বর্তমান পত্রিকা : Bartaman Patrika | West Bengal's frontliner Newspaper | Latest Bengali News, এই মুহূর্তে বাংলা খবর
কলকাতা
 

প্রেমের ফাঁদ? ৬ দিনে শহর থেকে উধাও সাত নাবালিকা, তদন্তে লালবাজার

স্বার্ণিক দাস, কলকাতা: ১০ থেকে ১৫ এপ্রিল। এই ছ’দিনে খাস কলকাতা থেকে উধাও ৭ নাবালিকা। ভোটের আগে লালবাজারের কাছে এমনই চাঞ্চল্যকর অভিযোগ জমা পড়েছে। নিখোঁজ নাবালিকাদের সবাই দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পূর্ব কলকাতার বাসিন্দা। শহর থেকে পরপর নাবালিকা নিখোঁজের ঘটনায় স্বাভাবিকভাবেই কিছুটা অস্বস্তিতে পড়েছেন লালবাজারের আধিকারিকরা। সবক’টি ঘটনায় তদন্ত শুরু করেছে লালবাজারের গোয়েন্দা বিভাগের মিসিং স্কোয়াড। 
লালবাজার সূত্রের খবর, ১০ এপ্রিল কালিকাপুরে এই উধাও কাণ্ডের প্রথম ঘটনাটি ঘটে। সার্ভে পার্ক থানা এলাকার বাড়ি থেকে কাউকে কিছু না বলে বেরিয়ে যায় ১৩ বছরের নাবালিকা। বেগুনি রঙের চুড়িদার পরে ছিল সে। মেয়েকে কোথাও খুঁজে না পেয়ে সার্ভে পার্ক থানার দ্বারস্থ হন বাবা। তাঁর লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে মিসিং ডায়েরি করে পুলিস। ওই নাবালিকার কাছে কোনও মোবাইল ফোন নেই। তার জেরে নিখোঁজকে ট্র্যাক করা সম্ভব হচ্ছে না। অন্যদিকে, ১১ এপ্রিল শহরে এধরনের কোনও ঘটনা ঘটেনি। ঠিক পরের দিনই একসঙ্গে তিন নাবালিকার নিখোঁজ হওয়ার খবর পায় কলকাতা পুলিস। তাদের বয়স যথাক্রমে ১৭, ১৩ ও ১৭। নিখোঁজ বালিকারা ক্রম অনুসারে পাটুলি, টালিগঞ্জ ও তিলজলা থানা এলাকার বাসিন্দা। একই দিনে শহরের তিন নাবালিকার নিখোঁজ হওয়ার ঘটনাকে যথেষ্ট সন্দেহের চোখেই দেখছেন গোয়েন্দারা। 
যদিও পরবর্তী নিখোঁজের ঘটনাগুলি আরও বেশি সন্দেহজনক। ১৩ ও ১৪ এপ্রিল তিলজলা থানা এলাকারই দু’টি জায়গা থেকে আরও দুই নাবালিকা নিখোঁজ হওয়ার অভিযোগ জমা পড়ে পুলিসের খাতায়। তাদের বাড়ি যথাক্রমে জি জে খান রোড ও তিলজলা লেনে। ওই নাবালিকাদের বয়স যথাক্রমে ১৫ ও ১৭ বছর। গত সোমবার ফের তিলজলা থানা এলাকা থেকে আরও এক নাবালিকা নিখোঁজ হওয়ার অভিযোগ পেয়েছে লালবাজারের মিসিং স্কোয়াড। তার বয়স ১৬ বছর। তপসিয়া রোডের বাসিন্দা সে। শেষ দুই নাবালিকার ক্ষেত্রে একটি মিল খুঁজে পেয়েছেন গোয়েন্দারা। তাদের দু’জনকেই শেষবার কালো বোরখা পরিহিত অবস্থায় দেখা গিয়েছে। আপাদমস্তক বোরখায় ঢাকা। সিসি ক্যামেরা থেকে মুখ লুকাতেই কি এমন পোশাক? এমনটাই অনুমান পুলিসের। 
পরপর নাবালিকা নিখোঁজ হওয়ার ঘটনাকে কেন্দ্র করে একাধিক প্রশ্নচিহ্ন দেখা দিয়েছে। প্রত্যেকের নিখোঁজ হওয়ার ঘটনা কি একই সূত্রে বাঁধা? এর নেপথ্যে কোনও পাচার গ্যাং কাজ করছে না তো? গোয়েন্দা সূত্রের দাবি, সবচেয়ে আগে নাবালিকাদের সন্ধান পাওয়াই মূল উদ্দেশ্য। নিখোঁজদের পরিবারের সঙ্গে কথা বলে পুলিস জেনেছে, প্রায় প্রত্যেকেই ফোনে আসক্ত ছিল। তাহলে কি প্রেমের টোপে কেউ বা কারা নাবালিকাদের বাড়ি থেকে বেরিয়ে আসার জন্য প্রভাবিত করেছিল? তবে এই নিয়ে মুখ খুলতে নারাজ তদন্তকারীরা।

17th     April,   2024
 
 
রাজ্য
 
দেশ
 
বিদেশ
 
খেলা
 
বিনোদন
 
আজকের দিনে
 
রাশিফল ও প্রতিকার
ভাস্কর বন্দ্যোপাধ্যায়
এখনকার দর
দিন পঞ্জিকা
 
শরীর ও স্বাস্থ্য
 
বিশেষ নিবন্ধ
 
সিনেমা
 
প্রচ্ছদ নিবন্ধ