বর্তমান পত্রিকা : Bartaman Patrika | West Bengal's frontliner Newspaper | Latest Bengali News, এই মুহূর্তে বাংলা খবর
কলকাতা
 

মাধ্যমিকে উত্তীর্ণ ভ্যানচালকের যমজ ছেলে,আশা ভবনের ছয় প্রতিবন্ধী কিশোরীও সফল

সংবাদদাতা, উলুবেড়িয়া: রাম আর লক্ষ্মণ। যমজ ভাই দু’জন। ছোট থেকেই একসঙ্গে খাওয়া, স্কুলে যাওয়া, পড়াশোনা, ঘুমানো। এবার একসঙ্গে মাধ্যমিক পরীক্ষাও দিয়েছিল দু’জনে। নম্বরে কিছুটা ফারাক থাকলেও দু’জনেই সফল। তাতে কুছ পরোয়া নেই তাদের। কারণ একাদশে ফের এক স্কুলেই ভর্তি হবে তারা। উলুবেড়িয়া গঙ্গারামপুর চক্রবর্তীপাড়ার বাসিন্দা দুই ভাইয়ের জন্ম কয়েক মিনিটের ব্যবধানে। রাম ঘোষ বড়, লক্ষ্মণ ঘোষ ছোট। বাবা অষ্ট ঘোষ পেশায় ভ্যানচালক। মা টুম্পা ঘোষ গৃহবধূ। বৃহস্পতিবার দুপুরে উলুবেড়িয়া কৈজুড়ি উচ্চ বিদ্যালয়ে গিয়ে দেখি, স্কুলে গাছের ছায়ায় দাঁড়িয়ে একই দেখতে দুই কিশোর হাসিমুখে মনোযোগ দিয়ে রেজাল্ট দেখছে। কী রকম হল? উত্তর, দু’জনেই পাশ করে গিয়েছি।
রামের কথায়, আমরা যা করি সব একসঙ্গে। এবার দুই ভাই মাধ্যমিক দিয়েছিলাম। একাদশে রামের ইচ্ছা বিজ্ঞান নিয়ে পড়ার। ভবিষ্যতে সে ইঞ্জিনিয়ার হতে চায়। অন্যদিকে, লক্ষ্মণ চায় কলা বিভাগে ভর্তি হতে। তার লক্ষ্য, শিক্ষকতা করা। তারা বলে, বাবা ভ্যান চালিয়ে খুব কষ্ট করে আমাদের লেখাপড়া শেখাচ্ছেন। আমরা প্রতিষ্ঠিত হয়ে পরিবারের মুখে হাসি ফোটাতে চাই। 
এদিকে, কথায় আছে, মানসিক জোর থাকলে সমস্ত বাধাকে অতিক্রম করে লক্ষ্যে পৌঁছনো যায়। সেটাই প্রমাণ করে দেখাল উলুবেড়িয়া আশা ভবন সেন্টারের ছয় কিশোরী। তারা সকলেই বিশেষভাবে সক্ষম। নিজেদের শারীরিক প্রতিবন্ধকতাকে জয় করে এই ছয় কিশোরী এবার মাধ্যমিক পরীক্ষায় পাশ করেছে। উলুবেড়িয়া করাতবেড়িয়া উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এবার পরীক্ষা দিয়েছিল সাবিত্রী কুমার, ইত্তেশমা খাতুন, প্রিয়াঙ্কা দাস, পায়েল প্রামাণিক, জাহিরা খাতুন ও বর্ষা। এই কিশোরীরা কেউ আট বছর, কেউ ১৫ বছর ধরে আশা ভবনে রয়েছে। বৃহস্পতিবার রেজাল্ট হাতে পাওয়ার পর আনন্দে মেতে ওঠে তারা। 

4th     May,   2024
 
 
অক্ষয় তৃতীয়া ১৪৩১
 
রাজ্য
 
দেশ
 
বিদেশ
 
খেলা
 
বিনোদন
 
আজকের দিনে
 
রাশিফল ও প্রতিকার
ভাস্কর বন্দ্যোপাধ্যায়
এখনকার দর
দিন পঞ্জিকা
 
শরীর ও স্বাস্থ্য
 
বিশেষ নিবন্ধ
 
সিনেমা
 
প্রচ্ছদ নিবন্ধ