রাজনীতিক ও পেশাদারদের ব্যস্ততা বাড়বে। বয়স্করা শরীর স্বাস্থ্যের প্রতি যত্ন নিন। ধনযোগ আছে। ... বিশদ
বাড়ি থেকে বেরনোর আগে
ভালো করে স্নান করে হালকা খাবার খাওয়াতে হবে। পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন স্কুল ইউনিফর্ম পরাতে হবে। ব্যাগে দিয়ে দিন হালকা খাবার, রসালো ফল, জল, নুন চিনির জল, ছাতা, রুমাল। বাচ্চাকে বুঝিয়ে বলুন খুব বেশি লম্ফঝম্ফ না করতে। সময়মতো জল খেতে। শিখিয়ে দিন ঘাম হলে রুমাল দিয়ে মুছে নিতে। একটি ছোট সাবান দিয়ে দিন। খাবার আগে হাত ধুয়ে নেওয়াটা দরকার। আপনার সন্তান খুব বেশি ঘামলে একটি আলাদা ইউনিফর্ম ব্যাগে দিয়ে দিন। ঘামে ভিজে গেলে প্রয়োজনে পোশাক পরিবর্তন করতে পারবে। গরমে বাচ্চাদের মন মেজাজের দিকে খেয়াল রাখুন। খুব বেশি বকাঝকা করবেন না। ওদের উপর বেশি চাপ দেবেন না এই সময়।
রাস্তায় কী করণীয়?
শিশুদের মূল কষ্টটা হয় রোদের মধ্যে স্কুলে যাওয়ার সময়। ছাতা মাথায় দিয়ে যাতায়াত করুন। ব্যাগ অযথা ভারী করার দরকার নেই। হাতে সময় নিয়ে বাড়ি থেকে বেরতে হবে। যাতে স্কুলে ঠিক সময় পৌঁছনোর জন্য দৌড়াতে না হয়। অনেক বাচ্চা রাস্তায় বেরোলেই এটা ওটা খেতে চায়। সেই আব্দার শুনবেন না। রাস্তার খাবার এড়িয়ে চলুন। জল তেস্টা মেটাতে কোল্ড ড্রিঙ্কস বা আইসক্রিম দেবেন না। তাতে ক্ষতি বেশি। জল খাওয়ান। ফল দিতে পারেন। খুব বায়না করলে শুকনো মুড়ি রাখুন, সেটা ধরিয়ে দেবেন।
স্কুলে থাকাকালীন
স্কুলে থাকাকালীন কষ্টটা তুলনামূলক কম হয়। তবে বাচ্চা দুরন্ত হলে ওকে এক জায়গায় বসিয়ে রাখা মুশকিল। দৌড়াদৌড়ি করবেই। ঘাম বসে ঠান্ডা লেগে যাওয়ার সমস্যা হতে পারে। ওকে বুঝিয়ে বলুন একটু শান্ত থাকতে, নয়তো কষ্ট ও নিজেই পাবে। খুব ঘাম হলে নুন চিনির জলটা খেতে হবে। মুখ, হাত ভালো করে ধুয়ে নেওয়াটা প্রয়োজন। সময়মতো জল, খাবার খেতে হবে। সর্বোপরি শিক্ষক শিক্ষিকাদের কথা শুনতে হবে। টিফিনের সময় বাচ্চারা খেলাধুলা করে। খুব বেশি রোদের মধ্যে যাতে দৌড়ঝাঁপ না করে সে দিকে নজর দেওয়া দরকার। খেলতে হলে ছায়ার মধ্যে খেলুক।
স্কুল থেকে ফিরে
স্কুল থেকে ফিরেই ওকে খেতে বসিয়ে দেবেন না। অধিকাংশ অভিভাবকরা এই ভুলটাই করেন, বাচ্চা বাড়িতে এলেই ভাত, রুটি নিয়ে বসে পড়েন। এমনটা করবেন না। মনে রাখুন স্কুলে টিফিন পিরিয়ডে ও কিছু না কিছু খেয়েছে। ওদের বিশ্রাম নিতে দিন। বাড়িতে ফিরলে সঙ্গে সঙ্গে ওকে এসি ঘরে ঢুকতে দেবেন না। কিছুক্ষণ পাখার তলায় বসুক। জল খাক। তবে ঠান্ডা জল এড়িয়ে চলুন। তারপর পোশাক পরিবর্তন করিয়ে গা হাত পা মুছিয়ে নিন। তারপর নিজেই খেতে চাইলে খেতে দিন।
অসুস্থ হয়ে পড়লে
অসুস্থ হয়ে পড়লে বা মাথা ঘুরে পড়ে গেলে সারা শরীর কিছুটা ভিজে তোয়ালে দিয়ে মুছে নিন। এরপর বিছানা বা মেঝেতে শুইয়ে দিন। পায়ের তলায় একটা বালিশ রাখুন। মুখে চোখে জলের ছিটা দিন। নুন, চিনি, লেবুর শরবত খাওয়ান। পাখার তলায় কিছুক্ষণ এমনভাবে থাকলে এমনিতেই সুস্থ হয়ে যাবে। সেদিন সারাদিন বিশ্রাম নিতে বলুন। খুব বাড়াবাড়ি হলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন অবশ্যই।
কী কী খাবে না?
ভাজাভুজি একদম নয়। আইসক্রিম, গোলা, বরফজল, কোল্ড ড্রিঙ্কস বাদ। বাড়ির খাবার খাবে। বেশি করে রসালো ফল খেতে হবে। বাচ্চারা ফল খেতে না চাইলে রস করে খাওয়াতে পারেন।
স্কুল কর্তৃপক্ষের কী করণীয়?
সবচেয়ে ভালো হয় যদি স্কুলের সময়টাকে একটু এগিয়ে আনা যায়। তাতে রোদের তাতটা এড়ানো যায়। স্কুলের ইউনিফর্ম হালকা রঙের হলে ভালই হয়। পর্যাপ্ত পাখার ব্যবস্থা। জানালাগুলি ভালো করে খুলে দিতে হবে যাতে হাওয়া ঢুকতে পারে। এখন অনেক স্কুলে ওয়াটার বেল চালু হয়েছে। অর্থাৎ পড়ুয়াদের মনে করিয়ে দেওয়া জল খেতে হবে। এটা ভীষণ ভালো উদ্যোগ। সর্বোপরি কোনও শিশু অসুস্থ বোধ করলে তার যত্ন নেওয়া।