গৃহে শুভকর্মের প্রস্তুতি ও ব্যস্ততা। হস্তশিল্পীদের নৈপুণ্য ও প্রতিভার বিকাশে আয় বৃদ্ধি। বিদ্যায় উন্নতি। ... বিশদ
রং তোলাই প্রধান চিন্তা
ত্বকের বারোটা যা বাজার তাতো বেজেই গিয়েছে। এখন ওসব না ভেবে রং খেলার পর ভালো করে সারা শরীরে দই মেখে নিতে হবে। এবার কোনও স্ক্রাবার দিয়ে ধীরে ধীরে যে জায়গায়গুলোয় রং লেগে রয়েছে সেই জায়গাগুলো ঘষতে হবে। তবে একেবারেই গায়ের জোরে এই কাজটি করলে চলবে না। একবারেই সব রং তুলে ফেলব এই মনোভাব থাকাও ঠিক নয়। সময় দিয়ে অল্প অল্প করে রং তোলার চেষ্টা করলেই সঠিক ফল মিলবে। রং খুব সহজেই উঠে যাবে।
ঘষে ঘষে সাবান ব্যবহার নৈব নৈব চ
এরপরেও যদি সব রং না পরিষ্কার হয় তাহলে ধৈর্য ধরতে হবে। গায়ে ভালো করে দই মেখে ধীরে ধীরে রং পরিষ্কার করলে পুরোটাই উঠে যাওয়া উচিত। যদিও বা একটু আধটু রং লেগে থাকে, সেটা তোলার জন্য কখনও জোরে জোরে সাবান, ছোবডা বা অন্য কনোও জিনিস দিয়ে ঘষা উচিত নয়। এটা করলেই বরং স্কিন খারাপ হয়ে যেতে পারে। আমাদের চামড়ার ওপরের ভাগটা খুবই সেনসিটিভ। জোরে কিছু দিয়ে রাব করলে সেটা ছিঁড়ে যেতে পারে। রং খেলার পর অনেকে বলেন আমাদের ত্বকে র্যাশ বেরিয়ে গিয়েছে, অ্যালার্জি হয়েছে। সাধারণত রং থেকে যতটা না হয়, এই ঘষে ঘষে তোলার কারণে সমস্যাগুলো দেখা দেয়।
চুল থেকে রং বিদায়
এ তো গেল শরীর থেকে রং তোলার উপায়। চুল থেকে রং তুলতে হলে একটা প্যাক লাগাতে হবে। এই প্যাকের মধ্যে অবশ্যই থাকতে হবে আধা পরিমাণ দই। বাকি অর্দ্ধেক প্যাকে থাকবে পাকা কলা। দউ আর পাকা কলা ভালো করে চটকে নিয়ে সেটা মাথায় লাগালে চুলে এঁটে বসে থাকা রং নরম হয়ে চুলটা নারিশ হয়ে যায়। এরপর হাল্কা কোনও শ্যাম্পু দিয়ে চুলটা ধুয়ে নিলে রং চলে যাবে। এরপরও যদি চুলে কিটু রং থেকে যায়, তাহলে একইভাবে প্যাক বানিয়ে ২-৩ দিন বাদে আবার ব্যবহার করতে হবে। অনেকসময় চুলে রং লাগার কারণে চুল ড্যামেজ তো হয়ই, ড্রাইও হয়ে যায়। সেক্ষত্রে এই প্যাকের সঙ্গে যদি একটু মধু মিশিয়ে নেওয়া যায়, তাহলে ভালো ফল দেয়।
দাঁতে লেগে থাকা রং
রং খেলার সময় আনন্দ করতে করতে সবদিক খেয়াল রাখা সম্ভব হয় না। অসাবধানতার ফলে অনেকসময় দাঁতেও লেগে যায় রং। এক্ষেত্রে খাবার সোডা দাঁতের রং লাগা অংশে লাগিয়ে ধুয়ে ফেললে রং তাড়াতাড়ি উঠে যায়।
ত্বকের যত্ন কীভাবে
দোলের পরে বেশ কয়েকদিন নিয়ম করে ত্বকের যত্ন অবশ্যই নিতে হবে। বিশেষ করে যাঁরা বাইরে কাজে বেরোন তারা সকালে ঘুম থেকে উঠে মুখ এবং ত্বক ভালো করে পরিষ্কার করে একটা টোনার লাগাতে পারেন। তারপর লাগান পছন্দের ময়শ্চারাইজার। ঠিক সেরকমভাবে বাড়ি ফিরে সব কাজকর্ম শেষ করে রাতে শুতে যাওয়ার আগেও একই পদ্ধতি অনুসরণ করুন। উপকার মিলবে।
ত্বক ভালো রাখতে এসেন্সিয়াল অয়েল খুবই কার্যকরী। রং খেলার পর অন্তত এক সপ্তাহ এই তেল মাখতে পারেন। আমন্ড অয়েলের সঙ্গে কয়েক ফোঁটা ল্যাভেন্ডার অয়েল মেখে নিলেও উপকার পাওয়া যাবে।
পাতিলেবুর রস
সারা বছর যদি নাও করেন, রং খেলার পর একদিন অন্তত ফেস ক্লিন আপ করান। এক্ষেত্রে ভালো করে মুখ পরিষ্কার করে ফেস ম্যাসাজ করা জরুরি। যে জায়গাগুলোয় তাও মনে হয় রং লেগে রয়েছে সেই জায়গাতে পাতিলেবুর রস লাগালে উপকার পাবেন। কনুই, হাঁটু এসব জায়গায় পাতিলেবুর খোসা নিয়ে ঘষলে উপকার পাবেন। নখের কোণ অনেকসময় রংয়ের কারণে ক্ষতির সম্মুখীন হয়। সেই জায়গাগুলো পরিষ্কার করে নেলপলিশ লাগাতে হবে। সবসময় মাথায় রাখবেন, রং খেলার পরে দিনে দু বেলা সারা শরীর ও মুখে ময়শ্চারাইজার লাগালে সুফল পাবেন। শরীরটাও যথাসম্ভব হাইড্রেটেড রাখতে হবে। তাই পরিমাণমতো জল খাওয়াও যত্নের মধ্যেই পড়ে।
মাথায় রাখতে হবে
এবছর তো যা হওয়ার হয়েই গিয়েছে। পরেরবার রংয়ের খেলায় মেতে ওঠার আগে সারা শরীরে অবশ্যই ভালো করে ময়শ্চারাইজার লাগিয়ে নেবেন। ময়শ্চারাইজারের বিকল্প হিসেবে ব্যবহার করতে পারেন নারকেল তেল। তবে নারকেল তেল লাগালেও তার উপর সানস্ক্রিন লাগাতে ভুলবেন না। এবার দোলে আবহাওয়া মনোরম থাকলেও সাধারণত এই সময় তাপমাত্রার পারদ উপরের দিকেই থাকে। তাই সানস্ক্রিন লাগানো জরুরি। আর সানস্ক্রিন ওয়াটারপ্রুফ হলে তো কথাই নেই। জল রংও তখন আপনাকে কাবু করতে পারবে না।