পারিবারিক সম্পত্তির বেচাকেনায় অর্থাগম। ব্যয় বৃদ্ধির চাপ আসতে পারে। মনে অস্থিরতা। ... বিশদ
চরিত্রের সঙ্গে মিল
‘উড়ান’-এর হাত ধরেই টেলিভিশনে রত্নপ্রিয়ার যাত্রা শুরু। প্রথম অভিনয় হলেও কোনও সমস্যা হয়নি। কারণ পূজারিণী চরিত্রটি নাকি অনেকটা তাঁরই মতো। ‘অনেক সময়ই মনে হয়েছে, আমি পূজারিণীর জায়গায় থাকলে ঠিক একই কাজ করতাম। তাই আলাদা করে অভিনয় করতে হয়নি, রিঅ্যাক্ট করেছি শুধু। যেমন আমার সামনে কেউ কাউকে অপমান করলে, আমি তার প্রতিবাদ করি’, বললেন রত্নপ্রিয়া।
সম্পর্ক
ধারাবাহিকের গল্প অনুযায়ী পূজারিণী পরিবারের সকলকে নিয়ে থাকতে ভালোবাসে। লড়াকু মেয়েটি মাঠ ছেড়ে পালিয়ে যাওয়ায় বিশ্বাসী নয়। সহজেই মানুষকে ভালোবেসে আপন করে নেওয়ার ক্ষমতা তার রয়েছে। প্রথম কাজেই এমন চরিত্র পেয়ে খুশি রত্নপ্রিয়া। তাঁর কথায়, ‘পূজারিণী যখন ব্যবসা করত, আশেপাশের সব ব্যবসায়ীকেই নিজের পরিবারের মানুষ বলে মনে করত।’ বাস্তবেও সহশিল্পী থেকে মেকআপ আর্টিস্ট, সকলের সঙ্গেই মধুর সম্পর্ক রত্নপ্রিয়ার। তাঁর কথায়, ‘শ্যুটিংয়ে আমি দিনের অনেকটা সময় কাটাই, তাই এটাই আমার পরিবার।’
সোশ্যাল মিডিয়ার প্রভাব
সোশ্যাল মিডিয়া এখন জীবনের খুব গুরুত্বপূর্ণ অংশ। কিন্তু রত্নপ্রিয়ার ব্যক্তি বা পেশাগত জীবনে তার খুব একটা গুরুত্ব নেই। ফলে সোশ্যাল মিডিয়ার প্রশংসা বা সমালোচনা কোনওটাই তাঁর উপর প্রভাব ফেলতে পারে না। স্পষ্ট বললেন, ‘সোশ্যাল মিডিয়াতে আমি খুব একটা সক্রিয় নই। আমি শুধু পোস্ট শেয়ার করি। এর বাইরে সময়ও পাই না। মাঝে মাঝে কমেন্ট পড়ি। ভালো প্রতিক্রিয়াই পেয়েছি। এখনও নেগেটিভ কমেন্ট আমার সেভাবে চোখে পড়েনি।’
নাচের প্রতি আগ্রহ
ছোট থেকেই শাস্ত্রীয় নৃত্যের তালিম নিয়েছেন রত্নপ্রিয়া। বর্ষীয়ান নৃত্যশিল্পী তনুশ্রী শঙ্করের কাছে নাচ শিখেছেন দীর্ঘদিন। কোরিওগ্রাফার হওয়ার ইচ্ছে ছিল একসময়। কিন্তু এক বন্ধুর কাছ থেকে মিউজিক ভিডিও করার অফার আসে। আর তাতেই বদলে যায় ভাগ্যের চাকা। বললেন, ‘মিউজিক ভিডিওটি করে আমার খুব ভালো লাগে এবং অভিনয়ের প্রতি একটা আগ্রহ জন্মায়। তখন মনে হয়, যেটা ভালোবেসে করতে পারব সেটাই যদি পেশা হয়, তাহলে ভালোই হবে।’
রিপোর্ট কার্ড
ধারাবাহিকের ভাগ্য অনেকটাই সাপ্তাহিক টিআরপি-র উপর নির্ভরশীল। সবে কেরিয়ার শুরু করলেও সে বিষয়ে ওয়াকিবহাল রত্নপ্রিয়া। তিনি বললেন, ‘টিআরপি অনেক কিছুর উপর নির্ভর করে। অভিনয়, পরিচালনা, ক্যামেরা— এই সবটা নিয়েই টিআরপি। টিআরপি কমে গেলে একটু মন খারাপ হয়। তবে আমার কাছে প্রত্যেক দিনের কাজটা ভীষণ গুরুত্বপূর্ণ। নিজেকে প্রতিদিন কতটা উন্নত করতে পারছি, সেটা আমার কাছে টিআরপি থেকেও বেশি গুরুত্বপূর্ণ।’