Bartaman Patrika
হ য ব র ল
 

বেলুন আবিষ্কারের গল্প

চাঁদে বা মঙ্গলগ্রহে যাওয়া এখন জলভাত। কিন্তু একদিন ছিল যখন আকাশে ওড়া মানুষের পক্ষে যে সম্ভব তা ভাবাই যেত না। প্রথম মানুষ আকাশে উড়ল বেলুন চড়ে। সেই গল্প শোনালেন সুপ্রিয় নায়েক।

ভার্সাই-এর প্রাসাদের সামনে সেদিন তিলধারণের জায়গা নেই। হাজার হাজার মানুষ ছুটে আসছেন প্রাসাদের দিকে। উত্তেজনায় ফুটছে সকলে। ভারী আজব জাদু দেখানো হবে প্রাসাদের সামনে বিশাল ময়দানে। এমন জাদু আগে কোনওদিন হয়নি। এই ম্যাজিক আকাশে ওড়ার ম্যাজিক! একেবারে সামনের সারি থেকে সেই ম্যাজিক দেখার জন্য ভোরবেলাতেই সঙ্গের ব্যাগে শুকনো রুটি নিয়ে পৌঁছে গিয়েছেন কয়েকজন। খুব বেলা হয়ে গেলে খেয়ে নেবেন। এদিকে অপেক্ষা করতে করতে সত্যিই বেলা গড়িয়ে গেল। সেপ্টেম্বরের দুপুর। চড়চড়িয়ে রোদ উঠেছে। লোকজন অস্থির হয়ে উঠতে লাগল। বাচ্চারা এবার খিদের জ্বালায় কাঁদতে শুরু করেছে। তারমধ্যেই দেখা গেল, প্রাসাদের সামনে একটা খোলা জায়গায় দু’জন জাদুকর বিভিন্ন যন্ত্রপাতি নিয়ে কাজকর্ম করছেন। ভালো করে ঠাওর করতে বোঝা গেল, একটি কুণ্ডে আগুন জ্বালানোর সবরকম জোগাড়যন্ত্র করা হয়েছে। এছাড়া বিশালাকায় কাপড়ের তৈরি থলে শোয়ানো রয়েছে মাটিতে। সেই থলের আকার এক বিরাট শামিয়ানার মতো। আর একটা খাঁচার মধ্যে পোরা রয়েছে একটা মোরগ, একটি হাঁস আর একটা ভেড়া।
ভিড়ের মধ্যে থেকে একজন লোক এবার জাদুকরের দিকে প্রশ্ন ছুঁড়ে দিলেন— ‘ওহে ভদ্র মানুষেরা, তোমাদের নাম কী?’
দু’জন জাদুকরের মধ্যে একজন খুবই সুদর্শন। চওড়া কপাল হলেও তাঁর চুল ছিল কোঁকড়ানো। আর নাক ছিল টিকালো। ঠোঁট ছিল পাতলা। তবে সবচাইতে আকর্ষণীয় ছিল তাঁর চোখ। ওই দুই চোখের দিকে তাকালেই বোঝা যেত, একরাশ স্বপ্ন যেন বাসা বেঁধে রয়েছে সেখানে! জাদুকর আগুন জ্বালাতে জ্বালাতেই চেঁচিয়ে জবাব দিলেন— ‘আমার নাম জোসেফ মন্টগলফিয়ার। সঙ্গে রয়েছে আমার ভাই এটিয়েন মন্টগলফিয়ার।’
দর্শকের মধ্যে থেকে ফের প্রশ্ন এল— ‘তোমরা নাকি আজ আকাশে ওড়ার ম্যাজিক দেখাবে? বলি, সেই জাদু শুরু হবে কখন?’
জোসেফ উত্তর দিলেন— ‘আর কিছুক্ষণ অপেক্ষা করো।’
ফের একজন মজা করল— ‘ম্যাজিক দেখতে এসে আমরা খিদের জ্বালায় মরে না যাই!’ এমন কথায় চারিদিকে হাসির রোল উঠল। মন্টগলফিয়ার ভাইয়েরা অবশ্য তাতে ঘাবড়ে গেলেন না। তাড়াতাড়ি হাতের কাজ সারতে শুরু করলেন। কেননা ইতিমধ্যে প্রাসাদের ভেতর থেকে একজন রাজকর্মচারী এসে খবর দিয়েছে, রাজা ষোড়শ লুই আসছেন তাঁদের জাদু দেখতে।
ম্যাজিক
কুণ্ডে দাউদাউ করে আগুন জ্বলে উঠল। সঙ্গে সঙ্গে বেশ কয়েকজন লোক মিলে কপিকলের সাহায্যে দু’টি লম্বা দণ্ডের মাথায় প্রকাণ্ড কাপড়ের থলের খোলা মুখটা মেলে ধরল। ক্রমশ ফুলতে শুরু করল থলেটা। এই কাণ্ড দেখে একজন দর্শক বলল— ‘কাপড়ের প্রকাণ্ড থলেটা ফুলেছে ঠিকই, কিন্তু আকাশে উড়বে তো? নইলে রাজা কিন্তু খুব রেগে যাবেন!’
আগের কথা
তোমরা নিশ্চয়ই বুঝতে পেরেছ যে সময়ের গল্প করা হচ্ছে তা বহু দিন আগের। প্রশ্ন হল কত আগের? এই গল্প, ১৭৮৩ সালের ১৯ সেপ্টেম্বরের। আজ থেকে দুশো বছরেরও বেশি সময় আগের কথা। রকেট দূরে থাক, সেইসময় বিমানও আবিষ্কার হয়নি। এমনকী আবিষ্কার হয়নি রেলগাড়িও!
তোমাদের নিশ্চয়ই এবার জানতে ইচ্ছে করছে, ভার্সাইয়ের প্রাসাদের সামনে আদৌ কাপড়ের তৈরি বিরাট থলে উ‌ড়ল কি না? সেই গল্পে ফিরছি। তবে তার আগে জোসেফ আর এটিয়েন মন্টগলফিয়ার-এর কথা একটু বলে নেওয়া যাক। তোমরা আগেই জানতে পেরেছ, জোসেফ আর এটিয়েন দুই ভাই। ফ্রান্সের অ্যানোনে প্রদেশে ১৭৪০ সালে জন্ম জোসেফের। আর পাঁচ বছর পরে জন্ম হয় এটিয়েন-এর। দুই ভাইয়ের বাবার ছিল কাগজ কল। ওদের বাবা চেয়েছিলেন, বড় হওয়ার পর দুই ভাই যেন ব্যবসার হাল ধরে। তাই জোসেফকে নামী স্কুলে ভর্তি করা হয়। তবে জোসেফ ছিল বাঁধনহারা। তাই স্কুল ছেড়ে, ঘর ছেড়ে, দূরে গিয়ে নিজেই রাসায়নিকের ব্যবসা শুরু করেন। বিভিন্ন গবেষণাধর্মী কাজ জোসেফকে বরাবর টানত। অনেকগুলি মাস অন্য কাজ করার পরে জোসেফ বাবার কাগজ কলে যোগ দেন। তবে খুব একটা উন্নতি করে উঠতে পারেননি। কারখানার ক্ষতি হতে থাকে। কারণ কারখানার কাজের চাইতেও জোসেফের আগ্রহ ছিল নানা ধরনের গবেষণার প্রতি। অন্যদিকে ছোটভাই এটিয়েন ছিল ধীরস্থির। তিনি পরে ব্যবসার হাল ধরে উন্নতি করেন। তবে দুই ভাইয়ের মধ্যে মনের মিল ছিল খুব। ভাবও ছিল দেখার মতো। সাধারণত দাদা জোসেফ যা বলতেন, এটিয়েন তা মেনে চলার চেষ্টা করতেন। প্রকৃতির নানা আশ্চর্য বিষয় নিয়ে জোসেফের আগ্রহ এটিয়েনের ভালো লাগত।
ফায়ারপ্লেস আর জামা
শোনা যায়, একদিন জোসেফ বসেছিলেন একটি ছোট আগুনের কুণ্ডের পাশে। আগুনের কুণ্ডের ওপরে কতকগুলো জামা শুকোতে দেওয়া ছিল। জোসেফ খেয়াল করে দেখলেন, আগুনের তাপে বারবার জামা ফুলে উঠছে আর বাতাসে ভেসে যাওয়ার চেষ্টা করছে! বিষয়টা ভাবিয়ে তুলল জোসেফকে। তাঁর মনে হল আগুন থেকে নিশ্চয়ই কোনও গ্যাস বেরচ্ছে যা জামা উড়িয়ে দেওয়ার চেষ্টা করছে। জোসেফ এই গ্যাসের  নাম দিলেন ‘মন্টগলফিয়ার গ্যাস।’ আর একইসঙ্গে ডেকে পাঠালেন ছোটভাই এটিয়েনকে। এবার দু’জনে মিলে কাগজ দিয়ে একটা বড়সড় কাগজের বাক্স বানালেন আর তার নীচে আগুন দিলেন। দেখা গেল কিছুক্ষণ পর বাক্সটি বাতাসে উড়ে গেল! তাঁরা দুইভাই মিলে ঠিক করলেন, এবার একটা বড়সড় থলে তৈরি করে তার মধ্যে মন্টগলফিয়ার গ্যাস পুরে শহরের লোকের সামনে ওড়াতে হবে। তাঁরা ফোলা থলেকে বেলুন বলে উল্লেখ করলেন। 
অতএব কাপড় আর কাগজ দিয়ে তাঁরা তৈরি করে ফেললেন বিরাট আকারের এক বেলুন। তারপর অ্যানোনে শহরের বাজার চত্বর থেকে ১৭৮৩ সালের জুন মাসে উড়িয়ে দিলেন সেই বেলুন। মানুষ অবাক হয়ে দেখল বিরাট এক বেলুন চড়চড় করে উড়ে গেল আকাশের দিকে। জানা যায়, মোটামুটি ছয় হাজার ফুট উচ্চতায় উঠে দশ মিনিট ভেসে থাকে সেই বেলুন। আর পাড়ি দেয় প্রায় দুই কিলোমিটার পথ। লোকমুখে ছড়িয়ে পড়ে দুই মন্টগলফিয়ার ভাইয়ের নাম। এমনকী কথাটা ফ্রান্সের রাজার কানেও পৌঁছয়। দুই ভাইকে ভার্সাই-এর প্রাসাদে ডেকে পাঠান রাজা।
ভার্সাই-এর প্রাসাদে
রাজার ডাক পাওয়ার পরেই দুই ভাই একটি শক্তপোক্ত বেলুন তৈরির দিকে মন দেন। শক্তপোক্ত কাপড় তাঁরা সংগ্রহ করেন। আর বেলুনে যাতে চট করে আগুন না লাগে তাই কাপড়ের ওপরে দেওয়া হয় অ্যালুম-এর প্রলেপ। বেলুনের গায়ে সোনার জরির নকশা করা হয়।
এরপর নির্দিষ্ট দিনে ফ্রান্সের রাজধানী প্যারিস শহরের কেন্দ্র থেকে ২০ কিলোমিটার দূরে ভার্সাইয়ের প্রাসাদের ডাকা হয় প্রজাদের। ঠিক করা হয় ভার্সাইয়ের প্রাসাদের সামনেই ওড়ানো হবে বেলুন। তাই পরিকল্পনা মতোই আগুনের কুণ্ডের ওপর ধরে রাখা হয় সেই বিরাট কাপড়ের থলের খোলা মুখ! প্রায় ৩০ ফুট ব্যাসের সেই বেলুনের পেট ফুলে উঠতেই তার সঙ্গে জুড়ে দেওয়া হল ভেড়া, মোরগ আর হাঁসকে। আসলে তখনকার দিনে মনে করা হতো, ভেড়া আর মানুষের শরীরে অন্দরের গঠন একইরকম! এছাড়া মাটি থেকে অত উঁচুতে কোনও প্রাণী বেঁচে থাকতে পারে কি না তা দেখাই ছিল উদ্দেশ্য।
রাজা ষোড়শ লুই-এর সঙ্গে প্রায় এক লাখ তিরিশ হাজার লোক সেদিন অবাক হয়ে যায়। সকলে দেখে, তিনটি প্রাণীকে নিয়ে বিরাট আকারের বেলুনটি আকাশে উড়তে শুরু করেছে। এমনকী নিরাপদে মাটিতে নেমে আসার আগে প্রায় আট মিনিট শূন্যে ভেসেও থাকে বেলুনটি। সব দর্শকরা আনন্দে চিৎকার করে ওঠে।
বেলুনে চড়ল মানুষ
জীবন্ত প্রাণী ভেসে থাকার পর এবার পালা ছিল মানুষ উড়তে পারে কি না তা দেখার। ভার্সাইয়ের প্রাসাদ থেকে বেলুন ওড়ানোর দুই মাস পরেই দুইভাই এবার বেলুনের সাহায্যে মানুষকে আকাশে ভাসানোর পরিকল্পনা করেন। পরিকল্পনা মতো, ওই বছরই ২১ নভেম্বর এক রসায়ন ও পদার্থবিদ্যার শিক্ষক এবং একজন মিলিটারি অফিসার মন্টগলফিয়ার বেলুনে চড়ে বসেন। ২৫ মিনিটে প্রায় ৯ কিলোমিটার উড়েও যান তাঁরা।
বেলুনের উন্নতি
সেই সময় মন্টগলফিয়ার ভাইয়েরা মনে করেছিলেন তাঁরা সম্পূর্ণ নতুন একধরনের গ্যাসের আবিষ্কার করে ফেলেছেন। অথচ সত্যিটা হল ওই গ্যাস আসলে ছিল গরম বাতাস। বাতাস উষ্ণ হলে তা হালকা হয়ে যায়। তাই বেলুনের মধ্যে গরম বাতাস ঢুকলেই বেলুন ওপরে উঠতে থাকে। কারণ তখন আশপাশের বাতাস থাকে ভারী। মন্টগলফিয়ার ভাইয়েরা বেলুন আবিষ্কার করলেও পরে বেলুনের আরও উন্নতি ঘটতে থাকে। এমনকী তৈরি হয় হাইড্রোজেন গ্যাসের বেলুন। বেলুনের সাহায্যে একসঙ্গে অনেক যাত্রী নিয়ে যাওয়ার চেষ্টাও করা হয়। অবশ্য সেই চেষ্টা খুব একটা সফল হয়নি। আজকাল নানা বৈজ্ঞানিক আবিষ্কারের জন্য বেলুনের ব্যবহার করা হয়। তবে সেই সময় মন্টগলফিয়ারদের তৈরি বেলুন অবশ্যই যুগান্তকারী আবিষ্কার ছিল। কারণ মানুষের দীর্ঘদিনের স্বপ্ন ছিল পাখির মতো আকাশে ওড়ার। সেই স্বপ্ন সত্যি করে দিয়েছিল দুই ভাইয়ের কৌতূহলী মন।
তথ্য ও ছবি : সংশ্লিষ্ট সংস্থার সৌজন্যে
29th  November, 2020
বিকেলবেলার আলো

আজ ক্লাস ফাইভ থেকে বিনন্দ সিক্সে উঠেছে। ওর এরকম নামটা মা রেখেছিল। মা একটা পুরনো বই ঠাকুরমার কাছ থেকে পেয়েছিল। বইটার নাম ‘লক্ষ্মীচরিত্র’। বইটার মলাটে একটা লক্ষ্মী ঠাকুরের রঙিন ছবি আছে। মা সন্ধেবেলা বইটা নিয়ে পড়তে বসে।
বিশদ

21st  April, 2024
পশ্চিম আকাশে সূর্যোদয়

শুক্রের আহ্নিক গতি অন্য গ্রহগুলির মতো নয়। সৌর জগতে কেন ব্যতিক্রমী এই গ্রহ জানালেন স্বরূপ কুলভী বিশদ

21st  April, 2024
মুদ্রা যখন বিশালাকৃতির পাথর

টাকা-পয়সা বা মুদ্রা সম্পর্কে আমাদের সকলেরই কমবেশি ধারণা আছে। সভ্যতার ঊষালগ্নে চালু ছিল বিনিময় প্রথা। তারপর এল তামা, সোনা ও রুপোর মুদ্রা। বর্তমান সময়ে ধাতব মুদ্রার পাশাপাশি কাগজের নোট চালু আছে।
বিশদ

21st  April, 2024
বাংলা ভাষার প্রতি ঠাকুরবাড়ির ভালোবাসা
পার্থজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়

বাংলা নববর্ষের দিন জানব বাংলা ভাষার প্রতি ভালোবাসার কথা। সেই ইংরেজ আমলে রবীন্দ্রনাথের পরিবারের সদস্যরা কীভাবে এই ভাষার জন্য লড়াই করেছিলেন, তুলে ধরা হল তারই টুকরো কিছু স্মৃতি।  বিশদ

14th  April, 2024
হরেকরকম হাতের কাজ: মটকা পেন্টিং

ফেলে দেওয়া জিনিস দিয়ে হাতের কাজ করা শেখাচ্ছেন ডিজাইনার বিদিশা বসু। তাঁর সঙ্গে কথা বললেন কমলিনী চক্রবর্তী। বিশদ

14th  April, 2024
ঘুমিয়ে ঘুমিয়ে আবিষ্কার
কল্যাণকুমার দে

ঘুম! পড়তে বসলেই ঘুম পেয়ে যায়। এর জন্য বাবা-মায়ের কাছে কম বকুনি খেতে হয় না। বকুনি খেয়েও কিন্তু অভ্যেসটা পাল্টায় না। আসলে ঘুমের অভ্যেসটা আমাদের জন্মাবার সঙ্গেই তৈরি হয়ে যায়। কিন্তু প্রশ্ন হল, আমরা কেন ঘুমোই? জীবনে কি ঘুম অত্যন্ত জরুরি? বিশদ

14th  April, 2024
এপ্রিল ফুলের খুনসুটি

পেরিয়ে এলাম পয়লা এপ্রিল। ইংরেজি চতুর্থ মাসের ১ তারিখ মানেই এপ্রিল ফুলস’ ডে। বোকা বানানোর দিন। কীভাবে বন্ধুদের সঙ্গে দিনটি মজা করে কাটল, সেই গল্পই শোনাল পূর্ব বর্ধমানের ঘোড়ানাশ উচ্চ বিদ্যালয়ের পড়ুয়ারা। ‘ফুল’ একটি ইংরেজি শব্দ। এর অর্থ বোকা। এপ্রিল ফুলের অর্থ এপ্রিল মাসের বোকা।
বিশদ

07th  April, 2024
যাত্রী যখন গান্ধীজি

১৯৪৬ সালের জানুয়ারি মাস। শীতের বিকেলে সোদপুর স্টেশন দিয়ে কু-ঝিকঝিক আওয়াজ করে গন্তব্যের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে যাত্রীবাহী ট্রেন। স্ব-পার্ষদ খাদি আশ্রমে বসে রয়েছেন জাতির জনক। আচমকা বললেন, মাদ্রাজ যেতে হবে। এখান থেকেই ট্রেন ধরব
বিশদ

07th  April, 2024
বিরল সংখ্যা

গণিত মানেই মগজাস্ত্রে শান। সংখ্যার খেলা। কত ধরনেরই যে বিস্ময় লুকিয়ে রয়েছে, তা বলে বোঝানো যায় না। এক একটা সংখ্যাতেই কত না রহস্য। এই ধর, ছয় দশ পাঁচ পঁয়ষট্টির কথা। সংখ্যায় লিখলে— ৬৫। দেখে কী মনে হচ্ছে!
বিশদ

07th  April, 2024
রুকু ঝুকুর চাওয়া পাওয়া
অংশুমান কর

আমরা গ্রামের বাড়ি যাব। ঝুকুর জন্মের পর এই প্রথম আমাদের সকলের একসঙ্গে গ্রামের বাড়ি যাওয়া। ও তাই খুব আনন্দে আছে। কতবার আমাকে বলছে, ‘দাদা তুই আর আমি ধানগাছে চড়ে দোল খাব।’ আমি ওকে বলিনি যে, ধানগাছে চড়ে দোল খাওয়া যায় না। বিশদ

31st  March, 2024
মহাকাশযাত্রীদের খাবার-দাবার
উৎপল অধিকারী

মহাকাশ বড়ই রহস্যময় স্থান। এই রহস্যের উদ্ঘাটন করার জন্য মানুষ দীর্ঘদিন ধরে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। মানুষ সশরীরে সেখানে হাজির হয়েছে। এই অকুতোভয় সাহসী মহাকাশযাত্রীরা জীবন বাজি রেখে অসীম ধৈর্য নিয়ে মহাকাশযানে তাঁদের গবেষণা করছেন। বিশদ

31st  March, 2024
চরম দারিদ্র্য থেকে সর্বোচ্চ শিখরে

পৃথিবীর সর্বোচ্চ শৃঙ্গ মাউন্ট এভারেস্টের প্রথম উচ্চতা মেপেছিলেন রাধানাথ শিকদার। এই বাঙালি গণিতবিদের সাফল্যের গল্প শোনালেন সোমনাথ সরকার বিশদ

31st  March, 2024
কবিগুরুর দোল উৎসব
সায়ন্তন মজুমদার

১৯২৫ সালে দোল উপলক্ষ্যে সেজে ওঠে আম্রকুঞ্জ। কিন্তু বিকেলের ঝড়বৃষ্টিতে সব লণ্ডভণ্ড হয়ে যায়। বৃষ্টি থামতে রবীন্দ্রনাথ সকলকে নিয়ে চলে যান এখনকার পাঠভবনে। সেখানে অভিনীত হয় ‘সুন্দর’ নাটকটি। বিশদ

24th  March, 2024
খেলাধুলোর আনন্দ

পড়াশোনায় ফাঁক পেলেই চলছে চুটিয়ে খেলা। ব্যাট-উইকেট, ফুটবল নিয়ে সকলে নেমে পড়ছে। খেলার আনন্দের বিকল্প নেই। নিজেদের প্রিয় খেলার বিষয়ে জানাল মালদহের হরিশ্চন্দ্রপুর হাই স্কুলের পড়ুয়ারা। বিশদ

24th  March, 2024
একনজরে
বুধবার রাতে নদীয়ার কালীগঞ্জের বল্লভপাড়ায় দু’টি বাইকের মুখোমুখি সংঘর্ষে তিন যুবকের মর্মান্তিক মৃত্যু হল। বাইকের গতি এতটাই বেশি ছিল যে এক যুবক ছিটকে একটি টোটোর কাচ ভেঙে ঢুকে যান। ...

আইপিএলে ইমপ্যাক্ট প্লেয়ারের নিয়ম নিয়ে আগেই মুখ খুলেছিলেন রোহিত শর্মা ও রিকি পন্টিং। এবার একই সুর শোনা গেল দিল্লি ক্যাপিটালসের অক্ষর প্যাটেলের ...

ভোট মরশুমে চোখ রাঙাচ্ছে মাত্রাতিরিক্ত গরম। আজ, শুক্রবার, লোকসভার দ্বিতীয় দফার নির্বাচন। বৃহস্পতিবার আগামী পাঁচদিনের জন্য পশ্চিমবঙ্গ, ওড়িশা, বিহার, ঝাড়খণ্ড, অন্ধ্রপ্রদেশ, তেলেঙ্গানা, কর্ণাটক এবং উত্তরপ্রদেশের ...

রক্তক্ষরণ আটকাতে পারবে কি সিপিএম? আটকানো যাবে কি বামের ভোট রামে যাওয়া? —মূলত এই দু’টি প্রশ্নই এখন আলোচনার কেন্দ্রে। ব্রিগেড ভরাতে পারলেও ভোটবাক্স ভরাতে পারবেন কি না, তা নিয়েই এখন চিন্তিত সিপিএমের বঙ্গ রাজনীতির কুশীলবরা। ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

বিদ্যা ও কর্মে উন্নতির যুগ অর্থকরি দিকটি কমবেশি শুভ। মানসিক চঞ্চলতা ও অস্থিরতা থাকবে। স্বাস্থ্যের ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

১৮৮৪- উচ্চাঙ্গ সঙ্গীতশিল্পী, সেতার ও সুরবাহার বাদক ওস্তাদ আয়েত আলী খাঁর জন্ম
১৮৯৭- বাঙালি চলচ্চিত্র পরিচালক নীতীন বসুর জন্ম
১৯২০- ভারতীয় গণিতবিদ শ্রীনিবাস রামানুজনের মৃত্যু
১৯২৪- সাহিত্যিক নারায়ণ সান্যালের জন্ম 



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৮১.৫০ টাকা ৮৪.৯৩ টাকা
পাউন্ড ১০১.৪৭ টাকা ১০৫.৯২ টাকা
ইউরো ৮৭.১৪ টাকা ৯১.১৮ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৭২,৭০০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৭৩,০৫০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৬৯,৪৫০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৮১,৪৫০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৮১,৫৫০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

১৩ বৈশাখ, ১৪৩১, শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪। দ্বিতীয়া ৬/১৩ দিবা ৭/৪৭। অনুরাধা নক্ষত্র ৫৮/৪০ রাত্রি ৩/৪০। সূর্যোদয় ৫/১১/৩০, সূর্যাস্ত ৫/৫৭/২৪। অমৃতযোগ প্রাতঃ ৬/৫৪ মধ্যে পুনঃ ৭/৪৪ গতে ১০/১৮ মধ্যে পুনঃ ১২/৫১ গতে ২/৩২ মধ্যে পুনঃ ৪/১৫ গতে অস্তাবধি। রাত্রি ৭/২৮ গতে ৮/৫৭ মধ্যে পুনঃ ২/৫৭ গতে ৩/৪১ মধ্যে। মাহেন্দ্রযোগ রাত্রি ১০/২৭ গতে ১১/১২ মধ্যে পুনঃ ৩/৪১ গতে উদয়াবধি। বারবেলা ৮/২৪ গতে ১১/৩৪ মধ্যে। কালরাত্রি ৮/৪৫ গতে ১০/১০ মধ্যে। 
১৩ বৈশাখ, ১৪৩১, শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪। দ্বিতীয়া দিবা ৬/২৮। অনুরাধা নক্ষত্র রাত্রি ২/২৬। সূর্যোদয় ৫/১২, সূর্যাস্ত ৫/৫৯। অমৃতযোগ দিবা ৬/৪৬ মধ্যে ও ৭/৩৮ গতে ১০/১৫ মধ্যে ও ১২/১৫ গতে ২/৩৫ মধ্যে ও ৪/২০ গতে ৫/৫৯ মধ্যে এবং রাত্রি ৭/৩২ গতে ৯/০ মধ্যে ও ২/৫০ গতে ৩/৩৪ মধ্যে। মাহেন্দ্রযোগ রাত্রি ১০/২৭ গতে ১১/১১ মধ্যে ও ৩/৩৪ গতে ৫/১১ মধ্যে। বারবেলা ৮/২৪ গতে ১১/৩৫ মধ্যে। কালরাত্রি ৮/৪৭ গতে ১০/১১ মধ্যে। 
১৬ শওয়াল।

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
আইপিএল: কেকেআরকে ৮ উইকেটে হারাল পাঞ্জাব

11:31:28 PM

আইপিএল: ২৩ বলে হাফসেঞ্চুরি শশাঙ্ক সিংয়ের, পাঞ্জাব ২৪৬/২ (১৭.৪ ওভার) টার্গেট ২৬২

11:26:31 PM

আইপিএল: ৪৫ বলে সেঞ্চুরি জনি বেয়ারস্টোর, পাঞ্জাব ২১০/২ (১৬.১ ওভার) টার্গেট ২৬২

11:13:32 PM

আইপিএল: ২৬ রানে আউট রাইলি রুশো, পাঞ্জাব ১৭৯/২ (১৩ ওভার) টার্গেট ২৬২

10:56:50 PM

আইপিএল: ২৪ বলে হাফসেঞ্চুরি জনি বেয়ারস্টোর, পাঞ্জাব ১২০/১ (৯.১ ওভার) টার্গেট ২৬২

10:36:30 PM

আইপিএল: ৫৪ রানে আউট প্রভসিমরন, পাঞ্জাব ১০৭/১ (৭.৫ ওভার) টার্গেট ২৬২

10:29:44 PM