Bartaman Patrika
হ য ব র ল
 

হোয়াইট হাউসে ভূতের ভয়! 

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময়কার ঘটনা। ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী উইনস্টন চার্চিল এসেছেন হোয়াইট হাউসে। সারা দিনের কর্মব্যস্ততায় ক্লান্ত শরীর। স্নান সেরে সোজা নিজের ঘরে। পরনে কোনও পোশাক নেই। নিজের মতো করে পাওয়া সময়টাকে আরও একটু উপভোগ করতে ধরালেন একটা চুরুট। সেই চুরুটে কয়েকটা টান দিয়েছেন কি দেননি, অমনি চার্চিল আবিষ্কার করলেন, ফায়ারপ্লেসের পাশে বিষণ্ণ চেহারা নিয়ে বসে আছেন আব্রাহাম লিঙ্কন! যেন যুদ্ধ-উন্মত্ত পৃথিবীর ভবিষ্যৎ নিয়ে ভীষণ চিন্তিত। এভাবে একেবারে জন্মদিনের পোশাকে লিঙ্কনের সামনে পড়ে যাওয়ায় চার্চিল তো লজ্জায় মাটির সঙ্গে প্রায় মিশে যান। কিন্তু সেই লজ্জা কর্পূরের মতো উবে গিয়ে সেখানে ভর করল অন্য আতঙ্ক— আব্রাহাম লিঙ্কন! তিনি তো মারা গিয়েছেন সেই ১৮৬৫ সালের এপ্রিলে! এই কি তাহলে আব্রাহাম লিঙ্কনের সেই বিখ্যাত ভূত? অনেকেই বলেন, চার্চিল নাকি একটুও ভয় না পেয়ে লিঙ্কনের উদ্দেশে বলেছিলেন, ‘শুভ সন্ধ্যা, মিস্টার প্রেসিডেন্ট। আমাকে একেবারে অপ্রস্তুত অবস্থায় পেয়ে গেলেন দেখছি!’
শুধু চার্চিল নয়, হোয়াইট হাউসে লিঙ্কনের ভূত অনেকেই দেখেছেন বলে মার্কিন মুলুকে কত গল্প। ভূত আছে না নেই তা নিয়ে যথেষ্ট বিতর্ক রয়েছে। তবে ভয় পেতে বোধহয় আমরা একটু ভালোই বাসি। তাই ভয়ে দু’হাত দিয়ে চোখ ঢেকে আঙুলের ফাঁক দিয়ে হরর ফিল্মের সবচেয়ে ভয়ানক দৃশ্যটাও আমরা মিস করতে চাই না। তবে হরর ফিল্মে ভূত দেখা আর বাস্তবে কোনও ‘ভৌতিক’ ঘটনা প্রত্যক্ষ করার মধ্যে বিস্তর ফারাক আছে। যে ফারাকটা হাড়ে হাড়ে টের পেয়েছেন হোয়াইট হাউসের বাসিন্দারা। হোয়াইট হাউসের আশপাশের অনেকেই আজও বলেন যে, লিঙ্কনের বেডরুমের বাতিগুলো মাঝে মাঝে হঠাৎ জ্বলে উঠত, কখনও বা দেখা যেত রুমটির তাপমাত্রা মাত্রাতিরিক্ত ঠান্ডা হয়ে গিয়েছে। অনেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট, ফার্স্ট লেডি, রাষ্ট্রীয় অতিথি, কর্তা-কর্মচারীও হোয়াইট হাউসে বিভিন্ন সময়ে ভূত দেখেছেন বলে দাবি করেছেন। সরাসরি ভূত না দেখলেও কেউ কেউ ভূতুড়ে আওয়াজ তো পেয়েছেনই। এদের মধ্যে সবচেয়ে বিখ্যাত ভূত আব্রাহাম লিঙ্কনই। লিঙ্কন রাষ্ট্রপতি থাকাকালীনই হোয়াইট হাউসে তাঁর ছেলে উইলি মারা যান। উইলির আত্মাকেও নাকি মাঝেমধ্যেই দেখতে পাওয়া যায় সেই ওয়াশিংটন ডিসির ১৬০০ পেনসিলভেনিয়া অ্যাভিনিউর বাড়িতে। আর এক প্রাক্তন মার্কিন রাষ্ট্রপ্রধান অ্যান্ড্রু জ্যাকসনের প্রিয় ঘর ছিল ‘রোজ রুম’। এই রোজ রুমেই নাকি জ্যাকসনের অট্টহাসি আর শ্বাস-প্রশ্বাসের আওয়াজ শুনেছেন কেউ কেউ। সেই কারণেই হয়তো প্রেসিডেন্ট হেনরি ট্রুম্যান স্ত্রীকে একবার বলেছিলেন, ‘আমি পৃথিবীর এক জঘন্য জায়গায় থাকি।’
হোয়াইট হাউসের দ্য ইয়েলো ওভাল রুম ছিল প্রেসিডেন্ট লিঙ্কনের ব্যক্তিগত লাইব্রেরি। এটি তাঁর বেশ পছন্দের ছিল। রুমটির জানালায় প্রায়ই লিঙ্কন দাঁড়িয়ে থাকেন। লিঙ্কনের ভূত প্রথম দেখেছিলেন প্রেসিডেন্ট ক্যালভিন কুলিজের স্ত্রী গ্রেস কুলিজ। প্রেসিডেন্ট লিন্ডন জনসনের স্ত্রী লেডি বার্ড জনসনও লিঙ্কনের ভূত দেখেছিলেন। তবে ফ্রাঙ্কলিন রুজভেল্টের সময়ই হোয়াইট হাউসে লিঙ্কনের আত্মার দাপাদাপি ছিল সবচেয়ে বেশি! ওই সময়টাতেই লিঙ্কনের ভূত দেখার ঘটনা সবচেয়ে বেশি বার ঘটে। লিঙ্কনের শোওয়ার ঘরটিকে পাঠকক্ষ বানিয়েছিলেন ফার্স্ট লেডি এলিনর রুজভেল্ট। একদিন সেখানে গভীর রাত পর্যন্ত পড়াশোনা করতে গিয়ে লিঙ্কনের ভূত দেখার অভিজ্ঞতা হয় তাঁর। লিঙ্কনের ভূত যে শুধু ফার্স্ট লেডিদের ব্যাপারে আগ্রহী ছিল, তা কিন্তু নয়। হোয়াইট হাউসের আতিথ্য নেওয়া নেদারল্যান্ডসের তখনকার রানি উইলহেলমিনার দরজায় টোকা মেরেছিলেন সেই বিখ্যাত লম্বাটে হ্যাট মাথায় দেওয়া প্রেসিডেন্ট! চার্চিলের ভূতদর্শনের কথা তো আগেই শুনেছিলেন তিনি। তাৎক্ষণিকভাবে ভয় না পেলেও ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী আর সে রাতে ওই রুমে থাকতে রাজি হননি।
১৭৯৭-১৮০১ সালের ঘটনা। মার্কিন রাষ্ট্রপতি হিসেবে হোয়াইট হাউসে বসবাস করেছিলেন জন অ্যাডামস ও সেই সময়ের ফার্স্ট লেডি অ্যাবেগেইল অ্যাডামস। তখন ওয়াশিংটন ডিসি ছিল জলাবদ্ধ এক ছোট্ট শহর। হোয়াইট হাউসের ইস্ট রুম ছিল জামাকাপড় শুকানোর জন্যে উপযুক্ত উষ্ণতম জায়গা। তাই অ্যাবেগেইল অ্যাডামস জামাকাপড় ধোয়ার পর হোয়াইট হাউসের ইস্ট রুমে এসে সেগুলোকে শুকোতেন। কিন্তু ফার্স্ট লেডির মৃত্যুর পর এখনও অনেকেই তাঁকে ওইভাবে কাপড় শুকোতে দিতে ছুটোছুটি করে ইস্ট রুমের দিকে ভেজা কাপড়ের বালতি হাতে নিয়ে যেতে দেখেছেন। মাঝে মাঝে ভেজা কাপড়ের গন্ধ এবং সাবানের সুবাস ভেসে আসে বলে ওখানকার পরিচারিকাদের অভিমত। হোয়াইট হাউসে প্রথম সেই ভূতের দেখা পান প্রেসিডেন্ট উইলিয়াম ট্যাফট। হোয়াইট হাউসে প্রবেশের উত্তর-দ্বারে মাঝে মাঝে পাহারারত অবস্থায় এমন সব দারোয়ানদের দেখা যায় যারা নাকি বেঁচে নেই। এমন সব দারোয়ানের মধ্যে একজন হল অ্যানি স্যুরাট। যাকে সবচেয়ে বেশি সংখ্যকবার দেখা গিয়েছে। ১৮৬৫ সালে লিঙ্কনের গুপ্তহত্যার সময় অ্যানি স্যুরাটের মা মারা যান। তাই স্যুরাটের ভূতকে উত্তরদ্বারে দেখা যায় তাঁর মায়ের মুক্তি প্রার্থনারত অবস্থায়। কী ভয়ঙ্কর ভাবুন?
উইলিয়াম হেনরি হ্যারিসন ছিলেন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের স্বল্পতম সময়ের প্রেসিডেন্ট। কারণ, তিনি প্রেসিডেন্ট হওয়ার কয়েক মাসের মধ্যেই নিউমোনিয়াতে ভুগে মারা যান। কথিত আছে যে, এখনও পর্যন্ত হ্যারিসনের ভূতের অস্তিত্ব মিলেছে ওভাল হাউসের উপরের চিলেকোঠায়। পরবর্তী সময়ে কয়েকজন প্রেসিডেন্ট বলেছেন যে, তাঁরা নাকি মাঝে মাঝে চিলেকোঠা থেকেই অদ্ভুত রকমের শব্দ শুনতে পেতেন। শুধুমাত্র হ্যারিসনের ভূতই চিলেকোঠায় একা নয়, ট্রুম্যান প্রেসিডেন্ট থাকাকালীন এক সিকিউরিটি গার্ড বলেছিলেন যে, তিনি চিলেকোঠা থেকে কাউকে যেন বলতে শুনেছেন, ‘আমিই বার্নস’, ‘আমিই বার্নস’...। কে বা কারা এরকম শব্দ করত আজও রহস্য। তবে শোনা যায়, হোয়াইট হাউসের জমির মালিক ছিলেন এই ডেভিড বার্ন। কথিত আছে, ১৭৯০ সালে ডেভিড বার্নস নামে সেই ভদ্রলোকের জমিতে জোর করে তৈরি হয়েছিল হোয়াইট হাউস। এখনও নাকি বাড়ির কয়েকটি ঘরে শোনা যায় সেই অশরীরীর গলার স্বর। ‘আমিই বার্নস’, বলতে বলতে নাকি এ ঘর, সে ঘর ঘুরে বেড়ায় সেই আওয়াজ।
প্রেসিডেন্টের প্রেস কনফারেন্স হয় রোজ গার্ডেনে। যা টিভিতে আমরা নিয়মিত দেখে থাকি। ১৮ শতকের ফার্স্ট লেডি ডলি মেডিসন নাকি রোজ গার্ডেন প্রতিষ্ঠা করেন। এর এক শতক পর ফার্স্ট লেডি ইলেন উইলসন গার্ডেনটি উৎখাতের নির্দেশ দিয়েছিলেন। কর্মীরা রিপোর্ট করেন, ডলির আত্মা নাকি গার্ডেনে ঘুরে বেড়ায়। হোয়াইট হাউসকে নিয়ে এসব ভূতুড়ে গল্প মার্কিন মুলুকে বেশ প্রচলিত। প্রেসিডেন্ট টেডি রুজভেল্ট, হার্বাট হোভার এবং ডিউড আইজেনহোয়ার থেকে শুরু করে প্রাক্তন ফার্স্ট লেডি জ্যাকুই কেনেডি ও লিডবার্ড জনসন এবং সুসান ফোর্ড, ম্যারুইন রেগ্যানের মতো প্রভাবশালী প্রেসিডেন্টের সন্তানরাও এই তিক্ত ভৌতিক অভিজ্ঞতার শিকার বলে দাবি করেন ওয়াশিংটনের অনেক বাসিন্দাই। তবে হোয়াইট হাউসের ভৌতিক পরিবেশ নিয়ে বারাক ওবামার অভিজ্ঞতা ছিল সম্পূর্ণ ভিন্ন। প্রেসিডেন্ট হওয়ার প্রথম দিকে ওবামাকে জিজ্ঞাসা করা হয়েছিল, কোনও প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট ওবামাকে কোনও পরামর্শ দিয়েছেন কি না? ওবামা বলেছিলেন, ‘হ্যাঁ, আমি প্রাক্তন প্রেসিডেন্টদের সঙ্গে দেখা করেছি।’ তাঁকে পুনরায় জিজ্ঞেস করা হয়, কোনও মৃত প্রেডিডেন্ট তাঁকে কোনও পরামর্শ দিয়েছেন কি না? তখন ওবামা হেসে বলেন, ‘না, তাদের কারও সঙ্গে আমার দেখা হয়নি।’
অবশ্য শুধু হোয়াইট হাউসই নয়, গোটা মার্কিন মুলুক জুড়ে ছড়িয়ে রয়েছে অনেক ভূতের বাড়ি। এরকমই এক ভূতুড়ে বাড়ি হল হলিউডের রুজভেল্ট হোটেল। পুরনো দিনের বহু নামী চলচ্চিত্র ব্যক্তিত্ব এক সময় থেকেছেন এই হোটেলে। তাদের কেউ কেউ এখনও মায়া কাটাতে পারেনি এখানকার আতিথেয়তার। এদের অনেককেই দেখা যায় এই হোটেলে, মৃত্যুর বহু বছর পরেও। যেমন এই হোটেলে এক সময় থেকেছেন মেরিলিন মনরো। তার পছন্দের ঘরটিতে ছিল একটি আয়না। অনেক পরে কেউ কেউ নাকি ওই আয়নায় মনরোর প্রতিবিম্ব দেখেছেন। অথচ, চকিতে ঘাড় ঘুরিয়ে কাউকেই দেখা যায়নি! মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের আরও কয়েকটি ভূতের বাড়ির মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল ফিলাডেলফিয়ার ফিলজফিক্যাল সোসাইটির পাঠাগার। বিখ্যাত লেখক, দার্শনিক ও বিজ্ঞানী বেঞ্জামিন ফ্রাঙ্কলিনের আত্মা নাকি এখানে রাতে বইপত্র ঘাঁটাঘাঁটি করে। নিউ অরলিয়ন্স শহরের অনেক পুরনো বাড়ির সঙ্গেই জড়িয়ে আছে বহু জলদস্যুর অতৃপ্ত আত্মার ইতিহাস। তাদের অনেকেই আজও ফিরে ফিরে আসে। ন্যাশভিলের পুরনো এক গান রেকর্ডিং স্টুডিওতে আবার দেখা যেত এলভিস প্রেসলির ভূত। সেই স্টুডিও ভেঙে এখন তৈরি হয়েছে নতুন একটি টিভি প্রোডাকশন হাউস। সেখানেও অবাধ চলাফেরা এলভিসের আত্মার। যতবারই এলভিসের নাম উচ্চারিত হয়, ততবারই নাকি অশৈলী কাণ্ড ঘটে সেখানে। কখনও বাল্ব ফেটে যায়, কখনও বা মিউজিক সিস্টেমের মধ্য দিয়ে বের হয় ভূতুড়ে শব্দ, আবার কখনও বা সোজা দাঁড় করানো জিনিসপত্র উল্টে যায়।
আমেরিকার আরও একটি গা হিম করা ভূতের বাড়ি হল নিউ জার্সির বার্লিংটন কাউন্টি প্রিজন মিউজিয়াম। এক সময় এখানে ছিল জেল। সেখানকার এক বন্ধ ঘর থেকে নাকি গোঙানি আর শিকলের আওয়াজ শুনতে পান পাহারাদাররা। পরে এই জেলকে সংস্কার করে মিউজিয়াম তৈরি করা হয়। সেসময় কর্মচারীরাও নানা অভিযোগ করতে থাকে। প্রায়ই নাকি তাদের কাজকর্মের দরকারি যন্ত্রপাতি অদৃশ্য হয়ে যায়, শোনা যায় বিকট চিৎকার, কখনও বা ঘরের তাপমাত্রা বেড়ে বা কমে যায়। পরে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ১৮৩৩ সালে এখানে ফাঁসি হয়েছিল জোয়েল ক্লো নামে এক খুনির। জোয়েলের ভূতই নাকি এসব কাণ্ড ঘটাত। অনেকেই মনে করে,এসবই হ্যালুসিনেশনের প্রভাব। তবে এসব গল্প বিশ্বাস করতে দোষ কোথায়। যাঁরা ভূতে বিশ্বাস করেন না, তাঁরা অনেকেই এসব গল্প বলে উড়িয়ে দিতে পারেন। তবে হোয়াইট হাউস ঘিরে যে একটু গা ছমছমে ব্যাপার আছে তা অস্বীকার করি কী করে!
মৃণালকান্তি দাস
ছবি: সংশ্লিষ্ট সংস্থার সৌজন্যে 
13th  October, 2019
বিকেলবেলার আলো

আজ ক্লাস ফাইভ থেকে বিনন্দ সিক্সে উঠেছে। ওর এরকম নামটা মা রেখেছিল। মা একটা পুরনো বই ঠাকুরমার কাছ থেকে পেয়েছিল। বইটার নাম ‘লক্ষ্মীচরিত্র’। বইটার মলাটে একটা লক্ষ্মী ঠাকুরের রঙিন ছবি আছে। মা সন্ধেবেলা বইটা নিয়ে পড়তে বসে।
বিশদ

21st  April, 2024
পশ্চিম আকাশে সূর্যোদয়

শুক্রের আহ্নিক গতি অন্য গ্রহগুলির মতো নয়। সৌর জগতে কেন ব্যতিক্রমী এই গ্রহ জানালেন স্বরূপ কুলভী বিশদ

21st  April, 2024
মুদ্রা যখন বিশালাকৃতির পাথর

টাকা-পয়সা বা মুদ্রা সম্পর্কে আমাদের সকলেরই কমবেশি ধারণা আছে। সভ্যতার ঊষালগ্নে চালু ছিল বিনিময় প্রথা। তারপর এল তামা, সোনা ও রুপোর মুদ্রা। বর্তমান সময়ে ধাতব মুদ্রার পাশাপাশি কাগজের নোট চালু আছে।
বিশদ

21st  April, 2024
বাংলা ভাষার প্রতি ঠাকুরবাড়ির ভালোবাসা
পার্থজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়

বাংলা নববর্ষের দিন জানব বাংলা ভাষার প্রতি ভালোবাসার কথা। সেই ইংরেজ আমলে রবীন্দ্রনাথের পরিবারের সদস্যরা কীভাবে এই ভাষার জন্য লড়াই করেছিলেন, তুলে ধরা হল তারই টুকরো কিছু স্মৃতি।  বিশদ

14th  April, 2024
হরেকরকম হাতের কাজ: মটকা পেন্টিং

ফেলে দেওয়া জিনিস দিয়ে হাতের কাজ করা শেখাচ্ছেন ডিজাইনার বিদিশা বসু। তাঁর সঙ্গে কথা বললেন কমলিনী চক্রবর্তী। বিশদ

14th  April, 2024
ঘুমিয়ে ঘুমিয়ে আবিষ্কার
কল্যাণকুমার দে

ঘুম! পড়তে বসলেই ঘুম পেয়ে যায়। এর জন্য বাবা-মায়ের কাছে কম বকুনি খেতে হয় না। বকুনি খেয়েও কিন্তু অভ্যেসটা পাল্টায় না। আসলে ঘুমের অভ্যেসটা আমাদের জন্মাবার সঙ্গেই তৈরি হয়ে যায়। কিন্তু প্রশ্ন হল, আমরা কেন ঘুমোই? জীবনে কি ঘুম অত্যন্ত জরুরি? বিশদ

14th  April, 2024
এপ্রিল ফুলের খুনসুটি

পেরিয়ে এলাম পয়লা এপ্রিল। ইংরেজি চতুর্থ মাসের ১ তারিখ মানেই এপ্রিল ফুলস’ ডে। বোকা বানানোর দিন। কীভাবে বন্ধুদের সঙ্গে দিনটি মজা করে কাটল, সেই গল্পই শোনাল পূর্ব বর্ধমানের ঘোড়ানাশ উচ্চ বিদ্যালয়ের পড়ুয়ারা। ‘ফুল’ একটি ইংরেজি শব্দ। এর অর্থ বোকা। এপ্রিল ফুলের অর্থ এপ্রিল মাসের বোকা।
বিশদ

07th  April, 2024
যাত্রী যখন গান্ধীজি

১৯৪৬ সালের জানুয়ারি মাস। শীতের বিকেলে সোদপুর স্টেশন দিয়ে কু-ঝিকঝিক আওয়াজ করে গন্তব্যের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে যাত্রীবাহী ট্রেন। স্ব-পার্ষদ খাদি আশ্রমে বসে রয়েছেন জাতির জনক। আচমকা বললেন, মাদ্রাজ যেতে হবে। এখান থেকেই ট্রেন ধরব
বিশদ

07th  April, 2024
বিরল সংখ্যা

গণিত মানেই মগজাস্ত্রে শান। সংখ্যার খেলা। কত ধরনেরই যে বিস্ময় লুকিয়ে রয়েছে, তা বলে বোঝানো যায় না। এক একটা সংখ্যাতেই কত না রহস্য। এই ধর, ছয় দশ পাঁচ পঁয়ষট্টির কথা। সংখ্যায় লিখলে— ৬৫। দেখে কী মনে হচ্ছে!
বিশদ

07th  April, 2024
রুকু ঝুকুর চাওয়া পাওয়া
অংশুমান কর

আমরা গ্রামের বাড়ি যাব। ঝুকুর জন্মের পর এই প্রথম আমাদের সকলের একসঙ্গে গ্রামের বাড়ি যাওয়া। ও তাই খুব আনন্দে আছে। কতবার আমাকে বলছে, ‘দাদা তুই আর আমি ধানগাছে চড়ে দোল খাব।’ আমি ওকে বলিনি যে, ধানগাছে চড়ে দোল খাওয়া যায় না। বিশদ

31st  March, 2024
মহাকাশযাত্রীদের খাবার-দাবার
উৎপল অধিকারী

মহাকাশ বড়ই রহস্যময় স্থান। এই রহস্যের উদ্ঘাটন করার জন্য মানুষ দীর্ঘদিন ধরে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। মানুষ সশরীরে সেখানে হাজির হয়েছে। এই অকুতোভয় সাহসী মহাকাশযাত্রীরা জীবন বাজি রেখে অসীম ধৈর্য নিয়ে মহাকাশযানে তাঁদের গবেষণা করছেন। বিশদ

31st  March, 2024
চরম দারিদ্র্য থেকে সর্বোচ্চ শিখরে

পৃথিবীর সর্বোচ্চ শৃঙ্গ মাউন্ট এভারেস্টের প্রথম উচ্চতা মেপেছিলেন রাধানাথ শিকদার। এই বাঙালি গণিতবিদের সাফল্যের গল্প শোনালেন সোমনাথ সরকার বিশদ

31st  March, 2024
কবিগুরুর দোল উৎসব
সায়ন্তন মজুমদার

১৯২৫ সালে দোল উপলক্ষ্যে সেজে ওঠে আম্রকুঞ্জ। কিন্তু বিকেলের ঝড়বৃষ্টিতে সব লণ্ডভণ্ড হয়ে যায়। বৃষ্টি থামতে রবীন্দ্রনাথ সকলকে নিয়ে চলে যান এখনকার পাঠভবনে। সেখানে অভিনীত হয় ‘সুন্দর’ নাটকটি। বিশদ

24th  March, 2024
খেলাধুলোর আনন্দ

পড়াশোনায় ফাঁক পেলেই চলছে চুটিয়ে খেলা। ব্যাট-উইকেট, ফুটবল নিয়ে সকলে নেমে পড়ছে। খেলার আনন্দের বিকল্প নেই। নিজেদের প্রিয় খেলার বিষয়ে জানাল মালদহের হরিশ্চন্দ্রপুর হাই স্কুলের পড়ুয়ারা। বিশদ

24th  March, 2024
একনজরে
বুধবার রাতে নদীয়ার কালীগঞ্জের বল্লভপাড়ায় দু’টি বাইকের মুখোমুখি সংঘর্ষে তিন যুবকের মর্মান্তিক মৃত্যু হল। বাইকের গতি এতটাই বেশি ছিল যে এক যুবক ছিটকে একটি টোটোর কাচ ভেঙে ঢুকে যান। ...

লন্ডনের ভারতীয় দূতাবাসে হামলার ঘটনায় অবশেষে গ্রেপ্তার মূল অভিযুক্ত। ধৃতের নাম ইন্দরপাল সিং গাবা। তিনি ব্রিটেনের হাউন্সলোরের বাসিন্দা। দিল্লি থেকে ...

মতুয়া ঠাকুরবাড়ির মন্দিরের তালাভাঙা এবং মারধর সংক্রান্ত মামলায় শান্তনু ঠাকুর ও তাঁর পরিবারকে রক্ষাকবচ দিল হাইকোর্ট। উচ্চ আদালতে নির্দেশ, তাঁদের বিরুদ্ধে আপাতত কোনও কঠোর পদক্ষেপ করতে পারবে না পুলিস। ...

কথা ছিল বাড়ি ফিরে পাকা বাড়ি দেওয়ার। সেই স্বপ্ন নিয়ে আর ফেরা হল না। কফিনবন্দি হয়ে ফিরছে পরিযায়ী কিশোর শ্রমিক। কর্মরত অবস্থায় বহুতল ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

বিদ্যা ও কর্মে উন্নতির যুগ অর্থকরি দিকটি কমবেশি শুভ। মানসিক চঞ্চলতা ও অস্থিরতা থাকবে। স্বাস্থ্যের ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

১৮৮৪- উচ্চাঙ্গ সঙ্গীতশিল্পী, সেতার ও সুরবাহার বাদক ওস্তাদ আয়েত আলী খাঁর জন্ম
১৮৯৭- বাঙালি চলচ্চিত্র পরিচালক নীতীন বসুর জন্ম
১৯২০- ভারতীয় গণিতবিদ শ্রীনিবাস রামানুজনের মৃত্যু
১৯২৪- সাহিত্যিক নারায়ণ সান্যালের জন্ম 



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৮১.৫০ টাকা ৮৪.৯৩ টাকা
পাউন্ড ১০১.৪৭ টাকা ১০৫.৯২ টাকা
ইউরো ৮৭.১৪ টাকা ৯১.১৮ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৭২,৭০০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৭৩,০৫০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৬৯,৪৫০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৮১,৪৫০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৮১,৫৫০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

১৩ বৈশাখ, ১৪৩১, শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪। দ্বিতীয়া ৬/১৩ দিবা ৭/৪৭। অনুরাধা নক্ষত্র ৫৮/৪০ রাত্রি ৩/৪০। সূর্যোদয় ৫/১১/৩০, সূর্যাস্ত ৫/৫৭/২৪। অমৃতযোগ প্রাতঃ ৬/৫৪ মধ্যে পুনঃ ৭/৪৪ গতে ১০/১৮ মধ্যে পুনঃ ১২/৫১ গতে ২/৩২ মধ্যে পুনঃ ৪/১৫ গতে অস্তাবধি। রাত্রি ৭/২৮ গতে ৮/৫৭ মধ্যে পুনঃ ২/৫৭ গতে ৩/৪১ মধ্যে। মাহেন্দ্রযোগ রাত্রি ১০/২৭ গতে ১১/১২ মধ্যে পুনঃ ৩/৪১ গতে উদয়াবধি। বারবেলা ৮/২৪ গতে ১১/৩৪ মধ্যে। কালরাত্রি ৮/৪৫ গতে ১০/১০ মধ্যে। 
১৩ বৈশাখ, ১৪৩১, শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪। দ্বিতীয়া দিবা ৬/২৮। অনুরাধা নক্ষত্র রাত্রি ২/২৬। সূর্যোদয় ৫/১২, সূর্যাস্ত ৫/৫৯। অমৃতযোগ দিবা ৬/৪৬ মধ্যে ও ৭/৩৮ গতে ১০/১৫ মধ্যে ও ১২/১৫ গতে ২/৩৫ মধ্যে ও ৪/২০ গতে ৫/৫৯ মধ্যে এবং রাত্রি ৭/৩২ গতে ৯/০ মধ্যে ও ২/৫০ গতে ৩/৩৪ মধ্যে। মাহেন্দ্রযোগ রাত্রি ১০/২৭ গতে ১১/১১ মধ্যে ও ৩/৩৪ গতে ৫/১১ মধ্যে। বারবেলা ৮/২৪ গতে ১১/৩৫ মধ্যে। কালরাত্রি ৮/৪৭ গতে ১০/১১ মধ্যে। 
১৬ শওয়াল।

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
আইপিএল: কেকেআরকে ৮ উইকেটে হারাল পাঞ্জাব

11:31:28 PM

আইপিএল: ২৩ বলে হাফসেঞ্চুরি শশাঙ্ক সিংয়ের, পাঞ্জাব ২৪৬/২ (১৭.৪ ওভার) টার্গেট ২৬২

11:26:31 PM

আইপিএল: ৪৫ বলে সেঞ্চুরি জনি বেয়ারস্টোর, পাঞ্জাব ২১০/২ (১৬.১ ওভার) টার্গেট ২৬২

11:13:32 PM

আইপিএল: ২৬ রানে আউট রাইলি রুশো, পাঞ্জাব ১৭৯/২ (১৩ ওভার) টার্গেট ২৬২

10:56:50 PM

আইপিএল: ২৪ বলে হাফসেঞ্চুরি জনি বেয়ারস্টোর, পাঞ্জাব ১২০/১ (৯.১ ওভার) টার্গেট ২৬২

10:36:30 PM

আইপিএল: ৫৪ রানে আউট প্রভসিমরন, পাঞ্জাব ১০৭/১ (৭.৫ ওভার) টার্গেট ২৬২

10:29:44 PM