বিদ্যা ও কর্মে উন্নতির যুগ অর্থকরি দিকটি কমবেশি শুভ। মানসিক চঞ্চলতা ও অস্থিরতা থাকবে। স্বাস্থ্যের ... বিশদ
কৃষি বিশেষজ্ঞরা বলছেন, চিনাবাদামের গাছ বড় হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ভাইরাস ও ছত্রাকঘটিত রোগের আক্রমণের আশঙ্কা থাকে। ফলে সুসংহত শস্য সুরক্ষার দিকে বিশেষভাবে নজর দিতে হবে। নতুবা ক্ষতির সম্ভাবনা থেকে যাবে। বিধানচন্দ্র কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপকরা জানিয়েছেন, চিরুণি পোকার মাধ্যমে চিনাবাদামে ভাইরাসঘটিত রোগের আক্রমণ ঘটে থাকে। এই রোগের কারণে গাছের পাতা মোজাইকের মতো হয়ে যায়। হলদে ভাব দেখা দেয় পাতায়। ফ্যাকাসে লাগে। পাতা ছোট হয়ে যায়। গাছের বৃদ্ধি ব্যাহত হয়। আক্রান্ত গাছ থেকে রস শুষে খায় চিরুণি পোকা। তার পর অন্য সুস্থ গাছে গিয়ে বসে। ফলে সেই গাছটিও আক্রান্ত হয়। এ ধরনের রোগ প্রতিরোধে থায়োমিথোক্সাম ১ গ্রাম ৩ লিটার জলে গুলে বা ডাইমিথোয়েট ২ মিলি প্রতি লিটার জলে গুলে কিংবা ইমিডাক্লোরোপ্রিড ১ মিলি ৩ লিটার জলে গুলে গাছে স্প্রে করতে হবে।
এছাড়াও চিনাবাদাম গাছে গোড়াপচা রোগ দেখা যায়। শিকড় ও মাটির সংযোগস্থলে তুলো এবং সর্ষে দানার মতো দেখতে পাওয়া যায়। গাছ তুললে দেখা যায় শিকড় পচে গিয়েছে। কৃষিবিদদের সুপারিশ অনুযায়ী, এই রোগ প্রতিরোধে ব্যবস্থা নিতে হবে। এটি ভাইরাসঘটিত রোগ। মাটিতে যদি ওই রোগের জীবাণুর উপস্থিতি থাকে এবং মাটিতে রস বেশি থাকলে রোগ দ্রুত ছড়ায়। প্রতিকার হিসেবে থায়োফেনেট মিথাইল ৭০ শতাংশ ১ গ্রাম ও ক্লোরোথ্যালোনিল ৭৫ শতাংশ ২ গ্রাম মাত্রায় ১ লিটার জলে মিশিয়ে আক্রান্ত গাছের গোড়ায় ও তার আশপাশে প্রয়োগ করতে হবে। চিনাবাদাম গাছের বয়স ৫০-৫৫ দিন হলে ছত্রাকঘটিত টিক্কা রোগের আক্রমণ দেখা দিতে পারে। জলদি টিক্কা আবার নাবি টিক্কা হতে পারে। অর্থাৎ রোগের উপসর্গ নির্দিষ্ট সময়ের আগেও দেখা যেতে পারে আবার পরেও দেখা যেতে পারে। এই রোগের আক্রমণে প্রথমে পাতায় বাদামি টিপের মতো দাগ দেখা যায়। পরে একটির সঙ্গে একটি দাগ মিশে গিয়ে বড় হতে থাকে। আক্রান্ত পাতা শুকিয়ে যায়।
গাছের বৃদ্ধি বন্ধ হয়ে যায়। যেহেতু পাতা নষ্ট হয়ে যায়, ফলে গাছের খাদ্য তৈরির প্রক্রিয়া ব্যাহত হয়। এই রোগের কারণে ফলন ৫০ শতাংশ পর্যন্ত মার খেতে পারে। প্রতিকার হিসেবে ম্যানকোজেব ৭৫ শতাংশ আড়াই গ্রাম ১ লিটার জলে গুলে বা কার্বেন্ডাজিম ৫০ শতাংশ ১ গ্রাম ১ লিটার জলে গুলে গাছে স্প্রে করা যেতে পারে। এর ১৫ দিন পর ক্লোরোথ্যালোনিল ৭৫ শতাংশ ২ গ্রাম প্রতি লিটার জলে গুলে প্রয়োগ করতে পারেন কৃষক। কখনও চড়া রোদে কীটনাশক বা রোগনাশক প্রয়োগ করা উচিত নয়। বিকেলের দিকে ওষুধ প্রয়োগ করতে হবে।