শেয়ার ও বিমা সূত্রে অর্থাগম হতে পারে। কাজের প্রসার ও নতুন কর্মলাভের সম্ভাবনা। বিদ্যা হবে। ... বিশদ
ত্বকবিশেষজ্ঞ ডাঃ কৌশিক লাহিড়ীর মতে, ‘সারফেস ক্লিনিংয়ের জন্য যে সব স্প্রে বাজারে এসেছে, তাদের জীবাণু নাশের ক্ষমতা রয়েছে। কাজেই এই পরিস্থিতিতে কিন্তু তারা অপরিহার্য। তবে এই স্প্রে যেমন জীবাণু মারতে পারে, তেমনই ত্বকের সংস্পর্শে এসে বেশ কিছুটা ক্ষতিও করে দেয়। তাই এই স্প্রে ব্যবহারের ক্ষেত্রে কিছু সাবধানতা নিতে হয়। এমন অনেকেই আছেন যাঁদের ত্বক খুব স্পর্শকাতর, সেক্ষেত্রে এই ধরনের স্প্রে থেকেও ত্বকে নানা র্যাশ হতে পারে। যা দীর্ঘকালীন সমস্যা ডেকে আনতে পারে।’
তাহলে কি স্প্রে ব্যবহার করবেন না? এই করোনা সঙ্কটে কিন্তু ততটা ঝুঁকি নিতে বলছেন না কোনও চিকিৎসকই। বরং তাঁদের মতে, স্প্রে ব্যবহারের আগে-পরে কিছু নিয়ম মানলে সমস্যা অনেকটা নিয়ন্ত্রণে চলে আসে। তবে খুব স্পর্শকাতর ত্বক যাঁদের, তাঁদের ক্ষেত্রে আবার স্প্রে ব্যবহারে দাঁড়ি টানতেই পরামর্শ দিচ্ছেন আর এক ত্বক বিশেষজ্ঞ ডাঃ সঞ্জয় ঘোষ।
তাঁর মতে, ‘সাবধান হতে হবে সকলকেই, তবে ত্বক ভীষণরকম বিদ্রোহ করলে স্প্রে ব্যবহার বন্ধ করে দেওয়া ছাড়া উপায় নেই।’ এই ধরনের স্প্রেগুলি কীভাবে ত্বক বাঁচিয়ে ব্যবহার করতে হবে তাও জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। কেমন সেসব?
• স্বাভাবিক ত্বকের অধিকারী হলেও এই স্প্রে ব্যবহারের সময় মাস্ক পরে থাকুন। কৌশিকবাবুর মতে এই ধরনের স্প্রে যে শুধু ত্বকের উপরিভাগে ক্ষতি করে তা-ই নয়, অনেক সময় নাক-মুখ দিয়ে ঢুকে ত্বকের ভিতরের দিকেও (এন্ডোডার্ম) অনেক রকমের প্রদাহ বা র্যাশ তৈরি করতে পারে। তাই মাস্ক পরেই স্প্রে করুন।
• স্প্রে করার সময় অন্তত তিন থেকে চার ফুট দূরত্ব বজায় রাখুন। স্প্রে থেকে ত্বক যত দূরে থাকবে ততই ভালো।
• অনেক স্প্রে আবার ত্বকেও ব্যবহার করা যায়। সেই সব স্প্রে ব্যবহারের সময়ও সতর্ক থাকতে হবে। ব্যবহারের আগে শরীরের কোনও একটি নির্দিষ্ট অংশে সামান্য পরিমাণ স্প্রে ছড়িয়ে দেখুন ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ত্বকে কোনও সমস্যা দেখা দিচ্ছে কি না। তেমন কিছু না ঘটলে তবেই সেই স্প্রে ব্যবহার করুন।
• সঞ্জয়বাবুর পরামর্শ, কোনও সারফেসে স্প্রে করার পর অন্তত আধ-এক ঘণ্টা তা ফেলে রাখুন। তারপর তা ত্বকের সংস্পর্শে আনুন। যদি তা সম্ভব না হয়, তাহলে খেয়াল রাখুন ত্বকে কোনও সমস্যা হচ্ছে কি না। ত্বক বিদ্রোহ করলে বন্ধ করে দিতে হবে স্প্রে-র ব্যবহার। সেক্ষেত্রে সাবান দিয়ে বারবার হাত ধোয়া ও বাড়ি ফিরেই জামাকাপড় কেচে ফেলাই একমাত্র উপায়। সেক্ষেত্রে জামাকাপড়ে স্প্রে করার অভ্যেসও ছাড়তে হবে।
• ত্বক যেমনই হোক, ত্বকে স্প্রে করলেই তারপর তাতে ময়শ্চারাইজার দিন। এতে অ্যালকোহল ত্বকের অতটা ক্ষতি করতে পারবে না।
সুতরাং ত্বককে ভালোবাসলে তার সঙ্গে অ্যালকোহলের যুদ্ধও আপনাকে সামলাতে হবে দক্ষতার সঙ্গে। প্রয়োজনে ত্বকবিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিয়ে তবেই স্প্রে বাছুন।