কর্মের উন্নতি হবে। হস্তশিল্পীদের পক্ষে সময়টা বিশেষ ভালো। ডাক্তার ইঞ্জিনিয়ারদের কর্মের প্রসার। আর্থিক দিকটি অনুকূল। ... বিশদ
মায়ের অনুপ্রেরণা
‘ছবিটা অনেকটা হৃষিকেশ মুখোপাধ্যায়ের ‘আনন্দ’-এর মতো’, আড্ডার শুরুতেই বললেন নানা। ‘হাসি, আবেগ, অল্প অ্যাকশন— সবমিলিয়ে এটা এক পারিবারিক ছবি’, শেয়ার করলেন অভিনেতা। ‘বনবাস’ ছবিতে তাঁর চরিত্রের নাম প্রতাপ সিংঘানিয়া। চরিত্র গঠনে নাকি মায়ের থেকে অনুপ্রেরণা পেয়েছেন। আবেগী কন্ঠে অভিনেতা বলেন, ‘আমরা সাত ভাই এবং এক বোন। আমার মা তাঁর স্বামী এবং আমি ছাড়া সব সন্তানদের হারিয়েছেন। আমি একমাত্র জীবিত। কিন্তু মা-কে আমি কখনও কাঁদতে দেখিনি। ৯৯ বছর বয়সে চলে গিয়েছেন আমার মা। এই চরিত্রটি করার সময় আমি অনেক শেডস মায়ের থেকে নিয়েছিলাম।’
পরিচালনায় হস্তক্ষেপ
দীর্ঘ কেরিয়ারে পরিচালনার অভিজ্ঞতাও রয়েছে নানার। অভিনেতা হিসেবে শ্যুটিংয়ে পরিচালকের কাজে কি হস্তক্ষেপ করেন? প্রশ্ন শুনে হেসে বললেন, ‘পরিচালনার কাজে আমি ভীষণ নাক গলাই। ছবি সংক্রান্ত কোনও সৃজনশীল মতামত থাকলে তা দিই। তবে একজন পরিচালক হলেন নাবিকের মতো। তিনি তাঁর দৃষ্টিভঙ্গিকে তুলে ধরেন। একটা চিত্রনাট্য যখন লেখা হয়, সেই সময় থেকে আমি ছবির সঙ্গে পুরোপুরি যুক্ত থাকি।’
দর্শকের বিচার
ছবি নির্বাচনের ক্ষেত্রে কতটা খুঁতখুঁতে নানা? দীর্ঘ অভিজ্ঞতায় তিনি দেখেছেন, দর্শক হিসেবে বিচার করা উচিত। অভিনেতার কথায়, ‘চিত্রনাট্য শোনার পর যদি মনে হয় দর্শক হিসেবে আমি ছবিটা দেখব, তাহলে আমি সেই ছবিটা করি।’ দর্শকের মধ্যে যেমন ভেদাভেদে রাজি নন অভিনেতা। তেমনই সিনেমার মধ্যেও কোনও বিভেদ করতে রাজি নন তিনি। স্পষ্ট বললেন, ‘আমি মনে করি সিনেমা সকলের জন্য। সিনেমাকে ঘিরে কোনও ভেদাভেদ আমি বুঝি না। শুধুমাত্র অ্যাওয়ার্ড পাওয়ার জন্য যেসব সিনেমা তৈরি করা হয়, আমি সেসব ছবিতে অভিনয় করতে একদম পছন্দ করি না। সেই ধারণাতে কোনওদিনই বিশ্বাস নেই আমার।’