Bartaman Patrika
গল্পের পাতা
 

পিশাচ সাধু 
জয়ন্ত দে

ধারাবাহিক উপন্যাস পর্ব ২

আগে যা ঘটেছিল—
পরমেশ্বরের সঙ্গে দারোগা বাড়ির ভূতুড়ে ঠেকে এসেছিল সহজ। হুল্লোড়ের মাঝে সেখানে হঠাৎই হাজির হলেন ক্যাপ্টেন। যিনি নিজেকে পিশাচ সাধু বলেন। তিনি সহজকে দেখে বললেন, তুই এখানে কেন? তারপর...

 পরমেশ্বরকে ক্যাপ্টেন ডাকে পরি। ক্যাপ্টেন বলল, তার আসলি নাম পিশাচ সাধু! সহজ দেখছিল, এই লোকটাকে দেখে এদের এত উচ্ছ্বাস কেন? লোকটার জন্য? নাকি সঙ্গের ওই সুন্দরী নাতনিটিকে দেখে! মেয়েটা চংমং করে চারদিকে দেখছে। যেন সব দেখে নেবে। দু’চোখ এত চঞ্চল! আর ওই বুড়োর বলিহারি আক্কেল— এমন একটা জায়গায় নাতনিকে নিয়ে ঢুকে পড়ল! বুড়ো তো আবার বুড়ো নয়, এরা বলছে ক্যাপ্টেন! নিজে বলছে— পিশাচ সাধু!
সাধু আবার পিশাচ হয় নাকি! এটাও হয়তো পাঁচ পাবলিকের কাজ, যেমনভাবে তার অমন সুন্দর সহজ মিত্র নামটাকে সহজপাঠ করেছে। বাঙালির এই এক দোষ, সুযোগ পেলে সব জায়গায় খুঁটে দেওয়া। একটু খুঁচিয়ে দেওয়া। এমনকী তার গার্লফ্রেন্ড বর্ণিনীও মজা করে তাকে সহজপাঠ বলে ডেকেছে বেশ কয়েকবার। বনির বলার মধ্যে প্রচ্ছন্নভাবে লুকিয়ে ছিল— যেন সে নাদান। তার ম্যাচিউরিটি কম। ইমম্যাচুয়র।
অথচ সেই সহজকে নিয়ে সুজির সন্দেহ আছে। খুব সন্দেহ। ঘোরতর সন্দেহ।
সুজি বুঝতে পারে না, সহজ কেন এখানে আসে? নানা দিক দিয়ে ছানবিন করেও সে বুঝতে পারে না। সহজের আগমনের হেতুটা কী? কেন সে পরমেশ্বরের অফিসের আড্ডায় থাকে? শুধু কি আড্ডা? নাকি এর মধ্যে কোনও গূঢ় অভিসন্ধি আছে?
সুজি একবার পরমেশ্বরকে বলেছিল, ছেলেটাকে নিয়ে আমার সন্দেহ হয়।
—কী সন্দেহ?
—ও স্পাই।
—কাদের?
—সেটাই তো বুঝতে পারছি না।
—তোর কী মনে হয়?
—পুলিসেরও হতে পারে।
—পুলিস কেন?
—ন্যাকামি করিস না। সরকার উল্টালে কমরেড তোমাকেও অন্য পোঁ ধরতে হবে। নইলে—
—নইলে কী?
—কেস দেবে। যা কামিয়েছিস সব উকিল কোর্টে ঢেলে দিতে হবে। জেল খাটতে হবে।
—তুই বলছিস আমি এত অন্যায় করেছি?
—সব নিজের জন্যে করিসনি, অন্যের জন্য করেও শত্রু বাড়িয়েছিস।
—তাতে কী হয়েছে?
—এনিমি বেশি, ইনকাম কম। বুঝবি পরে?
—কী বুঝব?
—মার্ডার হয়ে যাবি। একটানা একুশ দিনের বেশি এলাকায় থাকিস না কেন? কার ভয়ে?
—সবারই কিছু সুপারস্টিশন থাকে, এটা আমার—
—না, তুই কাপ্টেনের কথা মাথায় গেঁথে নিয়েছিস, একুশ দিনের বেশি এলাকায় থাকলে তুই মার্ডার হবি।
—মার্ডার! করলে আমাকে নিজের লোকেরাই করবে?
—সেটাও তোকে ক্যাপ্টেন বলেছে। আর তুই ওকে নিজের লোক বানিয়েছিস। আমি বুঝতে পারি না ও কীসের জন্য আমাদের কাছে আসে? পার্টি করে না, কোনও ধান্দায় থাকছে না, বিজনেস করবে না, চাকরি চায় না, মাতাল নয়, হারামখোরও নয়, তবে? আর একদল আমাদের কাছে আসে কোনও না কোনও কেসে ফেঁসে। ও কিন্তু কোনও কিছুতেও ফেঁসে আসেনি—? তবে? তবে ও আমাদের সঙ্গে কেন মেশে? অবাক লাগে, তবে আজ না হোক কাল ঠিক আসল কারণটা জেনে যাব। আমার বিশ্বাস, ও স্পাই। আমাদের খবর নেওয়ার জন্য ওকে কেউ পাঠিয়েছে।
—তুই ওকে নিয়ে বেশি ভাবছিস।
—আমার কথা মিলিয়ে নিস, একদিন ও আমাদের সবাইকে ভোগাবে।
সুজির এত ভাবনার মধ্যেও সহজ প্রায়দিনই পরমেশ্বরের অফিসের আড্ডায় হাজির হয়। আর সে হাজির থাকলে পরমেশ্বর প্রায় সব জায়গাতে তাকে টেনে নিয়ে যায়। যেমন আজ এখানে নিয়ে এল। এই দারোগার ভূতুড়ে বাড়িতে।
এই বাড়ি নিয়ে এখন দু’পক্ষের কেস চলছে। বড়বউয়ের মেয়ে বন্দনা আর ছোটবউয়ের মেয়ে নন্দনা। দু’পক্ষই বিনা যুদ্ধে নাহি দিব সূচ্যগ্র মেদিনী! কেস হয়েছে। কেস চলছে। কেস চলবে। যতদিন না কেসের ফয়সলা হচ্ছে ততদিন এ-বাড়ির দখলদার পরমেশ্বর। পরমেশ্বর ব্যানার্জি।
পরমেশ্বর এই এলাকা দেখে। তার সঙ্গে এই বাড়িটিও দেখে। সহজ যা বোঝে, এ বাড়ি পরমেশ্বরের আত্মসাৎ করার কোনও ইচ্ছে নেই। বন্দনা ও নন্দনা দু’পক্ষই তার কাছে এসেছে। পরমেশ্বর দুজনকেই বলেছে, আপনারা দারোগাবাবুর মেয়ে। আইন আদালত আপনাদের সঙ্গে সঙ্গে চলে। আমিও আইনের পক্ষে। আপনারা আদালতে গিয়েছেন, আদালতে নিষ্পত্তি করে আসুন। যার বাড়ি আমরা তার হাতে সমর্পণ করব। এখানকার একটা ইটও কেউ ছোঁবে না। কিন্তু এখন এটা আমাদের জিম্মায় আছে, এলাকার ছেলেপুলেরা একটু আধটু আড্ডা মারে। কেউ দখল করবে না। কোনও ক্লাবঘর বসবে না। বন্দনা আর নন্দনা দোতলা-তিনতলায় তালার ওপর তালা মেরেছে। নীচেও মেরেছিল। এখন নীচের দিকের পাঁচটা ঘরের দরজা নেই। উদোম। দোতলার বারান্দার কোলাপসিবল গেট খুলে বারান্দায় শোয়ানো আছে। মানে বারান্দা পর্যন্ত পাবলিক। তবে দোতলার ঘর, আর তিনতলা পুরো বন্ধ। সে তালায় কেউ কোনওদিন হাত দেয়নি। ছাদে নিজের হাতে তালা দিয়ে দিয়েছে পরমেশ্বর।
এতদিন এমন একটা বাড়ি খোলা পড়ে থাকলে জানলা দরজা ইট কাঠ সব খুলে নিয়ে যেত। এখানে বরং উল্টো। নীচের তলায় দুটো কাঠের বেঞ্চ ঢুকেছে। প্লাস্টিকের চার পিস চেয়ার আছে। কোনও তাস পার্টি কিনেছিল। তারপর পরমেশ্বরের কাছে খবর যায় জুয়ার আসর বসেছে। সে একদিন এসে চড়চাপড়া, লাথি মেরে সব হঠিয়ে দেয়। চিৎকার করে বলে যায়— জুয়া এখানে চলবে না। এসবের জন্য অন্য ঠেক খুঁজে নাও। যারা খোঁজার চেষ্টা করত, তারা তাই খুঁজতে চলে গিয়েছে। দারোগা বাড়ি আগের মতোই পড়ে আছে। সকালে রাজ্যের দালালরা এসে বসে। তারা এ এলাকার সব বাড়ি জমির হিসেব রাখে। ভাগ বাটোয়ার করে। পাশাপাশি বসে মিস্ত্রির দল। রাজমিস্ত্রি থেকে প্লাম্বার। দুপুরের দিকে কাজের মহিলারা এসে গুলতানি করে। টিফিন কৌটো থেকে রুটি বের করে চিবয়। বিকেলবেলা সন্ধেবেলা মাঝে মাঝে লোকাল ছেলেমেয়ে ফুরুতফারুত ঢুকে পড়ে।
পরমেশ্বরকে বড় বন্দনা বলেছিল, ‘আপনি আমাদের পক্ষে থাকুন।’ পরমেশ্বর কারও পক্ষে নেই। ছোট নন্দনা বলেছিল, ‘ঈশ্বরদা, তুমি যদি একবার ওর বিষদাঁত ভেঙে দিতে পারতে—।’ পরমেশ্বর বলেছিল, ‘আমি কারও বিপক্ষে নই।’
সেই থেকে দুই বোন আদালতে পরস্পরের চুল ছিঁড়ছে। বাড়ি আছে পরমেশ্বরের দখলে।
সেই বাড়িতেই আজ সুজিকে প্রথম বাবা হওয়ার সাধ খাওয়ানোর প্রোগ্রাম। অনেক কষ্টে, কাঠখড় পুড়িয়ে বাবা হচ্ছে সুজি। বড় দেরিতে।
সহজকে আসতে বলেনি সুজি। আসাতেও তেমন খুশি হয়নি। পরমেশ্বরের পাশে তাকে দেখেই সুজি বলল, ‘উরেব্বাস তুই আবার বগলে করে সহজপাঠ নিয়ে এসেছিস! এখানে সবাই বড়। অন্তত জীবনস্মৃতি নিয়ে আনতে পারতিস পরম।’
পরমেশ্বর হাসল, বলল, ‘জীবনস্মৃতি কী রে ও একদিন গল্পগুচ্ছ হয়ে যাবে— সেদিন ওকে মাথার নীচে রেখে ছেলের কাছে ওকে নিয়ে ফাটাবি।’
পরমেশ্বর খুব সুন্দর করে সুজিকে পাশ কাটিয়ে বেরিয়ে গেল। সুজি খুব কৃপণ। আজ সন্তানের খাতিরে এতগুলো টাকা খরচ করছে তাই ডায়লগ তো একটু দেবেই। সামনে চারটে চেয়ারই ফাঁকা। পরমেশ্বর আসতেই জনাপনেরো ছেলেই এই ঘরে ঢুকে পড়েছে। আরও কিছু ছেলেপত্তর এ-ঘরে ও-ঘরে থাকলেও তাদের পরে দেখা যাবে। পরমেশ্বরকে খুব কম লোকই পুরো নাম বলে। চামচা, টেনিয়ারা বলে— ঈশ্বরদা। যাদের গ্রেড একটু আপার তারা বলে পরমদা। এলাকার জ্ঞানীগুণী প্রবীণ মানুষজনরা বলেন পরমেশ্বরবাবু।
পরমেশ্বর বলল, ‘দেড়টা বাজে তোদের প্রোগ্রাম এখনও শুরু হয়নি? আরে বাচ্চা তো পেটে লাথি ছুঁড়বে। কই বোতল কই?’
নচে রেডি হয়েই ছিল। সে দ্রুত একটা বোতল জল নিয়ে এসে আসর সাজিয়ে ফেলল। পরমেশ্বর বলল, ‘আমাদের তিনজনকে দিয়ে তোরা অন্য ঘরে চলে যা।’
নচে তিনটে গ্লাস রেডি করে দিয়ে অন্য ঘরে চলে গেল। পরমেশ্বর বলল, ‘বাব্বা, কাচের গ্লাস!’
কৃপণ সুজি এবার বলতে শুরু করল। ‘তুই আসবি বলেছিস তাই ছ’পিস কাচের গ্লাস নিয়ে এসেছি।’
‘কেন রে আমার কি রাবণের মতো দশমুণ্ডু!’
‘এই তো আমরা তিনজন, দেখ আর তিনটে গেলাস ওই ঘরের র‌্যাকে রাখা। কে চলে আসবে।’
‘আর কেউ আসবে?’
‘না, না, আর কাউকে বলিনি। তবে এরা রান্না করেছে প্রচুর। ভাত, পার্শেমাছ ভাজা, চিকেন—।’
‘সসেজ করবি বললি?’
‘ওটা তো স্পেশাল মেনু। পুরো ঘি দিয়ে সসেজ ভাজা হয়েছে। তার সঙ্গে বড় বড় শুকনো লঙ্কা দেওয়া হয়েছে। পেঁয়াজ ভাজা হয়েছে। ভাত-ঘি-শুকনো লঙ্কা-পেঁয়াজ ভাজা। সুপার্ব! কী সহজপাঠ সসেজ খাও তো, পর্ক।’
‘আমি সেটা খাই, কিন্তু এটা খাব না।’
‘কেন খারাপ ছেলে হয়ে যাবে?’ সুজি বলল। ‘তুমি তো প্রায় রাতে কারখানা মাঠেও যাও ভাই!’
‘সেটা রাত, এটা দিন। আর সেটা আমার ইচ্ছায় যাই।’
ওদের কথার মাঝে পরমেশ্বর ঠ্যাং নাড়িয়ে হাসছে।
‘তোমার এসব কথা না আমার সহ্য হয় না। এখানে এসেছ তবে কী করতে?’
‘আমি ওকে আর ভানুদাকে সসেজ খাওয়ার জন্য আসতে বলেছিলাম।’ পরমেশ্বর বলল।
‘সে ঠিক আছে, কিন্তু ও তো খায়, এখানে এসে দেখ কেমন সাধু সাজছে! এক যাত্র্রায় পৃথক ফল হবে কেন?’
পরমেশ্বর হাসল, বলল, ‘এক যাত্রায় পৃথক ফলই হয়। এখানে তোর মতো কে টাকা জমিয়েছে বল!’ সবাই বলে সুজি নাকি বস্তা থেকে ফ্ল্যাট সব জায়গাতেই টাকা কামায়। কোনও প্রজেক্ট হলে সিমেন্টের বস্তাগুলো মিস্ত্রিরা গুছিয়ে রাখে, তারাই বিক্রি করে। কিন্তু পরমেশ্বরের প্রজেক্টে সুজি কোনও মিস্ত্রিকে বস্তায় হাত দিতে দেয় না। নিজেই বিক্রি করে। আর নিজেদের প্রজেক্ট তবু সুজি যদি পার্টি আনে সেই দালালিও কোম্পানি থেকে কেটে নেয়। ওর কীর্তি দেখে পরমেশ্বরও হাসে।
সুজির মতে পরমেশ্বরের অফিসে যারা আসে তারা সবাই হয় ধান্দায় আসে, নয় জ্বালায় আসে। পরমেশ্বরদা তাদের হয় বাজার করে টিকে থাকার ব্যাগ দেয়, নয় বার্নল ঘষে। তারা সবাই বিনে পয়সায় সার্ভিস নিয়ে যায়। সুজি সেই সার্ভিস থেকে ট্যাক্স কাটে। আর কিছু না। যেমন সহজকে দেখলেই বলে, চা খাওয়াও। বলবে চা, কিন্তু সেটার সঙ্গে বিস্কুট থাকবে। শেষে একটা সিগারেটও নেবে। এটা সবার সামনেই করে।
সুজি বলল, ‘সহজ একটা চুমুক মারো। তোমার জন্য ঢেলে দিয়ে গিয়েছে, একটু ঠোঁট ঠেকাও।’
‘তুমি খাও সুজিদা, আজ তোমার দিন।’
সুজি পরমেশ্বরের দিকে তাকাল, বলল, ‘কী রে তুই ওকে বগলদাবা করে নিয়ে এসেছিস— তুই ওকে খেতে বল।’
‘তুই তো জানিস, আমি কাউকে এসব খেতে বলব না। ও বলল সসেজ খাবে, তুই সসেজ নিয়ে আয়।’
সুজি হঠাৎ কঠিন চোখে তাকিয়ে বলল, ‘তুমি কিন্তু ভাই আমাকে ইনসাল্ট করছ, আজ আমার একটা আনন্দের দিন, তোমাকে বড়-মুখ করে বলছি, তুমি রিফিউজ করলে!’
‘ঠিক আছে, খাচ্ছি। দাও।’
সুজি গ্লাস এগিয়ে দিয়ে বলল, ‘গুড, পাঁচজনের সঙ্গে মিশতে গেলে কিছু জিনিস মেনটেন করতে হয়।’
পার্শেমাছ ভাজা এল, সসেজ এল, নচে এল, আবার জল, বোতল, গ্লাস ভরে গেল। বার বার। সহজ খেতে খেতে বনির কথা ভাবছিল। আসলে এই বাড়ির আসরে সহজ এসেছে শুনলে বর্ণিনী এখুনি হয়তো স্কুটি নিয়ে হাজির হবে। বড় মুখরা মেয়ে বনি। তবে ও মিমির মতো হিসেবি নয়। মিমি চায় পরমেশ্বরদার সঙ্গে তার দাদার ভাব থাকুক। কিন্তু ওই বাড়ির ঠেকে যেন সহজ না যায়। খুব বদনাম এ বাড়ির!
হঠাৎই বাড়ির বাইরে কাউকে দেখে ওপরের বারান্দা থেকে অনেকেই চিৎকার করে উঠল। ওপর থেকে গৌর আর নচে বেরিয়ে গেল। কয়েক মুহূর্ত পরেই নচে আর গৌর গিয়ে দু’জনকে নিয়ে ঘরে ঢুকল। ‘কে এসেছে দেখো?’
তখনই যে মঞ্চে প্রবেশ করলেন— ক্যাপ্টেন! থুড়ি, পিশাচ সাধু! সঙ্গে অল্প বয়সি একটা মেয়ে। আর এসেই মানুষটা তাকিয়ে থাকলেন সহজের দিকে। তাকিয়ে থাকলেন না, গিললেন। তারপর—
আজ এই দুপুরবেলা টইটুম্বুর সহজকে দেখে পরমেশ্বরকে সোজাসুজি বললেন, ‘তুই ভুল করেছিস পরি! এ ছেলে সহজ নয়, এ ছেলে কেন তোর এখানে? বড্ড ভুল করছিস!’
‘কেন, কী ভুল করলাম ক্যাপ্টেন?’
(চলবে)
অঙ্কন : সুব্রত মাজী 
28th  February, 2021
মেট্রোর দুপুর

সিঁড়ির শেষ ধাপে পৌঁছে দাঁড়িয়ে পড়ল দীপন। কারণ দুটো— এক, এতগুলো সিঁড়ি লাফিয়ে লাফিয়ে উঠে একটু না দাঁড়ালে আর পারা যাচ্ছিল না। দুই, সামনে মধ্য দুপুরের কলকাতা বৈশাখের রোদে ঝলসাচ্ছে। পা রাখার আগে এটাই শেষ সুযোগ। পকেট থেকে সেলফোনটা বের করল। বসে পড়ল মেট্রোর সিঁড়িতে। চোখ রাখল স্ক্রিনে। 
বিশদ

21st  April, 2024
অথ দাম্পত্যচরিতম
সোমজা দাস

যে লোকটা ফুলকুল্লি স্টেশনের লাগোয়া বিন্তিমাসির চায়ের দোকানে প্রতি সপ্তাহের মঙ্গল আর শুক্কুরবার বেলা এগারোটা থেকে সাড়ে বারোটা অবধি বসে থাকে, ওই যে যার মাথায় খড়খড়ে মরচে রঙের চুল, গালে চটামটা লালচে দাড়ি, উদাস চোখ, তার কথা বলছি। সে-ই দশানন দাস।    বিশদ

07th  April, 2024
ছোট গল্প: বন্ধনহীন গ্রন্থি
বিতস্তা ঘোষাল

—অনেকদিন তোমার পোস্ট আমার অ্যাকাউন্টে দেখাচ্ছে না। আজ একজন বললেন, তোমার হ্যাজব্যান্ড চলে গেলেন। তিনি তোমার পেজ শেয়ারও করলেন। আমি জানতাম না অনিকেত তোমার স্বামী। ওঁর সঙ্গে বহুদিন আগে আমার দেখা হয়েছিল। বিশদ

31st  March, 2024
গুপ্ত রাজধানী: দারা শিকোহের গ্রন্থাগার
সমৃদ্ধ দত্ত

রামায়ণকে বুঝতে হলে, হিন্দু শাস্ত্রের অন্তর্নিহিত দর্শনকে আত্মস্থ করতে হলে, যোগ বশিষ্ট পাঠ করা দরকার। আর শুধু পাঠ করা নয়, প্রজাদের মধ্যেও ছড়িয়ে দেওয়া হবে। সম্রাট শাহজাহানের জ্যেষ্ঠ পুত্র দারা শিকোহকে একথা বলেছিলেন দরবারের অন্যতম হিন্দু পণ্ডিত চন্দ্রভান ব্রাহ্মণ। বিশদ

31st  March, 2024
অতীতের আয়না: হারিয়ে যাওয়া হাড়গিলে পাখি
অমিতাভ পুরকায়স্থ

নিউ মার্কেটের পূর্ব ও পশ্চিম গেটের একটু উপরের দিকে সবুজ বৃত্তাকার জায়গাটার দিকে কখনও নজর করেছেন? খেয়াল করলে দেখবেন একটি এমব্লেম বা প্রতীক। কলকাতা পৌরসংস্থার এই মোহরচিহ্ন শহরের প্রতীক হিসেবেও ব্যবহৃত হতো। বিশদ

31st  March, 2024
সম্পর্ক
অর্পিতা সরকার

 

ওদের তিনতলা বাড়ি, বাবা সরকারি চাকুরে। সুস্মিতা ওর বাবা-মায়ের একমাত্র সন্তান। তারপরেও বাবার সাধারণ জীবনযাত্রার কারণেই স্কুল-কলেজে কখনও সেভাবে গর্ব করতে পারেনি সুস্মিতা। ওর বাবার মুখে একটাই কথা, ‘নিজে ইনকাম করো, তারপর বুঝবে রোজগার করতে কত কষ্ট করতে হয়। বিশদ

24th  March, 2024
তবু যেতে হয়

—কাজটা তালে ছেড়েই দিলি সুবি!
সুবি উত্তর দেয় না। মাথা নিচু করে দাঁড়িয়ে থাকে সে। লাঙলপোতা গ্রামের ছোট্ট বাড়ির মাটির বারান্দার এক কোণে দাঁড়িয়ে পায়ের উপর পা ঘষে সুবিনয়। এ তার দীর্ঘ দিনের অভ্যেস। ঘরের ভিতরে তার শয্যাশায়ী মা অলকা। শুয়ে শুয়েই সান্ত্বনা দেন।
বিশদ

17th  March, 2024
গুরুদ্বার সিস গঞ্জ

দিল্লি দেখতে এসে চাঁদনী চক যাওয়া হবে না? তা কীভাবে হয়? অতএব দেশ ও বিদেশের পর্যটকদের অত্যন্ত প্রিয় ভ্রমণস্থল চাঁদনী চক।
বিশদ

17th  March, 2024
দেখা যায় না, শোনা যায় পুতুল বাড়ি
 

আকর্ষণ, বিতর্ক, কৌতূহলের চিরন্তন কেন্দ্রবিন্দু অলৌকিক দুনিয়া। বিশ্বাসী-অবিশ্বাসী দুই শিবিরেরই এব্যাপারে আগ্রহ ষোলোআনা। তাই ভৌতিক সাহিত্য হোক বা সিনেমা, বাজারে কাটতি বরাবরই বেশি।
বিশদ

17th  March, 2024
প্রস্থান
দীপারুণ ভট্টাচার্য

শববাহী গাড়িটা গেটের ভিতর ঢুকতেই অরুণবাবু চারপাশটা দেখলেন। বেঞ্চে পাশাপাশি বসে আছে তার ছেলে নীলাঞ্জন আর বউমা সুতপা। নীলাঞ্জন বড় চাকরি করে। সে ফোন পেয়েছিল অফিসে যাওয়ার পর। সুতপাকে বলেছিল, ‘বেরতে একটু সময় লাগবে। বিশদ

10th  March, 2024
গুপ্ত রাজধানী: জাহান আরার সমাধি
সমৃদ্ধ দত্ত

নভরোজ পরব চলছে। আগ্রা জুড়ে উৎসবের উচ্ছ্বাস। এখন ১৬৪৪। বাদশাহ শাহজাহানের আগ্রা দুর্গে সবথেকে বেশি উজ্জ্বল আয়োজন। স্বাভাবিক। প্রতি বছর নভরোজের সময় আগ্রা দুর্গ এভাবেই সেজে ওঠে। সম্রাটের পুত্রকন্যারা এই সময়টায় পরস্পরের সঙ্গে মিলিত হন। বিশদ

10th  March, 2024
অতীতের আয়না: বাঙালির সার্কাস
অমিতাভ পুরকায়স্থ

১৯২০ সালের ২০ মে। নিজের ‘গ্রেট বেঙ্গল সার্কাস’ নিয়ে সিঙ্গাপুরে ট্যুরে গিয়ে জন্ডিস হয়ে মারা গেলেন প্রিয়নাথ বসু। শুধু উপমহাদেশের সার্কাসের জন্য আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি ও উৎকর্ষের নতুন মানদণ্ড ছাড়াও, বিনোদন শিল্প হিসেবে সার্কাসকে দৃঢ় ভিত দিয়ে গেলেন তিনি। বিশদ

10th  March, 2024
ভোগ
শুচিস্মিতা  দেব

পুতুলকে সদ্যই নিমতিতা থেকে ‘রায়চৌধুরী ভিলা’তে এনেছে তার পিসি সবিতা। সবিতা এই পরিবারের বহু দিনের থাকা-খাওয়ার মাসি। টিভি সিরিয়ালের মতো প্রকাণ্ড বাড়িখানা দেখে পেরথমেই ভেবলেছে পুতুল। ফুটবল মাঠের মতো বৈঠকখানা। বিশদ

03rd  March, 2024
রুপোর চাকু

আলমারিটা খুলতেই দাদার চোখ চলে গিয়েছিল। উপরের তাকে জামা কাপড়ের পাশে খালি জায়গায় শোয়ানো ছিল। বাজপাখির চোখ দাদার।
বিশদ

25th  February, 2024
একনজরে
বুধবার রাতে নদীয়ার কালীগঞ্জের বল্লভপাড়ায় দু’টি বাইকের মুখোমুখি সংঘর্ষে তিন যুবকের মর্মান্তিক মৃত্যু হল। বাইকের গতি এতটাই বেশি ছিল যে এক যুবক ছিটকে একটি টোটোর কাচ ভেঙে ঢুকে যান। ...

রক্তক্ষরণ আটকাতে পারবে কি সিপিএম? আটকানো যাবে কি বামের ভোট রামে যাওয়া? —মূলত এই দু’টি প্রশ্নই এখন আলোচনার কেন্দ্রে। ব্রিগেড ভরাতে পারলেও ভোটবাক্স ভরাতে পারবেন কি না, তা নিয়েই এখন চিন্তিত সিপিএমের বঙ্গ রাজনীতির কুশীলবরা। ...

ভোট মরশুমে চোখ রাঙাচ্ছে মাত্রাতিরিক্ত গরম। আজ, শুক্রবার, লোকসভার দ্বিতীয় দফার নির্বাচন। বৃহস্পতিবার আগামী পাঁচদিনের জন্য পশ্চিমবঙ্গ, ওড়িশা, বিহার, ঝাড়খণ্ড, অন্ধ্রপ্রদেশ, তেলেঙ্গানা, কর্ণাটক এবং উত্তরপ্রদেশের ...

মতুয়া ঠাকুরবাড়ির মন্দিরের তালাভাঙা এবং মারধর সংক্রান্ত মামলায় শান্তনু ঠাকুর ও তাঁর পরিবারকে রক্ষাকবচ দিল হাইকোর্ট। উচ্চ আদালতে নির্দেশ, তাঁদের বিরুদ্ধে আপাতত কোনও কঠোর পদক্ষেপ করতে পারবে না পুলিস। ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

বিদ্যা ও কর্মে উন্নতির যুগ অর্থকরি দিকটি কমবেশি শুভ। মানসিক চঞ্চলতা ও অস্থিরতা থাকবে। স্বাস্থ্যের ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

১৮৮৪- উচ্চাঙ্গ সঙ্গীতশিল্পী, সেতার ও সুরবাহার বাদক ওস্তাদ আয়েত আলী খাঁর জন্ম
১৮৯৭- বাঙালি চলচ্চিত্র পরিচালক নীতীন বসুর জন্ম
১৯২০- ভারতীয় গণিতবিদ শ্রীনিবাস রামানুজনের মৃত্যু
১৯২৪- সাহিত্যিক নারায়ণ সান্যালের জন্ম 



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৮১.৫০ টাকা ৮৪.৯৩ টাকা
পাউন্ড ১০১.৪৭ টাকা ১০৫.৯২ টাকা
ইউরো ৮৭.১৪ টাকা ৯১.১৮ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৭২,৭০০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৭৩,০৫০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৬৯,৪৫০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৮১,৪৫০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৮১,৫৫০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

১৩ বৈশাখ, ১৪৩১, শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪। দ্বিতীয়া ৬/১৩ দিবা ৭/৪৭। অনুরাধা নক্ষত্র ৫৮/৪০ রাত্রি ৩/৪০। সূর্যোদয় ৫/১১/৩০, সূর্যাস্ত ৫/৫৭/২৪। অমৃতযোগ প্রাতঃ ৬/৫৪ মধ্যে পুনঃ ৭/৪৪ গতে ১০/১৮ মধ্যে পুনঃ ১২/৫১ গতে ২/৩২ মধ্যে পুনঃ ৪/১৫ গতে অস্তাবধি। রাত্রি ৭/২৮ গতে ৮/৫৭ মধ্যে পুনঃ ২/৫৭ গতে ৩/৪১ মধ্যে। মাহেন্দ্রযোগ রাত্রি ১০/২৭ গতে ১১/১২ মধ্যে পুনঃ ৩/৪১ গতে উদয়াবধি। বারবেলা ৮/২৪ গতে ১১/৩৪ মধ্যে। কালরাত্রি ৮/৪৫ গতে ১০/১০ মধ্যে। 
১৩ বৈশাখ, ১৪৩১, শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪। দ্বিতীয়া দিবা ৬/২৮। অনুরাধা নক্ষত্র রাত্রি ২/২৬। সূর্যোদয় ৫/১২, সূর্যাস্ত ৫/৫৯। অমৃতযোগ দিবা ৬/৪৬ মধ্যে ও ৭/৩৮ গতে ১০/১৫ মধ্যে ও ১২/১৫ গতে ২/৩৫ মধ্যে ও ৪/২০ গতে ৫/৫৯ মধ্যে এবং রাত্রি ৭/৩২ গতে ৯/০ মধ্যে ও ২/৫০ গতে ৩/৩৪ মধ্যে। মাহেন্দ্রযোগ রাত্রি ১০/২৭ গতে ১১/১১ মধ্যে ও ৩/৩৪ গতে ৫/১১ মধ্যে। বারবেলা ৮/২৪ গতে ১১/৩৫ মধ্যে। কালরাত্রি ৮/৪৭ গতে ১০/১১ মধ্যে। 
১৬ শওয়াল।

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
আইপিএল: কেকেআরকে ৮ উইকেটে হারাল পাঞ্জাব

11:31:28 PM

আইপিএল: ২৩ বলে হাফসেঞ্চুরি শশাঙ্ক সিংয়ের, পাঞ্জাব ২৪৬/২ (১৭.৪ ওভার) টার্গেট ২৬২

11:26:31 PM

আইপিএল: ৪৫ বলে সেঞ্চুরি জনি বেয়ারস্টোর, পাঞ্জাব ২১০/২ (১৬.১ ওভার) টার্গেট ২৬২

11:13:32 PM

আইপিএল: ২৬ রানে আউট রাইলি রুশো, পাঞ্জাব ১৭৯/২ (১৩ ওভার) টার্গেট ২৬২

10:56:50 PM

আইপিএল: ২৪ বলে হাফসেঞ্চুরি জনি বেয়ারস্টোর, পাঞ্জাব ১২০/১ (৯.১ ওভার) টার্গেট ২৬২

10:36:30 PM

আইপিএল: ৫৪ রানে আউট প্রভসিমরন, পাঞ্জাব ১০৭/১ (৭.৫ ওভার) টার্গেট ২৬২

10:29:44 PM