Bartaman Patrika
গল্পের পাতা
 

দুর্গা
তপন বন্দ্যেপাধ্যায়

অনেকক্ষণ ধরে একটি গল্পের প্লট খুঁজছেন ভাস্করবাবু, মগজের ভাঁজ খুলে-খুলে দেখছেন কোন ঘটনাটা তাঁকে সবচেয়ে বেশি ভাবাচ্ছে এই মুহূর্তে, কোন দুটি চোখ ছুঁয়ে-ছুঁয়ে যাচ্ছে তাঁর মনের অন্দরমহল, কিন্তু কিছুতেই পাচ্ছেন না মনোমতো প্লট। যা-ও দু-একটি ঘটনা মনে পড়ছে কোনওটাই মনঃপূত হচ্ছে না। অথচ গল্পটি আজই দেওয়া দরকার।
বাইরে মাঠের এককোণে মাইকে বাজছে আগমনী গানের সুর। পুজো প্রায় এসে গিয়েছে। 
গল্পের প্রথম পৃষ্ঠাটা লেখাই সবচেয়ে কঠিন, একবার শুরু করতে পারলে হুড়মুড় করে পরবর্তী অনুচ্ছেদগুলি হাজির হতে থাকে কলমের ডগায়—এই ভেবে কলম উদ্যত করে আছেন সাদা পৃষ্ঠার উপর, বারবার উল্টে দেখছেন মগজের ছন্দতন্তুজাল, কিন্তু লেখা হয়নি এক লাইনও, সেই মুহূর্তে দরজায় কলিং বেলের শব্দ।
শব্দটা কানে যেতেই ভীষণ বিরক্ত হলেন ভাস্করবাবু। দু-একটা প্লট আসি-আসি করছিল, এ সময়—
খোলা দরজার ওপারে বারান্দা, গ্রিলঘেরা বারান্দায় কোলাপসিবল গেট, গ্রিলের ফাঁক দিয়ে চোখে পড়ছে হলুদ শাড়ি-পরা এক রমণী-শরীর, ঘোমটা দেওয়া, তার সঙ্গে দুটি বালিকার অবয়ব।
আজ অনেকদিন পরে বাড়িতে একাই আছেন ভাস্করবাবু, বিপাশা সকালে উঠেই গেছে পিত্রালয়ে, ফিরবে বিকেলের দিকে। ফলে ঠিক সময়ে চায়ের কাপ আসছে না, গরম চায়ে চুমুক না দিলে মগজটাও যেন খোলে না।
তাই একা থাকাটা তাঁর মোটেই পছন্দের নয়।
হয়তো সে কারণেই লেখাটা আসছে না কলমের ডগায়।
কলিং বেল বাজার পর অনেকখানি সময় পার, বিপাশা ঘরে থাকলে দরজা খোলার কাজটা সে-ই করে, এখন তাঁকেই উঠে দেখতে হবে কে এল এমন সকালবেলায়! উঠতে একটু দেরিই হয়ে গেল, এমন দ্বিধান্বিত মুহূর্তে দ্বিতীয়বার কলিং বেলের শব্দ।
না, শেষ পর্যন্ত উঠতেই হল লেখার টেবিল ছেড়ে।
গ্রিলের ওপাশে যাদের দেখলেন তাতে বিরক্তির অন্ত রইল না তাঁর। শতছিন্ন কাপড় পরা একটি বউ বসে আছে সিঁড়ির উপর, তার পাশে দুটি বালিকা, একটির বয়স দশ তো অন্যটির বছর সাতেক। ভাস্করবাবুকে দেখেই বউটি বলল, কিছু খেতে দেবেন, বাবু? বাচ্চা দুটো কাল থেকে কিছু খেতে পায়নি।
খেতে দিতে হবে! তার চেয়ে কিছু টাকা দিলেই রেহাই পাওয়া যায় আপাতত।
ঘর থেকে টাকা এনে দিতে যাচ্ছিলেন, কিন্তু বউটি কাকুতিমিনতি করে বলল, কাল রাত থেকে কিছু খায়নি ওরা। যা হোক কিছু দিন।
ভাস্করবাবু নিজেই বাড়িতে বাস করেন প্রায় পেয়িং গেস্টের মতো, বাড়ির কোথায় কী থাকে তার বিন্দুবিসর্গ খবর রাখেন না, তিনটি প্রাণীকে এখন কী খেতে দেবেন তা ভেবে মাথায় সৌরজগৎ ভেঙে পড়ে আর কী। ভাবলেন বিরক্তি প্রকাশ করে বলে দেবেন, এখন হবে না, যাও। বিকেলে এসো।
বলতে গিয়েও তাঁর চোখ পড়ল বাচ্চা দুটোর চোখের দিকে। তিনটি প্রাণীর শতচ্ছিন্ন অবস্থা দেখে অনুমান করেন নিশ্চয় ফুটপাথবাসী। এ ধরনের পরিবারের ইতিহাস তাঁর ভালোমতো জানা। কোন ফুটপাথবাসী পুরুষ তারই সমগোত্রীয় কোনও একটি মেয়েকে হাতিয়ে নিয়ে এসেছে অন্য কোথাও থেকে, তারপর দু’খানি বাচ্চা। পুরুষটি কেটে পড়েছে এক সময়। গরিব মেয়েটি এখন অগাধ সমুদ্রে।
তিনজোড়া চোখ তাঁর কৃপার দিকে তাকিয়ে আছে দেখে ভাস্করবাবু বেশ ঝামেলায়। এখন যদি তিনি বদান্যতা দেখাতে যান, বাড়িতে কোথায় কী খাদ্য আছে তা খুঁজতে বসতে হবে, সেই খোঁজা কতক্ষণ ধরে চলবে তা তিনি জানেন না, আর খুঁজতে যাওয়া মানে সকালের লেখাটা গেল!
বিরক্ত হয়ে জিজ্ঞাসা করলেন, ভিক্ষা করতে বেরিয়েছ কেন? এদের বাবা কোথায় গেল? বউটি বলল, নেই।
—নেই মানে? ভাস্করবাবু খেয়াল করলেন বউটির কপালে সিঁদুরের ফোঁটাও নেই।
—ওদের বাবা কয়লার ঘেঁষের মধ্যে কয়লার টুকরো খুঁজছিল, হঠাৎ ধস নেমে—
আর বলতে পারল না, চোখ দুটো ছলছল করে উঠল, পরক্ষণে বলল, আমি একটুর জন্য চাপা পড়িনি।
একজন একটুর জন্য চাপা পড়ে ভাসিয়ে দিয়ে গিয়েছে ছেলে-মেয়ে, আর একজন একটুর জন্য চাপা না পড়ে লড়াই করছে দুটি মেয়ে নিয়ে বেঁচে থাকার।
কী মনে হতে জিজ্ঞাসা করলেন, কী নাম তোমার?
—দুর্গা।
—তা দুর্গা, তুমি অন্যের বাড়ি খেটে খাও না কেন! শহরে কাজের লোকের তো খুব অভাব!
—কাজ তো করতাম। রান্নার কাজ। দু’বাড়িতে দু’বছর করেছি, হঠাৎ হাতে কী এক ঘা হল, তারা বলল, কী ঘা কে জানে, তুমি আর রান্না করতে এসো না।
বউটি বাঁ-হাত তুলে দেখাল হাতের তেলো।
—ডাক্তার দেখাওনি? বলেই ভাস্করবাবু ভাবলেন ডাক্তার দেখানোর টাকা পাবে কোথায়। 
—হাসপাতালের আউটডোরে দেখিয়েছি, কিন্তু মলম কেনার টাকা নেই তো!
 সব উত্তরই যথাযথ, এখন তিন ক্ষুধার্তের জন্য কী করবেন ভেবে ভাস্করবাবু ঘামছেন।
হঠাৎ নজর পড়ল দশ বছরের মেয়েটা গ্রিলের ফাঁক দিয়ে দেখছে তাঁর ঘরের বইয়ের পাহাড়, বলল, আমার খুব বই পড়তে ইচ্ছে করে।
বই! ফুটপাথ-কন্যার কথা শুনে খুবই অবাক লাগে, বলেন, তুই বই পড়তে পারিস?
মেয়েটি নয়, তার মা-ই উত্তর দিল, ও তো ক্লাস থ্রিতে পড়ত। এখন আমার সঙ্গে কয়লার ঘেঁসে যায় কয়লা কুড়োতে। স্কুল ছেড়ে দিয়েছে।
মেয়েটি আবার বলল, আমাকে একটা বই দেবে?
—বই? কী বই?
মেয়েটি তাঁকে আরও অবাক করে বলল, আমার যা পড়তে ভালো লাগবে।
ভাস্করবাবু ফাঁপরে। কী বই আর ভালো লাগবে এ এক বিষম প্রশ্ন। বড়দের বইয়ের সঙ্গে কিছু ছোটদের বইও আছে তাঁর বইয়ের র‌্যাকে।
র‌্যাক খুঁজেপেতে তার হাতে তুলে দিলেন ছোটদের উপযোগী একটি গল্পের বই। মেয়েটি অমনি সিঁড়ির উপর বসে পড়তে শুরু করে দিল বইটি। মনে হল তার পেটে আর খিদে নেই।
ছোট মেয়েটি অমনি দিদির দিকে তাকিয়ে কী যেন ভেবে বলল, আমাকে বই দেবে না?
—তোকেও বই দিতে হবে? তোকে কী বই দেব? তুই তো এখনও ঢের ছোট।
—একটা ছবির বই দাও।
র‌্যাকে খুঁজে সেরকম একটি বইও পাওয়া গেল।
সেও অমনি খিদে ভুলে বসে গেল ছবির বইয়ের পাতায়। বেশ তন্ময় হয়ে উল্টে-উল্টে দেখছে ছবিগুলো।
দুর্গা দুই মেয়ের পাঠভঙ্গি দেখে খুব তৃপ্ত হল, বলল, ওর বাবার খুব ইচ্ছে ছিল মেয়ে দুটোকে লেখাপড়া শিখিয়ে চাকরি করতে দেবে। নিজে তো আর লেখাপড়া শেখেনি।
তারপর বলল, টাকা চাইনে, কিছু খেতে দেবেন?
অতএব লেখার কথা ভুলে ভাস্করবাবু শুরু করলেন এক অভাবনীয় অভিযান।
প্রায় হিমালয় যাত্রার মতো কিচেনের গোলকধাঁধা হাঁটকে আবিষ্কার করতে শুরু করলেন নিজের সংসার। র‌্যাক থেকে বই খুঁজে পাওয়া তাঁর পক্ষে যতটা সহজ, ঠিক ততটাই কঠিন রান্নাঘরের গলিঘুঁজি ধরে এগনো। 
একবার রান্নাঘরের দেরাজ হাঁটকান তো পরের মুহূর্তে ফ্রিজের আঁটোসাটো পরিসর, তারপর দেখতে শুরু করলেন ঘরের যেখানে যা কিছু থাকা সম্ভব।
একটি মিড-সল্ফে খুঁজে পেলেন আধ-পাউন্ড স্লাইসড পাউরুটি। একটি জাল দেওয়া আলমারির মধ্যে একটি মেরি গোল্ড বিস্কুটের প্যাকেট। ফ্রিজের মধ্যে কিছু মিষ্টি। একটি জলের বোতল। তা ছাড়াও একশো টাকার একটি নোট দিয়ে বললেন, ওষুধের দোকান থেকে মলম কিনে এখনই হাতে লাগাতে শুরু কর।
সেগুলি দুর্গার হাতে তুলে দিতেই তার বড় বড় চোখে কৃতজ্ঞতার ছায়া। তাড়াতাড়ি ছোট দুটোকে বিস্কুট আর মিষ্টি খাওয়াতে ব্যস্ত হল।
ভাস্করবাবু এবার নিশ্চিন্ত হয়ে আবার গিয়ে বসলেন লেখার টেবিলে। প্রায় আধঘণ্টা লেগে গেছে সবকিছু খুঁজেপেতে বের করতে। তবে একটু আগে যে বিরক্তিটা ভিতরে বিজবিজ করছিল, তা এখন উধাও। হাতে কলম নিয়ে আবার ভাবতে লাগলেন প্লট।
মাথায় কিছু আসছে না বলে চোখ রাখলেন গ্রিলের ওদিকে বসা দুর্গার খাওয়ানোর দিকে। দুটি মেয়ের গালে কী যে গুঁজে দিচ্ছেন তা দুই বালিকার খেয়াল নেই। দু’জনেই তন্ময় হয়ে বইয়ের পৃষ্ঠায় চোখ রেখেছে, পৃষ্ঠা ওল্টাচ্ছে যথানিয়মে। তাদের এই বই তন্ময়তা দেখে খুব আশ্চর্য হচ্ছিলেন ভাস্করবাবু। 
যাদের বাড়িতে অঢেল বই, তাদের বাড়ির ছেলেমেয়েরা বইয়ের পাতা উল্টেও দেখে না, অথচ বালিকা দুটির খাওয়া শেষ হতে, নিজে কিছু খেয়ে, জলের বোতল কিছুটা শেষ করে দুর্গা উঠে দাঁড়ায়। গ্রিলের এদিকে, ভাস্করবাবুর অস্পষ্ট চেহারার দিকে তাকিয়ে কিছু যেন বলল তার দীর্ঘায়ত দুটি চোখ দিয়ে, তারপর বেরিয়ে পড়ল মেয়ে দুটির হাত ধরে। দুই বালিকার বুকে চেপে ধরা দুটি বই। তিনটি তৃপ্ত মুখ।
দুর্গা হাঁটছে—হাঁটছে, দু’হাতে ধরা দুই কন্যা। চলেছে দূর থেকে আরও দূরে। আস্তে আস্তে ছোট হয়ে আসছে তাদের চেহারা।
উদ্যত কলম হাতে নিয়ে, আগমনীর গান শুনতে শুনতে ভাস্করবাবু দেখলেন দুই কন্যার হাত ধরে যে মেয়েটি হেঁটে যাচ্ছে, সে যেন আর শুধু দুর্গাটি নেই, দেবী দুর্গা, হেঁটে চলেছেন কৈলাস থেকে মর্তভূমির দিকে।
হঠাৎ আলোর ঝলকানির মতো ভাস্করবাবুর মনে হল তিনি খুঁজে পেয়েছেন তাঁর ঈপ্সিত গল্পের প্লট।
অঙ্কন : সুব্রত মাজী
10th  October, 2021
কোজাগরীর লক্ষ্মীসরা
শান্তনু বসু 

জাগো- জেগে থাক। নিদ্রা যেন চেতনাকে আচ্ছন্ন না করে। শুদ্ধ চিত্তে, শুদ্ধ চরিত্রে প্রতীক্ষা করো। তিনি আসবেন। তাঁর পাদস্পর্শে ধন্য হবে ধরণী। বৈকুণ্ঠ থেকে তিনি নেমে আসবেন গৃহস্থের অঙ্গনে। আসবেন বছরের নির্দিষ্ট একটি দিনে। অতএব নিবিষ্ট মনে স্মরণ কর তাঁকে। আলপনা দাও। নিষ্ঠা ভরে ধানের ছড়া এঁকে রাখ ভূমিতে, এঁকে রাখ তাঁর চরণচিহ্ন। বিশদ

17th  October, 2021
অপারেশন ৭১ : পর্ব ৩
প্ল্যান জ্যাকপট
সমৃদ্ধ দত্ত

মধ্যরাতে ফোন করেছেন কে সংকর্ষণ নায়ার। ভারতীয় গুপ্তচর সংস্থা রিসার্চ অ্যান্ড অ্যানালিসিস উইং (RAW)-এর ডেপুটি ডিরেক্টর।  তিনি এই সংস্থায় পাকিস্তান ডেস্ক মনিটর করেন। প্রাইম মিনিস্টারকে এত রাতে ফোন করার অর্থ বড়সড় কিছু ঘটেছে। বিশদ

17th  October, 2021
পর্ব ২: অপারেশন ৭১
২৫ মার্চ, ১৯৭১
অপারেশন সার্চলাইট
সমৃদ্ধ দত্ত

একজন বাঙালি প্রধানমন্ত্রী হবে? সেরকম হলে আমার ডেডবডির উপর দিয়ে হতে হবে। প্রেসিডেন্ট ইয়াহিয়া খান এরকমই বললেন, তাঁর আর্মি কমান্ডারদের। শেখ মুজিবের দল পাকিস্তানের নির্বাচনে বিপুল ভোটে জিতেছে তো কী হয়েছে? তার মানে কি বাঙালির হাতে পাকিস্তানকে ছেড়ে দিতে হবে? বিশদ

10th  October, 2021
পর্ব  ১: অপারেশন ৭১
সিচ্যুয়েশন রুম
সমৃদ্ধ দত্ত
 

কেন রিচার্ড নিক্সন এতটা ইন্দিরা গান্ধীর বিরোধী? কারণ একাধিক। নিক্সন আমেরিকার প্রেসিডেন্ট হিসেবে যখন‌ই এশিয়া, ইউরোপ, লাতিন আমেরিকার দেশগুলিতে গিয়েছেন তিনি দেখতে পেয়েছেন, প্রত্যেক রাষ্ট্রপ্রধানের চোখে এক সমীহ। এক বিশেষ শ্রদ্ধামিশ্রিত ভীতি। কারণ, আমেরিকার প্রেসিডেন্ট বলে কথা। ইনি সর্বশক্তিমান। সুতরাং নিক্সন আনুগত্য পেতেই অভ্যস্ত। তাঁর স্বভাবও সেরকম। একমাত্র ব্যতিক্রম এই মহিলা।
বিশদ

03rd  October, 2021
ছোট গল্প
উত্তরসাধক
মানস সরকার

ছেলে বড় হলে প্রতুলকে নিজের কাছে বহুবার বসাতে চেয়েছে। ছেলে বোল বুঝতে চাইত না। সুর, শব্দ থেকে দূরে পালাত। পড়াশোনাটাও ঠিক করে শেষ করল না। বিরক্তি প্রকাশ করত বাসন্তী। জোর করেনি গৌরদাস। এ জোর করার নয়। জড়িয়ে নেওয়ার জিনিস। বিশদ

03rd  October, 2021
পিশাচ সাধু
 

ক্যাপ্টেনকে এলাকা ছাড়ার কড়া নির্দেশ দিয়েছে পরম। এদিকে, বিষ খেয়ে হজম করে দেখিয়ে দেবে বার বার বলছে পিশাচসাধু। বঁড়শিকে পালিয়ে আসতে বলল সহজ। কিন্তু সে রাজি হল না। তারপর... প্রবল দুশ্চিন্তা নিয়ে বাড়ি ফিরছিল সহজ। কিন্তু এলাকার কাছাকাছি আসতেই তার অদ্ভুত একটা অনুভূতি হল। বিশদ

26th  September, 2021
ধারাবাহিক উপন্যাস, পর্ব  ৩০
পিশাচ সাধু

জয়ন্ত দে

কাকভোরে ঠাকুরদা শশাঙ্ক মিত্রের সঙ্গে বাগানে দেখা করল সহজ। জানাল, বর্ণিনী গুরুদেবের আশ্রমে গিয়ে সব খোঁজ খবর নিয়ে এসেছে। তবে, একটাই খারাপ খবর, গুরুদেব আর ইহজগতে নেই। শশাঙ্ককে আশ্রমে পৌঁছে দেবে কথা দিল সহজ। এর কিছুক্ষণ পরই সৃজনী ফোনে জানাল, নচে বিষ খেয়েছে।  তারপর... বিশদ

19th  September, 2021
ছোট গল্প
সম্বল
সঞ্জীব ঘোষ

রাঘব একা মানুষ। নিজে রেঁধে বেড়ে খায়। তার এক কামরা পাকা ঘরের সামনে পিছনে অনেকখানি জায়গায় চাষবাস করে নিজের চলে। বাজারে বিক্রি করলে চাল কেনার টাকা উঠে যায়। একটু ছন্নছাড়া হলেও বাঁধা গতের জীবন তার। আশ্চর্যজনকভাবে দীনতা তাকে স্পর্শ করেনি। বিশদ

12th  September, 2021
পিশাচ সাধু
ধারাবাহিক উপন্যাস, পর্ব  ২৯
জয়ন্ত দে

বর্ণিনীকে নিয়ে সহজ যখন পৌঁছল, তখন বাড়িতে পিশাচসাধু নেই। বঁড়শি একা। সে শোনাল, তার সন্দেহের কথা। বঁড়শির অনুমান, তার বাবা, যোগীনসাধু সহ একাধিক মৃত্যুর নেপথ্যে ক্যাপ্টেনের হাত রয়েছে। নিজের বক্তব্যের সপক্ষে একটি ডায়েরি দেখাল সে। ডায়েরির পাতার ছবি তুলে নিল বর্ণিনী। তারপর... বিশদ

12th  September, 2021
ছোট গল্প
টরেগাসি
বিনতা রায়চৌধুরী
​​

লিলি ঘরে ঢোকামাত্র শুভায়ু বলে উঠল আমার টরেগাসি? হেসে ফেলল লিলি, ‘আমার জন্য অপেক্ষা করে থাকো না একটুও, তোমার মন পড়ে থাকে ওই তোমার টরেগাসি-র ওপর। তাই তো?’  ‘কথাটা পুরো সত্য নয়। আবার পুরো মিথ্যেও নয়।’ বলেই হেসে উঠল শুভায়ু।  বিশদ

05th  September, 2021
ধারাবাহিক উপন্যাস, পর্ব ২৮
পিশাচ সাধু
জয়ন্ত দে

ক্যাপ্টেনের সঙ্গে তুমুল ঝগড়া বঁড়শির। এমন পরিস্থিতিতে পিশাচসাধু যেন নিজেরই মুখোমুখি— সামনে এসেছে দাঁড়িয়েছে তার অতীত। প্রতিশোধ নিতে সে শুরু করেছে এক নরমেধ যজ্ঞ। জনৈক শ্মশানচারী সাধুকে বলি দিলে সম্পূর্ণ হবে তার এই যজ্ঞ। কিন্তু তার খোঁজ এখনও পায়নি ক্যাপ্টেন। তারপর... বিশদ

05th  September, 2021
ছোট গল্প
মানকচু, ফুল ও
ডাবের গল্প
চিরঞ্জয় চক্রবর্তী

আমি যখন বাজারে যাই, কেউ ঘুম থেকে ওঠে না। অত সকালে বাজারে যেতে দেখে পাশের বাড়ির লিলি বলেছিল, ‘তুমি কি বাসি মাল কিনতে যাও?’ উত্তরে শুধু হেসেছিলাম, কিছু বলিনি। সকালবেলা বাসি মালও পাওয়া যায়, লোকে কত কিছু ভাবে। অনেকেই বাজারের ব্যাগ হাতে বাড়ি থেকে বেরিয়ে প্রাতর্ভ্রমণ করে। আমার সেসব বালাই নেই।
বিশদ

29th  August, 2021
ধারাবাহিক উপন্যাস, পর্ব ২৭
পিশাচ সাধু
জয়ন্ত দে

বোনকে নিয়ে সহজ পিশাচ সাধুর কাছে গিয়েছিল শুনে রেগে আগুন বিচিত্রদা। কথায় কথায় সহজ জানাল, বঁড়শির আদতে বিয়ে হয়েছে একটা মড়ার খুলির সঙ্গে। এবার বর্ণিনী যেতে চায় ক্যাপ্টেনের বাড়িতে। এদিকে, সহজকে ডেকে নচে শোনাল তার জীবনের কিছু বৃত্তান্ত। তারপর... বিশদ

29th  August, 2021
গাছ জগবন্ধু
অভিজিৎ তরফদার

—ওই যে ঘরের মধ্যে টাকা মেশিন। বোতাম টিপলেই টাকা। —এটিএম? বেড়ে বলেছ তো! আচ্ছা জগবন্ধু, একটা কথা জিজ্ঞেস করব, কিছু মনে করবে না তো? —না না, মনে করবার কী আছে? গরিব মানুষের অত মনে করলে চলে না।  বিশদ

22nd  August, 2021
একনজরে
পুজোর আগে থেকেই সব্জির বাজার ঊর্ধ্বমুখী ছিল। টোম্যাটো, পটল, বেগুন বা অন্যান্য সব্জি কিনতে গিয়ে ক্রেতাদের মাথায় হাত পড়েছে। অনেকেই আশা করেছিলেন, পুজোর কয়েকটা দিন ...

দেশের শেয়ার বাজার যথেষ্ট চাঙ্গা। ক্রমশ ঊর্ধ্বমুখী সূচক। পাশাপাশি সাধারণ মানুষের ঝোঁক বাড়ছে মিউচুয়াল ফান্ডের উপর। আর তার জেরেই দেশে মিউচুয়াল ফান্ডে বিনিয়োগের অঙ্ক লাফিয়ে বাড়ছে। মিউচুয়াল ফান্ড সংস্থাগুলির সর্বভারতীয় সংগঠন অ্যাসোসিয়েশন অব মিউচুয়াল ফান্ডস ইন ইন্ডিয়ার দেওয়া তথ্য বলছে, ...

ক্ষমতা থেকে বিদায় নেওয়ার বছর থেকেই সিপিএম তথা বামেদের জনসমর্থনের গ্রাফ ক্রমশ নিম্নগামী হয়েছে। একের পর এক ভোটে তাদের প্রতি মানুষের সমর্থন প্রায় তলানিতে এসে ...

এটিকে মোহন বাগানের নতুন সহকারী কোচ হচ্ছেন বাস্তব রায়। সঞ্জয় সেন টানা পাঁচ মাস জৈব বলয়ে থাকতে চাইছেন না বলেই তাঁকে দায়িত্ব দেওয়া হল। যুব উন্নয়নের দায়িত্বে রাখা হচ্ছে সঞ্জয় সেনকে। ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

কর্মে বাধা থাকলেও অগ্রগতি হবে। ব্যবসায় লাভ হবে সর্বাধিক। অর্থাগম যোগটি শুভ। কর্মক্ষেত্রে এবং রাজনীতিতে ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

১৩৮৬: জার্মানীর সর্বাপেক্ষা প্রাচীন উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠান হাইডেলবার্গ বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠিত হয়
১৮৬৯: স্বাধীনতা সংগ্রামী মাতঙ্গিনী হাজরার জন্ম
১৮৮৮: রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর শান্তিনিকেতন প্রতিষ্ঠা করেন
১৯০৩:বিশিষ্ট সুরকার তথা সঙ্গীত পরিচালক রাইচাঁদ বড়ালের জন্ম
১৯২৪: কবি নীরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তীর জন্ম
১৯৫৬: বলিউড তারকা সানি দেওলের জন্ম
২০০৫: বাগদাদে শুরু হয় সাদ্দাম হুসেনের বিচার প্রক্রিয়া



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৭৩.৬০ টাকা ৭৬.৯২ টাকা
পাউন্ড ১০০.৯৮ টাকা ১০৫.৮৩ টাকা
ইউরো ৮৫.১৫ টাকা ৮৯.২৫ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৪৮,০০০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৪৫,৫৫০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৪৬,২৫০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৬৩,৫০০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৬৩,৫০০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

দিনপঞ্জি----------------------

দৃকসিদ্ধ: ২ কার্তিক, ১৪২৮, মঙ্গলবার, ১৯ অক্টোবর ২০২১। চর্তুদ্দশী ৩৩/৩৩ রাত্রি ৭/৪। উত্তরভাদ্রপদ নক্ষত্র ১৬/২৫ দিবা ১২/১২। সূর্যোদয় ৫/৩৮/১৪, সূর্যাস্ত ৫/৫/২। অমৃতযোগ দিবা ৬/২৪ মধ্যে পুনঃ ৭/১০ গতে ১০/৫৯ মধ্যে। রাত্রি ৭/৩৭ গতে ৮/২৭ মধ্যে পুনঃ ৯/১৬ গতে ১১/৪৭ মধ্যে পুনঃ ১/২৭ গতে ৩/৭ মধ্যে পুনঃ ৪/৪৮ গতে উদয়াবধি। মাহেন্দ্রযোগ রাত্রি ৭/৩৭ মধ্যে। বারবেলা ৭/৪ গতে ৮/৩০ মধ্যে পুনঃ ১২/৪৭ গতে ২/১৩ মধ্যে। কালরাত্রি ৬/৩৯ গতে ৮/১৩ মধ্যে। 
১ কার্তিক, ১৪২৮, মঙ্গলবার, ১৯ অক্টোবর ২০২১। চর্তুদ্দশী রাত্রি ৬/৪৫। উত্তরভাদ্রপদ নক্ষত্র দিবা ১/৮। সূর্যোদয় ৫/৩৯, সূর্যাস্ত ৫/৬। অমৃতযোগ দিবা ৬/৩৩ মধ্যে ও ৭/১৭ গতে ১০/৫৮ মধ্যে এবং রাত্রি ৭/২৭ গতে ৮/১৯ মধ্যে ও ৯/১৯ গতে ১১/৪৬ মধ্যে ও ১/৩০ গতে ৩/১৩ মধ্যে ও ৪/৫৭ গতে ৫/৪০ মধ্যে। মাহেন্দ্রযোগ রাত্রি ৭/২৭ মধ্যে। বারবেলা ৭/৫ গতে ৮/৩১ মধ্যে ও ১২/৪৮ গতে ২/১৪ মধ্যে। কালরাত্রি ৬/৪০ গতে ৮/১৪ মধ্যে।
১২ রবিয়ল আউয়ল।

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
উত্তরপ্রদেশ নির্বাচনে মহিলাদের ৪০ শতাংশ টিকিট দেবে কংগ্রেস
আগামী বছর উত্তরপ্রদেশ নির্বাচনে মহিলাদের ৪০ শতাংশ টিকিট দেবে কংগ্রেস। ...বিশদ

03:35:25 PM

ভারত-পাক ম্যাচের আগে একসঙ্গে দুই কোচ
রবিবার মরুশহরে আয়োজিত হবে ভারত-পাকিস্তান ম্যাচ। ভারত-পাক ম্যাচ শুরু হওয়ার ...বিশদ

03:13:30 PM

বিশ্ব ক্রমতালিকায় প্রথম দশ থেকে ছিটকে গেলেন ফেডেরার
লন টেনিসের অন্যতম কিংবদন্তি রজার ফেডেরোর। এখনও পর্যন্ত ২০টি গ্র্যান্ড ...বিশদ

02:51:17 PM

সাপের কামড়ে মৃত্যু গৃহবধূর
ঘরে ঘুমানোর সময় সাপের কামড়ে মৃত্যু হল এক গৃহবধূর। গুসকরা ...বিশদ

02:44:10 PM

নৈনিতালের লেকের জল উপচে পড়ছে রাস্তায়
একটানা বৃষ্টির ফলে উত্তরাখণ্ডের নৈনিতালে লেকের জল উপচে পড়ছে রাস্তায়। ...বিশদ

02:13:39 PM

হলদিয়ার এলপিজি বটলিং প্ল্যান্টে জখম শ্রমিকের সঙ্গে দেখা করলেন তাপস মাইতি
হলদিয়ার এলপিজি বটলিং প্ল্যান্টে দুর্ঘটনায় গুরুতর জখম শ্রমিকের সঙ্গে মঙ্গলবার ...বিশদ

02:09:58 PM