Bartaman Patrika
 

বাংলা নববর্ষ বাঙালি সংস্কৃতি

সপ্তর্ষি চ্যাটার্জি: নববর্ষ আর পয়লা বৈশাখ বলতেই আমাদের আগে কী মনে পড়ে? চৈত্র সেলের শেষলগ্ন, দোকানে দোকানে হালখাতা, বাঙালি খাবার আর ভূরিভোজ, নতুন পোশাক, প্রভাতফেরি, মঙ্গল শোভাযাত্রা আর রবিঠাকুরের গান। বস্তুত, বাঙালিকে বাংলার নববর্ষ পালনের গুরুত্ব বোঝানোর পিছনেও রবীন্দ্রনাথের অবদান অনেকটা। শান্তিনিকেতনে কবিগুরুর উদ্যোগেই সাড়ম্বরে পয়লা বৈশাখ উদযাপনের শুরুয়াত, এ কথা বলতেই হয়। কিন্তু আমাদের অতিপরিচিত এই উদযাপনগুলির বাইরেও বাঙালির পয়লা বৈশাখ আরও কিছু ঐতিহ্যের কথা বলে। ইংরেজি নববর্ষ উদযাপনের বিশ্বব্যাপী আড়ম্বরের পাশে বাংলা বছরের প্রথম দিনের আনুষ্ঠানিক আয়োজন নিতান্ত সাদামাটা মনে হতেই পারে অনেকের কাছে। তবুও কয়েকটি বিষয় একে অনন্য করে তুলেছে, আমাদের অস্তিত্ব আর মৌলিক পরিচয়ের বীজ নিহিত আছে এরই মধ্যে। বছরের প্রথম দিনে আমাদের সাংস্কৃতিক ও বিনোদন জগতের সঙ্গে জড়িয়ে থাকা ক্ষেত্রগুলির কয়েকটির প্রতি আলোকপাত করলেই সেই চিরায়ত চিত্র আমাদের কাছে নতুন রূপে ফুটে ওঠে।
যাত্রাপাড়ায় পয়লা বৈশাখ 
সার্বজনীন বিনোদনের এক আদিরূপ যাত্রাশিল্প। কলকাতার চিৎপুরের ঐতিহ্যবাহী যাত্রাপাড়ায় এই নববর্ষকে ঘিরে দীর্ঘকাল ধরেই একটি প্রথার প্রচলন আছে। সারাবছর রাজ্যের নানা প্রান্তে, মূলত গ্রামে-গঞ্জে এক একটি অপেরার কোন কোন পালা অভিনীত হবে, তার বায়না হওয়া শুরু হয় এই পয়লা বৈশাখ থেকেই। কারণ যাত্রার দিনক্ষণ নির্ধারিত হয় বাংলা দিনপঞ্জি মেনেই। স্বভাবতই সাজ-সাজ রব পড়ে যায় চিৎপুর জুড়ে। বায়নার আগে যে কাজগুলো থাকে সেগুলো তো সারতে হবে। অর্থাৎ নতুন পালার নির্বাচন ও নামকরণ, তার বিজ্ঞাপন, পোস্টার, কাগজে-কাগজে তার সংবাদ জানানো, তারপর মহলার জন্য দিন ঠিক করা, বাড়ি ভাড়া নেওয়া এসবও আছে। বৈশাখ থেকে আষাঢ়, মানে নববর্ষের পয়লা দিন থেকে রথযাত্রা পর্যন্ত এই নিয়ে হুলুস্থুল পড়ে যায় অপেরা মালিকদের মধ্যে। তবে কালের প্রবাহে বিশ্বায়নের আবহে গ্রাম-নগরের ফারাক যত কমে আসছে, টিভির পর্দায় মেগাসিরিয়াল, মুঠোফোন আর আন্তর্জাল দুনিয়াকে যত হাতের মুঠোয় নিয়ে আসছে, বাঙালির বিনোদনের চরিত্রও তেমন করেই বদলাচ্ছে। ফলে যাত্রাদলের সংখ্যা, বছরে পালার অভিনয়ের সংখ্যার ক্ষেত্রেও প্রভাব পড়েছে। তবু সাবেকি ঐতিহ্য মেনে এখনও যাত্রাপাড়ায় পয়লা বৈশাখের গুরুত্ব অপরিসীম।
সিনেমাপাড়ার পয়লা বৈশাখ
বাংলা চলচ্চিত্র জগতের সম্বন্ধে যারা একটু আধটু খবর রাখেন, তাঁরা সবাই জানেন পয়লা বৈশাখে মহরতের ব্যাপারে। সেই নিয়েই দু’চার কথা আলোচনা করি এবার। নববর্ষের শুভলগ্নে এই মঙ্গলময় রীতির সূচনা কবে, তা নিয়ে মতভেদ আছে। তবে বাংলা সবাক চলচ্চিত্র যখন একটু একটু করে জনপ্রিয়তার শিখরে উঠেছে, ব্যবসায়িক সাফল্য লাভ করেছে, তখন থেকেই সম্ভবত এই পয়লা দিনের মহরৎ আর সেইসঙ্গে লক্ষ্মী-গণেশের আরাধনা চালু হয়। কত সব বিখ্যাত ফিল্ম কোম্পানি তখন! তাদের নামজাদা সব স্টুডিও— নিউ থিয়েটার্স, ইন্দ্রপুরী, টেকনিশিয়ান স্টুডিও, অরোরা বা শ্রীভারতলক্ষ্মী পিকচার্‌স, সর্বত্রই বৈশাখের এই পয়লা দিনে উৎসবের মেজাজ ছিল। ফুল-মালায় সাজানো স্টুডিওপাড়ায় সবার জন্য নতুন পোশাক কেনা, কলাকুশলী ও অভিনয় জগতের মানুষদের আমন্ত্রণপত্র পাঠিয়ে আপ্যায়ন করে মিষ্টিমুখ করানো, সবই চলত জোরকদমে। মহরতের একটা বড় অংশ আনুষ্ঠানিক ভাবে নতুন ছবির ক্ল্যাপস্টিক দেওয়া। গণ্যমান্য আমন্ত্রিত ব্যক্তিদের সেই সম্মান দেওয়ার রেওয়াজ ছিল মহরতে। নজরুল ইসলাম, প্রেমেন্দ্র মিত্র, শৈলজানন্দ মুখোপাধ্যায়ের মতো সেকালের নামজাদা সাহিত্যিকরা তো ছিলেনই, এমনকী প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বিধানচন্দ্র রায় অবধি সেই তালিকায় সামিল ছিলেন। শুধু তিনিই নন, আটের দশকের এক পয়লা বৈশাখে শ্রীনিবাস চক্রবর্তীর পরিচালনায় অর্জুন চক্রবর্তী অভিনীত ‘পথের সাথী’ ছবির ক্ল্যাপস্টিক দিতে এসেছিলেন স্বয়ং মাদার টেরেসা, ভাবা যায়! এইসব মুহূর্তগুলোর স্থিরচিত্রও তোলা হতো সাড়ম্বরে। উল্টোরথের মতো পত্রিকায় সেসব দেখতেন চলচ্চিত্রপ্রেমী পাঠক-পাঠিকারা। মহরৎ ছাড়াও নতুন বছরের পয়লা দিনে বিভিন্ন ফিল্ম স্টুডিওর মালিকেরা বড় করে পুজো দিতেন কলকাতায় ছড়িয়ে থাকা নানা মন্দিরে। কেউ কালীঘাট, কেউ দক্ষিণেশ্বর, কেউ বা বাগবাজারের সিদ্ধেশ্বরী কালীমন্দিরে ছুটতেন পুজোর ডালা নিয়ে। পুজোর প্রসাদ নিয়ে আসার পর স্টুডিওতে সবাই মিলে বসে পংক্তিভোজন হতো। সেখানে উপাদেয় আহারাদির অঢেল আয়োজন থাকত। পয়লা বৈশাখে যেসব ছবির মহরৎ আয়োজন করা যেত না, তাঁরা অপেক্ষায় থাকতেন আরেকটি আসন্ন শুভদিন অক্ষয় তৃতীয়ার। তবে একটা কথা স্বীকার না করলেই নয়, টলিপাড়ার পয়লা বৈশাখ বা অক্ষয় তৃতীয়ার দিন মহরৎ হওয়া এইসব চলচ্চিত্রের মধ্যে সবগুলি কিন্তু প্রকাশের আলো দেখত না। নানারকম জটিলতায়, অর্থনৈতিক টানাপোড়েন বা নির্মাতাদের আভ্যন্তরীন মতভেদে কিছু ছবি রিলিজ হতে পারত না, কিছুর আবার শ্যুটিং-ই সম্পূর্ণ করা যেত না। তবু সূচনার এই অনুষ্ঠানের আয়োজনে আজও কখনও খামতি রাখেন না আয়োজকেরা।   
বইপাড়ার পয়লা বৈশাখ 
পয়লা বৈশাখে নতুন প্রকাশিত বইপত্র বলতে যদি শুধুই বাংলা ক্যালেন্ডার আর বটতলার পঞ্জিকার কথা মনে আসে, তাহলে মুশকিল। কারণ দীর্ঘকাল ধরে গোটা কলেজ স্ট্রিট বইপাড়াটাই বাংলা নববর্ষকে ঘিরে বিশেষভাবে সেজে ওঠে। লেখক-পাঠক-প্রকাশক সমাবেশ, নতুন বই ও নববর্ষ উপলক্ষে বিশেষ পত্রিকা প্রকাশ, মিষ্টিমুখ নিয়ে সে একেবারে হই-হই কাণ্ড! একসময় এই পয়লা বৈশাখের দিনই ছিল বই এবং বইপ্রেমী মানুষদের সবচেয়ে বড় উদযাপন বা উৎসব। স্বাধীনতার আগে, তিনের দশক থেকেই বর্ষবরণের একাধিক ক্রোড়পত্র প্রকাশের চল হয়। ১৯৪১ সালে ‘হালখাতা’ নামের একটি পত্রিকাও প্রকাশিত হতো এই দিনে। তবে আন্তর্জাতিক কলকাতা বইমেলা চালু হওয়ার পর ছবিটা একটু একটু করে বদলায়। পয়লা এপ্রিল থেকে শুরু হওয়া অর্থবর্ষের হিসেব মেনে ব্যবসায়িক লেনদেনের ক্ষেত্রে ধার-বাকি, হালখাতার প্রয়োজন ক্রমশ ফুরিয়ে এসেছে এখন। তবুও ঐতিহ্য আর বনেদিয়ানাকে বজায় রাখতে এখনও যথেষ্ট গুরুত্ব দিয়েই নববর্ষ পালিত হয় বইপাড়ায়। মিত্র-ঘোষ, দে’জ, পত্রভারতী, দেব সাহিত্য কুটির সহ বিভিন্ন প্রকাশনা সংস্থার ঘরে বৈশাখের পয়লা দিনে শরবত, ডাবের জল, রকমারি মিষ্টি আর অন্যান্য উপাদেয় খাবার-দাবার নিয়ে জমজমাট আয়োজনের রেওয়াজ বহুদিনের। নববর্ষে বইপাড়ায় বিখ্যাত লেখকদের সমাবেশে এককালে বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়, তারাশঙ্কর বন্দ্যোপাধ্যায়, সমরেশ বসু, অচিন্ত্যকুমার সেনগুপ্ত, প্রমথনাথ বিশি প্রমুখরা চারদিক আলো করে থাকতেন। ক্রমে পরম্পরা অনুসারে সেই স্থলাভিষিক্ত হয়েছেন শঙ্খ ঘোষ, সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়, শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায়, সমরেশ মজুমদার, প্রফুল্ল রায় বা সঞ্জীব চট্টোপাধ্যায়দের মতো দিকপাল সাহিত্যিকরা। সেই ট্র্যাডিশন কিন্তু সমানে চলছে! ১৯৭৬-এ প্রথমবার আয়োজিত কলকাতা বইমেলার জনপ্রিয়তা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বাংলার প্রকাশকরাও ক্রমে নববর্ষের তুলনায় কলকাতা বইমেলাতেই বই প্রকাশকে প্রাধান্য দিয়ে আসছেন।  
ব্যবসায়িক দিকটা মাথায় রেখেই এই সিদ্ধান্ত নিঃসন্দেহে। সেরা বই উৎসবের দাবিদার হওয়ার ক্ষেত্রে বইপাড়া একটু পিছিয়ে পড়লেও গ্রীষ্মের দাবদাহকে উপেক্ষা করে পুরনো ঐতিহ্যের পালনে বইপাড়া পিছপা হয় না এখনও।  
অধিকাংশ প্রকাশক বেশিরভাগ বই বইমেলায় প্রকাশ করলেও নববর্ষেও কিছু নতুন বই প্রকাশ করেন। তবে সেটাও কিছু শর্ত মেনে। নববর্ষের এই উদযাপনে প্রকাশকদের আমন্ত্রণ পেয়ে দূর-দূরান্ত থেকে বইপ্রেমীরা আসেন, কেউ আবার মিষ্টিমুখের পাশাপাশি প্রিয় লেখকের সঙ্গে সেলফি তোলেন, নতুন বইতে তাঁদের সই সংগ্রহ করে নেন। 
লেখকরাও হাসিমুখে সেইসব আবদার মিটিয়ে দেন এই শুভদিনে। নববর্ষ পাবলিশার্স অ্যান্ড বুকসেলারস বুকসেলার্স গিল্ডের তরফ থেকে বইপাড়ায় কলেজ স্কোয়ারে একটা ছোট আকারের বইমেলা করারও উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে কয়েক বছর যাবৎ। যদিও চলতি বছরে বসন্তেই তার উদযাপন হয়ে গেছে। 

বেতার ও দূরদর্শনে পয়লা বৈশাখ
স্বাধীনতার আগের কথা। ১৯৪১ সাল। রবিঠাকুর তখনও আমাদের মধ্যে আছেন। আকাশবাণী কলকাতার উদ্যোগে নববর্ষের পুণ্যপ্রভাতে ১৪ এপ্রিল ভোরে সম্প্রচারিত হল এক বিশেষ গীতি আলেখ্য ‘প্রথম প্রভাত’।
মহিষাসুরমর্দিনীর অনন্য জুটি বাণীকুমার-বীরেন্দ্রকৃষ্ণ ভদ্রের যুগলবন্দিতেই এই বিশেষ নববর্ষ অনুষ্ঠানের আয়োজন হয়েছিল। কিন্তু যে কোনও কারণেই হোক, শ্রোতাদের কাছে সেই অনুষ্ঠান তেমন গ্রহণযোগ্যতা পায়নি। হয়তো পয়লা বৈশাখের মাহাত্ম্য তখনও আপামর বাঙালির চেতনায় জাগ্রত হয়নি। তাই বেতারে পরবর্তীকালে এই বিশেষ দিন উপলক্ষ্যে গান, কবিতাপাঠ বা কথিকার আয়োজন হলেও এই ধরনের বড় অনুষ্ঠানের সেটিই প্রথম ও শেষ উদাহরণ।
তবে ১৯৭৫-এর অগস্ট মাসে কলকাতা দূরদর্শনের সূচনা হওয়ার পর থেকে সেখানে ‘নববর্ষের বৈঠক’ এবং পরে একবিংশ শতকের দোরগোড়ায় আরও অজস্র বাংলা টেলিভিশন চ্যানেলের জন্ম হওয়ার পর পয়লা বৈশাখের সকালে একাধিক মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান সম্প্রচারের একটা রেওয়াজ দেখা গেছে। বৈঠকি আড্ডার মেজাজে বাংলা সাহিত্য সংস্কৃতি জগতের বিশিষ্ট ব্যক্তিদের নানা গান-কবিতা পরিবেশন বা এই বিশেষ দিনের স্মৃতিচারণ করতে দেখে আসছি আমরা এই বিশেষ দিনে। 
১৯৭৬-এর পয়লা বৈশাখে দূরদর্শনের পর্দায় প্রথম ‘নববর্ষের বৈঠক’ আয়োজনের উদ্যোগ নিয়েছিলেন কলকাতা দূরদর্শনের প্রাক্তন অধিকর্তা পঙ্কজ সাহা। জ্ঞানপ্রকাশ ঘোষ, আঙ্গুরবালা দেবী বা সুপ্রীতি ঘোষের মতো সঙ্গীতজগতের স্বনামধন্য ব্যক্তিত্বরা অংশগ্রহণ করেছিলেন সেই সান্ধ্য-অনুষ্ঠানে। কয়েক বছর পরে অবশ্য এই অনুষ্ঠান সময় বদলে সকালেই সম্প্রচারিত হওয়া শুরু করে। নবীন-প্রবীণ শিল্পী-গায়ক-লেখকদের এই মজলিশ বিগত কয়েক দশক ধরেই বাঙালির পয়লা বৈশাখ উদযাপনের অন্যতম সঙ্গী।

       
14th  April, 2024
পয়লা বৈশাখ আজও বাঙালিরই আছে

পুরনো সময়কে পাশে সরিয়ে রেখে আরও একটি নতুন বছর। বাংলা নববর্ষের সঙ্গে দুনিয়ার সব প্রান্তে ছড়িয়ে থাকা বাঙালির এক আত্মার টান। নব উদ্দীপনা, নব আনন্দের এই জোয়ারে নতুনকে বরণ করে নিতে তৈরি বাংলা সংস্কৃতি জগতের খ্যাতনামা ব্যক্তিত্বরাও। কেউ ফিরে গিয়েছেন পুরনো দিনে। কেউ আবার বলেছেন নতুন ও পুরনোর মেলবন্ধনের কথা। বাদ যায়নি ভূরিভোজ থেকে হালখাতার স্মৃতিরোমন্থনও। বিশদ

14th  April, 2024
হে নূতন

একটি নরম ভোর। নির্মল। স্নিগ্ধ। জানলা খুললেই মুখের উপর ছড়িয়ে পড়ে আলো। গাছের পাতায় লাগে মৃদু হাওয়া। ভেসে বেড়ায় অচেনা গন্ধ। মুখর হয় কোকিলের কুহুতানে।
বিশদ

14th  April, 2024
এক বৈশাখে

প্রসাদি থালা হাতে ঠাকুরঘর থেকে নামার সময় সিঁড়ির শেষ ধাপে এসে হঠাৎই ব্যালান্স হারিয়ে পড়ে গেল মানসী। ঠিক পড়ল না, পড়তে পড়তেও সিঁড়ির রেলিং ধরে ফেলায় পতন খানিকটা স্লো মোশানে হল। তবে মানসী চিৎকারে কোনও খামতি রাখল না। রান্নাঘর থেকে সরমা আঁচলে হাত মুছতে মুছতে ছুটে এল। জিষ্ণুও নিজের ঘর থেকে বেরিয়ে এল। 
বিশদ

14th  April, 2024
চৈত্রের চিঠি
 

ওহ সরি, তোর এত সুন্দর নামটা...সেই বার বার বুঁচকি বলেই ডেকে ফেলি।  আসলে ঐন্দ্রিলা বললে না, তোকে কেমন পর পর লাগে।  যাই হোক, তুই যখন এই চিঠি পাবি, তখন তোর বাবা আর মা পরামর্শ করে আমাকে তোদের বাড়ি থেকে তাড়িয়ে দিয়েছে।  
বিশদ

14th  April, 2024
গাজন মেলার পালা

এই সময় অর্থাৎ চৈত্রমাস পড়লেই আমাদের ‘আকুপাকু মন’ সেই ছেলেবেলায়, কিশোরবেলার দিনে ফিরে যেত। শুধু কী মন, আমাদের সঙ্গে সঙ্গে প্রকৃতিও যেন ফিরে যেত অন্য এক সম্পূর্ণ নতুন প্রকৃতি রচনায়। যেদিকে তাকাও লালে লাল। পলাশ শিমুলের কী মোহময় বাহার।
বিশদ

14th  April, 2024

Pages: 12345

একনজরে
নির্বাচনী কাজে চরম ব্যস্ততা রয়েছে পুলিসের। এছাড়া ভোট আবহে নিত্যদিন বিভিন্ন সভা থেকে মিছিলে নিরাপত্তার ব্যবস্থা সহ নাকা চেকিংয়ে চরম ব্যস্ত পুলিস-প্রশাসন ...

পিছনে লেগে রয়েছে ইডি। চীনা ভিসা দুর্নীতি মামলায় ৫০ লক্ষ টাকা ঘুষ নেওয়ার অভিযোগে চার্জশিটও জমা পড়েছে আদালতে। রাহুল গান্ধী সহ কংগ্রেসের শীর্ষ নেতৃত্বের সমালোচনা ...

আকাশপথে ইউক্রেনে হামলা চালাল রাশিয়া। এবার বেলারুশ সীমান্তবর্তী চেরনিহিভ শহরের একটি আটতলা ভবনকে নিশানা করে মিসাইল ছোড়ে পুতিনের দেশ। এই হামলায় ১৩ জন সাধারণ নাগরিক ...

প্রথম দফার ভোটে প্রচার পর্ব শেষ হয়েছে বুধবার বিকেলেই। অথচ পশ্চিমবঙ্গের তিনটি আসনের জন্য দলীয় প্রার্থীদের সমর্থনে সভা করলেন না বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জগৎপ্রকাশ নাড্ডা। অদ্ভুতভাবে বাংলার প্রথম দফার ভোটে ব্রাত্য রইলেন হিন্দুত্বের ‘পোস্টার বয়’ যোগী আদিত্যনাথ। ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

রাজনীতিক ও পেশাদারদের ব্যস্ততা বাড়বে। বয়স্করা শরীর স্বাস্থ্যের প্রতি যত্ন নিন। ধনযোগ আছে। ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

বিশ্ব ঐতিহ্য দিবস
১৮০৯: ইউরেশীয় কবি, যুক্তিবাদী চিন্তাবিদ ও শিক্ষক হেনরি লুই ভিভিয়ান ডিরোজিওর জন্ম
১৮৫৩: এশিয়ায় প্রথম ট্রেন চালু হয়
১৮৮৮: সাহিত্যিক হেমেন্দ্রকুমার রায়ের জন্ম
১৯১৬: অভিনেত্রী ললিতা পাওয়ারের জন্ম
১৯৩০: ব্রিটিশবিরোধী সশস্ত্র সংগ্রামে অংশ নিয়ে মাস্টারদা সূর্য সেনের নেতৃত্বে বিপ্লবীরা চট্টগ্রাম অস্ত্রাগার দখল করে
১৯৫৫ - নোবেল পুরস্কার বিজয়ী মার্কিন পদার্থ বিজ্ঞানী আলবার্ট আইনস্টাইনের মৃত্যু
১৯৫৮ - ওয়েস্ট ইন্ডিয়ান ক্রিকেটার ম্যালকম মার্শালের জন্ম
১৯৬২: অভিনেত্রী পুনম ধিলনের জন্ম
১৯৬৩: ওয়েস্ট ইন্ডিজের ক্রিকেটার ফিল সিমন্সের জন্ম
১৯৭১: কলকাতায় বাংলাদেশ মিশনে প্রথমবারের মতো বাংলাদেশের পতাকা উত্তোলন
১৯৮০: জিম্বাবুইয়ে স্বাধীনতা লাভ করে
১৯৮১: সুরকার, গীতিকার ও লোকগীতি শিল্পী তথা বাংলার লোকসঙ্গীতের প্রসারে ও প্রচারে যাঁর অবদান অসীম সেই নির্মলেন্দু চৌধুরীর মৃত্যু
১৯৮৬:  স্বাধীনতা আন্দোলনের একজন ব্যক্তিত্ব, ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেসের নেতা, লোকসভার প্রাক্তন সদস্য অতুল্য ঘোষের মৃত্যু
১৯৯২: ক্রিকেটার কেএল রাহুলের জন্ম



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৮৩.০৩ টাকা ৮৪.১২ টাকা
পাউন্ড ১০২.৫৫ টাকা ১০৫.১৬ টাকা
ইউরো ৮৭.৪৮ টাকা ৮৯.৮৯ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
17th  April, 2024
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৭৪,৩৫০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৭৪,৭০০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৭১,০০০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৮৪,১০০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৮৪,২০০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

৫ বৈশাখ, ১৪৩১, বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৪। দশমী ৩০/৩৫ অপরাহ্ন ৫/৩২। অশ্লেষা নক্ষত্র ৬/৩৮ দিবা ৭/৫৭। সূর্যোদয় ৫/১৭/৪৩। সূর্যাস্ত ৫/৫৪/১৬। অমৃতযোগ রাত্রি ১২/৪৪ গতে ৩/১ মধ্যে। মাহেন্দ্রযোগ প্রাতঃ ৬/৫৯ মধ্যে পুনঃ ১০/২০ গতে ১২/৫২ মধ্যে। বারবেলা ২/৪৫ গতে অস্তাবধি। কালরাত্রি ১১/৩৫ গতে ১/০ মধ্যে। 
৫ বৈশাখ, ১৪৩১, বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৪। দশমী রাত্রি ৭/৫। অশ্লেষা নক্ষত্র দিবা ৯/৫২। সূর্যোদয় ৫/১৮, সূর্যাস্ত ৫/৫৬। অমৃতযোগ রাত্রি ১২/৪০ গতে ২/৫৩ মধ্যে। মাহেন্দ্রযোগ দিবা ৬/৪৬ মধ্যে ও ১০/১৫ গতে ১২/৫১ মধ্যে। কালবেলা ২/৪৬ গতে ৫/৫৬ মধ্যে। কালরাত্রি ১১/৩৭ গতে ১/২ মধ্যে। 
৮ শওয়াল।

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
আইপিএল: পাঞ্জাবকে ৯ রানে হারাল মুম্বই

11:50:54 PM

আইপিএল: ২১ রানে আউট হরপ্রীত ব্রার, পাঞ্জাব ১৮১/৯ (১৯ ওভার) টার্গেট ১৯৩

11:46:48 PM

আইপিএল: ৬১ রানে আউট আশুতোষ শর্মা, পাঞ্জাব ১৬৮/৮ (১৭.১ ওভার) টার্গেট ১৯৩

11:36:00 PM

আইপিএল: ২৩ বলে হাফসেঞ্চুরি আশুতোষ শর্মার, পাঞ্জাব ১৫১/৭ (১৫.৩ ওভার) টার্গেট ১৯৩

11:22:48 PM

আইপিএল: ৪১ রানে আউট শশাঙ্ক সিং, পাঞ্জাব ১১১/৭ (১২.১ ওভার) টার্গেট ১৯৩

11:02:15 PM

আইপিএল: ৯ রানে আউট জীতেশ শর্মা, পাঞ্জাব ৭৭/৬ (৯.২ ওভার) টার্গেট ১৯৩

10:48:50 PM