Bartaman Patrika
গল্পের পাতা
 

অপরাজিতা
মীনাক্ষী সিংহ

জুনিয়র ডাক্তার সুমন সান্যাল জানিয়ে গেল অপারেশন থিয়েটার রেডি, এবার ডাঃ মিত্রকে যেতে হবে। ঘড়ির দিকে তাকিয়ে চেয়ার ছেড়ে উঠলেন সার্জেন মাধবিকা মিত্র। আজ একটা ক্রিটিক্যাল অপারেশন। বছর সতেরোর মেয়েটির মায়ের মুখ মনে পড়ল মাধবিকার। কথা দিয়েছেন তাঁর মেয়েকে ফিরিয়ে দেবেন। বিখ্যাত সার্জেন মাধবিকা মিত্র কি একটু অন্যমনা হলেন? 
তাঁর কি মনে পড়ল দু’বছর আগে এই হাসপাতালে একটি সপ্তদশী মেয়ে জীবনের কাছে হার মেনেছিল? সেদিন মাধবিকা কিছু করতে পারেননি। নিজে বিশেষজ্ঞ হয়েও বাঁচাতে পারেননি নিজের মেয়েকে। মেয়ের প্রাণহীন দেহের দিকে তাকিয়ে চোখের জলও ফেলেননি। শুধু মনে মনে শপথ নিয়েছিলেন নিজের কাছে— এমন করে আর কোনও মেয়েকে হারিয়ে যেতে দেবেন না। অসহায় মায়ের কোলে তাঁর সন্তানকে ফিরিয়ে দেবেন। 
চেম্বারের টেবিলে রাখা মেয়ের ছবির দিকে তাকিয়ে যেন শক্তি সঞ্চয় করলেন মাধবিকা। অপারেশন থিয়েটারে যখন ঢুকলেন, তখন চোখে জল নয়, এক দুর্জয় সংকল্প। 
ঠিক সেই সময় শহরের পাঁচতারা হোটেলে বিশেষ এক সংবর্ধনা সভায় মধ্যমণি ডাক্তার সুজয় মিত্র ও তাঁর স্ত্রী ডাক্তার জয়ন্তী মিত্র। দু’জনের সম্মিলিত গবেষণায় এক মারণ রোগের ভাইরাস ও তার প্রতিষেধক আবিষ্কার করে তাঁরা যুগ্মভাবে বিশেষ পুরস্কার ও সম্মানে ভূষিত। খবরটি সাড়ম্বরে বিজ্ঞাপিত। 
ডাক্তার সুজয় মিত্রের পদবিটা আজও মাধবিকা নিজের নামের সঙ্গে যুক্ত রেখেছেন, ডিভোর্সের পরও শুধু তাঁদের মেয়ে জয়িতার পিতৃপরিচয়কে সম্মান দিতে। অথচ মেয়ের মারণব্যাধির খবর পেয়েও সেদিন ডাঃ সুজয় মিত্র সময় দিতে পারেননি। তখন তিনি সহকারী জয়ন্তী সেনের সঙ্গে উচ্চতর গবেষণার জন্য বিদেশে। যখন ফিরে এলেন তখন আসন্ন মাতৃত্বের গৌরবে পাশে রয়েছেন জয়ন্তী, যিনি পরে ‘সেন’ থেকে নতুন পরিচয়ে হয়েছেন ডাঃ জয়ন্তী মিত্র। 
মাধবিকা সেদিন ভেবেছিলেন এবার ‘মিত্র’ পদবিটা বর্জন করে বিবাহপূর্ব ‘বসু’ পদবিটাই ফিরে গ্রহণ করবেন। পিতৃপদবিতে পরিচিত কন্যা জয়িতাই যখন হারিয়ে গেল— তখন আর সুজয় মিত্রের পতিত্বকে স্বীকৃতি দিয়ে কী লাভ? বিশেষত তখন বিখ্যাত চিকিৎসক যুগল নবদম্পতি সুজয় ও জয়ন্তী মিত্র নতুন সংসারে সানন্দে প্রতিষ্ঠিত। 
অপারেশন থিয়েটার থেকে বেরলেন মাধবিকা। একটা সাফল্যের স্বাদ অনুভব করছেন। চেম্বারে এসে তাকালেন জয়িতার ছবির দিকে। সেদিন হার মেনেছিলেন, তাকে ফিরিয়ে আনতে পারেননি। কিন্তু আজ কিশোরী রোগিণীকে জীবনে ফেরাতে পেরেছেন— এই প্রত্যয়ে উজ্জ্বল হল তাঁর দৃষ্টি— শান্ত হল তাঁর হৃদয়। ক্ষণকালের জন্য মগ্ন চৈতন্যে ফিরে এল হারানো অতীত। 
মেডিক্যাল কলেজের উজ্জ্বল দুই ছাত্রছাত্রী সুজয় মিত্র ও মাধবিকা বসুর জুটি সর্বজন পরিচিত। 
ডাক্তার থেকে সিনিয়র স্টুডেন্ট মহল, সহপাঠী বন্ধুর দল সকলেই ওদের সম্পর্কের কথা জেনে খুশি। সেদিনের অনেক টুকরো স্মৃতি আজ উজান বেয়ে ফিরে এল মাধবিকার মনে। আজকের তারিখটাই তো স্মৃতিচিহ্নিত। এই মুহূর্তে হসপিটালের সিনিয়র সার্জেন মাধবিকা মিত্র ফিরে গিয়েছেন দু’দশক আগের হারানো অতীতে। পনেরোই মার্চ তাঁদের যুগল জীবনের পথচলা শুরু হয়েছিল। আর আজ পনেরোই মার্চ ডাঃ সুজয় মিত্র নতুন সাথীকে নিয়ে সংবর্ধিত হচ্ছেন, ভেঙে যাওয়া বিবাহবার্ষিকীর দিনে। মনে মনে গুঞ্জরিত হল প্রিয় গানের কলি— 
‘অনেক কথা বলেছিলেম/ কবে তোমার কানে কানে 
কত নিশীথ অন্ধকারে/ কত গোপন গানে গানে। 
সে কী তোমার মনে আছে?’ 
সব স্মৃতিই একদিন বিবর্ণ হয়ে যায়— নতুন পাতা দেখা দেয় পুরনো শুকনো ডালে। একমাত্র সন্তান জয়িতা বাবা-মায়ের স্নেহাদরে বেড়ে ওঠা জয়ী কেমন করে যেন জেনে গিয়েছিল তাদের সংসারে, বাবার জীবনে সূক্ষ্ম চোরাপথে আসছে নতুন কেউ। ভেসে আসা জনশ্রুতিতে আহত হৃদয় জয়িতা সেদিন অসহ্য যন্ত্রণায় নিজেকে শেষ করতে চেয়েছিল। মাধবিকা তাকে শেষ পর্যন্ত ফিরিয়ে এনেছিলেন, কিন্তু শেষ রক্ষা হয়নি। জয়িতার মানসিক যন্ত্রণা সংক্রমিত হল তার শরীরেও। সেদিন সব অভিমান ভুলে মাধবিকা সুজয়কে ডেকেছিলেন। কিন্তু সুজয় তখন সহকারী-বান্ধবী জয়ন্তীকে নিয়ে প্রবাসে উচ্চতর গবেষণায় ব্যস্ত। স্ত্রী, কন্যা কারওর ডাকেই সাড়া দেয়নি। সাফল্যের হাতছানিতে স্নেহের অধিকার হার মেনেছিল। 
অসুস্থ মেয়ে, ভাঙা সংসার, হাসপাতালের দায়িত্ব ও কাজের ভারে নিষ্পেষিত হৃদয় মাধবিকার সেই দিনগুলি ছিল যন্ত্রণাদগ্ধ। অভিমান, রাগ সব ভুলে আত্মমর্যাদা বিসর্জন দিয়ে বারবার ডেকেছিল সুজয়কে, কিন্তু সুজয় তখন স্বপ্নমদির নেশায় উন্মত্ত— কাজের দোহাই, গবেষণার দায়িত্ব দেখিয়ে এড়িয়ে গিয়েছে। ফেলে আসা সংসার এককালের প্রেমিকা-স্ত্রী, কন্যা স্নেহ কিছুই তাকে ফেরাতে পারেনি। মাধবিকার মনে হয়েছিল পুরাতন প্রেম কি সত্যিই নবপ্রেমজালে ঢাকা পড়ে গিয়েছে? 
— উত্তর মেলেনি। 
এই তো কিছুদিন আগেও ছিল কত আনন্দঘন মুহূর্ত, কত অভিমাননা হত প্রেম, কত বিরহতাপিত প্রহর, কত স্মৃতিসুখকর জীবন— কোন মন্ত্রবলে সব হারিয়ে গেল। মনে পড়ল তার মাতৃত্বের সম্ভাবনা জেনে নবীন ডাক্তার সুজয়ের আনন্দ উচ্ছ্বাস, কত গান কবিতা আদর উপহারে তার মাতৃত্বকে অভিষিক্ত করেছিল সুজয়। নার্সিংহোমে সদ্যোজাত কন্যাকে দেখে তার পিতৃহৃদয়ের স্নেহাসিক্ত দৃষ্টি— সব মনে এল মাধবিকার। সে যেন ভুলে গেল— এটা তাদের দাম্পত্য জীবনের খেলাঘর নয়— এটা কলকাতার বিখ্যাত হসপিটাল, এখানে তাঁর পরিচয় সিনিয়র সার্জেন ডাঃ মাধবিকা মিত্র। দুটো ক্রিটিক্যাল অপারেশনের পর এখন তাঁর ক্ষণকালের বিশ্রাম। 
নাহ, বিশ্রাম মিলল না। মৃদু নক করে তাঁর চেম্বারে এলেন আগন্তুক— 
‘গুড আফটারনুন ডাঃ মিত্র।’ 
‘গুড আফটারনুন’ চোখ তুললেন মাধবিকা। সামনের চেয়ার টেনে বসলেন ডাঃ সুধাকর চৌধুরী। 
‘অভিনন্দন’ 
মাধবিকার সপ্রশ্ন দৃষ্টিতে হাসি খেলে গেল সুধাকর চৌধুরীর মুখে— 
‘আজ এমন একটা দিন, তোমাকেই তো অভিনন্দিত করব মাধবী।’ 
তির্যক উক্তি শুনে ফিরে তাকালেন মাধবিকা। মনে পড়ে গেল অতীতের ছাত্রীজীবনের কথা। সুধাকর ওদের চেয়ে এক বছরের সিনিয়র ছিল। মাধবিকার প্রতি ছিল দুর্বার আকর্ষণ। কিন্তু সুজয়ের জন্য তাকে শূন্য হাতে ফিরতে হয়েছিল। আজ কি তাই 
কৌতুক কটাক্ষ? 
‘আরে আজ তোমার প্রাক্তন প্রেমিক স্বামীর এত বড় সম্মান প্রাপ্তি, তাই তোমাকেই কনগ্র্যাচুলেট করছি।’ 
‘ধন্যবাদ। ডাঃ সুজয় ও জয়ন্তী মিত্রের গবেষণার সাফল্যে সকলের মতোই আমিও খুশি। চিকিৎসা বিজ্ঞানে একটা যুগান্তকারী আবিষ্কার।’ 
‘অফকোর্স। এ যুগের পিয়ের ক্যুরি ও মেরি ক্যুরি। তুমি যাবে না সংবর্ধনা সভায়? তোমাকে দেখলে সুজয় খুশি হতো— আফটার অল ওল্ড ফ্লেম।’ 
মৃদু হেসে চেয়ার ছেড়ে উঠে দাঁড়ালেন মাধবিকা— 
‘ডাঃ চৌধুরী আমার একটু কাজ আছে, উঠতে হবে— সরি।’ 
‘ও সিওর’ কিছুটা অপ্রস্তুত হয়ে বেরিয়ে গেলেন সুধাকর চৌধুরী। 
একইসঙ্গে বিরক্তি ও কৌতুক দেখা দিল মাধবিকার মুখে। এখনও ঈর্ষা, এখনও আক্রোশ। সত্যি, বিচিত্র পুরুষের মন। একজন পুরানো ঈর্ষা পুষে রেখেছেন, অন্যজন ভুলে গিয়েছেন পুরানো প্রেম। বিচিত্র হৃদয়। অথচ চিরস্মৃত থাকার প্রতিশ্রুতি ছিল সেদিনের অঙ্গীকারে। মনে পড়ল বিয়ের পরে শৈলশিখরের নির্জন মধুচন্দ্রিমায় কত প্রেমগুঞ্জন। মাধবিকা সেদিন স্মিত কৌতুকে শুনিয়েছিল প্রিয় কবি বুদ্ধদেব বসুর একটি কবিতার চরণ— 
‘ভুলিব না, এত বড় স্পর্ধিত শপথে 
জীবন করে না ক্ষমা 
তাই মিথ্যা অঙ্গীকার থাক।’ 
কবিতা শেষ করতে না দিয়ে তার মাধবীর মুখ বন্ধ করে দিয়েছিল সুজয়, তরুণ ডাক্তার সুজয় মিত্র। তখন কাঞ্চনজঙ্ঘার অরুণ রশ্মির চকিত রক্তিমা লেগেছিল নবদম্পতির নতুন জীবনে। আশ্চর্য এসব ভুলে যাওয়া কথা। বিস্মৃত স্মৃতি আজ কেন আমার রন্ধ্রে মৃতমাধুরীর কণা সঞ্চিত করছে। অতীতের বিশেষ দিনের স্মৃতিবহ তারিখ কি আজ দু’দশক পেরিয়েও মনে মনে চিরস্মৃত! ‘ধূসর জীবনের গোধূলিতে ক্লান্ত আলোয় ম্লান স্মৃতি’— কবির বাণী মনে এল। চেম্বারের নির্জনতায় মাধবিকা আজ যেন অতীতের মায়াতরীতে ভেসে চলেছে। তার মনে এল আজকের সুজয়-জয়ন্তীর এই গবেষণালব্ধ আবিষ্কারের গৌরবে তো তারই থাকার কথা। গবেষণার প্রথম পর্যায়ে সে-ই তো ছিল সুজয়ের সঙ্গে। দু’জনের মাঝখানে সহকারী জয়ন্তী সেন কবে, কখন, কীভাবে অধিকার করেছিল সুজয়ের হৃদয় কর্মব্যস্ত মাধবিকা জানতেও পারেনি। 
তারপর, তার ছিঁড়ে গিয়েছে কবে। 
জুনিয়র ডাঃ সুমনের ডাকে বর্তমানে ফিরে এলেন মাধবিকা। সকালের পেশেন্ট পার্টি ম্যাডামের সঙ্গে দেখা করতে এসেছেন। প্রয়োজনীয় কথা সংক্ষেপে সারলেন। কিছু উপদেশ। একটু তাকালেন। যে মেয়েটির অপারেশন হল তার মা তো আসেননি। পেশেন্ট পার্টির ভদ্রলোক জিজ্ঞেস করলেন, ‘আজ তো পনেরোই মার্চ, কবে আমার স্ত্রীকে রিলিজ করবেন ম্যাডাম?’ 
‘দিন পাঁচেক পরে’ —এগিয়ে গেলেন মাধবিকা। তারিখটা বারবার ফিরে আসছে। ভেঙে যাওয়া এক শপথের দিন। পঁচিশ বছর আগেকার বিশেষ তারিখ হারিয়ে যাওয়া বিবাহবার্ষিকীর স্মৃতিচিহ্নিত স্বাক্ষর। 
গাড়িতে ওঠার মুখে আবার দাঁড়াতে হল। 
‘ডাঃ মিত্র আপনাকে অশেষ কৃতজ্ঞতা’ 
মুখোমুখি সজল চোখে দাঁড়িয়ে ভদ্রমহিলা। 
‘আমার মেয়েকে আপনি ফিরিয়ে দিয়েছেন। আপনাকে প্রণাম জানাতে এলাম।’ 
নত হয়ে প্রণামরত মহিলাকে হাত ধরে তুললেন মাধবিকা। 
‘ওকে ফিরিয়ে দিয়ে আমি নিজেকেই ফিরে পেয়েছি। ওকে না ফেরাতে পারলে আজ আমি হেরে যেতাম। বিশ্বাস করুন, আজ আপনার মেয়ে আমাকে জিতিয়ে দিয়েছে।’ সাফল্যের হাসির সঙ্গে কি ডাক্তার মিত্রের চোখে অশ্রুর আভাস? বিস্মিত মহিলা স্তব্ধ হয়ে দাঁড়িয়ে রইলেন। তাঁর সামনে দিয়ে চলে গেলেন প্রত্যয়দীপ্ত, কর্তব্যে অবিচল প্রশান্ত মূর্তিতে স্বয়ং প্রকাশ বিখ্যাত সার্জেন মাধবিকা মিত্র। 
এবার তাঁর আজকের শেষ কাজ— প্রধান কর্তব্য।... তখন সুসজ্জিত মঞ্চে আসীন চিকিৎসক দম্পতি— ডাঃ সুজয় মিত্র ও ডাঃ জয়ন্তী মিত্র। করতালিতে মুখরিত হল অডিটোরিয়াম। এবার সভাপতি এগিয়ে এলেন— দর্শকদের উদ্দেশে বললেন— সমবেত সুধীবৃন্দ, আপনারা জানেন এবছর চিকিৎসা বিজ্ঞানে বিশেষ গবেষণার জন্য এই বিশেষ পুরস্কার। প্রাপকদের নামও আপনাদের জানা। তাঁদের অভিনন্দন। তবে আপনাদের জন্য আছে একটি চমক। All India Physicians Association-এর তরফে মাননীয়া ডাক্তার মাধবিকা মিত্র তাঁর প্রয়াত কন্যা জয়িতার স্মৃতিতে এই পুরস্কার প্রবর্তন করেছেন। এ বছরের যুগ্ম প্রাপক ডাঃ সুজয় ও ডাঃ জয়ন্তী মিত্রের হাতে পুরস্কার তুলে দিচ্ছেন ডাঃ মাধবিকা মিত্র ম্যাডাম স্বয়ং। 
মুগ্ধ বিস্ময়ে দর্শকমণ্ডলী উঠে দাঁড়িয়েছেন। মঞ্চে পুরস্কৃত চিকিৎসক দম্পতিও নতমস্তকে দাঁড়িয়ে। সমবেত দর্শক তখন করতালিতে অভিনন্দিত করছে তাঁকে, যিনি আজ পুরস্কৃত দম্পতির চেয়ে উজ্জ্বলতর মহিমায় দীপ্তিময়ী আজকের সার্থক বিজয়িনী ডাক্তার মাধবিকা মিত্র। 
অঙ্কন: সুব্রত মাজী
18th  February, 2024
অথ দাম্পত্যচরিতম
সোমজা দাস

যে লোকটা ফুলকুল্লি স্টেশনের লাগোয়া বিন্তিমাসির চায়ের দোকানে প্রতি সপ্তাহের মঙ্গল আর শুক্কুরবার বেলা এগারোটা থেকে সাড়ে বারোটা অবধি বসে থাকে, ওই যে যার মাথায় খড়খড়ে মরচে রঙের চুল, গালে চটামটা লালচে দাড়ি, উদাস চোখ, তার কথা বলছি। সে-ই দশানন দাস।    বিশদ

07th  April, 2024
ছোট গল্প: বন্ধনহীন গ্রন্থি
বিতস্তা ঘোষাল

—অনেকদিন তোমার পোস্ট আমার অ্যাকাউন্টে দেখাচ্ছে না। আজ একজন বললেন, তোমার হ্যাজব্যান্ড চলে গেলেন। তিনি তোমার পেজ শেয়ারও করলেন। আমি জানতাম না অনিকেত তোমার স্বামী। ওঁর সঙ্গে বহুদিন আগে আমার দেখা হয়েছিল। বিশদ

31st  March, 2024
গুপ্ত রাজধানী: দারা শিকোহের গ্রন্থাগার
সমৃদ্ধ দত্ত

রামায়ণকে বুঝতে হলে, হিন্দু শাস্ত্রের অন্তর্নিহিত দর্শনকে আত্মস্থ করতে হলে, যোগ বশিষ্ট পাঠ করা দরকার। আর শুধু পাঠ করা নয়, প্রজাদের মধ্যেও ছড়িয়ে দেওয়া হবে। সম্রাট শাহজাহানের জ্যেষ্ঠ পুত্র দারা শিকোহকে একথা বলেছিলেন দরবারের অন্যতম হিন্দু পণ্ডিত চন্দ্রভান ব্রাহ্মণ। বিশদ

31st  March, 2024
অতীতের আয়না: হারিয়ে যাওয়া হাড়গিলে পাখি
অমিতাভ পুরকায়স্থ

নিউ মার্কেটের পূর্ব ও পশ্চিম গেটের একটু উপরের দিকে সবুজ বৃত্তাকার জায়গাটার দিকে কখনও নজর করেছেন? খেয়াল করলে দেখবেন একটি এমব্লেম বা প্রতীক। কলকাতা পৌরসংস্থার এই মোহরচিহ্ন শহরের প্রতীক হিসেবেও ব্যবহৃত হতো। বিশদ

31st  March, 2024
সম্পর্ক
অর্পিতা সরকার

 

ওদের তিনতলা বাড়ি, বাবা সরকারি চাকুরে। সুস্মিতা ওর বাবা-মায়ের একমাত্র সন্তান। তারপরেও বাবার সাধারণ জীবনযাত্রার কারণেই স্কুল-কলেজে কখনও সেভাবে গর্ব করতে পারেনি সুস্মিতা। ওর বাবার মুখে একটাই কথা, ‘নিজে ইনকাম করো, তারপর বুঝবে রোজগার করতে কত কষ্ট করতে হয়। বিশদ

24th  March, 2024
তবু যেতে হয়

—কাজটা তালে ছেড়েই দিলি সুবি!
সুবি উত্তর দেয় না। মাথা নিচু করে দাঁড়িয়ে থাকে সে। লাঙলপোতা গ্রামের ছোট্ট বাড়ির মাটির বারান্দার এক কোণে দাঁড়িয়ে পায়ের উপর পা ঘষে সুবিনয়। এ তার দীর্ঘ দিনের অভ্যেস। ঘরের ভিতরে তার শয্যাশায়ী মা অলকা। শুয়ে শুয়েই সান্ত্বনা দেন।
বিশদ

17th  March, 2024
গুরুদ্বার সিস গঞ্জ

দিল্লি দেখতে এসে চাঁদনী চক যাওয়া হবে না? তা কীভাবে হয়? অতএব দেশ ও বিদেশের পর্যটকদের অত্যন্ত প্রিয় ভ্রমণস্থল চাঁদনী চক।
বিশদ

17th  March, 2024
দেখা যায় না, শোনা যায় পুতুল বাড়ি
 

আকর্ষণ, বিতর্ক, কৌতূহলের চিরন্তন কেন্দ্রবিন্দু অলৌকিক দুনিয়া। বিশ্বাসী-অবিশ্বাসী দুই শিবিরেরই এব্যাপারে আগ্রহ ষোলোআনা। তাই ভৌতিক সাহিত্য হোক বা সিনেমা, বাজারে কাটতি বরাবরই বেশি।
বিশদ

17th  March, 2024
প্রস্থান
দীপারুণ ভট্টাচার্য

শববাহী গাড়িটা গেটের ভিতর ঢুকতেই অরুণবাবু চারপাশটা দেখলেন। বেঞ্চে পাশাপাশি বসে আছে তার ছেলে নীলাঞ্জন আর বউমা সুতপা। নীলাঞ্জন বড় চাকরি করে। সে ফোন পেয়েছিল অফিসে যাওয়ার পর। সুতপাকে বলেছিল, ‘বেরতে একটু সময় লাগবে। বিশদ

10th  March, 2024
গুপ্ত রাজধানী: জাহান আরার সমাধি
সমৃদ্ধ দত্ত

নভরোজ পরব চলছে। আগ্রা জুড়ে উৎসবের উচ্ছ্বাস। এখন ১৬৪৪। বাদশাহ শাহজাহানের আগ্রা দুর্গে সবথেকে বেশি উজ্জ্বল আয়োজন। স্বাভাবিক। প্রতি বছর নভরোজের সময় আগ্রা দুর্গ এভাবেই সেজে ওঠে। সম্রাটের পুত্রকন্যারা এই সময়টায় পরস্পরের সঙ্গে মিলিত হন। বিশদ

10th  March, 2024
অতীতের আয়না: বাঙালির সার্কাস
অমিতাভ পুরকায়স্থ

১৯২০ সালের ২০ মে। নিজের ‘গ্রেট বেঙ্গল সার্কাস’ নিয়ে সিঙ্গাপুরে ট্যুরে গিয়ে জন্ডিস হয়ে মারা গেলেন প্রিয়নাথ বসু। শুধু উপমহাদেশের সার্কাসের জন্য আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি ও উৎকর্ষের নতুন মানদণ্ড ছাড়াও, বিনোদন শিল্প হিসেবে সার্কাসকে দৃঢ় ভিত দিয়ে গেলেন তিনি। বিশদ

10th  March, 2024
ভোগ
শুচিস্মিতা  দেব

পুতুলকে সদ্যই নিমতিতা থেকে ‘রায়চৌধুরী ভিলা’তে এনেছে তার পিসি সবিতা। সবিতা এই পরিবারের বহু দিনের থাকা-খাওয়ার মাসি। টিভি সিরিয়ালের মতো প্রকাণ্ড বাড়িখানা দেখে পেরথমেই ভেবলেছে পুতুল। ফুটবল মাঠের মতো বৈঠকখানা। বিশদ

03rd  March, 2024
রুপোর চাকু

আলমারিটা খুলতেই দাদার চোখ চলে গিয়েছিল। উপরের তাকে জামা কাপড়ের পাশে খালি জায়গায় শোয়ানো ছিল। বাজপাখির চোখ দাদার।
বিশদ

25th  February, 2024
গুপ্ত রাজধানী: লোধি গার্ডেন
সমৃদ্ধ দত্ত

মন খারাপ হয়েছে? চলে আসতে হবে লোদি গার্ডেনে। বান্ধবীকে আজই বলতে হবে মনের কথা? গন্তব্য লোধি গার্ডেন। এই কি শেষ দেখা? দু’জনের পথ দু’দিকে বেঁকে যাবে? লোদি গার্ডেন সাক্ষী থাকুক। সুগার বেড়েছে। ডক্টর লুথরিয়া বলেছেন, এখনই ওষুধ শুরু করতে হবে না। আগে হাঁটুন। বিশদ

18th  February, 2024
একনজরে
আটের দশকের শেষ দিক। নাইজেরিয়া থেকে ভারতীয় ফুটবলে পা রেখেছিলেন দীর্ঘদেহী মিডিও। নাম এমেকা এজুগো। পরবর্তীতে ১৯৯৪ বিশ্বকাপে তিনি দেশের প্রতিনিধিত্ব করেন। ময়দানের তিন প্রধানের ...

প্রথম দফার ভোটে প্রচার পর্ব শেষ হয়েছে বুধবার বিকেলেই। অথচ পশ্চিমবঙ্গের তিনটি আসনের জন্য দলীয় প্রার্থীদের সমর্থনে সভা করলেন না বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জগৎপ্রকাশ নাড্ডা। অদ্ভুতভাবে বাংলার প্রথম দফার ভোটে ব্রাত্য রইলেন হিন্দুত্বের ‘পোস্টার বয়’ যোগী আদিত্যনাথ। ...

২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনে শ্রীরামপুর লোকসভায় জিতেছিল তৃণমূল কংগ্রেস। সাত বিধানসভার মধ্যে একমাত্র শ্রীরামপুরেই লিড পাননি ঘাসফুলের দাপুটে প্রার্থী কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়। যদিও এই কেন্দ্রে পুরনো ...

পিছনে লেগে রয়েছে ইডি। চীনা ভিসা দুর্নীতি মামলায় ৫০ লক্ষ টাকা ঘুষ নেওয়ার অভিযোগে চার্জশিটও জমা পড়েছে আদালতে। রাহুল গান্ধী সহ কংগ্রেসের শীর্ষ নেতৃত্বের সমালোচনা ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

রাজনীতিক ও পেশাদারদের ব্যস্ততা বাড়বে। বয়স্করা শরীর স্বাস্থ্যের প্রতি যত্ন নিন। ধনযোগ আছে। ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

বিশ্ব ঐতিহ্য দিবস
১৮০৯: ইউরেশীয় কবি, যুক্তিবাদী চিন্তাবিদ ও শিক্ষক হেনরি লুই ভিভিয়ান ডিরোজিওর জন্ম
১৮৫৩: এশিয়ায় প্রথম ট্রেন চালু হয়
১৮৮৮: সাহিত্যিক হেমেন্দ্রকুমার রায়ের জন্ম
১৯১৬: অভিনেত্রী ললিতা পাওয়ারের জন্ম
১৯৩০: ব্রিটিশবিরোধী সশস্ত্র সংগ্রামে অংশ নিয়ে মাস্টারদা সূর্য সেনের নেতৃত্বে বিপ্লবীরা চট্টগ্রাম অস্ত্রাগার দখল করে
১৯৫৫ - নোবেল পুরস্কার বিজয়ী মার্কিন পদার্থ বিজ্ঞানী আলবার্ট আইনস্টাইনের মৃত্যু
১৯৫৮ - ওয়েস্ট ইন্ডিয়ান ক্রিকেটার ম্যালকম মার্শালের জন্ম
১৯৬২: অভিনেত্রী পুনম ধিলনের জন্ম
১৯৬৩: ওয়েস্ট ইন্ডিজের ক্রিকেটার ফিল সিমন্সের জন্ম
১৯৭১: কলকাতায় বাংলাদেশ মিশনে প্রথমবারের মতো বাংলাদেশের পতাকা উত্তোলন
১৯৮০: জিম্বাবুইয়ে স্বাধীনতা লাভ করে
১৯৮১: সুরকার, গীতিকার ও লোকগীতি শিল্পী তথা বাংলার লোকসঙ্গীতের প্রসারে ও প্রচারে যাঁর অবদান অসীম সেই নির্মলেন্দু চৌধুরীর মৃত্যু
১৯৮৬:  স্বাধীনতা আন্দোলনের একজন ব্যক্তিত্ব, ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেসের নেতা, লোকসভার প্রাক্তন সদস্য অতুল্য ঘোষের মৃত্যু
১৯৯২: ক্রিকেটার কেএল রাহুলের জন্ম



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৮৩.০৩ টাকা ৮৪.১২ টাকা
পাউন্ড ১০২.৫৫ টাকা ১০৫.১৬ টাকা
ইউরো ৮৭.৪৮ টাকা ৮৯.৮৯ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
17th  April, 2024
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৭৪,৩৫০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৭৪,৭০০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৭১,০০০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৮৪,১০০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৮৪,২০০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

৫ বৈশাখ, ১৪৩১, বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৪। দশমী ৩০/৩৫ অপরাহ্ন ৫/৩২। অশ্লেষা নক্ষত্র ৬/৩৮ দিবা ৭/৫৭। সূর্যোদয় ৫/১৭/৪৩। সূর্যাস্ত ৫/৫৪/১৬। অমৃতযোগ রাত্রি ১২/৪৪ গতে ৩/১ মধ্যে। মাহেন্দ্রযোগ প্রাতঃ ৬/৫৯ মধ্যে পুনঃ ১০/২০ গতে ১২/৫২ মধ্যে। বারবেলা ২/৪৫ গতে অস্তাবধি। কালরাত্রি ১১/৩৫ গতে ১/০ মধ্যে। 
৫ বৈশাখ, ১৪৩১, বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৪। দশমী রাত্রি ৭/৫। অশ্লেষা নক্ষত্র দিবা ৯/৫২। সূর্যোদয় ৫/১৮, সূর্যাস্ত ৫/৫৬। অমৃতযোগ রাত্রি ১২/৪০ গতে ২/৫৩ মধ্যে। মাহেন্দ্রযোগ দিবা ৬/৪৬ মধ্যে ও ১০/১৫ গতে ১২/৫১ মধ্যে। কালবেলা ২/৪৬ গতে ৫/৫৬ মধ্যে। কালরাত্রি ১১/৩৭ গতে ১/২ মধ্যে। 
৮ শওয়াল।

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
আইপিএল: পাঞ্জাবকে ৯ রানে হারাল মুম্বই

11:50:54 PM

আইপিএল: ২১ রানে আউট হরপ্রীত ব্রার, পাঞ্জাব ১৮১/৯ (১৯ ওভার) টার্গেট ১৯৩

11:46:48 PM

আইপিএল: ৬১ রানে আউট আশুতোষ শর্মা, পাঞ্জাব ১৬৮/৮ (১৭.১ ওভার) টার্গেট ১৯৩

11:36:00 PM

আইপিএল: ২৩ বলে হাফসেঞ্চুরি আশুতোষ শর্মার, পাঞ্জাব ১৫১/৭ (১৫.৩ ওভার) টার্গেট ১৯৩

11:22:48 PM

আইপিএল: ৪১ রানে আউট শশাঙ্ক সিং, পাঞ্জাব ১১১/৭ (১২.১ ওভার) টার্গেট ১৯৩

11:02:15 PM

আইপিএল: ৯ রানে আউট জীতেশ শর্মা, পাঞ্জাব ৭৭/৬ (৯.২ ওভার) টার্গেট ১৯৩

10:48:50 PM