সংবাদদাতা, কাকদ্বীপ: তীব্র তাপপ্রবাহের জেরে ক্ষতির মুখে পড়েছেন সুন্দরবনের পটল চাষিরা। শুকিয়ে যাচ্ছে বিঘার পর বিঘা খেত। জলের অভাবে ঝরে পড়ছে গাছের ফুল। বৃদ্ধি হচ্ছে না পটলের। ছোট অবস্থাতেই শুকিয়ে হলুদ হয়ে যাচ্ছে পটল। হতাশ হয়ে খেতের দিকেই যাচ্ছেন না চাষিরা। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, নামখানার নারায়ণপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের নাদাভাঙা এলাকা জুড়ে চাষ হয় পটলের। এক সময় কলকাতা থেকে সব্জি ব্যবসায়ীরা এসে এই এলাকা থেকে পটল কিনে নিয়ে যেতেন। এক একজন চাষি প্রতি সপ্তাহে ২ থেকে ৩ ক্যুইন্টাল পটল পাইকারি বাজারে বিক্রি করতেন। ভিন রাজ্যেও এই নাদাভাঙা পটলের সুখ্যাতি রয়েছে।
এবিষয়ে নাদাভাঙা এলাকার পটল চাষি দ্বিজেন জানা বলেন, ‘আগে দু’বিঘা জমিতে পটল চাষ করতাম। ফাল্গুন মাসের শেষে বাগান থেকে পটল তোলা শুরু হতো। কার্তিক মাস পর্যন্ত বিক্রি করতাম। কোনও সপ্তাহে এক ক্যুইন্টাল আবার কোনও সপ্তাহে দেড় ক্যুইন্টাল পটল বাগান থেকে তুলে পাইকারি বাজারে বিক্রি করা হতো। ৯ মাসে এই দু’বিঘা জমিতে পটল চাষ করে ৬০ হাজার টাকারও বেশি লাভ হতো। আবহাওয়া পরিবর্তনের কারণে ফসল আগের মতো হচ্ছে না।’ কাকদ্বীপের সহ কৃষি অধিকর্তা যতীন্দ্রনাথ হালদার বলেন, ‘তীব্র গরমে গাছ শুকিয়ে যাচ্ছে। প্রাকৃতিক দুর্যোগ সময় নোনা জল উঠেছিল। তীব্র গরম পড়ায় এখন এলাকার মাটির লবণাক্ত ভাব বেড়ে যাচ্ছে। ফলে মাটির উপর লবণ জমা হচ্ছে এবং গাছের মূল নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। বৃষ্টি এলে মাটির লবণাক্ত ভাব অনেকটাই কেটে যাবে।’