গৃহে শুভকর্মের প্রস্তুতি ও ব্যস্ততা। হস্তশিল্পীদের নৈপুণ্য ও প্রতিভার বিকাশে আয় বৃদ্ধি। বিদ্যায় উন্নতি। ... বিশদ
এমনিতে দুর্গাপুজোর পর ব্যাপক বৃষ্টিতে চাষিদের মাথায় হাত পড়েছিল। বিঘার পর বিঘা ধানজমি জলের নীচে চলে যায়। তারপর আলুবীজ লাগানোর সময়েও জমিতে জল দাঁড়িয়ে থাকায় অনেক জমির আলুবীজ পচে নষ্ট হয়ে যায়। তবুও সবকিছু উপেক্ষা করে চাষিরা আলু ও সর্ষে লাগান। শীত পড়ার সঙ্গে আলুগাছের বৃদ্ধি হতে থাকে। কিন্তু বীরভূম, মুর্শিদাবাদ সহ আশপাশের জেলাগুলিতে এদিন ভোর থেকেই ঝিরঝিরে বৃষ্টি শুরু হয়েছে। আবহাওয়া দপ্তরের পূর্বাভাস পেয়ে বীরভূম জেলা কৃষিদপ্তর আগেভাগেই চাষিদের সতর্ক করেছে।
জেলা কৃষিদপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, বীরভূম জেলায় এবার ২১হাজার হেক্টর জমিতে আলু চাষ হয়েছে। মূলত নলহাটি-১, রামপুরহাট-১, ময়ূরেশ্বর-১ সহ আশেপাশের ব্লকগুলিতে আলু, সর্ষে চাষ হয়েছে। ধান ওঠার পর আলু ছাড়াও অনেকে চাষি সর্ষে চাষও করেছেন। এমনিতে বৃষ্টির কারণে অনেক দেরিতে রবি ফসল চাষ হয়েছে। বিঘার পর বিঘা জমিতে আলু রয়েছে। বেশিরভাগ জমিতেই আলু তুলতে এখনও অনেক দেরি। এই অবস্থায় বৃষ্টির ফলে স্যাঁতস্যাঁতে আবহাওয়ায় আলুতে নাবি ধসার আশঙ্কা রয়েছে। এছাড়াও সর্ষের ডাঁটায় বৃষ্টির জল লাগায় মরিচা রোগের আশঙ্কা থেকেই যাচ্ছে। ফসলের জমিতে যাতে জল না জমে সেজন্য আগেভাগে কিছু চাষি নালা কেটে জল বের করার ব্যবস্থা করেছেন। পাশাপাশি রাজ্য সরকারের শস্যবিমায় বীরভূমে খুব অল্প আলু চাষিই আবেদন করেছিলেন। আলুতে মাত্র ৭৫০জন চাষি শস্যবিমার জন্য আবেদন করেছেন। বিমা না থাকায় এখন অনেকেই আঙুল কামড়াচ্ছেন। জেলার আলুচাষি গোবিন্দ রুইদাস বলেন, আর দু’দিন বৃষ্টি হলে জমির আলু জমিতেই থেকে যাবে। এবার ফলনও ভালো হবে বলে মনে হচ্ছে না। বীরভূমের উপ কৃষি অধিকর্তা (প্রশাসন) একেএম মিনাজুর আহসান বলেন, শেষ পাওয়া খবর পাওয়া পর্যন্ত মাত্র দু’মিলিমিটারের মতো বৃষ্টি হয়েছে। কিন্তু আবহাওয়া খুব স্যাঁতস্যাঁতে রয়েছে। রবিবার সারাদিনই কুয়াশার মতো বৃষ্টি হয়েছে। এতে আলুর নাবিধসার আশঙ্কা থাকছে। তেমনই সর্ষে সহ অনান্য সব্জির ক্ষেত্রেও ক্ষতি হতে পারে। কয়েকদিন আগে কৃষিদপ্তর থেকে কী কী কীটনাশক স্প্রে করতে হবে, তা নিয়ে চাষিদের আগাম জানিয়ে দেওয়া হয়েছে।
মুর্শিদাবাদ জেলা পরিষদের কৃষি কর্মাধ্যক্ষ শাহনাজ বেগম বলেন, আলুতে ধসা রোগ দেখা দেবে বলে মনে হচ্ছে। এইসময় বৃষ্টি, কুয়াশা ও এই আর্দ্র আবহাওয়া আলুর ফলনে ব্যাপক প্রভাব ফেলবে। এছাড়া সর্ষে, ছোলা, পেঁয়াজ, ফুলকপি, বাঁধাকপি, আলু, মসুরডাল, খেসারি ডাল চাষের ক্ষেত্রেও এই বৃষ্টি অত্যন্ত ক্ষতিকর।