Bartaman Patrika
গল্পের পাতা
 

পর্ব ১০: অপারেশন’৭১
নিপাট রহস্য
সমৃদ্ধ দত্ত

এনিমি এয়ারক্র্যাফট অ্যাটাকড...পজিশন এফএফ টোয়েন্টি...নম্বর ওয়ান বয়লার হিট...ওভার...। পাকিস্তানের নেভি কন্ট্রোল এই মেসেজ পিএনএস খাইবার থেকে পেয়েই সেটা পাঠিয়েছে পিএনএস মুহাফিজকে। আর একটি যুদ্ধজাহাজ। যাতে তৎক্ষণাৎ রেসকিউ করতে যায় মুহাফিজ! 
করাচি বন্দরে পিএনএস মুহাফিজেরই দায়িত্ব ছিল পিএনএস খাইবারকে রক্ষা করা। যাকে বলা যায় ব্যাক আপ। পাকিস্তান ন্যাভাল হেডকোয়ার্টার মেসেজ পাঠাচ্ছে এখনই তোমরা যাও কাউন্টার অ্যাটাকে। মুহাফিজ দ্রুত অগ্রসর হচ্ছে। রাত প্রায় সাড়ে ১১টা। মুহাফিজ কিছুতেই বুঝতে পারছে না যে, কেন র‌্যাডারে ধরা পড়ছে না কিছু। আসলে ভারতীয় বাহিনীর স্কোয়াড্রন টোয়েন্টি ফাইভকে অ্যাডমিরাল নন্দা প্রথম থেকে বলে দিয়েছেন যে, একই ফরমেশন রাখবে না। অপারেশনের সময়, বারংবার ফরমেশন চেঞ্জ করবে। তাহলে শত্রুপক্ষ  বিভ্রান্ত হবে। সুতরাং যখন আক্রমণ শুরু হয়েছিল, তখন ব্যাপারটা ছিল অ্যারো শেপড আক্রমণ। অর্থাৎ তিরের মতো। এবার সেটা রাখা হচ্ছে না। 
প্রথম আক্রমণে পাকিস্তানের গৌরব পিএনএস খাইবারকে ডুবিয়ে দেওয়ার পর এবার ভারতের কিলার টোয়েন্টি ফাইভ সোজা সরলরেখায় দাঁড়ায় পরস্পরের থেকে দূরত্ব রেখে। মুহাফিজকে সবার আগে বিভ্রান্ত করেছে খোদ পাকিস্তানেরই  ন্যাভাল হেডকোয়ার্টার। তাদের মেসেজে তাড়াহুড়ো আর উত্তেজনায় ভুল পজিশন পাঠিয়েছে। আর পিএনএস মুহাফিজের এতটাই  দুর্ভাগ্য যে, পাকিস্তানের নেভি কন্ট্রোল ঠিক যে ভুল পজিশন পাঠিয়েছে, সেখানে উপস্থিত হওয়ার পর আচমকা র‌্যাডারে পিএনএস মুহাফিজ দেখতে পেল মাত্র ৫০ কিলোমিটার দূরে দাঁড়িয়ে আছে ভারতের  মারাত্মক মিসাইল বোট। অর্থাৎ এখনই কোনও মিসাইল নিক্ষেপ করলে মুহাফিজ ধ্বংস হয়ে যাবে। ভারতের যুদ্ধজাহাজ আইএনএস বীরকে গ্রুপ কমান্ডার বি বি যাদব মেসেজ পাঠালেন। বললেন, কে টু ফাইভ... এনগেজ দ্য এনিমি। ততক্ষণে আইএনএস বীরের র‌্যাডারে ধরা পড়ে গিয়েছে যে খুব কাছেই দাঁড়িয়ে আছে শত্রুপক্ষের এক জাহাজ। সুতরাং রেডি বীর। এই জাহাজের ক্যাপ্টেন লেফটেন্যান্ট কমান্ডার ও পি মেহতা। তিনি একটুও সময় নষ্ট করলেন না। অর্ডার দিলেন। আকাশে উড়ে গেল মুহূর্তের মধ্যে স্টিক্ট মিসাইল এএসএইচএম।  
নিজের পজিশন সেটলড করার আগেই একটা আগুনের গোলা আকাশে উঠতে দেখলেন পাকিস্তান নৌসেনার সেই মুহাফিজ জাহাজের কমান্ডার মাসুদ জাহান। মুহাফিজের অন্যতম নাবিক। তিনি জানেন ওই আগুনের গোলা আসলে কী? চোখের সামনে আকাশের ওই আগুনের গোলা যে সামনে বা পিছনের দিকে পড়বে এবং তাঁরা ধ্বংস হতে চলেছেন সেটা যখন বুঝলেন, ততক্ষণে অনেকটাই দেরি। আলোর গতিতে এসে পড়ল পোর্ট সাইডে সেই মিসাইল। 
জাহান চিৎকার করে বললেন, পালাও পালাও...জাম্প...জাম্প.. যে যেমন পারছে ঝাঁপ দিচ্ছে সমুদ্রে। এমনকী একটা মেসেজ ট্রান্সমিশনেরও সময় পাওয়া গেল না। কারণ, এরকম শক্তিশালী মিসাইল যে ভারত করাচি বন্দরে ঢুকে মারতে পারে, এটা কল্পনাই করা যায়নি। প্রথমে ভাবা হয়েছিল এয়ারক্র্যাফট থেকে আক্রমণ করছে ভারত। সেই কারণেই খাইবার থেকে ওই ভুল মেসেজ গিয়েছে। এখন বোঝা যাচ্ছে, আসলে করাচি বন্দরকে প্রায়  রুদ্ধ করে দিতে ভারতের একঝাঁক মিসাইল বোট আর ব্যাক আপ ওয়ারশিপ এসে গিয়েছে একেবারে করাচি শহরের ঘাড়ের উপরে।
মুহাফিজ মাত্র ৭০ মিনিটের মধ্যেই অগ্নিদগ্ধ হয়ে সম্পূর্ণ ডুবে গেল। মধ্যরাত। অর্থাৎ ৫ ডিসেম্বর। ১৯৭১।  গতকালই  সন্ধ্যায় পাকিস্তান হামলা করেছিল। আচমকা একের পর এক এয়ারপোর্টে আর এয়াফোর্স বেস স্টেশনে বোমা ফেলে ভেবেছিল ভারতকে চরম বিপদে ফেলা যাবে। কিন্তু মাত্র ২৪ ঘণ্টার মধ্যে এখন প্রায় করাচি বন্দরই ভারতীয় নেভি দখল করে নেওয়ার পথে। অবশ্য এখনও অপারেশন ট্রাইডেন্টের অভিযান শেষ হয়নি। আসল কাজ এখনও বাকি! কী আসল কাজ? 
নেভি প্রধান অ্যাডমিরাল নন্দা বলে দিয়েছেন নিখুঁত প্ল্যান। করাচি বন্দরের ঠিক কোথায় রাখা আছে অয়েল ট্যাঙ্কার। সেটার ম্যাপ তিনি প্রত্যেক জাহাজের কমান্ডারকে দিয়েছেন। এবার টার্গেট ট্যাঙ্ক। করাচির জ্বালানি সাপ্লাই বন্ধ করে দিতে হবে। এটাই বৃহত্তম ফুয়েল সাপ্লাই ট্যাঙ্ক আর পাইপলাইন। 
এবার দায়িত্ব নেবে আইএনএস নিপাট। সেরকমই প্ল্যান। কিন্তু তার কাজ তো জাহাজকে অ্যাটাক করা! সেটা সে করছেও। মোট দু’টি জাহাজকে সে এবার টার্গেট করেছে। তার মধ্যে একটি ভেসেল। নাম এমভি ভেনাস চ্যালেঞ্জার। আর অন্যটির নাম— পিএনএস শাহজাহান। দুটির মধ্যে আছে অসংখ্য অস্ত্র। এমভি ভেনাস চ্যালেঞ্জার কোনও যুদ্ধজাহাজ নয়। চারদিকে তাকে ঘিরে ছিল একঝাঁক জাহাজ। তারা আসলে পাহারা দিচ্ছে চ্যালেঞ্জারকে। কারণ চ্যালেঞ্জার নিছক একটি আর্মস সাপ্লাই শিপ। সায়গন থেকে আমেরিকায় পাঠানো হচ্ছে প্রভূত অস্ত্রশস্ত্র আর গোলাবারুদ। সেটাই সে বহন করে আনবে। আপাতত চারদিন ধরে রয়েছে করাচি বন্দরে। সে সাতেপাঁচে নেই। আমেরিকার সম্পত্তি নিয়ে যাচ্ছে। কিন্তু এমতাবস্থায় স্রেফ করাচিতে থাকার কারণেই তাকে এবার মিসাইলের সামনে পড়তে হল। আইএনএস নিপাট বেশি সময়ই নিল না। মাত্র ১০ মিনিটের মধ্যে তিনটি মিসাইল নিক্ষেপ করল। আর শাহজাহান এবং চ্যালেঞ্জার সম্পূর্ণ ভস্মীভূত। অবশ্য চ্যালেঞ্জার এক ঘণ্টা পর ডুবে গেলেও তিনটি মিসাইলের আঘাতও শাহজাহানকে ডোবাতে পারেনি। কারণ, শাহজাহানের চরিত্রটি হল নৌবাহিনীর পরিভাষায় পার্টিশানড স্ট্রাকচারড। অর্থাৎ সমুদ্রের গভীরেও যদি সেটায় জল ঢুকে যায়, তা সত্ত্বেও   চলমান থাকবে। ডুববে না। কিন্তু তা হলেই বা কী? আগুন তো নিভবে না। ভেসে ভেসেই আগুনে দগ্ধ হয়ে যাচ্ছে শাহজাহান। 
সবথেকে অবাক হচ্ছে ভারতীয় নৌবাহিনীর তিন গ্রুপ ক্যাপ্টেন। বি বি যাদব, ও পি মেহতা ও বি এন কোভানা। কী ব্যাপার? তাঁরা বুঝতেই পারছেন না যে, পাকিস্তানের হল কী? এতক্ষণেও পাকিস্তান নেভিকে হেল্প করার জন্য পাকিস্তানের এয়ারফোর্স নামছে না কেন? তাঁরা দ্রুততার সঙ্গে অপারেশন খতম করে পালাতে চাইছেন। কারণ, এবার যে কোনও মুহূর্তেই আকাশে উড়বে পাকিস্তানের এয়ারক্র্যাফট আর ফাইটার জেট। তাদের লক্ষ্য করে গুলি চালাবে। আর সেই কারণেই মেহতা, কোভানা আর যাদব রেডি হচ্ছেন অ্যান্টি এয়ারক্র্যাফট গান নিয়ে। 
আর এরকমই বিস্মিত হয়েছেন ঠিক সেই মুহূর্তে পাকিস্তান নাভাল হেডকোয়ার্টারে বসে থাকা রেডিও অপারেশন অফিসার মেহমুদ জাইদি। তিনি রেডিও ট্রান্সমিটার অয়্যারলেসে অফিসারকে বলছেন, স্যার,  মারসুর এয়ারবেস কোনও কো-অপারেট করছে না। আমাদের একের পর এক জাহাজ অ্যাটাক করেছে ইন্ডিয়ান নেভি। মনে হয় এয়ারফোর্সও আছে। কিন্তু বারবার জানাচ্ছি, আমাদের এয়ারবেস কোনও রেসপন্স করছে না। কী করব? 
ওই অফিসার কোনও কথা বলছেন না। শুধু গম্ভীর মুখে বললেন, জাইদি ছোড় দো! হামারে উস এয়ারবেসকে কোই ভি অয়্যারলেস কাম নেহি কর রাহে হ্যায়। তুমি কন্ট্যাক্ট করতে পারবে না। কারণ, আজ সকালেই ইন্ডিয়ান এয়ারফোর্স মারসুর এয়ারবেস রানওয়ে ভেঙে দিয়ে গিয়েছে। যাতে আমরা  প্রসিড করতে না পারি। গোটাটাই ইন্ডিয়া নিখুঁত প্ল্যান করে এগিয়েছে। শুরু থেকে ব্যাকফুটে করে দিয়েছে আমাদের ওই গোঁয়ার প্রেসিডেন্ট। রানওয়ে, এটিসি, রেডিও স্টেশন কিছুই নেই। সব বোমা মেরে উড়িয়ে দিয়েছে ইন্ডিয়ান এয়ারফোর্স আজ সকালেই। এখন আমার তো ভয় হচ্ছে, এই যে করাচিকে ঘিরে রয়েছে ইন্ডিয়ান নেভিফোর্স, শিওর এয়ারফোর্সও কোনও একটা বেসে রেডি হয়ে আছে। আমাদের এয়ারক্র্যাফট বেরলেই ওরা কাউন্টার অ্যাটাক করবে। স্যার...স্যার...স্যার...জাইদি আবার চিৎকার করে উঠলেন। 
কী হল? সেই অফিসার পাল্টা জানতে চাইছেন মেসেজে! কী হল জাইদি? স্যার আবার অ্যাটাক করেছে। অ্যাটাকও রিজিউম করেছে ওরা। আবার মেসেজ আসছে। এবার টিপু সুলতান আর টুগরিল জাহাজ ডেসট্রয় করে দিয়েছে। আমরা কী করব স্যার। ওরা কন্ট্রোল রুমে চলে আসবে না তো? আতঙ্কে কাঁপছেন জাইদি। সেই অফিসার স্তব্ধ হয়ে গেলেন।  আইএনএস নিপাট এগিয়ে যাচ্ছে। কিন্তু কোথায় যাচ্ছে? এত কাছে যাচ্ছেন কেন বি বি যাদব? ভাবছেন কমান্ডার মেহতা। বি বি যাদবকে মেসেজ করলেন মেহতা, কী করছেন আপনি? আর কত কাছে যাবেন? যাদব  দাঁতে দাঁত চেপে বললেন, ওদের এই করাচি বেসই ধ্বংস করে দেব। আর কোনওদিনই যাতে উঠে দাঁড়াতে না পারে। এসব কী করছেন যাদব? পাগল হয়ে গেলেন নাকি? তিনি জানেন যে, বি বি যাদব একজন চরম সাহসী আর সম্পূর্ণ আনপ্রেডিকটেবল অফিসার। কোনও নিয়মকানুন নয়। এর আগেও দু-একটা অপারেশনে নাকি এরকম করেছেন। তাই বলে করাচিতে  ঢুকে পড়বে নাকি? শত্রুর গুহায়?  
কমান্ডার যাদবের নির্দেশে পরপর স্টিক্ট মিসাইল নিক্ষেপ হচ্ছে। কয়েক মিনিটের মধ্যেই করাচি জ্বলতে শুরু করল। আগুন জ্বলছে বন্দরে। আগুন জ্বলছে তেলের ট্যাঙ্কে। আগুন লেগেছে স্টোরে। আগুনে ভস্মীভূত হয়ে যাচ্ছে একের পর এক গোডাউন। রেসকিউ বোট। যুদ্ধের দ্বিতীয় দিনেই পাকিস্তান প্রায় মুখ থুবড়ে পড়েছে। এবার ফেরার পালা। অপারেশন সফল। দ্রুত মেসেজ পাঠানো হল নেভি কন্ট্রোল রুমে। দু’টি শব্দ। অঙ্গার ডান। অঙ্গার হল কোড। অর্থাৎ অপারেশন সফল। 
গোটা টিম এবার ফিরবে মাংরোলে। এই টিম যে আসলে গুজরাত থেকেই যাত্রা শুরু করেছে সেটা এতক্ষণে পাকিস্তান টের পেয়ে গিয়েছে। সুতরাং পাকিস্তান এয়ারফোর্স আর নেভি বাহিনী ধরেই নেবে যে, ভারতের এই নৌবাহিনী তাদের অভিযান সমাপ্ত করে ফিরবে আবার নিজেদের বেস স্টেশনে। অর্থাৎ গুজরাতের ওখা বন্দরে। কিন্তু ভারতীয় টিম ঝড়ের গতিতে ফিরছে অন্য রুটে। তার মধ্যে আচমকা দুঃসংবাদ। আইএনএস নিপাট নে‌ই। কোথায় গেল? বন্দরের অত কাছে গিয়ে ফেরার সময় আবার নিপাট পিছিয়ে পড়েছে। অন্যরা দ্রুত এগিয়ে যাচ্ছে ভারতের দিকে। 
কিন্তু মাঝসমুদ্রে এসে নিপাটের দেখা গিয়েছে নতুন সঙ্কট। হঠাৎ তেলের পাইপ ভেঙে গিয়েছে। সেই পাইপ লিক করে তেল ইঞ্জিন রুমে জমছে। আর এভাবে বেশিক্ষণ চালানো যাবে না। এদিকে র‌্যাডারে সন্ত্রস্ত চোখ। পিছনে পাকিস্তানের যুদ্ধজাহাজ আর ফাইটার জেট তাড়া করছে না তো! আপাতত একটি ইঞ্জিনেই চলতে হবে। পিছনে করাচি বন্দর। জাহাজে টেকনিক্যাল গোলমাল। আর ভারতের বাকি সব জাহাজ ও মিসাইল বোট ধারে কাছে নেই। তারা অনেক এগিয়ে গিয়েছে। কী করবেন এবার বি বি যাদব? আরব সাগরে কি এত বড় একটা সফল অপারেশনের পর শেষ পর্যন্ত পাকিস্তানের হাতে ধরা পড়তে হবে? নাকি ধ্বংস হতে হবে এবার তাকেই? 
স্যার কী করা যায়? কম্যান্ডার বি বি যাদব গম্ভীর হয়ে নিজের চেম্বারে বসে। তারপর বললেন, কতক্ষণের ফুয়েল আছে?
ইঞ্জিনিয়ার প্রসাদ রঞ্জন বললেন, স্যার প্রচুর লিক করছে। আমাদের হাতে সময় নেই। ইঞ্জিন বন্ধ করে দিতে হবে আর একটু পর। আপনি রেসকিউ রিফুয়েল ইউনিটের সঙ্গে কন্ট্যাক্ট করুন। না হলে আমাদের এখানেই সলিলসমাধি কিংবা পাকিস্তানের হাতে মৃত্যু। 
এবার কমান্ডার বি বি যাদব এক মারাত্মক  সিদ্ধান্ত নিলেন। ভেসেলে থাকা প্রত্যেকটি কর্মী, অফিসার, ক্রু, ইঞ্জিনিয়ার, নাবিক, অয়্যারলেস অপারেটরকে ডেকে বললেন, আমাকে একটা  গ্যাম্বল নিতেই হবে। জুয়া। হয় জিতব। অথবা মরব। সবাই। এছাড়া উপায় নেই। আমরা মাঝসমুদ্রে। পিছনে পাকিস্তানের নৌসেনা তেড়ে আসছে। যে কোনও সময় আকাশে পাকিস্তানের ফাইটার জেট চলে এসে আমাদের বোমা মেরে উড়িয়ে দেবে। এদিকে আমাদের ইঞ্জিন থেকে সব তেল বেরিয়ে যাচ্ছে। এবার আর আমার কাছে অপশন নেই। একটাই উপায়! 
কী উপায়? সকলে উদগ্রীব। 
বি বি যাদব বললেন, ইন্ডিয়ান কোস্টে যাব না। অন্যদিকে যাব। 
মানে! কোনদিকে? কেউ বুঝতে পারছে না যে কমান্ডার কী বলছেন এসব?
আমরা যাব গালফ অফ আডেন! মাকরান কোস্ট। জাস্ট লুকিয়ে থাকব। মাকরান কোস্ট? সর্বনাশ! সে তো বালুচিস্তানের পূর্বদিকে! শত্রুপক্ষের একেবারে চোখের সামনে। আইএনএস নিপাটের প্রত্যেক কর্মী ও নাবিকের চোখেমুখে নেমে এল অবিশ্বাস আর বিস্ময়। বালুচিস্তানের উপকূলে বসে থেকে তারা বাঁচবেন কীভাবে? আবার এটাও ঠিক যে কমান্ডার বি বি যাদব এরকম অসংখ্য অভিযানে এরকমই আশ্চর্য সব সিদ্ধান্ত নিয়ে শেষ মুহর্তে ঠিক রক্ষা পেয়েছেন সঙ্কট থেকে। তাই তাঁর উপর সকলের ভরসা আছে। 
অতএব বি বি যাদবের কথাই শেষ কথা! আইএনএস নিপাট সেই সমুদ্রের মধ্যেই হঠাৎ ঘুরে গেল ভারতের অভিমুখ থেকে ৯০ ডিগ্রি পূর্বে। কমান্ডার যাদব কারণটা বোঝালেন। বললেন, দেখ তোমরা, আমরা একবার এই পজিশন থেকে যদি বেরিয়ে যেতে পারি, তাহলে পাকিস্তান এয়ারফোর্স এবং পাকিস্তান নেভি আর আমাদের ট্রেস করবে না। কারণ ওরা ভাববেই না যে, আমরা ওদের এলাকার মধ্যেই দাঁড়িয়ে আছি। ওরা কিছুটা এগিয়ে এই রুটে কাউকে পাবে না তখন ফিরে যাবে। 
ঠিক তখন ভারতের দিকে দ্রুত অগ্রসর হওয়া বাকি যুদ্ধজাহাজ আর মিসাইল বোটগুলির প্রত্যেক কমান্ডার আর ক্রুরা অধীর উদ্বেগে ভাবছেন যে আইএনএস নিপাট কোথায় গেল? স্যার বি বি যাদবের কী হল? সকলে আর কি আদৌ বেঁচে আছে? নাকি ইতিমধ্যেই...?
আইএনএস  নির্ঘাত, আইএনএস বীর, পোশক, কিলটান, বিদ্যুৎ সকলেই মাংরোলিতে ফিরে এল। নেভি কন্ট্রোল ভারত সরকারকে জানিয়ে দিল যে, করাচির অভিযান সেরে সফলভাবে ফিরে এসেছে আমাদের টিম। শুধু একটি জাহাজ নেই। তার হদিশও নেই। কোথায় সে? কেউ জানে না। 
 সুতরাং, সাফল্যকে সেলিব্রেট করা যাচ্ছে না। চিন্তা হচ্ছে বি বি যাদবের টিমের জন্য। ঠিক সেদিন দুপুরে আচমকা পাকিস্তানের পক্ষ থেকে ঘোষণা করা হল, ভারতের নৌবাহিনী করাচিতে আক্রমণ করেছিল। পাকিস্তান তার যোগ্য জবাব দিয়েছে। ভারতের একটি  যুদ্ধ ভেসেলকে ধ্বংস করে দিতে সক্ষম হয়েছে পাকিস্তানের এয়ারফোর্স। পাকিস্তান নৌসেনা কনফার্ম করছে যে, সেই জাহাজে থাকা ভারতের সব নাবিক আর টেকনিক্যাল স্টাফেরই মৃত্যু হয়েছে। কাউকে জীবিত পাওয়া যায়নি। অর্থাৎ আইএনএস নিপাটের এই করুণ পরিণতি! চরম এক স্তব্ধতা নেমে এল ভারতীয় সামরিক বাহিনীর মধ্যে। ইন্দিরা গান্ধী পর্যন্ত  হতাশ এবং প্রচণ্ড বেদনাহত। তিনি বললেন, আমি পার্সোনালি ওই অফিসারদের পরিবারের সঙ্গে কথা বলব। দিস ‌ইজ গ্রেট লস! এটা কীভাবে হল! প্রতিরক্ষামন্ত্রী ওয়াই বি চ্যবন অত্যন্ত ব্যথিত। এত ভালো একটা অপারেশনের এই পরিণতি? অসীম সাহসিকতার মরণোত্তর পুরস্কার পাবেন কমান্ডার যাদব। সেদিনই ঘোষণা করে দেওয়া হল।
....
পরদিন। ৭ ডিসেম্বর। সন্ধ্যা। বম্বে নেভি পোর্টের অদূরে থাকা নজরদারি জাহাজের র‌্যাডারে ধরা পড়ছে একটি ওয়ারভেসেল। ক্রমেই এগিয়ে আসছে বম্বের দিকে। তৎক্ষণাৎ সতর্ক হয়ে গেল গোটা নৌবাহিনী। তড়িঘড়ি মেসেজ গেল প্রতিটি ডিফেন্স অ্যাকশন এরিয়া কন্ট্রোলে। তৈরি হয়ে যাচ্ছে এয়ারফোর্স। কারণ এরকম সময় কোনও যুদ্ধজাহাজ এই বন্দরে আসার শিডিউল নেই। তাহলে কি পাকিস্তান করাচির প্রতিশোধ নিতে এবার বম্বে আসছে? অবশ্যই পাকিস্তান করাচি বন্দরের উপর এরকম এক আঘাত মেনে নেবে না। আজ নয় কাল প্রতিহিংসা চরিতার্থ করবে। কিন্তু তাই বলে এভাবে বম্বেতে ঢুকে আসবে? এতটা সাহস? স্টিক্ট মিসাইল চার্জ করা হবে? 
ঠিক তখনই চরম বিস্ময়। রেডিও ট্র্যান্সমিটারে শোনা যাচ্ছে আইএনএস নিপাটের মেসেজ! জিরো এফ এফ... নিপাট কলিং...! 
এ কী? এ তো কমান্ডার বি বি যাদবের কণ্ঠ? এটা কীভাবে সম্ভব? আইএনএস নিপাট তো ডুবে গিয়েছে? পাকিস্তান ঘোষণা করেছে। তাহলে এরা কারা? 
 (চলবে)
05th  December, 2021
মেট্রোর দুপুর

সিঁড়ির শেষ ধাপে পৌঁছে দাঁড়িয়ে পড়ল দীপন। কারণ দুটো— এক, এতগুলো সিঁড়ি লাফিয়ে লাফিয়ে উঠে একটু না দাঁড়ালে আর পারা যাচ্ছিল না। দুই, সামনে মধ্য দুপুরের কলকাতা বৈশাখের রোদে ঝলসাচ্ছে। পা রাখার আগে এটাই শেষ সুযোগ। পকেট থেকে সেলফোনটা বের করল। বসে পড়ল মেট্রোর সিঁড়িতে। চোখ রাখল স্ক্রিনে। 
বিশদ

21st  April, 2024
অথ দাম্পত্যচরিতম
সোমজা দাস

যে লোকটা ফুলকুল্লি স্টেশনের লাগোয়া বিন্তিমাসির চায়ের দোকানে প্রতি সপ্তাহের মঙ্গল আর শুক্কুরবার বেলা এগারোটা থেকে সাড়ে বারোটা অবধি বসে থাকে, ওই যে যার মাথায় খড়খড়ে মরচে রঙের চুল, গালে চটামটা লালচে দাড়ি, উদাস চোখ, তার কথা বলছি। সে-ই দশানন দাস।    বিশদ

07th  April, 2024
ছোট গল্প: বন্ধনহীন গ্রন্থি
বিতস্তা ঘোষাল

—অনেকদিন তোমার পোস্ট আমার অ্যাকাউন্টে দেখাচ্ছে না। আজ একজন বললেন, তোমার হ্যাজব্যান্ড চলে গেলেন। তিনি তোমার পেজ শেয়ারও করলেন। আমি জানতাম না অনিকেত তোমার স্বামী। ওঁর সঙ্গে বহুদিন আগে আমার দেখা হয়েছিল। বিশদ

31st  March, 2024
গুপ্ত রাজধানী: দারা শিকোহের গ্রন্থাগার
সমৃদ্ধ দত্ত

রামায়ণকে বুঝতে হলে, হিন্দু শাস্ত্রের অন্তর্নিহিত দর্শনকে আত্মস্থ করতে হলে, যোগ বশিষ্ট পাঠ করা দরকার। আর শুধু পাঠ করা নয়, প্রজাদের মধ্যেও ছড়িয়ে দেওয়া হবে। সম্রাট শাহজাহানের জ্যেষ্ঠ পুত্র দারা শিকোহকে একথা বলেছিলেন দরবারের অন্যতম হিন্দু পণ্ডিত চন্দ্রভান ব্রাহ্মণ। বিশদ

31st  March, 2024
অতীতের আয়না: হারিয়ে যাওয়া হাড়গিলে পাখি
অমিতাভ পুরকায়স্থ

নিউ মার্কেটের পূর্ব ও পশ্চিম গেটের একটু উপরের দিকে সবুজ বৃত্তাকার জায়গাটার দিকে কখনও নজর করেছেন? খেয়াল করলে দেখবেন একটি এমব্লেম বা প্রতীক। কলকাতা পৌরসংস্থার এই মোহরচিহ্ন শহরের প্রতীক হিসেবেও ব্যবহৃত হতো। বিশদ

31st  March, 2024
সম্পর্ক
অর্পিতা সরকার

 

ওদের তিনতলা বাড়ি, বাবা সরকারি চাকুরে। সুস্মিতা ওর বাবা-মায়ের একমাত্র সন্তান। তারপরেও বাবার সাধারণ জীবনযাত্রার কারণেই স্কুল-কলেজে কখনও সেভাবে গর্ব করতে পারেনি সুস্মিতা। ওর বাবার মুখে একটাই কথা, ‘নিজে ইনকাম করো, তারপর বুঝবে রোজগার করতে কত কষ্ট করতে হয়। বিশদ

24th  March, 2024
তবু যেতে হয়

—কাজটা তালে ছেড়েই দিলি সুবি!
সুবি উত্তর দেয় না। মাথা নিচু করে দাঁড়িয়ে থাকে সে। লাঙলপোতা গ্রামের ছোট্ট বাড়ির মাটির বারান্দার এক কোণে দাঁড়িয়ে পায়ের উপর পা ঘষে সুবিনয়। এ তার দীর্ঘ দিনের অভ্যেস। ঘরের ভিতরে তার শয্যাশায়ী মা অলকা। শুয়ে শুয়েই সান্ত্বনা দেন।
বিশদ

17th  March, 2024
গুরুদ্বার সিস গঞ্জ

দিল্লি দেখতে এসে চাঁদনী চক যাওয়া হবে না? তা কীভাবে হয়? অতএব দেশ ও বিদেশের পর্যটকদের অত্যন্ত প্রিয় ভ্রমণস্থল চাঁদনী চক।
বিশদ

17th  March, 2024
দেখা যায় না, শোনা যায় পুতুল বাড়ি
 

আকর্ষণ, বিতর্ক, কৌতূহলের চিরন্তন কেন্দ্রবিন্দু অলৌকিক দুনিয়া। বিশ্বাসী-অবিশ্বাসী দুই শিবিরেরই এব্যাপারে আগ্রহ ষোলোআনা। তাই ভৌতিক সাহিত্য হোক বা সিনেমা, বাজারে কাটতি বরাবরই বেশি।
বিশদ

17th  March, 2024
প্রস্থান
দীপারুণ ভট্টাচার্য

শববাহী গাড়িটা গেটের ভিতর ঢুকতেই অরুণবাবু চারপাশটা দেখলেন। বেঞ্চে পাশাপাশি বসে আছে তার ছেলে নীলাঞ্জন আর বউমা সুতপা। নীলাঞ্জন বড় চাকরি করে। সে ফোন পেয়েছিল অফিসে যাওয়ার পর। সুতপাকে বলেছিল, ‘বেরতে একটু সময় লাগবে। বিশদ

10th  March, 2024
গুপ্ত রাজধানী: জাহান আরার সমাধি
সমৃদ্ধ দত্ত

নভরোজ পরব চলছে। আগ্রা জুড়ে উৎসবের উচ্ছ্বাস। এখন ১৬৪৪। বাদশাহ শাহজাহানের আগ্রা দুর্গে সবথেকে বেশি উজ্জ্বল আয়োজন। স্বাভাবিক। প্রতি বছর নভরোজের সময় আগ্রা দুর্গ এভাবেই সেজে ওঠে। সম্রাটের পুত্রকন্যারা এই সময়টায় পরস্পরের সঙ্গে মিলিত হন। বিশদ

10th  March, 2024
অতীতের আয়না: বাঙালির সার্কাস
অমিতাভ পুরকায়স্থ

১৯২০ সালের ২০ মে। নিজের ‘গ্রেট বেঙ্গল সার্কাস’ নিয়ে সিঙ্গাপুরে ট্যুরে গিয়ে জন্ডিস হয়ে মারা গেলেন প্রিয়নাথ বসু। শুধু উপমহাদেশের সার্কাসের জন্য আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি ও উৎকর্ষের নতুন মানদণ্ড ছাড়াও, বিনোদন শিল্প হিসেবে সার্কাসকে দৃঢ় ভিত দিয়ে গেলেন তিনি। বিশদ

10th  March, 2024
ভোগ
শুচিস্মিতা  দেব

পুতুলকে সদ্যই নিমতিতা থেকে ‘রায়চৌধুরী ভিলা’তে এনেছে তার পিসি সবিতা। সবিতা এই পরিবারের বহু দিনের থাকা-খাওয়ার মাসি। টিভি সিরিয়ালের মতো প্রকাণ্ড বাড়িখানা দেখে পেরথমেই ভেবলেছে পুতুল। ফুটবল মাঠের মতো বৈঠকখানা। বিশদ

03rd  March, 2024
রুপোর চাকু

আলমারিটা খুলতেই দাদার চোখ চলে গিয়েছিল। উপরের তাকে জামা কাপড়ের পাশে খালি জায়গায় শোয়ানো ছিল। বাজপাখির চোখ দাদার।
বিশদ

25th  February, 2024
একনজরে
আইপিএলে ইমপ্যাক্ট প্লেয়ারের নিয়ম নিয়ে আগেই মুখ খুলেছিলেন রোহিত শর্মা ও রিকি পন্টিং। এবার একই সুর শোনা গেল দিল্লি ক্যাপিটালসের অক্ষর প্যাটেলের ...

রক্তক্ষরণ আটকাতে পারবে কি সিপিএম? আটকানো যাবে কি বামের ভোট রামে যাওয়া? —মূলত এই দু’টি প্রশ্নই এখন আলোচনার কেন্দ্রে। ব্রিগেড ভরাতে পারলেও ভোটবাক্স ভরাতে পারবেন কি না, তা নিয়েই এখন চিন্তিত সিপিএমের বঙ্গ রাজনীতির কুশীলবরা। ...

বুধবার রাতে নদীয়ার কালীগঞ্জের বল্লভপাড়ায় দু’টি বাইকের মুখোমুখি সংঘর্ষে তিন যুবকের মর্মান্তিক মৃত্যু হল। বাইকের গতি এতটাই বেশি ছিল যে এক যুবক ছিটকে একটি টোটোর কাচ ভেঙে ঢুকে যান। ...

কথা ছিল বাড়ি ফিরে পাকা বাড়ি দেওয়ার। সেই স্বপ্ন নিয়ে আর ফেরা হল না। কফিনবন্দি হয়ে ফিরছে পরিযায়ী কিশোর শ্রমিক। কর্মরত অবস্থায় বহুতল ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

বিদ্যা ও কর্মে উন্নতির যুগ অর্থকরি দিকটি কমবেশি শুভ। মানসিক চঞ্চলতা ও অস্থিরতা থাকবে। স্বাস্থ্যের ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

১৮৮৪- উচ্চাঙ্গ সঙ্গীতশিল্পী, সেতার ও সুরবাহার বাদক ওস্তাদ আয়েত আলী খাঁর জন্ম
১৮৯৭- বাঙালি চলচ্চিত্র পরিচালক নীতীন বসুর জন্ম
১৯২০- ভারতীয় গণিতবিদ শ্রীনিবাস রামানুজনের মৃত্যু
১৯২৪- সাহিত্যিক নারায়ণ সান্যালের জন্ম 



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৮১.৫০ টাকা ৮৪.৯৩ টাকা
পাউন্ড ১০১.৪৭ টাকা ১০৫.৯২ টাকা
ইউরো ৮৭.১৪ টাকা ৯১.১৮ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৭২,৭০০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৭৩,০৫০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৬৯,৪৫০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৮১,৪৫০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৮১,৫৫০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

১৩ বৈশাখ, ১৪৩১, শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪। দ্বিতীয়া ৬/১৩ দিবা ৭/৪৭। অনুরাধা নক্ষত্র ৫৮/৪০ রাত্রি ৩/৪০। সূর্যোদয় ৫/১১/৩০, সূর্যাস্ত ৫/৫৭/২৪। অমৃতযোগ প্রাতঃ ৬/৫৪ মধ্যে পুনঃ ৭/৪৪ গতে ১০/১৮ মধ্যে পুনঃ ১২/৫১ গতে ২/৩২ মধ্যে পুনঃ ৪/১৫ গতে অস্তাবধি। রাত্রি ৭/২৮ গতে ৮/৫৭ মধ্যে পুনঃ ২/৫৭ গতে ৩/৪১ মধ্যে। মাহেন্দ্রযোগ রাত্রি ১০/২৭ গতে ১১/১২ মধ্যে পুনঃ ৩/৪১ গতে উদয়াবধি। বারবেলা ৮/২৪ গতে ১১/৩৪ মধ্যে। কালরাত্রি ৮/৪৫ গতে ১০/১০ মধ্যে। 
১৩ বৈশাখ, ১৪৩১, শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪। দ্বিতীয়া দিবা ৬/২৮। অনুরাধা নক্ষত্র রাত্রি ২/২৬। সূর্যোদয় ৫/১২, সূর্যাস্ত ৫/৫৯। অমৃতযোগ দিবা ৬/৪৬ মধ্যে ও ৭/৩৮ গতে ১০/১৫ মধ্যে ও ১২/১৫ গতে ২/৩৫ মধ্যে ও ৪/২০ গতে ৫/৫৯ মধ্যে এবং রাত্রি ৭/৩২ গতে ৯/০ মধ্যে ও ২/৫০ গতে ৩/৩৪ মধ্যে। মাহেন্দ্রযোগ রাত্রি ১০/২৭ গতে ১১/১১ মধ্যে ও ৩/৩৪ গতে ৫/১১ মধ্যে। বারবেলা ৮/২৪ গতে ১১/৩৫ মধ্যে। কালরাত্রি ৮/৪৭ গতে ১০/১১ মধ্যে। 
১৬ শওয়াল।

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
আইপিএল: কেকেআরকে ৮ উইকেটে হারাল পাঞ্জাব

11:31:28 PM

আইপিএল: ২৩ বলে হাফসেঞ্চুরি শশাঙ্ক সিংয়ের, পাঞ্জাব ২৪৬/২ (১৭.৪ ওভার) টার্গেট ২৬২

11:26:31 PM

আইপিএল: ৪৫ বলে সেঞ্চুরি জনি বেয়ারস্টোর, পাঞ্জাব ২১০/২ (১৬.১ ওভার) টার্গেট ২৬২

11:13:32 PM

আইপিএল: ২৬ রানে আউট রাইলি রুশো, পাঞ্জাব ১৭৯/২ (১৩ ওভার) টার্গেট ২৬২

10:56:50 PM

আইপিএল: ২৪ বলে হাফসেঞ্চুরি জনি বেয়ারস্টোর, পাঞ্জাব ১২০/১ (৯.১ ওভার) টার্গেট ২৬২

10:36:30 PM

আইপিএল: ৫৪ রানে আউট প্রভসিমরন, পাঞ্জাব ১০৭/১ (৭.৫ ওভার) টার্গেট ২৬২

10:29:44 PM