বর্তমান পত্রিকা : Bartaman Patrika | West Bengal's frontliner Newspaper | Latest Bengali News, এই মুহূর্তে বাংলা খবর
কলকাতা
 

কলকাতার থেকে ঠান্ডা রাজস্থানও! 

নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: কলকাতার তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রি। জয়সলমীর ৩১। যোধপুর ৩৪। বারমের ৩১। জয়পুর ৩৩। বিকানের ৩৬ ডিগ্রি। সবমিলিয়ে দাঁড়াল কী? গরমের নিরিখে রাজস্থানকে হারিয়ে দিয়েছে কলকাতা। চিরকালের তপ্ত রাজস্থানও নাতিশীতোষ্ণ কলকাতার থেকে শীতল! এমনও সম্ভব? চোখ কপালে তুলছে গোটা কলকাতা।
শহরের প্রাণকেন্দ্র ধর্মতলা। তপ্ত দুপুরে লেবুর সরবতে চুমুক দিতে দিতে এই আলোচনাই চলছিল তিন বন্ধুর মধ্যে। তাঁরা রাজস্থানের খবরটা যাচাই করছিলেন মোবাইলে। গুগল খুলে মিলিয়ে নিলেন মরু শহর রাজস্থানের তাপমাত্রা। দেখে প্রথমে চোখ চড়কগাছ। তারপর হেসে ফেললেন।
রহস্য খোলসা হল আলিপুর আবহাওয়া দপ্তরের অধিকর্তা হবিবুর রহমান বিশ্বাসের দেওয়া তথ্যে। তিনি জানালেন, ‘এই মূহূর্তে গোটা উত্তর ভারতজুড়ে বৃষ্টিপাত হচ্ছে। পশ্চিমী ঝঞ্ঝার কারণে রাজস্থানেও বৃষ্টি। ফলে রাজস্থানের তাপমাত্রা রয়েছে স্বাভাবিকের থেকে নীচে। এটাই একমাত্র কারণ নয়। উত্তর ও পশ্চিম ভারতে গরমের প্রভাব পড়তে শুরু করে মে-জুন মাসে। তাই এখন রাজস্থানে কলকাতার থেকে আবহাওয়া মনোরম।’
রাজস্থানের আবহাওয়া নিয়ে আলোচনা করতে করতে ওই তিন বন্ধুর একজন বললেন, তাহলে চল রাজস্থানেই যাই। হাসিঠাট্টা হচ্ছিল বটে, তবে বেলা গড়াতেই গরমের চোটে তাঁদের মেজাজ খাপ্পা। তাঁদের শুধু নয়, গোটা শহরের মেজাজই তিরিক্ষি হয়ে রয়েছে গত কয়েকদিন ধরে। বৃহস্পতিবার ঘড়ির কাঁটা ১০টা পার করতেই ক্রমশ শুষ্ক হতে থাকে আবহাওয়া। বেলা যত গড়িয়েছে কষ্ট তত বেড়েছে। রাস্তায় বেরনো মানুষরা নাজেহাল। গাড়ি ও বাইকচালকরা বলছেন, অতিরিক্ত তাপের জন্য নাক, মুখ জ্বালা করছে। দুপুরবেলা গাড়ি চালাতে গিয়ে দম আটকে আসছে। মারাত্মক কষ্ট হচ্ছে রোদে। গড়িয়াহাটে সোমনাথ মুখোপাধ্যায় নামে এক মেডিক্যাল রিপ্রেসেন্টেটিভ বলেন, ‘আমাদের রাস্তায় ঘুরে কাজ। বাইকই মূল ভরসা। অসুস্থ হওয়া থেকে বাঁচতে বারবার রুমাল ভিজিয়ে নাক-মুখ ঢাকছি। তাতে কিছুটা হলেও স্বস্তি মিলছে।’ ধর্মতলায় এক বাইক চালকের বক্তব্য, ‘তাপপ্রবাহের জেরে সানস্ট্রোক হতে পারে। তাই বড় রুমাল ভিজিয়ে ঘাড়ে রাখছি। বাইক থামিয়ে ছায়ায় দাঁড়াচ্ছিও মাঝে মাঝে।’ হাতিবাগানে প্রায় ১০ জন মহিলাকে দেখা গেল ছাতা, সানগ্লাস পরে ওড়নায় মুখ-মাথা ঢেকে হাঁটছেন।
এদিন বেলা ১২টার পরই একপ্রকার শুনশান হয়ে যায় শহরের বহু রাজপথ। ধর্মতলার সমস্ত দোকান ছিল প্রায় ফাঁকা। একই অবস্থা গড়িয়াহাট, শ্যামবাজারেও। খুব প্রয়োজন না থাকলে রাস্তায় বের হচ্ছে না কেউ। জলের বোতলের বিক্রি বেড়ে গিয়েছে। থেকে থেকে আইশক্রিম খাওয়ার তাগিদ বাড়ছে। কোল্ড ড্রিংক্সের দোকানে ভিড়। তাতেও স্বস্তি পাচ্ছে না কেউই। রাস্তায় বেড়িয়ে অসুস্থ হয়েও পড়ছেন অনেকে। শহরের নাগরিকদের বক্তব্য, সূর্য পশ্চিমে ঢলে পড়লেও গরম কমছে না। লুয়ের প্রভাব থাকছে সন্ধ্যা সাতটা-আটটা পর্যন্ত। সবার মুখে একই প্রার্থনা, মেঘ দে পানি দে।

19th     April,   2024
 
 
রাজ্য
 
দেশ
 
বিদেশ
 
খেলা
 
বিনোদন
 
আজকের দিনে
 
রাশিফল ও প্রতিকার
ভাস্কর বন্দ্যোপাধ্যায়
এখনকার দর
দিন পঞ্জিকা
 
শরীর ও স্বাস্থ্য
 
বিশেষ নিবন্ধ
 
সিনেমা
 
প্রচ্ছদ নিবন্ধ