Bartaman Patrika
হ য ব র ল
 

রুকু ঝুকুর চাওয়া পাওয়া
অংশুমান কর

আমরা গ্রামের বাড়ি যাব। ঝুকুর জন্মের পর এই প্রথম আমাদের সকলের একসঙ্গে গ্রামের বাড়ি যাওয়া। ও তাই খুব আনন্দে আছে। কতবার আমাকে বলছে, ‘দাদা তুই আর আমি ধানগাছে চড়ে দোল খাব।’ আমি ওকে বলিনি যে, ধানগাছে চড়ে দোল খাওয়া যায় না। ওর ধারণা, ধানগাছ আমগাছের মতোই। মোটা কাণ্ড আছে। বড় বড় পাতা। ডাল থেকে ধান ঝুলে থাকে। আমি ওর ভুল ভাঙাইনি। মা-বাবাও ওর ভুল ভাঙায়নি। ভুল নিজের থেকে ভেঙে যাওয়াই তো ভালো।
আমাদের কমপ্লেক্সের মধ্যেই একটা ছোট খেলার মাঠ আছে। মাঠটা খুব সুন্দর। ঘাস একদম সমান করে ছাঁটা। সোসাইটি থেকেই মাঠটার দেখভাল করে। বাবা অবশ্য বলে, এই ঘাসগুলো নকল ঘাস। এই ঘাসে বাবা ওর ছেলেবেলার খেলার মাঠের ঘাসের গন্ধ পায় না। আমরা বিকেলবেলা এই মাঠটাতেই খেলতে যাই। আমরা বড়রা ঝুকুদের খেলায় নিই না। মাঠের এককোণে ওরা সবাই খেলে। কেজি ওয়ান আর টুয়ের বাচ্চারা। সেখানে দোলনা আছে। স্লিপ আছে। আমরা যারা সিক্স সেভেনে পড়ি তারা গোটা মাঠটা জুড়ে ফুটবল খেলি। মাঠের বাইরে দাঁড়িয়ে কারও কারও মায়েরা আমাদের খেলা দেখে। খেলা শেষে মায়েরা ছেলেমেয়েদের নিয়ে ফ্ল্যাটে উঠে যায়। আমাদের মা-বাবা যেহেতু দু’জনেই চাকরি করে তাই আমিই ঝুকুকে নিয়ে ফিরি। পরশুদিন ফেরার সময় শুনলাম ঝুকু ওর বন্ধুদের বলছে, ‘জানিস, এই রবিবার আমরা গ্রামের বাড়ি যাব। আমাদের গ্রামের বাড়িতে অনেক ধানগাছ আছে। আমাদের ভালুমনাগুলো ধানগাছে চড়ে বসে থাকে। সকালবেলা ঠাম্মা ওদের ডাকে, আয় আয়, ব্রেকফাস্ট কর। তখন ওরা গাছ থেকে নেমে ব্রেড-অমলেট খেয়ে জঙ্গলের ভেতরে চলে যায়।’ ঝুকু ভল্লুককে বলে ভালুমনা। বাঘকে বলে বাঘমনা। হিংস্র পশুরাও ওর কাছে খুব আদরের। যখন ওর বন্ধুদের এই সমস্ত মিথ্যে কথা বলছিল, আমি তখন কিচ্ছু বলিনি। ওর বন্ধুদেরই একজন রাকা বরং ওকে বলেছিল, ‘ধুস ভল্লুক আবার মানুষের বাড়িতে থাকে নাকি?’ শুনে ও বলেছিল, ‘ঠিক আছে, তোকে একবার আমাদের গ্রামের বাড়ি নিয়ে যাব, তখন দেখবি থাকে কি না।’ 
ঝুকু যে ইচ্ছে করে এই সমস্ত মিথ্যে কথা বলে তা কিন্তু নয়। একটা অদ্ভুত কল্পনার জগতে ও বাস করে। ও ঠিক আমার মতো নয়। বরং আমার উল্টো। অচেনা লোকেদের সঙ্গে কথা বলতে আমার খুব লজ্জা লাগে। ও কিন্তু যেকোনও মানুষের সঙ্গেই মুহূর্তের মধ্যে ভাব জমিয়ে নেয়, কোলে উঠে পড়ে। আমি এইসব একদম পারি না। মা বলে, আমার কনফিডেন্সের অভাব। মা বাবাকেও বলেছে, এত শাই হলে চলে না। দরকার হলে রুকুর কাউন্সেলিং করাতে হবে। বাবা শুনে কিছু বলেনি, শুধু হেসেছে। আসলে মা আজ সাতদিন ধরে আমাকে বলছে, সোমজিৎ স্যরকে একবার বল কবিতাটা তোকে তুলিয়ে দিতে। আমি কিছুতেই স্যরকে বলে উঠতেই পারছি না। কবিতাটা মানে রবীন্দ্রনাথের ‘বীরপুরুষ’। আর ক’দিন পরেই পঁচিশে বৈশাখ। আমাদের কমপ্লেক্সে রবীন্দ্রজয়ন্তী খুব ঘটা করে উদ্‌যাপন করা হয়। মা খুব চাইছে এবার আমি ‘বীরপুরুষ’ কবিতাটা আবৃত্তি করি। আমাদের ক্লাসটিচার সোমজিৎ স্যর বাংলার শিক্ষক। খুব ভালো আবৃত্তি করেন। আমি বললে স্যর নিশ্চয়ই কবিতাটা আমাকে শিখিয়ে দেবেন। স্কুলের অ্যানুয়াল ফাংশনের জন্য স্যরই আমাদের আবৃত্তি শেখান। তখন তো নিজে থেকেই আমাদের ডেকে নিয়ে কবিতা তোলান। কিন্তু এইবার তো আর স্কুলের ফাংশন নয়। স্যরকে কি বলা ঠিক হবে যে, আমাদের কমপ্লেক্সের রবীন্দ্রজয়ন্তীতে একটা কবিতা বলব, আমাকে শিখিয়ে দিন স্যর? এইসব ভাবতে ভাবতেই আমি স্যরকে আর বলে উঠতে পারিনি।
দুই
নাকতলা-হাওড়া মিনিবাসে চেপে এখন আমরা হাওড়া স্টেশনে যাচ্ছি। বাবা বলেছে, কলেজে পড়ার সময় যেভাবে বাবা গ্রামের বাড়ি যেত, আমরা এবার সেভাবেই গ্রামের বাড়ি যাব। ঝুকুকে বোঝাতে হবে যে, চাইলেই হুশ করে গ্রামের বাড়ি চলে যাওয়া যায় না। সেজন্যই এতদিন যাওয়া হয়নি। আমরা তাই আজ নিজেদের গাড়ি করে যাচ্ছি না। বাসে চেপে হাওড়া স্টেশনে যাব। তারপর সেখান থেকে ট্রেনে চেপে দুর্গাপুর। দুর্গাপুর থেকে আবার বাসে করে বেলিয়াতোড়। 
আমরা যখন বেলিয়াতোড়ে গিয়ে পৌঁছলাম, সূর্য তখন মাথার উপরে। ঠাম্মাকে কতদিন পরে আমি সামনাসামনি দেখলাম। দাদু মারা গিয়েছেন অনেকদিন। আমাদের গ্রামের বাড়ি ঠাম্মা একাই সামলায়। দু’জন কাজের লোক আছে। একজন পবন, আরেকজন লতা। আমরা পৌঁছতেই ঠাম্মা আমাদের জড়িয়ে ধরল। ঝুকুর সঙ্গে ভিডিও কলে ঠাম্মা কথা বলে মাঝে মাঝে। কিন্তু সামনাসামনি ঝুকুকে এই প্রথম দেখল ঠাম্মা। ওকে কোলে নিয়ে কপালে একটা চুমু খেয়ে বলল, ‘পবনের সঙ্গে তোমাকে বিকেলে পাঠাব পলসোনায়। ধানগাছ দেখতে পাবে ওখানে। বোরো ধান কাটা শুরু হয়েছে এখন।’ ঝুকু জিজ্ঞেস করল, ‘ধানগাছের ওপরেও কি ভালুমনাগুলো ঘুমোয় ঠাম্মি?’ ঠাম্মা বলল, ‘কখনও-কখনও ঘুমোয় তো। কিন্তু ওদের দেখতে পাওয়া চাট্টিখানি কথা নয়। কপাল ভালো থাকলে তবেই দেখা যায় ধানগাছের ওপর ভালুমনা ঘুমাচ্ছে।’ 
এইসব কথা শুনে বাবা কিছুই বলছে না। শুধু মিটিমিটি হাসছে। আমি ভাবছি আজই ঝুকু বুঝতে পারবে ধানগাছ আর আমগাছের তফাত। 
আমরা একটু ফ্রেশ হতেই লতা পিসি নিয়ে এল আম পোড়ার শরবত। আমাদের গ্রামের বাড়ির লাগোয়া বিশাল বাগান আছে। সেখানে নানা ফলের গাছ আছে। আম, কাঁঠাল, লিচু, বাতাবি নানা রকমের ফল। যে আম পুড়িয়ে শরবত বানিয়েছে লতা পিসি, তা আমাদের গাছের। এখনও আম সব পাকেনি। কাঁচা কাঁচা আম। গাছে আম ঝুলতে দেখে ঝুকুর সে কী লাফালাফি! ফলওয়ালার ঠেলাগাড়িতে ও চিরকাল আম দেখেছে। এই প্রথম দেখল গাছের থেকে ঝুলছে আম। 
বিকেলবেলা পবন কাকুর সঙ্গে ঝুকু গেল পলসোনায়। আমি গেলাম না। বেলিয়াতোড়ে আমার অনেক বন্ধু আছে। তাদের সঙ্গে বিকেলবেলা আমাদের বাড়ি লাগোয়া বিরাট মাঠে ফুটবল খেলব বলে রয়ে গেলাম। চন্দন, বুধন, সন্তু, দাশু সবার সঙ্গে দেখা হল কতদিন পরে। যখনই দেখা হয়, ওরা আমার কাছে কলকাতার গল্প শুনতে চায়। আমাদের স্কুলের গল্প শুনতে চায়। আমি যতটা পারি বলি। আজ খেলা শেষের মুখে আমরা দেখলাম, ঘন কালো মেঘ করে এসেছে। মানে কালবৈশাখী আসছে। দুদ্দাড় করে যে যার বাড়িতে ফিরে এলাম। 
বাড়ি এসে দেখছি, ঝুকু ফিরে এসেছে পবন কাকুর সঙ্গে ধানগাছ দেখে। ধানগাছ যে আমগাছের মতো নয়, তা জানতে পেরে একটু মনমরা ও। কেন না ভালুমনাগুলোকে এই গাছে ও চড়াতে পারছে না। ঠাম্মাকে বলল, ‘তুমি যে বলেছিলে ধান গাছের ওপর ভালুমনা শুয়ে থাকে। কিন্তু ভালুমনার তো অনেক বড় শরীর। সে ওইটুকু নরম ছোট্ট গাছে চাপবে কী করে?’ ঠাম্মা বলল, ‘চাপে ঠিকই রাতের বেলা। কিন্তু সবাই দেখতে পায় না। পরের বার এলে তোমাকে পবনের সঙ্গে ভোরবেলা পাঠাব ধানগাছ দেখতে। তখন ভালুমনাদের দেখতে পাবে। সেজন্য তোমাকে তো আসতে হবে আমার কাছে। কলকাতা শহরে তো এসব দেখা যায় না সোনা।’
বাবা মন দিয়ে ঝুকু আর ঠাম্মার কথাবার্তা শুনছিল। বলল, ‘মা, আসলে বিশাল চাপ। আর তোমার সঙ্গে তো ভিডিও কলে ওদের কথাবার্তা হতেই থাকে। তবে এবার থেকে বছরে অন্তত একবার সবাইকে নিয়ে আসার চেষ্টা করব।’ 
সন্ধে একটু গাঢ় হতেই ঝড় এল। ভয়ঙ্কর ঝড়। কী শোঁ শোঁ শব্দ! 
পরের দিন ভোরবেলা বাগানে গিয়ে আমরা তো অবাক। গোটা বাগান ছেয়ে গিয়েছে আমে। ওপরে তাকিয়ে দেখলাম আমগাছগুলোতে আর একটা আমকেও ঝুলতে দেখা যাচ্ছে না। ঝড় সবাইকে ফেলে দিয়েছে মাটিতে। হাতের নাগালে এত এত আম দেখে ঝুকুর তো আনন্দ আর ধরে না! আমারও খুব আনন্দ হচ্ছিল। বাবা-মাকে দেখেও মনে হল ওরা যেন আমাদেরই মতো ছোট হয়ে গেছে। তিনটে ঝুড়ি নিয়ে এসে আমরা আম কুড়োতে লাগলাম একসঙ্গে। ঠাম্মা বলল, ‘যাহ, সব আম ঝরে গেল! এ অবশ্য প্রকৃতির দান। না চাইতেই প্রকৃতি অনেক কিছু দিয়ে দেয় আমাদের।’ 
আম কুড়োতে কুড়োতে ঝুকু হঠাৎ চুপ করে দাঁড়িয়ে গেল। ওর চোখ পড়েছে বাতাবি লেবু গাছটার দিকে। গাছটায় ঝুলছে একটাই গোল বাতাবি। অসময়ের বাতাবি। এসময় বাতাবি লেবু তো হওয়ার কথা নয়। এই লেবু তো খাই দুর্গাপুজোর সময়টায়। ভয়ঙ্কর ঝড়ও কিন্তু বাতাবি লেবুটাকে মাটিতে ফেলে দিতে পারেনি। 
বাতাবি লেবুটার দিকে তাকিয়ে ঝুকু হঠাৎ ঠাম্মাকে বলল, ‘ও কেন মাটিতে পড়েনি? ওকে মাটিতে ফেলে দাও।’ 
বাবা বলল, ‘না চাইতেই তো ঝড় তোমাদের এত এত আম দিয়েছে। আবার বাতাবি লেবুটাকে চাইছ কেন?’
ঝুকু বলল, ‘সব আম পড়ে গেছে। ও গাছে ঝুলে থাকবে কেন? ওকে ফেলে দাও। ওকে আমার চাই।’ 
ঝুকুর কথা শুনে ঠাম্মা কোথা থেকে একটা বিরাট বড় বাঁশ নিয়ে এসে বাতাবি লেবুটা যেখান থেকে ঝুলে আছে, গাছের সেই অংশটায় একটা খোঁচা দিল। ধপ করে লেবুটা পড়ল মাটিতে। ঝুকুর সে কী আনন্দ! 
বাবা বলল, ‘লেবুটাকে পাড়লে কেন মা?’ 
ঠাম্মা বলল, ‘বা রে! নাতি চাইছে, দেব না? আর ও তো ঠিকই বলেছে, ঝড় সব আম ফেলে দিয়েছে মাটিতে। তাহলে বাতাবিটাই বা থাকবে কেন? এক যাত্রায় পৃথক ফল তো ভালো নয়।’
মা বলল, ‘আর সবসময় প্রকৃতি সব কিছু আমাদের না চাইতেই দিয়ে দেয় না। কিছু কিছু জিনিস একটু চেয়ে নিতে হয়।’
শুনে আমার মনে হল, ঠিকই তো। অনেক কিছু তো চাইতে হয়। তাতে তো লজ্জা নেই। ফিরে গিয়েই আমি সোমজিৎ স্যরকে বলব ‘বীরপুরুষ’ কবিতাটা আমাকে শিখিয়ে দিন স্যর। 
তিন
সোমজিৎ স্যর আমাকে বলছেন, ‘সন্ধে হল, সূ্য্যি নামে পাটে — এইখানে গলাটাকে একটু খাদে নামাতে হবে।’
আজ দ্বিতীয় দিন। ফার্স্ট ব্রেকে উনি আমাকে কবিতাটা তোলাচ্ছেন গতকাল থেকে।
সোমজিৎ স্যর বললেন, ‘আর হারে রে রে রে — এটা অত জোরে বোলো না। চিৎকারের মতো শোনাচ্ছে।’
আমি বললাম, ‘আর ভুল হবে না স্যর।’
31st  March, 2024
বিকেলবেলার আলো

আজ ক্লাস ফাইভ থেকে বিনন্দ সিক্সে উঠেছে। ওর এরকম নামটা মা রেখেছিল। মা একটা পুরনো বই ঠাকুরমার কাছ থেকে পেয়েছিল। বইটার নাম ‘লক্ষ্মীচরিত্র’। বইটার মলাটে একটা লক্ষ্মী ঠাকুরের রঙিন ছবি আছে। মা সন্ধেবেলা বইটা নিয়ে পড়তে বসে।
বিশদ

21st  April, 2024
পশ্চিম আকাশে সূর্যোদয়

শুক্রের আহ্নিক গতি অন্য গ্রহগুলির মতো নয়। সৌর জগতে কেন ব্যতিক্রমী এই গ্রহ জানালেন স্বরূপ কুলভী বিশদ

21st  April, 2024
মুদ্রা যখন বিশালাকৃতির পাথর

টাকা-পয়সা বা মুদ্রা সম্পর্কে আমাদের সকলেরই কমবেশি ধারণা আছে। সভ্যতার ঊষালগ্নে চালু ছিল বিনিময় প্রথা। তারপর এল তামা, সোনা ও রুপোর মুদ্রা। বর্তমান সময়ে ধাতব মুদ্রার পাশাপাশি কাগজের নোট চালু আছে।
বিশদ

21st  April, 2024
বাংলা ভাষার প্রতি ঠাকুরবাড়ির ভালোবাসা
পার্থজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়

বাংলা নববর্ষের দিন জানব বাংলা ভাষার প্রতি ভালোবাসার কথা। সেই ইংরেজ আমলে রবীন্দ্রনাথের পরিবারের সদস্যরা কীভাবে এই ভাষার জন্য লড়াই করেছিলেন, তুলে ধরা হল তারই টুকরো কিছু স্মৃতি।  বিশদ

14th  April, 2024
হরেকরকম হাতের কাজ: মটকা পেন্টিং

ফেলে দেওয়া জিনিস দিয়ে হাতের কাজ করা শেখাচ্ছেন ডিজাইনার বিদিশা বসু। তাঁর সঙ্গে কথা বললেন কমলিনী চক্রবর্তী। বিশদ

14th  April, 2024
ঘুমিয়ে ঘুমিয়ে আবিষ্কার
কল্যাণকুমার দে

ঘুম! পড়তে বসলেই ঘুম পেয়ে যায়। এর জন্য বাবা-মায়ের কাছে কম বকুনি খেতে হয় না। বকুনি খেয়েও কিন্তু অভ্যেসটা পাল্টায় না। আসলে ঘুমের অভ্যেসটা আমাদের জন্মাবার সঙ্গেই তৈরি হয়ে যায়। কিন্তু প্রশ্ন হল, আমরা কেন ঘুমোই? জীবনে কি ঘুম অত্যন্ত জরুরি? বিশদ

14th  April, 2024
এপ্রিল ফুলের খুনসুটি

পেরিয়ে এলাম পয়লা এপ্রিল। ইংরেজি চতুর্থ মাসের ১ তারিখ মানেই এপ্রিল ফুলস’ ডে। বোকা বানানোর দিন। কীভাবে বন্ধুদের সঙ্গে দিনটি মজা করে কাটল, সেই গল্পই শোনাল পূর্ব বর্ধমানের ঘোড়ানাশ উচ্চ বিদ্যালয়ের পড়ুয়ারা। ‘ফুল’ একটি ইংরেজি শব্দ। এর অর্থ বোকা। এপ্রিল ফুলের অর্থ এপ্রিল মাসের বোকা।
বিশদ

07th  April, 2024
যাত্রী যখন গান্ধীজি

১৯৪৬ সালের জানুয়ারি মাস। শীতের বিকেলে সোদপুর স্টেশন দিয়ে কু-ঝিকঝিক আওয়াজ করে গন্তব্যের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে যাত্রীবাহী ট্রেন। স্ব-পার্ষদ খাদি আশ্রমে বসে রয়েছেন জাতির জনক। আচমকা বললেন, মাদ্রাজ যেতে হবে। এখান থেকেই ট্রেন ধরব
বিশদ

07th  April, 2024
বিরল সংখ্যা

গণিত মানেই মগজাস্ত্রে শান। সংখ্যার খেলা। কত ধরনেরই যে বিস্ময় লুকিয়ে রয়েছে, তা বলে বোঝানো যায় না। এক একটা সংখ্যাতেই কত না রহস্য। এই ধর, ছয় দশ পাঁচ পঁয়ষট্টির কথা। সংখ্যায় লিখলে— ৬৫। দেখে কী মনে হচ্ছে!
বিশদ

07th  April, 2024
মহাকাশযাত্রীদের খাবার-দাবার
উৎপল অধিকারী

মহাকাশ বড়ই রহস্যময় স্থান। এই রহস্যের উদ্ঘাটন করার জন্য মানুষ দীর্ঘদিন ধরে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। মানুষ সশরীরে সেখানে হাজির হয়েছে। এই অকুতোভয় সাহসী মহাকাশযাত্রীরা জীবন বাজি রেখে অসীম ধৈর্য নিয়ে মহাকাশযানে তাঁদের গবেষণা করছেন। বিশদ

31st  March, 2024
চরম দারিদ্র্য থেকে সর্বোচ্চ শিখরে

পৃথিবীর সর্বোচ্চ শৃঙ্গ মাউন্ট এভারেস্টের প্রথম উচ্চতা মেপেছিলেন রাধানাথ শিকদার। এই বাঙালি গণিতবিদের সাফল্যের গল্প শোনালেন সোমনাথ সরকার বিশদ

31st  March, 2024
কবিগুরুর দোল উৎসব
সায়ন্তন মজুমদার

১৯২৫ সালে দোল উপলক্ষ্যে সেজে ওঠে আম্রকুঞ্জ। কিন্তু বিকেলের ঝড়বৃষ্টিতে সব লণ্ডভণ্ড হয়ে যায়। বৃষ্টি থামতে রবীন্দ্রনাথ সকলকে নিয়ে চলে যান এখনকার পাঠভবনে। সেখানে অভিনীত হয় ‘সুন্দর’ নাটকটি। বিশদ

24th  March, 2024
খেলাধুলোর আনন্দ

পড়াশোনায় ফাঁক পেলেই চলছে চুটিয়ে খেলা। ব্যাট-উইকেট, ফুটবল নিয়ে সকলে নেমে পড়ছে। খেলার আনন্দের বিকল্প নেই। নিজেদের প্রিয় খেলার বিষয়ে জানাল মালদহের হরিশ্চন্দ্রপুর হাই স্কুলের পড়ুয়ারা। বিশদ

24th  March, 2024
লাগল যে দোল

ম্যাজিক মানেই অজানাকে নতুন করে জানা। ম্যাজিকের অলীক দুনিয়ায় একবার ঢুকে পড়লে ঘোর লাগে চোখে। জাদুর দুনিয়ায় নানা ধাঁধা। প্রতিটাই পরখ করে দেখতে মন চায়। এবার সেই সুযোগই তোমাদের সামনে হাজির করলেন থিম ম্যাজিশিয়ান সোমনাথ দে। তিনি মাসে দুটো করে ম্যাজিক শেখাচ্ছেন তোমাদের। তাঁর থেকে সেই ম্যাজিক বৃত্তান্ত জেনে তোমাদের সামনে হাজির করলেন কমলিনী চক্রবর্তী। বিশদ

24th  March, 2024
একনজরে
অপহরণের ১৪ দিনের মাথায় বিয়ের প্রস্তাব দিয়েছিল এক হামাস জঙ্গি। বলেছিল, ‘সবাইকে মুক্তি দেওয়া হবে। কিন্তু তুমি এখানে আমার সঙ্গে থাকবে আজীবন। তুমিই আমার সন্তানদের ...

রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ে এগজিকিউটিভ কাউন্সিলের (ইসি) বৈঠক বন্ধ করার নির্দেশ দিল উচ্চশিক্ষা দপ্তর। শুক্রবার দপ্তরের তরফে রেজিস্ট্রারকে এই মর্মে চিঠি পাঠানো হয়েছে। ২৯ এপ্রিল বৈঠকটি হওয়ার কথা ছিল। ...

১০০ শতাংশ ভিভিপ্যাট স্লিপ গোনার দাবি খারিজ করে দিল সুপ্রিম কোর্ট। ফের পেপার ব্যালটে ভোট ফিরিয়ে আনার পাশাপাশি ভোটারদের হাতে ভিভিপ্যাট স্লিপ দেওয়ার আবেদনও খারিজ ...

লোকসভা ভোটের মধ্যেই বড়সড় ঘোষণা একগুচ্ছ দলিত আম্বেদকরপন্থী সংগঠনের। মহারাষ্ট্রে  বিরোধী জোটকে সমর্থন করছে প্রায় ৪৮টি দলিত আম্বেদকরপন্থী (বৌদ্ধ) সংগঠন। বিজেপি বিরোধী ভোটের বিভাজন এড়াতেই তাদের এই সিদ্ধান্ত বলে জানা গিয়েছে। ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

পারিবারিক মঙ্গল অনুষ্ঠান ও পুজোপাঠে আনন্দলাভ। বন্ধু বিবাদের যোগ আছে। বিদ্যাচর্চায় উন্নতি। ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

১৫২৬: মুঘল সম্রাট বাবর দিল্লির সুলতানকে পরাজিত করেন
১৬৬৭: অন্ধ এবং দরিদ্র ইংরেজ কবি জন মিলটন তার প্যারাডাইজ লস্ট কাব্যের স্বত্ব ১০ পাউন্ডে বিক্রয় করেন
১৮৭৮: কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় নারীশিক্ষা দানের ব্যবস্থা করে ও নারীদের এন্ট্রান্স পরীক্ষায় বসার সম্মতি প্রদান করে
১৮৮১: দাদাঠাকুর ওরফে শরচ্চন্দ্র পণ্ডিতের জন্ম
১৮৯৭: বাঙালি ঐতিহাসিক, ছন্দবিশারদ ও রবীন্দ্রবিশেষজ্ঞ প্রবোধচন্দ্র সেনের জন্ম
১৯১২ : ভারতীয় অভিনেত্রী, নৃত্যশিল্পী এবং নৃত্য পরিচালক জোহরা সেহগলের জন্ম
১৯৩৫: বাঙালি ভূতত্ববিদ, বিজ্ঞানী ও সমাজকর্মী প্রমথনাথ বসুর মৃত্যু  
১৯৩৬: ইংরেজি গণিতবিদ, জীববিজ্ঞানী ও দার্শনিক  কার্ল পিয়ারসনের মৃত্যু
১৯৬০: সাহিত্যিক রাজশেখর বসু ওরফে ‘পরশুরাম’-এর মৃত্যু
১৯৬২:  বাঙালি রাজনীতিবিদ এ. কে. ফজলুল হকের মৃত্যু
১৯৬৮: দাদাঠাকুর ওরফে শরচ্চন্দ্র পণ্ডিতের মৃত্যু
১৯৭২: অ্যাপোলো ১৬ মহাকাশযান পৃথিবীতে ফিরে আসে
১৯৮১: জেরক্স পার্ক বাজারে আনে কম্পিউটারের মাউস
১৯৮৯: বাংলাদেশে ঘূর্ণিঝড়ে ৫০০ মানুষ নিহত হয়
১৯৯২: রাশিয়া ও অন্যান্য প্রজাতন্ত্রগুলো আইএমএফ ও বিশ্বব্যাংকে যোগ দেয়
১৯৯৩: ডাকারে যাওয়ার পথে লিবরেভিল্লেতে বিমান দুর্ঘটনায় মারা যান জাম্বিয়া জাতীয় ফুটবল দলের সমস্ত সদস্য
১৯৯৪: দক্ষিণ আফ্রিকায় সাধারণ নির্বাচনে প্রথম ভোট দেওয়ার সুযোগ পান কৃষ্ণাঙ্গ নাগরিকরা
২০০৬: নিউ ইয়র্ক সিটিতে যেখানে ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টার ছিল সেখানে ফ্রিডম টাওয়ার তৈরির কাজ শুরু হয়
২০০৯: ভারতীয় অভিনেতা, পরিচালক ও প্রযোজক ফিরোজ খানের মৃত্যু
২০১৭: অভিনেতা বিনোদ খান্নার মৃত্যু



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৮২.৪৮ টাকা ৮৪.২২ টাকা
পাউন্ড ১০২.৫৬ টাকা ১০৫.৯৯ টাকা
ইউরো ৮৭.৯৩ টাকা ৯১.০৫ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৭৩,১০০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৭৩,৪৫০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৬৯,৮৫০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৮১,৮৫০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৮১,৯৫০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

১৪ বৈশাখ, ১৪৩১, শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪। তৃতীয়া ৭/৫০ দিবা ৮/১৯। জ্যেষ্ঠা নক্ষত্র ৫৮/১৩ রাত্রি ৪/২৮। সূর্যোদয় ৫/১০/৪৬, সূর্যাস্ত ৫/৫৭/৪৯। অমৃতযোগ দিবা ৯/২৭ গতে ১২/৫১ মধ্যে। রাত্রি ৮/১২ গতে ১০/২৭ মধ্যে পুনঃ ১১/৫৭ গতে ১/২৭ মধ্যে পুনঃ ২/১২ গতে ৩/৪১ মধ্যে। বারবেলা ৬/৪৬ মধ্যে পুনঃ ১/১০ গতে ২/৪৬ মধ্যে পুনঃ ৪/২৩ গতে অস্তাবধি। কালরাত্রি ৭/২২ মধ্যে পুনঃ ৩/৪৫ গতে উদয়াবধি। 
১৪ বৈশাখ, ১৪৩১, শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪। তৃতীয়া দিবা ৬/৪০। জ্যেষ্ঠা নক্ষত্র রাত্রি ২/৫৩। সূর্যোদয় ৫/১১, সূর্যাস্ত ৫/৫৯। অমৃতযোগ দিবা ৯/২২ গতে ১২/৫১ মধ্যে এবং রাত্রি ৮/১৬ গতে ১০/২৭ মধ্যে ও ১১/৫৬ গতে ১/৫২ মধ্যে ও ২/৩ গতে ৩/৩৩ মধ্যে। কালবেলা ৬/৪৭ মধ্যে ও ১/১১ গতে ২/৪৭ মধ্যে ও ৪/২৩ গতে ৫/৫৯ মধ্যে। কালরাত্রি ৭/২৩ মধ্যে ও ৩/৪৭ গতে ৫/১১ মধ্যে। 
১৭ শওয়াল।

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
আইপিএল: রাজস্থান ৭ উইকেটে হারাল লখনউকে

11:20:50 PM

আইপিএল: ২৮ বলে হাফসেঞ্চুরি সঞ্জু স্যামসনের,রাজস্থান ১৭৮/৩(১৭.৩ ওভার), টার্গেট ১৯৭

11:01:00 PM

আইপিএল: রাজস্থান ১৪৪/৩ (১৫ ওভার), টার্গেট ১৯৭

10:59:18 PM

আইপিএল: ১৪ রানে আউট রিয়ান পরাগ,রাজস্থান ৭৮/৩(৮.৪ ওভার), টার্গেট ১৯৭

10:27:57 PM

আইপিএল: ২৪ রানে আউট জয়সওয়াল,রাজস্থান ৬০/২(৬.১ ওভার), টার্গেট ১৯৭

10:18:35 PM

আইপিএল: ৩৪ রানে আউট বাটলার,রাজস্থান ৬০/১ (৫.৫ ওভার), টার্গেট ১৯৭

10:11:30 PM