কর্মের উন্নতি হবে। হস্তশিল্পীদের পক্ষে সময়টা বিশেষ ভালো। ডাক্তার ইঞ্জিনিয়ারদের কর্মের প্রসার। আর্থিক দিকটি অনুকূল। ... বিশদ
৩৫বছরের সিনেমার কেরিয়ারে ৩০বছর ধরেই পর্দায় মাতৃত্বের একঘেয়েমি কি এমন সিদ্ধান্তের কারণ? লাবণীর উত্তর, ‘একটা বয়সের পর সম্পূর্ণ অন্য জীবন যাপন করার স্বপ্ন ছিলই। বেশ কিছুদিন ধরেই মানসিকভাবে নিজেকে প্রস্তুত করছি। ছবির সংখ্যা অনেক কমিয়ে দিয়েছি।’ কিন্তু অভিনয়ের বাইরে কী করতে চান? অভিনেত্রী জানালেন, প্রান্তিক শিশুদের কল্যাণে কাজ করতে চান তিনি। অভিনয় থেকে কি অবসর নেবেন? তাঁর কথায়, ‘সিরিয়াল করা ছেড়ে দিয়েছি। যে কাজটা করতে ইচ্ছে করে ওইটুকু করি। অভিনয় আমার জীবনের একটা অংশ। সবকিছু নয়।’
দীর্ঘ অভিনয় জীবনে পেশাগত কোনও অসন্তুষ্টি কি তৈরি হয়েছে? ক্ষোভ উগরে লাবণী বলেন, ‘আমাদের ইন্ডাস্ট্রির অবস্থা খুব খারাপ। ক্রিয়েটিভিটিটাই নষ্ট হয়ে গেছে। অরিজিনালিটির এতো অভাব। কেন জানি না! যথেষ্ট শিক্ষিত ডিরেক্টর কিন্তু আমাদের ইন্ডাস্ট্রিতে আছেন। অথচ দৃষ্টিভঙ্গি খুব সংকীর্ণ হয়ে গিয়েছে। এই অবক্ষয়ের জন্য দায়ী রাজনীতি। এত ঘৃণা নিয়ে কোনও ক্রিয়েটিভ ওয়ার্ল্ড চলতে পারে না। আর এই রাজনীতির শিকার আমরা। যারা কোনও দিন কোনও দলে যোগ দিইনি।’
অভিনয় জগৎ থেকে সরে আসার এটাই কি সবচেয়ে বড় কারণ? লাবণীর উত্তর, ‘আর কোনও ঘেরাটোপের মধ্যে জীবনযাপন করতে চাইছি না। ভালোবেসে অভিনয় করতে এসেছিলাম। এবার সেই ভালোবাসাটাকে যদি অন্য কিছুতে নিয়ে যাওয়া যায়, তার চেষ্টা করছি।’