Bartaman Patrika
গল্পের পাতা
 

গাছ জগবন্ধু
অভিজিৎ তরফদার

—ও জগবন্ধু! এত দেরি হল যে? 
—কী করব? বাবলু যে পথ আটকাল। 
—কোন বাবলু? 
—যে আগে আপনাদের বাজার সরকার ছিল। 
—ও, যে টাকা পয়সা চুরি করে ভেগে গিয়েছিল? 
—সেই বাবলু। 
—কী বলল বাবলু? 
—নানারকম কথা। 
—যেমন? 
—বলল, তোমার কাজ তো বুড়োকে স্নান করানো, চুল আঁচড়ানো, জামাকাপড় পরিয়ে দেওয়া। বাজার করা কবে থেকে ধরলে? 
—কী জবাব দিলে? 
—বললাম, তুমি যবে থেকে ছেড়ে দিলে। 
—শুনে বাবলু কিছু বলল না? 
—বলল বই কি! বলল, ভালোই। তা আমদানি কেমন হচ্ছে? 
—আমদানি? 
—হ্যাঁ, আমদানি। জবাবে বাবলুকে বললাম, পা ভাঙা বুড়ো মানুষটাকে ঠকিয়ে যাচ্ছিলে। সেই জন্যে তোমার চাকরিটা গেল। আমার ওসব ধর্মে সইবে না। 
—বাবলু কী জবাব দিল? 
—হাজারটা সত্যি-মিথ্যে মেশানো কথা। ও আপনার শুনে কাজ নাই। 
—পরে দেখা হলে আর কথা বোলো না। পাশ কাটিয়ে যেও। 
—হবে না। 
—কেন হবে না? 
—তিনমনি গতর। চেষ্টা করেছিলাম পাশ কাটানোর। যেদিক দিয়েই এগোই, পথ আটকে দাঁড়ায়। 
—তাহলে উপায়? 
—কাল থেকে উপোস। 
—উপোস? কেন? 
—বিশ কেজি ওজন কমে বত্রিশে ঠেকলে ঠিক ফাঁক গলে বেরিয়ে যাব, বাবলু আটকাতে পারবে না। 
—জগবন্ধু! তুমি নাকি ব্যাঙ্কে গিয়েছিলে? 
—গেছিলাম। 
—ব্যাঙ্কে গিয়ে কী করলে? 
—মাস-মাইনে জমা করে এলাম। 
—তুমি... ব্যাঙ্কে টাকা জমা করলে? কেমন করে? 
—দিদিমণির হাতে টাকাগুলো দিলাম। দিদিমণি একখানা ফরোম দিল। সই করলাম। অ্যাকাউন্ট নম্বর খানা মেয়ে লিখে দিয়েছে। দেখালাম। কাজ হয়ে গেল। 
—টাকা ঠিকমতো জমা পড়ল কি না বুঝবে কী করে?
—ও মেয়ে ঠিক বুঝে নেয়। 
—মেয়ে বোঝে? কেমন করে? 
—ঠান্ডা ঘরে গিয়ে দেখে আসে। 
—টাকা ঘর? 
—ওই যে ঘরের মধ্যে টাকা মেশিন। বোতাম টিপলেই টাকা। 
—এটিএম? বেড়ে বলেছ তো! আচ্ছা জগবন্ধু, একটা কথা জিজ্ঞেস করব, কিছু মনে করবে না তো? 
—না না, মনে করবার কী আছে? গরিব মানুষের অত মনে করলে চলে না। 
—যে ক’টা টাকা পাও, মানে বেশি কিছু তো তোমায় দিতে পারি না, ওতে তোমার চলে? 
—মাথা তুলুন, জানলার দিকে বাড়ায়ে দ্যান, ...আর একটু... হ্যাঁ, ...কী দেখছেন বাইরে? 
—রাস্তা। 
—রাস্তায়? 
—লোক। গাড়ি। 
—কী গাড়ি? 
—বাস, লরি, অটো, প্রাইভেট কার, ঠ্যালা। 
—চলে? 
—বুঝলাম না। 
—একখানাই রাস্তা। সেখানে মোটর গাড়িও চলে, ঠ্যালাগাড়িও চলে। চলে, যে যার নিজের মতন। 
—বোঝা গেল। কিন্তু না চললে কী করো? 
—শ্বশুরবাড়ি পাঠায়ে দিই। 
—তোমার শ্বশুরবাড়ি? 
—আমার জিনিস... অন্যের শ্বশুরবাড়ি নেবে কেন? 
—তা বলছি না। কিন্তু শ্বশুরবাড়ি... তারাই বা যখন-তখন.... 
—যখন-তখন তো নয়। দায়ে-বেদায়ে। সেই জন্যই তো শ্বশুরবাড়ি। 
—এটা অবশ্য খারাপ বলোনি। 
—এই ভুলটাই নব্বইভাগ মানুষ করে। বিয়ে করার সময় যায় মেয়ে পছন্দ করতে। 
—মেয়ে পছন্দ করবে না? 
—না, করবে না। দেখবে শ্বশুরের ঘর, জমি-জিরেত, উঠোনে ক’খানা মড়াই। ঘর পাকা না কাঁচা। ছাদ দিয়ে জল পড়ে কি পড়ে না! 
—তুমিও তাই করেছিলে? 
—করেছিলাম বলেই তো বেঁচে-বর্তে আছি। তবে, একখানা জব্বর ভুল করে ফেলেছিলাম। 
—ভুল?
—আজ্ঞে হ্যাঁ, দু’খানা শালী। আশ মিটিয়ে দেখেছিলাম। শালাবাবুকে দেখা হয় নাই। 
—দেখলে কী করতে? 
—সে কথা আর একদিন হবে। 
—ওদিকে চেঁচামেচি হচ্ছিল কেন জগবন্ধু? 
—চেঁচামেচি তো নয়, আলাপ-আলোচনা। 
—কী নিয়ে আলোচনা? 
—দুধ বিষয়ে আলাচনা। 
—কী হল দুধে? 
—ঠিক দুধ নয়, দুধে দেশলাইয়ের কাঠি। 
—বাবা! এতো সুপার স্পেশালাইজেশন। কী বেরুল আলোচনায়? 
—ম্যাডাম জিজ্ঞেস করলেন, দুধে দেশলাই কাঠি এল কেমন করে? 
—কী জবাব দিলে? 
—বললাম, বিড়ি খেয়ে ছুড়ে ফেলেছে, কাঠিটা উড়ে পড়েছে দুধে। 
—গোরু বিড়ি খায়? 
—গোরু কেন খেতে যাবে? কলের দুধ যারা বানায়, তারা খায়।
—কলের দুধ? দুধ কত প্রকার? 
—অনেক প্রকার। গোরুকে দুইয়ে সঙ্গে সঙ্গে জ্বাল দিয়ে যে দুধ মেলে তা এক প্রকার। তাতে জল মিশিয়ে ঘরে ঘরে পৌঁছে দেয় গোয়ালা। তা আর এক প্রকার। আর আপনারা খান প্যাকেটের দুধ। দুধের গুঁড়োয় জল মিশিয়ে প্যাকেটে ভরে যা দোকানে বিক্রি হয়। 
—তা দুগ্ধ-বিষয়ে এত জটিল জ্ঞান হজম করে ম্যাডাম কী জবাব দিলেন? 
—কোনও জবাব দিলেন না। 
—বলো কী? কোনও কথাই বললেন না? 
—কথা বললেন না। তবে চুপ করেও রইলেন না। 
—তাহলে? 
—গজগজ গজগজ। 
—তখন তুমি কী করলে? 
—কী আর করব? কথা বললে তার উত্তর হয়। বকাঝকা করলেও তার একটা মানে হয়। গজগজের কোনও জবাব হয় না। 
—বাদ দাও। ও এমনিই চুকে যাবে। 
—যাবে না। বকাঝকা হম্বিতম্বি সঙ্গে সঙ্গে চুকে যায়। গজগজ সুতোর গুলির মতো। খুলতেই থাকে। 
—ঠিক আছে। অন্য কথা বলো। তোমার বাড়িতে গোরু আছে? 
—ছিল। এখন নাই। 
—সে কী? গেল কোথায়? 
—বেচে দিইছি। 
—বেচে দিয়েছ? কেন? 
—পেলে-পুষে বড় করেছি। চোখের সামনে মরে যাবে? তার চেয়ে বেচে দেওয়াই ভালো। 
—মরে যাবে কোন দুঃখে? অসুখ করেছিল? 
—অসুখে নয়। না খেতে পেয়ে মরত। 
—মানুষ না খেতে পেয়ে মরে শুনেছি। গোরুও মরে? 
—গোরু ঘাস খেয়ে বাঁচে। গ্রামে আর ঘাস নাই। 
—কী বলছ আবোল-তাবোল? গ্রাম মানেই তো ধানখেত আর মাঠ। মাঠ-ভর্তি ঘাস। 
—আপনার গ্রাম আপনি নিয়ে থাকেন। এখন গ্রামে ধানও ফলে না, আর মাঠে ঘাসও দেখতে পাওয়া যায় না। 
—তাহলে কী পাওয়া যায়? 
—মাছ। 
—মাছ? মাঠে ঘাসের বদলে মাছ? 
—মাঠ কোথায় দেখলেন? মাঠ-খেত সব সমান করে এখন ভেড়ির পর ভেড়ি। সেখানে মাছ-চাষ। চাষিবাসী সবাই ধান চাষ ছেড়ে মাছ চাষে নেমে পড়েছে। মাছেই লাভ। 
—বলছ কী? গ্রাম.... সেখানে মাঠ নেই? মাঠে ঘাস নেই? খেতে ধান ফলে না? 
—তাও চেষ্টা করেছিলাম। 
—কী চেষ্টা করেছিলে? 
—গোরু দুটোকে মাছ খাওয়ানো রপ্ত করতে। 
—ইয়ার্কি হচ্ছে? গোরু মাছ খায়? 
—খিদের চোটে মানুষ মানুষের মাংসও খায়। কিন্তু পারলাম না। নিরেট মাথা। সাধে কি আর বলে গোরু? ঘাস ছাড়া কিছু মুখে তুলল না। ...বাধ্য হয়ে বেচে দিলাম। 
—কিনল কারা? 
—ওই যারা গোরু পাচার করে। 
—গোরু পাচার? 
—নোট আর গোরু। বর্ডারে দুটোই তো ব্যবসা। 
—তা তুমিও কিছু একটায় হাত লাগাতে পারতে? 
—হতো না। 
—কেন জগবন্ধু? 
—শুনলেন না? অত চেষ্টাতেও গোরুকে মাছ খাওয়ানো গেল না। 
—আচ্ছা জগবন্ধু, গ্রামে আকাশ আছে? 
—কেন থাকবে না? নীল আকাশ। 
—নীল আকাশ কেন বললে? আকাশ তো নীলই হয়। 
—সবসময় হয় না। আপনাদের আকাশ নীল? 
—তা অবশ্য বটে। কলকাতার আকাশ ঘষা কাচের মতো। কেউ যেন ধুলো লেপে দিয়েছে। তোমাদের আকাশে সূর্য ওঠে? 
—ও বাবা! সে জব্বর সূর্য। নীচে দু’ দণ্ড দাঁড়ানো যায় না। বড্ড তাপ। এখানকার মতো মিয়ানো সূর্য নয়। 
—আর চাঁদ? 
—মেঘ না থাকলে চাঁদ ওঠে। ছমছমে জোছনায় ছেয়ে যায় মাঠ-ঘাট। তাকিয়ে থাকলে ভেতরটা শান্ত হয়। 
—গ্রামের মানুষ দেখে? সূর্য, চন্দ্র? 
—দেখে। তবে আকাশে নয়। 
—আকাশে নয়? তবে কোথায়? 
—যন্ত্রে। 
—যন্ত্রে? কী যন্ত্র? 
—ওই যে হাতে হাতে ঘোরে ফেরে যন্ত্র। যাতে কথা বলি, তাতেই দেখা যায়। সূর্য-চন্দ্র-নদী-পাহাড়। 
—ও, ফোন? সেলফোনের কথা বলছ? 
—সেখানেই মানুষ কাছের জনকেও দেখে নেয়। বাবা-মা, স্বামী-স্ত্রী, ছেলে-মেয়ে। পাশে গিয়ে বসার দরকার করে না। পিঠে হাত রেখে শুধোতে হয় না। কাঁধে মাথাখানা রাখতে হয় না। 
—কী করবে জগবন্ধু? যে সময়ের যা রীতি। 
—তবে, একটা খরচা কিন্তু কমে গিয়েছে। আগে হাটে-মেলায় আয়না বিক্কিরি হতো। নকশাদার হাতল, কোনওটা গোল, কোনওটা বা ডিমের মতো। আজকাল আয়নার দোকান খাঁ খাঁ করে। খদ্দের নাই। 
—কেন জগবন্ধু? 
—লোকে আর আয়নায় নিজেকে দেখে না। 
—তাহলে কোথায় দেখে? 
—ওই যে হাতের যন্ত্র। সেখানেই নিজের ছবি। ছবির পর ছবি। সেই ছবিই দেখে। সেলপি। 
—সেলফি? 
—ওই হল। ...নিজেকে দেখতে দেখতে আর সব ভুলে যায়। সূর্য-চন্দ্র-আকাশ। পাশের মানুষ। কাছের মানুষ। 
—গ্রামে যেতে ইচ্ছে করে না? 
—করে। 
—মেয়েকে দেখতে ইচ্ছে করে? 
—করে। 
—মেয়ের মাকে? 
—তাও করে। 
—তাহলে যাও না কেন জগবন্ধু? 
—সে অনেক কথা। 
—বলো, শুনি সেসব কথা। 
—গ্রামে যাই, কিন্তু চেনা মানুষগুলোকে আর দেখতে পাই না। 
—সে কী? তারা গেল কোথায়? 
—আছে। আশপাশেই আছে। কিন্তু অচেনা লাগে। 
—অচেনা? কেন জগবন্ধু? 
—মেয়ে, মেয়ের মা দু’জনকেই দু’খানা যন্ত্র এনে দিয়েছে মেয়ের মামা। সে জাহাজে কাজ করে, দেশ-বিদেশ ঘুরে বেড়ায়। বাহারি জিনিস যা পায় নিয়ে আসে। দু’ হাতে বিলোয়। ঝকমকে জিনিস তো! চোখে ধাঁধা লেগে যায়। তখন কাছের মানুষকে চিনতেও ভুল হয়ে যায়। 
—তাদের খাওয়া-পড়ার সংস্থান? 
—আমিই করি। ভাত-কাপড়, মেয়ের লেখাপড়া। মন ওঠাতে পারলাম কই? 
—তাও যাবে। চোখের আড়াল মানেই মনের আড়াল। 
—যাই তো। ছুটে ছুটে যাই। মেয়েকে দেখলেও ভেতরটা শান্ত হয়। কিন্তু দু’দিনের জায়গায় তিনদিন থাকলেই তাদের যে অস্থির অস্থির লাগে সেটা বুঝতে পারি। আসলে বুঝি ভাঙা কাচ জোড়ে না। তাই যাবার ইচ্ছেটাই মরে মরে যায়। 
—কেন এমন হয় জগবন্ধু? 
—ওই যে যন্ত্র। যন্ত্রে সেলপি। 
—এখানেও সেলফি? 
—যন্ত্রে জায়গাটা ছোট তো! পর্দায় বেশি আঁটে না। নিজে। বড়জোর পাশে একজন। মেয়ের মামা। বউয়ের ভাই। সেখানে জগবন্ধু ঢোকে কী করে? 
—তখন কী করো? ফিরে আসো গ্রাম থেকে? 
—ফিরি। তার আগে ভিটেতে দু’দণ্ড বসি। গোরু দুটো ছিল, খোঁটা দু’খানা পড়ে রয়েছে, সেখানে হাত বোলাই। দাওয়ায় বসে মেয়েকে গান গেয়ে ঘুম পাড়াত মেয়ের মা। সেদিকে কিছুক্ষণ তাকিয়ে থাকি। তারপর পুকুরধারে গিয়ে বসি, গাছের নীচে, গুঁড়িতে হেলান দিয়ে। 
—কী গাছ জগবন্ধু? 
—তালগাছ। 
—সে তো মস্ত গাছ! 
—মনে পড়ে, ভাদ্দরমাসে তাল পাকত, পড়ত ধুপধাপ শব্দ করে, মেয়ে ছুটত তাল কুড়োতে। সেই তাল এনে তালের বড়া, তালক্ষীর। 
—তালগাছে আর তাল ফলে না? 
—ফলে নিশ্চয়ই। পড়েও। কেউ কুড়োয় না। কাকে ঠুকরে খায়। 
—গ্রামের লোক আর তাল খায় না? কী খায় তাহলে? 
—শহরে যায়। পয়সা দিয়ে বিষ কিনে তারিয়ে তারিয়ে খায়। 
—বিষ? 
—ওই যে কেঁচোর মতো, প্যাঁচানো প্যাঁচানো। খেলেই পেট ব্যথায় কাত। 
—বুঝেছি, নুডলস। তোমাকে নিয়ে আর পারা যায় না। 
—তালগাছের গায়ে গা লাগিয়ে বসে থাকতে থাকতে গাছটাকে খুব চেনা লাগে। খুব আপন। 
—কেন জগবন্ধু? 
—গাছটাও তো একসময় ছোট ছিল। তারপর বাড়তে শুরু করল। মাথা উঁচু করল। উঠতে উঠতে সবাইকে ছাড়িয়ে আকাশে পৌঁছে গেল। 
—তারপর? 
—সঙ্গীসাথীরা তালগাছকে ছেড়ে চলে গেল। বুক ভর্তি ফল নিয়ে গাছ অপেক্ষা করে, পাকা তালের গন্ধে চারপাশ ‘ম-ম’ করে। কেউ ছুঁয়েও দেখে না। 
—কষ্ট হয় জগবন্ধু? চোখে জল আসে? 
—কী জানি? তালগাছ কি কাঁদে?
অলঙ্করণ: সোমনাথ পাল
22nd  August, 2021
কোজাগরীর লক্ষ্মীসরা
শান্তনু বসু 

জাগো- জেগে থাক। নিদ্রা যেন চেতনাকে আচ্ছন্ন না করে। শুদ্ধ চিত্তে, শুদ্ধ চরিত্রে প্রতীক্ষা করো। তিনি আসবেন। তাঁর পাদস্পর্শে ধন্য হবে ধরণী। বৈকুণ্ঠ থেকে তিনি নেমে আসবেন গৃহস্থের অঙ্গনে। আসবেন বছরের নির্দিষ্ট একটি দিনে। অতএব নিবিষ্ট মনে স্মরণ কর তাঁকে। আলপনা দাও। নিষ্ঠা ভরে ধানের ছড়া এঁকে রাখ ভূমিতে, এঁকে রাখ তাঁর চরণচিহ্ন। বিশদ

17th  October, 2021
অপারেশন ৭১ : পর্ব ৩
প্ল্যান জ্যাকপট
সমৃদ্ধ দত্ত

মধ্যরাতে ফোন করেছেন কে সংকর্ষণ নায়ার। ভারতীয় গুপ্তচর সংস্থা রিসার্চ অ্যান্ড অ্যানালিসিস উইং (RAW)-এর ডেপুটি ডিরেক্টর।  তিনি এই সংস্থায় পাকিস্তান ডেস্ক মনিটর করেন। প্রাইম মিনিস্টারকে এত রাতে ফোন করার অর্থ বড়সড় কিছু ঘটেছে। বিশদ

17th  October, 2021
পর্ব ২: অপারেশন ৭১
২৫ মার্চ, ১৯৭১
অপারেশন সার্চলাইট
সমৃদ্ধ দত্ত

একজন বাঙালি প্রধানমন্ত্রী হবে? সেরকম হলে আমার ডেডবডির উপর দিয়ে হতে হবে। প্রেসিডেন্ট ইয়াহিয়া খান এরকমই বললেন, তাঁর আর্মি কমান্ডারদের। শেখ মুজিবের দল পাকিস্তানের নির্বাচনে বিপুল ভোটে জিতেছে তো কী হয়েছে? তার মানে কি বাঙালির হাতে পাকিস্তানকে ছেড়ে দিতে হবে? বিশদ

10th  October, 2021
দুর্গা
তপন বন্দ্যেপাধ্যায়

অনেকক্ষণ ধরে একটি গল্পের প্লট খুঁজছেন ভাস্করবাবু, মগজের ভাঁজ খুলে-খুলে দেখছেন কোন ঘটনাটা তাঁকে সবচেয়ে বেশি ভাবাচ্ছে এই মুহূর্তে, কোন দুটি চোখ ছুঁয়ে-ছুঁয়ে যাচ্ছে তাঁর মনের অন্দরমহল, কিন্তু কিছুতেই পাচ্ছেন না মনোমতো প্লট। যা-ও দু-একটি ঘটনা মনে পড়ছে কোনওটাই মনঃপূত হচ্ছে না। বিশদ

10th  October, 2021
পর্ব  ১: অপারেশন ৭১
সিচ্যুয়েশন রুম
সমৃদ্ধ দত্ত
 

কেন রিচার্ড নিক্সন এতটা ইন্দিরা গান্ধীর বিরোধী? কারণ একাধিক। নিক্সন আমেরিকার প্রেসিডেন্ট হিসেবে যখন‌ই এশিয়া, ইউরোপ, লাতিন আমেরিকার দেশগুলিতে গিয়েছেন তিনি দেখতে পেয়েছেন, প্রত্যেক রাষ্ট্রপ্রধানের চোখে এক সমীহ। এক বিশেষ শ্রদ্ধামিশ্রিত ভীতি। কারণ, আমেরিকার প্রেসিডেন্ট বলে কথা। ইনি সর্বশক্তিমান। সুতরাং নিক্সন আনুগত্য পেতেই অভ্যস্ত। তাঁর স্বভাবও সেরকম। একমাত্র ব্যতিক্রম এই মহিলা।
বিশদ

03rd  October, 2021
ছোট গল্প
উত্তরসাধক
মানস সরকার

ছেলে বড় হলে প্রতুলকে নিজের কাছে বহুবার বসাতে চেয়েছে। ছেলে বোল বুঝতে চাইত না। সুর, শব্দ থেকে দূরে পালাত। পড়াশোনাটাও ঠিক করে শেষ করল না। বিরক্তি প্রকাশ করত বাসন্তী। জোর করেনি গৌরদাস। এ জোর করার নয়। জড়িয়ে নেওয়ার জিনিস। বিশদ

03rd  October, 2021
পিশাচ সাধু
 

ক্যাপ্টেনকে এলাকা ছাড়ার কড়া নির্দেশ দিয়েছে পরম। এদিকে, বিষ খেয়ে হজম করে দেখিয়ে দেবে বার বার বলছে পিশাচসাধু। বঁড়শিকে পালিয়ে আসতে বলল সহজ। কিন্তু সে রাজি হল না। তারপর... প্রবল দুশ্চিন্তা নিয়ে বাড়ি ফিরছিল সহজ। কিন্তু এলাকার কাছাকাছি আসতেই তার অদ্ভুত একটা অনুভূতি হল। বিশদ

26th  September, 2021
ধারাবাহিক উপন্যাস, পর্ব  ৩০
পিশাচ সাধু

জয়ন্ত দে

কাকভোরে ঠাকুরদা শশাঙ্ক মিত্রের সঙ্গে বাগানে দেখা করল সহজ। জানাল, বর্ণিনী গুরুদেবের আশ্রমে গিয়ে সব খোঁজ খবর নিয়ে এসেছে। তবে, একটাই খারাপ খবর, গুরুদেব আর ইহজগতে নেই। শশাঙ্ককে আশ্রমে পৌঁছে দেবে কথা দিল সহজ। এর কিছুক্ষণ পরই সৃজনী ফোনে জানাল, নচে বিষ খেয়েছে।  তারপর... বিশদ

19th  September, 2021
ছোট গল্প
সম্বল
সঞ্জীব ঘোষ

রাঘব একা মানুষ। নিজে রেঁধে বেড়ে খায়। তার এক কামরা পাকা ঘরের সামনে পিছনে অনেকখানি জায়গায় চাষবাস করে নিজের চলে। বাজারে বিক্রি করলে চাল কেনার টাকা উঠে যায়। একটু ছন্নছাড়া হলেও বাঁধা গতের জীবন তার। আশ্চর্যজনকভাবে দীনতা তাকে স্পর্শ করেনি। বিশদ

12th  September, 2021
পিশাচ সাধু
ধারাবাহিক উপন্যাস, পর্ব  ২৯
জয়ন্ত দে

বর্ণিনীকে নিয়ে সহজ যখন পৌঁছল, তখন বাড়িতে পিশাচসাধু নেই। বঁড়শি একা। সে শোনাল, তার সন্দেহের কথা। বঁড়শির অনুমান, তার বাবা, যোগীনসাধু সহ একাধিক মৃত্যুর নেপথ্যে ক্যাপ্টেনের হাত রয়েছে। নিজের বক্তব্যের সপক্ষে একটি ডায়েরি দেখাল সে। ডায়েরির পাতার ছবি তুলে নিল বর্ণিনী। তারপর... বিশদ

12th  September, 2021
ছোট গল্প
টরেগাসি
বিনতা রায়চৌধুরী
​​

লিলি ঘরে ঢোকামাত্র শুভায়ু বলে উঠল আমার টরেগাসি? হেসে ফেলল লিলি, ‘আমার জন্য অপেক্ষা করে থাকো না একটুও, তোমার মন পড়ে থাকে ওই তোমার টরেগাসি-র ওপর। তাই তো?’  ‘কথাটা পুরো সত্য নয়। আবার পুরো মিথ্যেও নয়।’ বলেই হেসে উঠল শুভায়ু।  বিশদ

05th  September, 2021
ধারাবাহিক উপন্যাস, পর্ব ২৮
পিশাচ সাধু
জয়ন্ত দে

ক্যাপ্টেনের সঙ্গে তুমুল ঝগড়া বঁড়শির। এমন পরিস্থিতিতে পিশাচসাধু যেন নিজেরই মুখোমুখি— সামনে এসেছে দাঁড়িয়েছে তার অতীত। প্রতিশোধ নিতে সে শুরু করেছে এক নরমেধ যজ্ঞ। জনৈক শ্মশানচারী সাধুকে বলি দিলে সম্পূর্ণ হবে তার এই যজ্ঞ। কিন্তু তার খোঁজ এখনও পায়নি ক্যাপ্টেন। তারপর... বিশদ

05th  September, 2021
ছোট গল্প
মানকচু, ফুল ও
ডাবের গল্প
চিরঞ্জয় চক্রবর্তী

আমি যখন বাজারে যাই, কেউ ঘুম থেকে ওঠে না। অত সকালে বাজারে যেতে দেখে পাশের বাড়ির লিলি বলেছিল, ‘তুমি কি বাসি মাল কিনতে যাও?’ উত্তরে শুধু হেসেছিলাম, কিছু বলিনি। সকালবেলা বাসি মালও পাওয়া যায়, লোকে কত কিছু ভাবে। অনেকেই বাজারের ব্যাগ হাতে বাড়ি থেকে বেরিয়ে প্রাতর্ভ্রমণ করে। আমার সেসব বালাই নেই।
বিশদ

29th  August, 2021
ধারাবাহিক উপন্যাস, পর্ব ২৭
পিশাচ সাধু
জয়ন্ত দে

বোনকে নিয়ে সহজ পিশাচ সাধুর কাছে গিয়েছিল শুনে রেগে আগুন বিচিত্রদা। কথায় কথায় সহজ জানাল, বঁড়শির আদতে বিয়ে হয়েছে একটা মড়ার খুলির সঙ্গে। এবার বর্ণিনী যেতে চায় ক্যাপ্টেনের বাড়িতে। এদিকে, সহজকে ডেকে নচে শোনাল তার জীবনের কিছু বৃত্তান্ত। তারপর... বিশদ

29th  August, 2021
একনজরে
পুজোর আগে থেকেই সব্জির বাজার ঊর্ধ্বমুখী ছিল। টোম্যাটো, পটল, বেগুন বা অন্যান্য সব্জি কিনতে গিয়ে ক্রেতাদের মাথায় হাত পড়েছে। অনেকেই আশা করেছিলেন, পুজোর কয়েকটা দিন ...

ক্ষমতা থেকে বিদায় নেওয়ার বছর থেকেই সিপিএম তথা বামেদের জনসমর্থনের গ্রাফ ক্রমশ নিম্নগামী হয়েছে। একের পর এক ভোটে তাদের প্রতি মানুষের সমর্থন প্রায় তলানিতে এসে ...

‘বর্তমান’-এর প্রাক্তন কর্মী গণেশচন্দ্র দাস প্রয়াত। বেলঘরিয়ার বাসিন্দা গণেশবাবু গত ১০ অক্টোবর বেলা ১টা ২০ মিনিট নাগাদ একটি বেসরকারি হাসপাতালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। তাঁর ...

দেশের শেয়ার বাজার যথেষ্ট চাঙ্গা। ক্রমশ ঊর্ধ্বমুখী সূচক। পাশাপাশি সাধারণ মানুষের ঝোঁক বাড়ছে মিউচুয়াল ফান্ডের উপর। আর তার জেরেই দেশে মিউচুয়াল ফান্ডে বিনিয়োগের অঙ্ক লাফিয়ে বাড়ছে। মিউচুয়াল ফান্ড সংস্থাগুলির সর্বভারতীয় সংগঠন অ্যাসোসিয়েশন অব মিউচুয়াল ফান্ডস ইন ইন্ডিয়ার দেওয়া তথ্য বলছে, ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

কর্মে বাধা থাকলেও অগ্রগতি হবে। ব্যবসায় লাভ হবে সর্বাধিক। অর্থাগম যোগটি শুভ। কর্মক্ষেত্রে এবং রাজনীতিতে ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

১৩৮৬: জার্মানীর সর্বাপেক্ষা প্রাচীন উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠান হাইডেলবার্গ বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠিত হয়
১৮৬৯: স্বাধীনতা সংগ্রামী মাতঙ্গিনী হাজরার জন্ম
১৮৮৮: রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর শান্তিনিকেতন প্রতিষ্ঠা করেন
১৯০৩:বিশিষ্ট সুরকার তথা সঙ্গীত পরিচালক রাইচাঁদ বড়ালের জন্ম
১৯২৪: কবি নীরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তীর জন্ম
১৯৫৬: বলিউড তারকা সানি দেওলের জন্ম
২০০৫: বাগদাদে শুরু হয় সাদ্দাম হুসেনের বিচার প্রক্রিয়া



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৭৩.৬০ টাকা ৭৬.৯২ টাকা
পাউন্ড ১০০.৯৮ টাকা ১০৫.৮৩ টাকা
ইউরো ৮৫.১৫ টাকা ৮৯.২৫ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৪৮,০০০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৪৫,৫৫০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৪৬,২৫০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৬৩,৫০০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৬৩,৫০০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

দিনপঞ্জি----------------------

দৃকসিদ্ধ: ২ কার্তিক, ১৪২৮, মঙ্গলবার, ১৯ অক্টোবর ২০২১। চর্তুদ্দশী ৩৩/৩৩ রাত্রি ৭/৪। উত্তরভাদ্রপদ নক্ষত্র ১৬/২৫ দিবা ১২/১২। সূর্যোদয় ৫/৩৮/১৪, সূর্যাস্ত ৫/৫/২। অমৃতযোগ দিবা ৬/২৪ মধ্যে পুনঃ ৭/১০ গতে ১০/৫৯ মধ্যে। রাত্রি ৭/৩৭ গতে ৮/২৭ মধ্যে পুনঃ ৯/১৬ গতে ১১/৪৭ মধ্যে পুনঃ ১/২৭ গতে ৩/৭ মধ্যে পুনঃ ৪/৪৮ গতে উদয়াবধি। মাহেন্দ্রযোগ রাত্রি ৭/৩৭ মধ্যে। বারবেলা ৭/৪ গতে ৮/৩০ মধ্যে পুনঃ ১২/৪৭ গতে ২/১৩ মধ্যে। কালরাত্রি ৬/৩৯ গতে ৮/১৩ মধ্যে। 
১ কার্তিক, ১৪২৮, মঙ্গলবার, ১৯ অক্টোবর ২০২১। চর্তুদ্দশী রাত্রি ৬/৪৫। উত্তরভাদ্রপদ নক্ষত্র দিবা ১/৮। সূর্যোদয় ৫/৩৯, সূর্যাস্ত ৫/৬। অমৃতযোগ দিবা ৬/৩৩ মধ্যে ও ৭/১৭ গতে ১০/৫৮ মধ্যে এবং রাত্রি ৭/২৭ গতে ৮/১৯ মধ্যে ও ৯/১৯ গতে ১১/৪৬ মধ্যে ও ১/৩০ গতে ৩/১৩ মধ্যে ও ৪/৫৭ গতে ৫/৪০ মধ্যে। মাহেন্দ্রযোগ রাত্রি ৭/২৭ মধ্যে। বারবেলা ৭/৫ গতে ৮/৩১ মধ্যে ও ১২/৪৮ গতে ২/১৪ মধ্যে। কালরাত্রি ৬/৪০ গতে ৮/১৪ মধ্যে।
১২ রবিয়ল আউয়ল।

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
উত্তরপ্রদেশ নির্বাচনে মহিলাদের ৪০ শতাংশ টিকিট দেবে কংগ্রেস
আগামী বছর উত্তরপ্রদেশ নির্বাচনে মহিলাদের ৪০ শতাংশ টিকিট দেবে কংগ্রেস। ...বিশদ

03:35:25 PM

ভারত-পাক ম্যাচের আগে একসঙ্গে দুই কোচ
রবিবার মরুশহরে আয়োজিত হবে ভারত-পাকিস্তান ম্যাচ। ভারত-পাক ম্যাচ শুরু হওয়ার ...বিশদ

03:13:30 PM

বিশ্ব ক্রমতালিকায় প্রথম দশ থেকে ছিটকে গেলেন ফেডেরার
লন টেনিসের অন্যতম কিংবদন্তি রজার ফেডেরোর। এখনও পর্যন্ত ২০টি গ্র্যান্ড ...বিশদ

02:51:17 PM

সাপের কামড়ে মৃত্যু গৃহবধূর
ঘরে ঘুমানোর সময় সাপের কামড়ে মৃত্যু হল এক গৃহবধূর। গুসকরা ...বিশদ

02:44:10 PM

নৈনিতালের লেকের জল উপচে পড়ছে রাস্তায়
একটানা বৃষ্টির ফলে উত্তরাখণ্ডের নৈনিতালে লেকের জল উপচে পড়ছে রাস্তায়। ...বিশদ

02:13:39 PM

হলদিয়ার এলপিজি বটলিং প্ল্যান্টে জখম শ্রমিকের সঙ্গে দেখা করলেন তাপস মাইতি
হলদিয়ার এলপিজি বটলিং প্ল্যান্টে দুর্ঘটনায় গুরুতর জখম শ্রমিকের সঙ্গে মঙ্গলবার ...বিশদ

02:09:58 PM