বিদ্যা ও কর্মে উন্নতির যুগ অর্থকরি দিকটি কমবেশি শুভ। মানসিক চঞ্চলতা ও অস্থিরতা থাকবে। স্বাস্থ্যের ... বিশদ
ব্রহ্মাণ্ডের শুরু কোথায়?
ইতিহাসে সবচাইতে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল ‘মহাবিশ্বের সৃষ্টি’ রহস্য বা ‘বিগ ব্যাং’। আবার প্রশ্ন হল, ‘বিগ ব্যাং’ হলই বা কেন? জিজ্ঞাসা অনেক। তবে সত্যিটা হল, বিগ ব্যাং-এর কারণেই এই ‘অখিলে’ হয়েছে সব ধরনের পরিবর্তন। এমনকী আজ তোমার সৃষ্টির পিছনেও কিন্তু দায়ী সেই ‘বিগ ব্যাং’! যখন বিশ্বব্রহ্মাণ্ড সৃষ্টি হল, তখন কোনওকিছুই এখনকার মতো ছিল না। সেইসময় সবকিছুই ছিল তীব্রভাবে উত্তপ্ত অবস্থায়। ক্রমশ অতি ক্ষুদ্র কণার দল মিশে গেল আলো এবং শক্তি’র সঙ্গে। ক্রমশ সবকিছুই ছড়িয়ে পড়তে লাগল মহাকাশে। ধীরে ধীরে শীতল হতে শুরু করল সমস্ত কিছু। ছোট্ট ছোট্ট কণারা শুরু করল দলবদ্ধ হতে। তৈরি হল ‘পরমাণু’। পরমাণুরা একে অপরের সঙ্গে যুক্ত হয়ে তৈরি করল নক্ষত্র এবং নক্ষত্রপুঞ্জ। তারাদের জন্ম শুরু হওয়ার পর তৈরি হতে শুরু করল গ্রহাণু, ধূমকেতু, গ্রহ এবং কৃষ্ণ গহ্বর। আর এভাবেই বিশ্বব্রহ্মাণ্ড পেল তার আকার!
কেন আবহাওয়া সবসময় এমন অনিশ্চিত?
বিজ্ঞানীরা আবহাওয়াকে বিশৃঙ্খল গতিশীল হিসেবে অভিহিত করে থাকেন। গতিশীল, কারণ প্রতিমুহূর্তে আবহাওয়ার পরিবর্তন হয়। আর বিশৃঙ্খল কারণ কোনও নির্দিষ্ট ছক মেনে আবহাওয়ার পরিবর্তন হয় না। আর এমন ঘটনার পিছনে অন্যতম কারণ হল, পৃথিবীতে রয়েছে বিশালাকায় সব পর্বত, মহাসাগর এবং পুরু বায়ুমণ্ডল। এই সবকিছুর উপর প্রতিটি ক্ষণে পড়ছে সূর্যের প্রচণ্ড তাপ। ফলে তৈরি হচ্ছে সীমাহীন শক্তি। এই বৃহৎ শক্তি ও সামঞ্জস্যহীন ভূভাগ তৈরি করছে বিপুল এবং পাগলপারা আবহাওয়া! এই দৈত্যাকার আবহাওয়া পৃথিবীর নানা প্রান্তে প্রবল আক্রোশ বুকে নিয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছে ও তারা একে অপরের উপর উন্মাদের মতো আছড়ে পড়ছে! এই কারণেই সৌর জগতে পৃথিবীর আবহাওয়া সম্পর্কে ভবিষ্যৎবাণী করা খুবই কঠিন!
আমরা চোখ দিয়ে দেখি কীভাবে?
কোনও বস্তুর উপর আলো পড়লে, সেই বস্তু আলোর প্রতিফলন ঘটায়। সেই প্রতিফলিত আলো এসে পড়ে আমাদের চোখের রেটিনার উপর। রেটিনা হল অক্ষিগোলকের পিছনে থাকা একটি স্তর। এই স্তরে রয়েছে ১২ কোটিরও বেশি আলোকগ্রাহী কোষ। এই কোষগুলি দুই ভাগে বিভক্ত। রড কোষ এবং কোণ কোষ। কোণ কোষ আমাদের বস্তুর রং চিনতে সাহায্য করে। অর্থাৎ রেটিনায় কোণ কোষ না থাকলে আমরা লাল, নীল, হলুদ, সবুজ রং চিনতে পারতাম না। রেটিনায় আলো পড়ার সঙ্গে সঙ্গে আমাদের আলোকগ্রাহী কোষগলি সক্রিয় হয়ে ওঠে। এই কোষগুলি আলোকে রূপান্তরিত করে বৈদ্যুতিক সঙ্কেতে। এই বৈদ্যুতিক সঙ্কেত চোখের ‘অপটিক নার্ভ’ মারফত পৌঁছে যায় ব্রেনে। মস্তিষ্কই এই সঙ্কেত’কে ছবিতে পরিণত করে ও আমরা বস্তুটিকে দেখতে পাই। আশ্চর্য ব্যাপার হল, আমাদের দু’টি চোখই শরীরে এমন অবস্থানে রয়েছে যে দু’টি চোখেরই নজরের আওতায় আসা বস্তুকে আমরা দেখতে পাই! দু’টি চোখই আলাদা আলাদা কোণ থেকে কোনও বস্তুর উপর দৃষ্টিপাত করলেও সেই বস্তুর থেকে আমাদের দূরত্ব একই দেখায়। এমনকী সেই বস্তুকে চোখ ত্রিমাত্রিক অবস্থায় দেখায়। অর্থাৎ বস্তুটির দৈর্ঘ্য, প্রস্থ, উচ্চতা সম্পর্কে আমরা ধারণা করতে পারি। ধারণা করতে পারি দূরত্ব ও গভীরতাও! বিষয়টি বেশ অবাক করার মতো! তাই না?
এত বৃষ্টি আসে কোথা থেকে?
শুরুটা হয় জলীয় বাষ্প থেকে। জলীয় বাষ্প হল জলের গ্যাসীয় অবস্থা। সূর্যের তাপে পৃথিবীর সব নদী, নালা, খালবিল থেকে জল পরিণত হতে থাকে বাষ্পে। জলীয় বাষ্প বাতাসের থেকে হাল্কা। তাই তা ক্রমশ বায়ুমণ্ডলের ওপরের স্তরে পৌঁছে যায়। ওপরে পৌঁছে বাষ্প ক্রমশ ঠান্ডা হতে থাকে। এইভাবে বাষ্প পুনরায় ঘনীভূত হয়ে তরল অবস্থায় পৌঁছতে চায়। তবে ঘনীভূত হওয়ার জন্য বাষ্পের দরকার পড়ে কঠিন তলের। জলীয়বাষ্প মূলত বাতাসে ভাসমান ক্ষুদ্রাকৃতি কণাকে আশ্রয় করে ঘনীভূত হয় ও জলবিন্দু তৈরি করে। আবার, বায়ুমণ্ডলের অধিক উচ্চতায় তাপমাত্রা নেমে যায় হিমাঙ্কের নীচে। জলীয়বাষ্প তেমন উঁচুতে পৌঁছে গেলে সেখানে বাষ্প থেকে বরফের কেলাস তৈরি হয়ে যায়। কয়েক সহস্র বরফের কেলাস তৈরি না হওয়া পর্যন্ত এই প্রক্রিয়া চলতে থাকে। এই অবস্থাকে আমরা ‘মেঘ’ হিসেবে দেখি। তবে বৃষ্টি হিসেবে ঝরে পড়তে হলে জলকণাকে যথেষ্ট ভারী ও বড় হতে হয়। বড় বৃষ্টি কণা তৈরি হওয়ার জন্য বেশ কিছু জলবিন্দু একসঙ্গে মেশে। তারপরেই তারা মেঘের নীচে থাকা উষ্ণ বায়ুকে পেরিয়ে পৃথিবীর অভিকর্ষ বলের প্রভাবে মাটির পানে নেমে আসে। এভাবেই আমরা বৃষ্টি পাই।
বেশ, তাহলে তোমরা বুঝতেই পারছ বেশ কিছু অবাক করা ঘটনার পিছনে থাকে বৈজ্ঞানিক যুক্তি। এমন বিস্ময় জাগানো ঘটনার সম্পর্কে জানতে হলে সোনি বিবিসি আর্থ-এ দেখ ‘থিংস ইউ নিড টু নো অ্যাবউট সায়েন্স’ অনুষ্ঠানটি।