বর্তমান পত্রিকা : Bartaman Patrika | West Bengal's frontliner Newspaper | Latest Bengali News, এই মুহূর্তে বাংলা খবর
কলকাতা
 

নাগরিকত্ব নিয়ে মোদি-শাহের টোপ! উল্টো চিত্র মন্ত্রকে, সিএএতে কত আবেদন? জানেই না কেন্দ্র

দেবাঞ্জন দাস, কলকাতা: ৩৯ পৃষ্ঠার ফর্ম পড়ার পালা প্রথমে। তারপর ভরাতে হবে ৩৪টি পাতা। শেষে নিজেকে ‘বিদেশি’ ঘোষণা করে জমা দিতে হবে সংশ্লিষ্ট দেশের প্রমাণপত্র। এটাই ‘সিএএ’। নরেন্দ্র মোদি-অমিত শাহের নাগরিকত্বের ‘গাজর’। গত দুটো লোকসভা নির্বাচনে এই ‘খুড়োর কল’ সামনে রেখেই সংসদে সদস্য সংখ্যা বাড়িয়ে গিয়েছে বিজেপি। ঝুলি উজাড় করে মানুষ তাদের ভোট দিয়েছেন। কিন্তু নাগরিকত্ব পেয়েছেন কি? প্রতিশ্রুতির বছরগুলি ছেড়ে দিন, মোদি-শাহের সাধের সিএএ কার্যকর হওয়ার পরও নয়। বিস্ময়ের এখানেই শেষ নয়, গত দেড় মাসে কতজন ‘বিদেশি’ এই আইনের অধীনে নাগরিকত্বের জন্য আবেদন করছেন, সেটাই জানে না শাহের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক। তথ্য জানার অধিকার (আরটিআই) আইনে করা প্রশ্নের উত্তরে সেকথা তারা সাফ জানিয়েও দিল।
গত দেড় মাসে ঠিক কতজন ‘ভারতীয়’ হওয়ার জন্য আবেদন করেছেন সিএএ’তে? সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন কার্যকর হওয়ার দেড় মাস পরে এই সংক্রান্ত দু’টি আরটিআই আবেদন জমা পড়েছিল বাংলা থেকে। দু’টি ক্ষেত্রেই স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের ফরেনার্স ডিভিশনের সিটিজেনশিপ উইংয়ের তরফে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, শুধু বাংলা কেন, সিএএ’র আবেদন সংক্রান্ত কোনও রাজ্যের, কোনও তথ্যই নেই তাদের কাছে। উইংয়ের চিফ পাবলিক ইনফরমেশন অফিসার (সিপিআইও) তথা ডিরেক্টর (সি) আর ডি মীনা স্পষ্ট ভাষায় লিখিতভাবে জানিয়েছেন এই উত্তর।
গত ১১ মার্চ সিএএ চালু হওয়া মাত্র উদ্বাহু হয়ে বাংলার বিভিন্ন প্রান্তে ঢক্কানিনাদ সহযোগে প্রচারে নেমে পড়েছিলেন পদ্মপার্টির ছোট, মেজ এবং বড় নেতারা। ভোট প্রচারে এসে সিএএ’র পক্ষে গলা ফাটাচ্ছেন মোদি-শাহও। ভোট প্রচারে সিএএ’র উপযোগিতা নিয়ে ঝড় তুলেছেন বিজেপির শান্তনু ঠাকুর, জগন্নাথ সরকার, অসীম সরকার, খগেন মুর্মু, শ্রীরূপা মিত্র চৌধুরী, কার্তিক পাল, নিশীথ প্রামাণিক এমনকী বঙ্গ বিজেপির সভাপতি সুকান্ত মজুমদারও। একই চিত্র অসমের বাঙালি উদ্বাস্তু প্রভাবিত বরাক উপত্যকাতেও। এনআরসি থেকে নাম বাদ যাওয়া বাঙালিরা এবার ভারতীয় হবেন সিএএ’র মাধ্যমে—এমন প্রচার সেখানেও করছেন প্রধানমন্ত্রী, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এবং সে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মা। তারপরও চিত্রটা উল্টো কেন? কেন্দ্রীয় সরকারই বা এই সংক্রান্ত কোনও তথ্য জানতে উৎসাহী নয় কেন?
এ রাজ্য থেকে সিএএ আবেদনকারীর সংখ্যা জানতে চেয়ে প্রথম আরটিআই আবেদন করেছিল সামাজিক সংস্থা ‘বাংলা পক্ষ’। তাদের পক্ষে উত্তর ২৪ পরগনার আমডাঙার উরালা গ্রামের বাসিন্দা জনৈক মহম্মদ শাহিন ওই আবেদনটি পাঠান। গত ১৫ এপ্রিল তার উত্তর দিয়েছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক। দ্বিতীয় আরটিআইটি করেছিলেন সমাজকর্মী তথা আইন গবেষক দক্ষিণ ২৪ পরগনার মহেশতলার সাউথ জালখুড়ার বাসিন্দা বিশ্বনাথ গোস্বামী। গত ৩১ মার্চ অনলাইনে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের কাছে রাজ্যওয়াড়ি আবেদন সংখ্যা, আবেদনকারীর ধর্ম-সম্প্রদায় এবং তিনি বা তাঁরা কোন দেশের নাগরিক—এসব তথ্য বিশদে জানতে চেয়েছিলেন বিশ্বনাথবাবু। মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের তরফে সিপিআইও জানিয়ে দিয়েছেন—এ সংক্রান্ত তথ্য সংগ্রহ করা তাঁর ডিউটির মধ্যে পড়ে না। তবে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক না জানলেও, অসম বিজেপি জানে তাদের রাজ্যের ঠিক কতজন সিএএ’র জন্য আবেদন করেছেন! ভোট প্রচারে ৮ এপ্রিল শিবসাগরের সোনারির জনসভার মঞ্চ থেকে মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মা জানিয়েছিলেন, অসমে এখনও পর্যন্ত একজনই আবেদন করেছেন। বরাক উপত্যকার বাসিন্দা। পরিচয় কিন্তু খোলসা করেননি হিমন্ত। 

25th     April,   2024
 
 
রাজ্য
 
দেশ
 
বিদেশ
 
খেলা
 
বিনোদন
 
আজকের দিনে
 
রাশিফল ও প্রতিকার
ভাস্কর বন্দ্যোপাধ্যায়
এখনকার দর
দিন পঞ্জিকা
 
শরীর ও স্বাস্থ্য
 
বিশেষ নিবন্ধ
 
সিনেমা
 
প্রচ্ছদ নিবন্ধ