্গালুরু প্রভৃতি শহরে একাধিক স্থানে আবহাওয়া দপ্তরের তাপমাত্রা মাপার ব্যবস্থা রয়েছে। তবে আবহাওয়াবিদদের বক্তব্য, কলকাতার আরও কিছু স্থানে তাপমাত্রা পরিমাপের ব্যবস্থা থাকলে বৈচিত্র্য ধরা পড়ত। দক্ষিণবঙ্গের কয়েকটি জায়গায় তাপমাত্রা সবসময় বেশি থাকে। ওই জায়গাগুলিতে রাখা তাপমান যন্ত্রের চারিদিকে খোলামেলা পরিবেশের কারণে সেখানকার তাপমাত্রা বেশি ধরা পড়ে। আলিপুরে বহুতলের কারণে ছবিটা ঠিক উল্টো। আবহাওয়াবিদরা অবশ্য এটাও বলছেন, যেখানে সেখানে তাপমান যন্ত্র বসিয়ে তাপমাত্রার পরিমাপ নেওয়া ঠিক নয়। যন্ত্র একটি নির্দিষ্ট উচ্চতার উপর বসাতে হয়। সরাসরি সূর্যালোক সেটির উপর যাতে না পরে তা নিশ্চিত করা উচিত। যন্ত্রের উপর আচ্ছাদন থাকে। চড়া রোদের মধ্যে যন্ত্র বসিয়ে রাখলে স্বাভাবিকভাবেই তাপমাত্রা অনেক বেশি দেখাবে।

4th     May,   2024
 
 
অক্ষয় তৃতীয়া ১৪৩১
 
রাজ্য
 
দেশ
 
বিদেশ
 
খেলা
 
বিনোদন
 
আজকের দিনে
 
রাশিফল ও প্রতিকার
ভাস্কর বন্দ্যোপাধ্যায়
এখনকার দর
দিন পঞ্জিকা
 
শরীর ও স্বাস্থ্য
 
বিশেষ নিবন্ধ
 
সিনেমা
 
প্রচ্ছদ নিবন্ধ