বিদ্যা ও কর্মে উন্নতির যুগ অর্থকরি দিকটি কমবেশি শুভ। মানসিক চঞ্চলতা ও অস্থিরতা থাকবে। স্বাস্থ্যের ... বিশদ
অসঙ্গতি প্রচুর। বহু ক্ষেত্র থেকে বহু ফর্মুলাকে চয়ন করে অতি-ব্যবহারে ভগ্নসৌধ নির্মাণ করা হয়েছে। কোনও অলীক চাঁদমারিকে সামনে রেখে তিন জোড়া নায়ক-নায়িকাকে বিদেশ সফরে পাঠিয়ে কমেডি তৈরির চেষ্টা বাংলা ছবিতে নতুন নয়। সমকালীন বঙ্গ রাজনীতির কিছু পরিচিত শব্দমালা ব্যবহারের ক্ষেত্রে বরং পর্যাপ্ত পরিমিতিবোধের পরিচয় মেলে। গুড়-বাতাসা থেকে দল-বদলু, এসব শব্দবন্ধ সম্পূর্ণ ভিন্ন পটভূমিতে ব্যবহার দর্শক উপভোগ করবেন। সম্পূর্ণ সংলাপগুলিকে ‘ক্লিশে’ বলা যাবে না, কিন্তু কাঙ্ক্ষিত গভীরতার অভাবে শিশুপাঠ্য নাটকের মতো লাগে। ধূর্ত কমেডি মানে শুধু গা-জোয়ারি সুড়সুড়ি দেওয়া নয়, অসঙ্গতির আচ্ছাদনে জীবনের গভীর অনুধ্যানও হতে পারে। সেই বোধের হদিশ নেই এই ছবিতে। শুধু একবার একটি সংলাপে এর উজ্জ্বল ব্যতিক্রম দেখা গেল, ‘ও দিদি, লোকের কথায় জ্ঞান হারাতে নেই গো।’ সরল কাহিনির মধ্যেও একটা জীবন সত্য খুব শৈল্পিক ভঙ্গিতে উপস্থাপিত হয়েছে। অনুপমের বিপ্লব, রজতের আধ্যাত্মিকতা সবই শেষ পর্যন্ত জাগতিক মোহের সাম্রাজ্যে অনুপ্রবেশের জন্য গতিপথ পরিবর্তন করে।
পরিচালক হিসেবে সৌমিক হালদার ভালো। কিন্তু দৃশ্য ভাবনাগুলি কিছু ক্ষেত্রে অতিদীর্ঘ। অনিমেষ গড়ুইয়ের সিনেমাটোগ্রাফি পরিশীলিত। ছবিতে সঙ্গীতের পরিসর খুব কম ছিল, তার মধ্যেও জিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের কাজ ভালো লাগবে। তিন নায়িকার মধ্যে সোহিনী সরকারের চরিত্রটি আলাদা ভাবে দৃষ্টি আকর্ষণ করে। টিভি সিরিয়ালের জগতে বুঁদ হয়ে থাকা গৃহবধূর একরৈখিক চরিত্রে অভিনয়ও ভালো করেছেন। নুসরত ফারিয়ার গ্ল্যামার বা প্রিয়াঙ্কা সরকারের ঝগড়ুটে চরিত্র সেভাবে ছবির মেজাজের উপর প্রভাব সৃষ্টি করতে ব্যর্থ। তবে দুই নায়িকাই সাধ্যমতো চেষ্টা করেছেন।
অনির্বাণ আগাগোড়া একটা বিশেষ সুর ধরেছেন। অঙ্কুশের চরিত্রটির মধ্যেই তেমন কিছু ছিল না। বিদঘুটে মেকআপে সৌরভের পর্দা উপস্থিতি বেশ বিরক্তিকর। এই ছবির ম্যান অব দ্য ম্যাচ রুদ্রনীল। ক্লাইম্যাক্সে কৃষ্ণের সাজে তাঁর অতুলনীয় স্ল্যাপস্টিক অভিনয় ছবির অন্যান্য দুর্বলতাকে ভুলিয়ে দেয়।
প্রিয়রঞ্জন কাঁড়ার