বর্তমান পত্রিকা : Bartaman Patrika | West Bengal's frontliner Newspaper | Latest Bengali News, এই মুহূর্তে বাংলা খবর
কলকাতা
 

নাবালককে যৌন হেনস্তায়
২০ বছরের কারাদণ্ড
৫৬ দিনে সাজা ঘোষণা কোর্টের

নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: অষ্টম শ্রেণীর এক ছাত্রের উপর যৌন নির্যাতন চালানোর অপরাধে এক ব্যক্তিকে ২০ বছর সশ্রম কারাদণ্ডের আদেশ দিল আদালত। নারকেলডাঙ্গার মহেশ বারিক লেনের বাসিন্দা ওই ব্যক্তির নাম সুকুমার ঘোষ ওরফে বিশু। বুধবার শিয়ালদহের বিশেষ পকসো আদালতের বিচারক চিন্ময় চট্টোপাধ্যায় এই নির্দেশ দিয়েছেন। একইসঙ্গে পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও ছ’মাস হাজতবাসের নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। পাশাপাশি নির্যাতিত ওই ছাত্রকে দু’লক্ষ টাকা দেওয়ার জন্য জেলা আইনি সহায়তা কেন্দ্রকে (লিগ্যাল এইড) নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। রায় ঘোষণার পর ওই অপরাধী বলে, আমাকে কম সাজা দেওয়া হোক। সরকারি আইনজীবী বিবেক শর্মা বলেন, গত ২ ডিসেম্বর এফআইআর দায়ের হয়েছিল। আর জানুয়ারির মধ্যেই সাজা হয়ে গেল আসামির। এত কম সময়ে মামলার নিষ্পত্তির ঘটনা ‘দৃষ্টান্ত’ হয়ে থাকবে। আদালত চত্বরে দাঁড়িয়ে ওই নির্যাতিত ছাত্রের মা বলেন, আসামির আরও কড়া সাজা হলে আমি বেশি খুশি হতাম।‌ অভিযুক্ত সুকুমার যেভাবে আমার ছেলের উপর দিনের পর দিন পাশবিক অত্যাচার চালিয়েছে, তা ভাবলে শিউরে উঠতে হয়। আমি ওই দিনগুলির কথা ভুলতে চাই। আর কোনও মাকে যেন এই ধরনের ঘটনার সম্মুখীন হতে না হয়। ছেলের মুখে সব কথা শুনে আমার রাতের ঘুম উড়ে গিয়েছিল। অভিযুক্তের আইনজীবী বলেন, নিম্ন আদালতের এই রায়ের বিরুদ্ধে তাঁরা শীঘ্রই কলকাতা হাইকোর্টে আপিল মামলায় যাবেন। এই মামলার তদন্তকারী পুলিস অফিসার বিমল সরকার বলেন, তদন্ত শেষ করে দ্রুত চার্জশিট দেওয়াই ছিল আমাদের কাছে চ্যালেঞ্জের। সেটা সঠিক সময়ে করতে পেরে ভালো লেগেছে। সর্বোপরি ওই ছাত্র যে সাহস দেখিয়ে আদালতে সাক্ষ্য দিয়েছে, তা অবশ্যই প্রশংসার দাবি রাখে।
জানা গিয়েছে, গত বছরের নভেম্বর মাসের এক দুপুরে সুকুমার অষ্টম শ্রেণীর ওই ছাত্রকে তার বাড়িতে ডাকে। সরল বিশ্বাসে সে বাড়িতে গেলে তাকে একটি ঘরে নিয়ে গিয়ে নির্যাতন চালানো হয়। তাকে ভয় দেখিয়ে বলা হয়, এই কথা কেউ জানলে পরিণাম ভালো হবে না। তারপরও বেশ কয়েকবার তাকে ডেকে একইভাবে নির্যাতন চালায় সুকুমার। মানসিক যন্ত্রণা থেকেই ছাত্রটি গুম মেরে যায়। একসময় ভেঙে পড়ে মাকে সব কথা জানায়। এরপর মা গত ২ ডিসেম্বর ছেলেকে সঙ্গে নিয়ে নারকেলডাঙ্গা থানায় গিয়ে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। তার ভিত্তিতে পুলিস প্রাথমিক তদন্তের পর ওই সুকুমারকে গ্রেপ্তার করে। মামলা হয় পকসো আইনে। আদালতের নির্দেশে অভিযুক্ত ও নির্যাতিত ছাত্রের মেডিক্যাল পরীক্ষা করা হয়।
ওই ছাত্রটি এরপর শিয়ালদহ আদালতে এক বিচার বিভাগীয় ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে গোপন জবানবন্দি দেয়। চার্জশিট দাখিলের পর শুরু হয় বিচারপর্ব। সাক্ষ্য দেন ১২ জন। গত সোমবার আদালত ওই সুকুমারকে দোষী সাব্যস্ত করে। এদিন বিচারক সাজা ঘোষণা করেন। রায় দিতে গিয়ে বিচারক আসামিকে বলেন, আপনার বিরুদ্ধে সমস্ত অভিযোগই প্রমাণিত হয়েছে। সেকারণে এই কড়া সাজা দেওয়া হল। ওই কথা শোনার পর অভিযুক্ত বলে, বাড়িতে তার বৃদ্ধ মাকে দেখার কেউ নেই। তার আইনজীবী কম সাজার পক্ষে সওয়াল করেন। যদিও তাতে আপত্তি জানান সরকারি আইনজীবী।

28th     January,   2021
 
 
রাজ্য
 
দেশ
 
বিদেশ
 
খেলা
 
বিনোদন
 
আজকের দিনে
 
রাশিফল ও প্রতিকার
ভাস্কর বন্দ্যোপাধ্যায়
এখনকার দর
দিন পঞ্জিকা
 
শরীর ও স্বাস্থ্য
 
বিশেষ নিবন্ধ
 
সিনেমা
 
প্রচ্ছদ নিবন্ধ