ভারতীয় শাস্ত্রীয় সঙ্গীত-নৃত্য গোটা বিশ্বে সমাদৃত। সংস্কৃতির সেই বৈচিত্র্যময় ধারাকে এগিয়ে নিয়ে চলেছে ইন্দ্রধনু। দেখতে দেখতে ১৫ বছরে পা দিল সঙ্গীতের এই স্বনামধন্য প্রতিষ্ঠান। সেই উপলক্ষ্যে বাংলা তথা ভারতের বিভিন্ন প্রান্তে একাধিক অনুষ্ঠান করেছে এই সংস্থা। সম্প্রতি কলকাতার রোটারি সদনে ছিল তারই গ্ৰ্যান্ড ফিনালে। সহযোগিতায় লেজেন্ডস অব ইন্ডিয়া। সুর-ছন্দের এই আসরে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশিষ্ট চলচ্চিত্র পরিচালক গৌতম ঘোষ। তিনি বলেন, ‘ছোটবেলায় ভাইবোনে মিলে একসঙ্গে সরগম শিখেছি। এর মাধ্যমে ভালো মানুষ হওয়ার শিক্ষা পেয়েছি। আজ সময়ের সঙ্গে অনেককিছুই বদলেছে। তবে সাত সুর আর পাঁচটা কোমল পাল্টায়নি।’ সান্ধ্যকালীন অনুষ্ঠানের শুভ সূচনা করেন কত্থক শিল্পী লাবণী মোহান্ত। শিব বন্দনা দিয়ে শুরু করেন নৃত্যানুষ্ঠান। তারপর ঝাঁপতালে বেশ কয়েকটি বোল, টুকরা, তেহাই পরিবেশন করেন। নৃত্যের মাধ্যমে ফুটিয়ে তুললেন শকুন্তলা দুষ্মন্তের কালদয়ী কাহিনি। শিল্পীকে সঙ্গত করেছেন রোহেন বোস, জয়ন্ত বন্দ্যোপাধ্যায় ও ডঃ অরিন্দম ভট্টাচার্য।
এরপরেই সেতারে মাইহার ঘরানার ঐতিহ্যকে তুলে ধরেন পণ্ডিত দেবপ্রসাদ চক্রবর্তী। পরিবেশন করেন রাগ মারওয়া। আলাপ, জোড়, ঝালার পর তিন তালের বেশ কয়েকটি বন্দিশ বাজিয়ে শোনান। তানকারি, লয়কারির পাশাপাশি গমকের কাজ শ্রোতাদের মন জয় করে নিয়েছে। তবলায় সৌরভ গোহোর সঙ্গত অনবদ্য। অনুষ্ঠানের শেষ শিল্পী ছিলেন বিশিষ্ট হারমোনিয়াম শিল্পী পণ্ডিত জ্যোতি গোহো। পরিবেশন করেন রাগ যোগ, হংসধ্বনি। তবলায় পণ্ডিত অরূপ চট্টোপাধ্যায়েয় উপস্থিতি অনুষ্ঠানকে উপভোগ্য করে তোলে।
সায়নদীপ ঘোষ