Bartaman Patrika
গল্পের পাতা
 

 সোহিনী
আইভি চট্টোপাধ্যায়

‘মনে হচ্ছে চোখের পাতা নড়ল। দেখো দেখো...’
‘কই? এই যে নার্স—একটু দেখুন না...’
‘ও বাবা, বাবাজি, শুনতে পাচ্ছেন?’
কে একজন বলল,‘এত জোরে জোরে কথা বলবেন না।’
অনেক দূর থেকে ভেসে আসছে কথাগুলো। তীব্র একটা ব্যথা। মাথায়, নাকি শরীর জুড়ে? এটা কি স্বপ্ন?
কে যেন বলছে, ‘আবার চোখ বন্ধ করে দিল। সিস্টার..সিস্টার...’
‘সিরিয়াস কেস। ডাক্তারকে ডাকুন শিগগির।’
‘এই, বাবাজিকে বেড-এ তুলে দাও।’
‘সরে দাঁড়াও...এত ভিড় কেন?’
মনে হচ্ছে কয়েকজন লোক দাঁড়িয়ে আছে আশপাশে। একটা বিছানায় শুয়ে আছে মনে হল। জায়গাটা কোথায়? সিস্টার! ডাক্তার! এটা কি হাসপাতাল? ভালো করে চোখ মেলে তাকাতে চাইল। পারল না।
‘এই দেখুন ডক্টর, হাত তুলছে। সেন্স এসে গেছে।’একটা পুরুষ কণ্ঠ।
‘সরুন, সরুন, সরে দাঁড়ান। দেখতে দিন ভালো করে।’
কে একজন এসে হাত ধরল। মেয়েলি ছোঁয়া। মা! মা এসেছে? মায়ের চেনা স্পর্শ? ভারি আরাম হল। চোখ আপনাআপনি বন্ধ হয়ে এল।
সমবেত একটা শ্বাসের শব্দ, ‘যাহ, আবার অজ্ঞান হয়ে গেল।’
****
‘গুড ইভনিং ডক্টর।’ ওয়ার্ডে ঢুকতেই টেনশনে থাকা সিস্টার এগিয়ে এল, ‘খুব সিরিয়াস কেস।’
মুখে মাস্ক লাগাতে লাগাতে একটু হালকা হাসল সোহিনী, ‘তোমার সব সময়ই সিরিয়াস কেস। এমারজেন্সি ডিপার্টমেন্টেই এত টেনশন, ক্রিটিক্যাল কেয়ারে কাজ করবে কী করে?’ প্রতিদিন অসংখ্য রোগী, চিকিৎসা,শুশ্রূষায় সেরে ওঠা, আবার কারও কোমায় চলে যাওয়া, কেউ মৃত্যুর মুখোমুখি। আজকাল আর টেনশন হয় না সোহিনীর। বড় একটা শ্বাস নিল, ‘কিপ ইওর কুল। কাম ডাউন। ডক্টর ইয়াসির কোথায়?’
‘ডক্টর ইয়াসির, ডক্টর শশী দুজনেই আছেন ডক্টর। অনেকগুলো পেশেন্ট এসেছে তো। ওই যে বম্ব-ব্লাস্ট...’
‘পেশেন্টের অবস্থা ক্রিটিক্যাল। আমরা তাই আর ওঁদের ডাকার রিস্ক নিইনি। আপনাকেই খবর দিলাম।’
বম্ব-ব্লাস্ট। ব্যুম্। একটা আওয়াজ। শোনা গিয়েছিল খানিক আগে। একটা টায়ার ফাটার মতো শব্দ। তারপর শব্দবাজি ফাটার মতো আওয়াজ। বোধহয় গুলির শব্দ। মনে হয়েছিল দূরের শপিং-কমপ্লেক্সটার দিক থেকে। অশান্ত হয়ে আছে চারদিক।
এই হাসপাতাল এরিয়া অবশ্য হাই-সিকিউরিটি জোন। চিন্তা নেই। ওপিডি-তে পেশেন্টের ভিড়। হট্টগোল। রোগী দেখতে ব্যস্ত হয়ে পড়েছিল আবার। নতুন পেশেন্ট, পুরনো পেশেন্ট ছাড়াও তিনটে সার্জারি-ফলোআপ। পেশেন্ট পার্টির সঙ্গেও অনেক কথা বলতে হয়।
এমারজেন্সির ডিউটি ডক্টর ফোন করেছিল, ‘ম্যাম, একবার আসতে হবে।’ এই মুশকিল। ওপিডি করে ওয়ার্ডে রাউন্ডে যাওয়ার কথা। এইসময় আবার এমারজেন্সি? কনসাল্টেশন রুমের বাইরেই অভীক। পেশেন্ট অ্যাপয়েন্টমেন্ট বুক করা, সিরিয়াল নম্বর অনুযায়ী পেশেন্ট পাঠানো এসব ওর কাজ। অভীককে ডেকে নিল সোহিনী, ‘আর ক’জন আছে?’
‘তিনজন। কিন্তু কাউকে দেখতে পাচ্ছি না ওয়েটিং-হলে। বাইরে খুব গণ্ডগোল, সবাই বোধহয় চলে গেছে।’
অ্যাপয়েন্টমেন্ট নিয়েও চলে গেছে! ‘হ্যাঁ ম্যাম, বাইরে খুব গণ্ডগোল। আজ তাড়াতাড়ি বেরিয়ে গেলেই ভালো।’
ওয়েটিং-হলে সারি সারি চেয়ারে উদ্বিগ্ন মুখ। কেউ ওপিডি-তে দেখাতে এসেছে, কেউ এক্স-রে, ইসিজি, রক্তপরীক্ষা করাতে। কেউ হাসপাতালে ভর্তি হতে এসেছে, কেউ হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেয়ে বাড়ি ফিরবে।
****
না না, মা নয়। মা কোথা থেকে আসবে? তাহলে কি...দিদি এসেছে?
‘এমারজেন্সির মধ্যে ভিড় করবেন না’, কে যেন বলল,‘ডাক্তার আসছেন।’
দিদির মতো গলার আওয়াজ মেয়েটার। বিয়ে হয়ে পুনে চলে গেল দিদি আর চাকরি নিয়ে পুনেতেই পোস্টিং নিয়েছিল হিন্দোল। ওহ, আবার ভুল। হিন্দোল না। মোহনস্বামী। হিন্দোলের সুর হারিয়ে গেছে অনেকদিন।
তাই তো। দিদির গলা আসবে কোথা থেকে? দিদি তো মোহনস্বামীকে চেনেই না।
হিন্দোল নামটা দিদির দেওয়া। এগারো বছরের বড় দিদি। বড্ড মা-মা ভাব। গান শিখত। প্রিয় রাগ সোহিনী। বলত, ‘বোন হলে নাম দিতাম, সোহিনী। তুই চলে এলি। তাই হিন্দোল। দুটোই বসন্তঋতুর রাগ।’
হিন্দোল থেকে মোহনস্বামী হওয়ার জার্নিটা একান্ত নিজের।
পুনে শহরে থেকেও দিদির সঙ্গে আর দেখা হয়নি। খবরের কাগজে বাবার দেওয়া নিরুদ্দেশ-সংবাদ। মায়ের কান্নাকাটি। ছেলের সন্ন্যাসী হয়ে যাওয়া কোন মা মেনে নিতে পারে?
****
সন্ন্যাসী! মাথাটা কেমন এলোমেলো। চোখ খোলার চেষ্টা করল আবার। অসহ্য যন্ত্রণা।
‘বাবা, বাবা’, কে যেন ডাকছে। মেয়েলি গলা। সাড়া দিতে পারল না।
‘বোমা ফেটে কতগুলো যে প্রাণ গেল। এ সাধুবাবাও মনে হচ্ছে...’
‘যখন এল, মুখ দিয়ে গলগল রক্ত...মাথাতেও চোট!’
‘ওই মহিলাকে দেখছ? ওর গায়ে নাকি বোমা লাগেইনি। শুধু আওয়াজেই অজ্ঞান হয়ে গেছে।’
‘ওহ, কী সাংঘাতিক! আশপাশের সব হাসপাতাল, নার্সিংহোম ভর্তি। আহা, ছোট্ট ছোট্ট মেয়েগুলো স্কুল থেকে ফিরছিল...’
একজন পুরুষের গলা এবার, ‘বুঝতে পারছি না এরা কী চায়। সাধারণ মানুষের ভিড়ে বোমা ফাটিয়ে কী লাভ? স্কুলের বাচ্চা, গরিব ফুটপাতের লোক এদের আহত করে, মেরে ফেলে কী লাভ?’
গলাটা কি বিবেকের? নাকি নরেন? খবর পেয়ে এসেছে? কিন্তু ওদের তো এখন দক্ষিণভারতে থাকার কথা।
‘আমি তো অন্য কথা শুনে এলাম। ওরা নাকি বোমা মারেইনি। শপিংমলের উল্টোদিকে যে চায়ের ঝোপড়িটা, তার সামনে অনেকক্ষণ ধরে একটা পুলিসের জিপ দাঁড়িয়ে ছিল। কেউ কেউ দেখেছে,পুলিসই নাকি বোমা ফাটিয়েছে।’
‘পুলিস? কেন? যাঃ তেমন হয় নাকি?’
‘হয় হয়। সব রাজনীতি ভাই। সাধারণ মানুষ যাতে ওদের ওপর খেপে থাকে, তাই পুলিস বোমা ফাটিয়ে...’ গলাটা নেমে গেল।
বিবেক, নরেন না, এ নির্ঘাত কুলদীপ। স্নায়ুর যুদ্ধে প্রতিপক্ষকে কাবু করতে জুড়ি নেই।
‘সবাই বাইরে যান, বাইরে যান...ডাক্তার এসেছেন’, কেউ বলল।
কে যেন হাত ধরল। মা? মা এসেছ? সত্যি সত্যি মা এসেছে? নাড়ি টিপে ধরেছে মা? কেমন নিস্তব্ধ হয়ে আসছে চারপাশ।
‘সিস্টার, কুইক।’ বুকের ওপর একটা যন্ত্র। হৃত্‍স্পন্দন শুনতে চাইছে কেউ। চোখের পাতা টেনে ধরেছে। চোখ খুলে রাখতে যে কী কষ্ট!
****
‘মনে হচ্ছে কোমায় চলে যাচ্ছে। ভেন্টিলেশন। কুইক সিস্টার। কুইক।’
কথা বলতে বলতেই অভ্যস্ত হাতে নিজের কাজ করছিল সোহিনী। মাথায় ব্যান্ডেজ রক্তে ভিজে গেছে। বালিশ-বিছানা রক্তে লাল। ক্ষতস্থান থেকে রক্ত পড়া বন্ধ হয়নি।
শপিং-কমপ্লেক্সে সন্ন্যাসী কি করছিল? যা-ই করুক, সেসব পুলিস বুঝবে। পেশেন্ট-সন্ন্যাসীকে বাঁচিয়ে রাখাটাই কাজ।
ক্যাজুয়ালটি থেকে ফোন এল একটা। আটজন পেশেন্ট। সব বম্ব-ব্লাস্ট কেস। তার মধ্যে পুলিসের লোকও আছে। একজন আবার ডিএসপি। নার্সিং সুপারিন্টেন্ডেন্ট হন্তদন্ত হয়ে ছুটে এল। ডিএসপি-কে অ্যাটেন্ড করা জরুরি। সিস্টাররা চোখে চোখে হাসল। ডক্টর সোহিনী পেশেন্ট ছেড়ে যাবেন না।
‘এই পেশেন্টের কন্ডিশন আগে স্টেবল হোক।’
‘ডক্টর প্রীতম এসে গেছেন, ওই স্কুলের মেয়েটাকে বেড-এ শিফ্‌ট করে এখুনি এসে পড়বেন। আপনি যদি প্লিজ ডিএসপি সাহেবকে...’
‘ডক্টর সোহিনী যাবেন না, আপনি তো জানেন ম্যাম,’ সিস্টার বলল। ডাক্তারের নাম বুঝি সোহিনী?
‘আপনাকে দেখে শিখি ডক্টর’, রাহুল বলল। ইন্টার্নশিপ করছে, আবেগ ভরপুর,‘ভিআইপি পেশেন্ট। তবু আপনি...’
‘পেশেন্টের কন্ডিশনই আগে দেখা উচিত, নট হিজ সোশ্যাল স্ট্যাচার।’
‘কত লোকের বাড়িতে খবরই পায়নি! লোকগুলো হাসপাতালে...আর ভিআইপি দেখাচ্ছে।’
‘এই সাধুবাবার তো বাড়িও নেই, বাড়ির লোকও নেই,’ রাহুল বলল।
‘আমরা অসুস্থ মানুষের জন্যে কাজ করব, ওথ নিয়েছি। সবসময় মনে রেখো রাহুল।’
‘ইয়েস ডক্টর।’
‘আর কথা না, এদিকে মন দাও। জাগিয়ে রাখো পেশেন্টকে।’
বাহ! বেশ তো। সোহিনী জাগিয়ে তুলবে হিন্দোলকে?
আর কিছু মনে নেই।
****
‘আজ কতদিন হল?’ একটা গলা ভেসে এল, ‘পাঁচদিন? নাকি ছ’দিন?’
‘পাঁচদিন। শুক্র, শনি, রবি, সোম...আজ মঙ্গলবার।’ একটা মেয়েলি গলা, ‘খুব ভয় হচ্ছিল। চারজন মারা গেছে।’
‘আহ মা! সবে জ্ঞান ফিরেছে বাপুর...’ অল্পবয়সি গলা একটা, ‘কেন এসব কথা বলছ এখন?’
জ্ঞান ফিরেছে? তাহলে কি জ্ঞান ফিরেছে সত্যিই?
‘মা। মা!’ মেয়েটা জোরে ডেকে উঠল,‘ওই দেখো। সাধুজি চোখ খুলেছিল এখুনি।’
‘তাই নাকি? ডাক, ডাক, শিগগির সিস্টারকে ডেকে দে।’
চোখটা একটু খুলতেই দেখল নল আর বোতল ঝুলছে। এটা তাহলে হাসপাতাল। কেউ একজন মাথায় হাত রাখল। ‘শুনতে পাচ্ছেন? বাবাজি, শুনতে পাচ্ছেন?’ সাড়া দিতে চাইল, কিন্তু পারল না। জিভ জড়িয়ে যাচ্ছে।
‘কী নিষ্ঠুর লোকগুলো। একজন সন্ন্যাসীকেও ছাড়েনি।’
‘শুধু সন্ন্যাসী? বাচ্চাগুলো? স্কুল থেকে ফেরার সময় বম্ব-ব্লাস্ট। স্পটেই তো মারা গেছে তিনটে মেয়ে।’
বম্ব-ব্লাস্ট! বোমার আঘাত লেগেছিল বুঝি? ব্যুম্! আওয়াজটা । তারপর টের্..র্..র্..র্... টের্..র্..র্..র্...গুলি। কোনটা আগে? পুলিসগুলো বন্দুক ছুঁড়ল আগে? নাকি বোমাটা?
রিকশ। ঠিক ঠিক। রিকশয় বসে বৃদ্ধা। চায়ের দোকানের সামনে দাঁড়িয়ে বিবেক। পুলিসের জিপ। জিপের ঠিক পিছনে দাঁড়িয়ে সন্ন্যাসী। পুলিস সন্দেহ করেনি। কুলদীপ শপিং-কমপ্লেক্সের সামনে। জ্যাকেটের ঘাড়ে পড়ে থাকা টুপিটা তুলে মাথা ঢাকল।
তারপরই টের্..র্..র্..র্..ব্যুম্! যে যেদিকে পারছে, ছুটে পালাচ্ছে। কে যেন এসে গায়ের ওপর হুমড়ি খেয়ে পড়ল। হ্যাঁ, ঠিক তখনই রাস্তার পাশে খোলা নালার ধারে পড়ে গিয়েছিল মোহনস্বামী।
****
‘এই তো জ্ঞান ফিরেছে। সিস্টার, বেডটা একটু তুলে দাও তো।’ গলাটা চেনা চেনা।
‘কেমন আছেন? ভালো লাগছে?’ চোখের ওপর হাত বুলিয়ে দিল মেয়েটা। এই বুঝি সেই ডাক্তার? ডক্টর সোহিনী?
‘কী হয়েছে আমার? এই জায়গাটা কোথায়?’ নিজের গলার স্বর নিজেই চিনতে পারল না।
‘আপনি ভালো আছেন। খুব ভালো আছেন। একটা অ্যাক্সিডেন্ট হয়েছিল আপনার।’
‘মনে পড়েছে ডাগদার সাহাব’, পাশের বিছানার মানুষটা বলল, ‘বোমা ফেটেছিল। বিটিয়াকে নিয়ে স্কুল থেকে ফিরছিলাম। ভাগ্যিস আমার ওপর দিয়ে গেছে, আমার মেয়েটা...’
মেয়েটা বাবার বুকে হাত রেখে বসে আছে।
‘ডাক্তার ম্যাডাম, দুর্ভাগ্যক্রমে আমার ছেলেটা শপিংমলে যাবার জেদ ধরেছিল। ক্রিকেট-ব্যাট কিনবে। আর দেখুন, পা-টাই না বাদ দিতে হয়।’ বিছানায় ছেলে, পাশে বসে আছে বাবা।
‘পা বাদ দিতে হবেই, কেন ভাবছেন? অপারেশন তো ভালো হয়েছে’, ঘুরে গিয়ে ছেলেটার মাথার চুল ঘেঁটে দিল সোহিনী। ****
‘মানুষ-জন্ম একটা পরম প্রাপ্তি। মেঘলা আকাশ, টাপুরটুপুর বৃষ্টি, আলো-আলো নীল আকাশ। ঠান্ডা হাওয়া, নদী, গাছপালা, পশুপাখি। সবুজ বনজঙ্গল, পাহাড়, সমুদ্র। সব অনুভব করতে পারে মানুষ। এ কি কম পাওয়া? একটা বম্ব-ব্লাস্ট, একটা অ্যাক্সিডেন্টে জীবন থেমে থাকে না। চলাটাই মানুষের ধর্ম।’ একটু হাসল ডাক্তার, যার নাম সোহিনী।
আর কেন কে জানে, এদিকে বুকের মধ্যে গান এল।
‘রুমঝুম রুমঝুম বরস ভাদর বা... অব ম্যায় ক্যায়সে যাউঁ ঘর বা...’ রাগ সোহিনী। রাগের প্রকৃতি চঞ্চল, কিন্তু এ রাগ গাইলেই শান্ত হয়ে আসে মন। দিদি নানাভাবে গাইত এ রাগ। সোহিনী গাইতে বসে পুরিয়া রাগের ছায়া আনা। এমন বিলম্বিত ধরবে, মনে হবে পুরিয়া। কোমল ঋষভ, তীব্র মধ্যম, পঞ্চম বর্জিত রাগ। পরজ বা বসন্ত রাগের মতো করে সোহিনীর আরোহে কখনওবা শুদ্ধ ঋষভ ছুঁয়ে যাওয়া।
মোহনস্বামীর জীবনে তো সুর নেই! তাহলে আজ এতদিন পর সোহিনী মনে পড়ে কেন?
‘আপনার নামটা জানতে পারিনি আমরা। কেউ তো আসেনি আপনার খবর নিতে। স্বামীজি লিখে ট্রিটমেন্ট হয়েছে।’ নীল-সাদা চেকশার্ট, গলায় হাসপাতালের নাম লেখা কার্ড।
ব্যাগটা কোথায়? কাঁধের ঝোলা ব্যাগের মধ্যে ছিল পার্স, সেলফোন। আর ছিল সেই জিনিস। কুলদীপের হাতে ক্যামেরায় ছিল রিমোট। ব্যাগটা চায়ের দোকানের পাশের গার্বেজ-বিনে ফেলার কথা। পুলিসের জিপটা এগিয়ে গেলেই...তার আগেই তো...
হুমড়ি খেয়ে নালার ধারে পড়ে গিয়েছিল। ব্যাগটা কি খোলা নালায় পড়ে গিয়েছিল? বিস্ফোরণ হয়েছিল ঠিক ঠিক? পুলিস ব্যাগটা পেয়ে গেছে? ব্যাগ পেলে অবশ্য পুলিস চুপ করে বসে থাকত না। হয় বিস্ফোরণে ব্যাগ সবসুদ্ধ জ্বলে গেছে, নয় বিবেকরা কেউ না কেউ ব্যাগ সময়মতো সরিয়ে নিয়েছে। এসব অপারেশনে প্ল্যান-বি সবসময় রেডি থাকে।
****
একটা স্বপ্ন। ছোটবেলায় পড়া মোরেভিয়ান ভ্রাতৃসংঘের গল্প। একটা পাহাড়ে থাকে সে ভাইরা। কেউ কাউকে ভয় পায় না, কাউকে কারও কাছে মাথা নোয়াতে হয় না, কেউ কারও ওপর জোর ফলায় না। কেউ ফিসফিস করে কথা বলে না, কেউ চিত্কারও করে না। শুধু হাসি আর গান । মৃত্যু একমাত্র সময়, যখন সবাই একসঙ্গে কাঁদে।
সেই পাহাড়ে কারও আলাদা সম্পত্তি নেই, তাই কোনও ঝগড়াও নেই। সব চাষিদের বাড়িতে চিমনি। কেউ দরজায় তালা দেয় না। নেকড়ে আসে যদি, পোষা কুকুররা তাদের মেরে ফেলে। বাইরের শত্রু এলে সংঘের ভাইরা একজোট হয়ে পাহাড়কে রক্ষা করে। সাম্যের নিয়ম। শ্রেণী নেই, শ্রেণী-সংঘাতও নেই।
চাকরি ছেড়ে, নিজের জীবনের ছন্দ ছেড়ে সেই পাহাড়ের স্বপ্ন দেখতে চেয়েছিল মোহনস্বামী। সুন্দর একটা দেশ, যেখানে কেউ ছোট নয়, কেউ বড় নয়। সবাই খোলা গলায় কথা বলে, প্রাণখুলে হাসে। সমাজের যে বড্ড অসুখ। ভাগ্যিস নিজের একটা অসুখ হল! তাই আজ মোহনস্বামী জেনেছে, একমাত্র অসুখ হলেই যা জানা যায়, সেই সত্য। যে কোনওদিন সব ছেড়ে চলে যেতে হবে। অদৃশ্য এক তিরন্দাজ যে কোনওদিন নাগালের মধ্যে পেয়ে যাবে একজন মানুষকে।
অসুখ হল বলেই শুনতে পেয়েছে সোহিনীর সুর, ‘বেঁচে থাকাটা একটা আশীর্বাদ। চলাটা মানুষের ধর্ম।’
অসুস্থ এই সমাজেই একজন মানুষ অন্য মানুষের শুশ্রূষার সময় ‘সোশ্যাল স্ট্যাচার’ দেখেনি। অসুখ হলে কোনও শ্রেণী নেই। তাই শ্রেণী-সংঘাতও নেই।
ভাবনা হচ্ছে নতুন করে। অসুস্থ সমাজে শুশ্রূষার উপায় কি আরেকটা সংঘাত? নাকি জীবনের গান গাইতে পারা? জ্ঞান ফিরেছে সত্যিই।
উত্‍সুক চোখে চেয়ে আছে ছেলেটা, ‘আপনার নাম?’ হাসপাতালের সাদা দেয়ালে একটা সবুজ ছবি । ঘন জঙ্গল, কোথা থেকে একটা আলোর রেখা নেমে এসেছে পাতায় পাতায়। সেইদিকে তাকিয়ে আস্তে বলল, ‘হিন্দোল।’
হিন্দোলেই ফেরা হোক তাহলে। আবার একাকী যাত্রায়।
09th  February, 2020
জীবন যখন অনলাইন
অনিন্দিতা বসু সান্যাল

বেণী-সমেত লম্বা চুলের ডগাটা কাটতে কাটতেই ফোনটা এল। সকাল সাতটা। খবরের কাগজ অনেকক্ষণ আগেই ফেলে গিয়েছে চারতলার ফ্ল্যাটের বারান্দার সামনে। ভোরেই ওঠার অভ্যেস মন্দিরার। বিশদ

28th  April, 2024
মেট্রোর দুপুর

সিঁড়ির শেষ ধাপে পৌঁছে দাঁড়িয়ে পড়ল দীপন। কারণ দুটো— এক, এতগুলো সিঁড়ি লাফিয়ে লাফিয়ে উঠে একটু না দাঁড়ালে আর পারা যাচ্ছিল না। দুই, সামনে মধ্য দুপুরের কলকাতা বৈশাখের রোদে ঝলসাচ্ছে। পা রাখার আগে এটাই শেষ সুযোগ। পকেট থেকে সেলফোনটা বের করল। বসে পড়ল মেট্রোর সিঁড়িতে। চোখ রাখল স্ক্রিনে। 
বিশদ

21st  April, 2024
অথ দাম্পত্যচরিতম
সোমজা দাস

যে লোকটা ফুলকুল্লি স্টেশনের লাগোয়া বিন্তিমাসির চায়ের দোকানে প্রতি সপ্তাহের মঙ্গল আর শুক্কুরবার বেলা এগারোটা থেকে সাড়ে বারোটা অবধি বসে থাকে, ওই যে যার মাথায় খড়খড়ে মরচে রঙের চুল, গালে চটামটা লালচে দাড়ি, উদাস চোখ, তার কথা বলছি। সে-ই দশানন দাস।    বিশদ

07th  April, 2024
ছোট গল্প: বন্ধনহীন গ্রন্থি
বিতস্তা ঘোষাল

—অনেকদিন তোমার পোস্ট আমার অ্যাকাউন্টে দেখাচ্ছে না। আজ একজন বললেন, তোমার হ্যাজব্যান্ড চলে গেলেন। তিনি তোমার পেজ শেয়ারও করলেন। আমি জানতাম না অনিকেত তোমার স্বামী। ওঁর সঙ্গে বহুদিন আগে আমার দেখা হয়েছিল। বিশদ

31st  March, 2024
গুপ্ত রাজধানী: দারা শিকোহের গ্রন্থাগার
সমৃদ্ধ দত্ত

রামায়ণকে বুঝতে হলে, হিন্দু শাস্ত্রের অন্তর্নিহিত দর্শনকে আত্মস্থ করতে হলে, যোগ বশিষ্ট পাঠ করা দরকার। আর শুধু পাঠ করা নয়, প্রজাদের মধ্যেও ছড়িয়ে দেওয়া হবে। সম্রাট শাহজাহানের জ্যেষ্ঠ পুত্র দারা শিকোহকে একথা বলেছিলেন দরবারের অন্যতম হিন্দু পণ্ডিত চন্দ্রভান ব্রাহ্মণ। বিশদ

31st  March, 2024
অতীতের আয়না: হারিয়ে যাওয়া হাড়গিলে পাখি
অমিতাভ পুরকায়স্থ

নিউ মার্কেটের পূর্ব ও পশ্চিম গেটের একটু উপরের দিকে সবুজ বৃত্তাকার জায়গাটার দিকে কখনও নজর করেছেন? খেয়াল করলে দেখবেন একটি এমব্লেম বা প্রতীক। কলকাতা পৌরসংস্থার এই মোহরচিহ্ন শহরের প্রতীক হিসেবেও ব্যবহৃত হতো। বিশদ

31st  March, 2024
সম্পর্ক
অর্পিতা সরকার

 

ওদের তিনতলা বাড়ি, বাবা সরকারি চাকুরে। সুস্মিতা ওর বাবা-মায়ের একমাত্র সন্তান। তারপরেও বাবার সাধারণ জীবনযাত্রার কারণেই স্কুল-কলেজে কখনও সেভাবে গর্ব করতে পারেনি সুস্মিতা। ওর বাবার মুখে একটাই কথা, ‘নিজে ইনকাম করো, তারপর বুঝবে রোজগার করতে কত কষ্ট করতে হয়। বিশদ

24th  March, 2024
তবু যেতে হয়

—কাজটা তালে ছেড়েই দিলি সুবি!
সুবি উত্তর দেয় না। মাথা নিচু করে দাঁড়িয়ে থাকে সে। লাঙলপোতা গ্রামের ছোট্ট বাড়ির মাটির বারান্দার এক কোণে দাঁড়িয়ে পায়ের উপর পা ঘষে সুবিনয়। এ তার দীর্ঘ দিনের অভ্যেস। ঘরের ভিতরে তার শয্যাশায়ী মা অলকা। শুয়ে শুয়েই সান্ত্বনা দেন।
বিশদ

17th  March, 2024
গুরুদ্বার সিস গঞ্জ

দিল্লি দেখতে এসে চাঁদনী চক যাওয়া হবে না? তা কীভাবে হয়? অতএব দেশ ও বিদেশের পর্যটকদের অত্যন্ত প্রিয় ভ্রমণস্থল চাঁদনী চক।
বিশদ

17th  March, 2024
দেখা যায় না, শোনা যায় পুতুল বাড়ি
 

আকর্ষণ, বিতর্ক, কৌতূহলের চিরন্তন কেন্দ্রবিন্দু অলৌকিক দুনিয়া। বিশ্বাসী-অবিশ্বাসী দুই শিবিরেরই এব্যাপারে আগ্রহ ষোলোআনা। তাই ভৌতিক সাহিত্য হোক বা সিনেমা, বাজারে কাটতি বরাবরই বেশি।
বিশদ

17th  March, 2024
প্রস্থান
দীপারুণ ভট্টাচার্য

শববাহী গাড়িটা গেটের ভিতর ঢুকতেই অরুণবাবু চারপাশটা দেখলেন। বেঞ্চে পাশাপাশি বসে আছে তার ছেলে নীলাঞ্জন আর বউমা সুতপা। নীলাঞ্জন বড় চাকরি করে। সে ফোন পেয়েছিল অফিসে যাওয়ার পর। সুতপাকে বলেছিল, ‘বেরতে একটু সময় লাগবে। বিশদ

10th  March, 2024
গুপ্ত রাজধানী: জাহান আরার সমাধি
সমৃদ্ধ দত্ত

নভরোজ পরব চলছে। আগ্রা জুড়ে উৎসবের উচ্ছ্বাস। এখন ১৬৪৪। বাদশাহ শাহজাহানের আগ্রা দুর্গে সবথেকে বেশি উজ্জ্বল আয়োজন। স্বাভাবিক। প্রতি বছর নভরোজের সময় আগ্রা দুর্গ এভাবেই সেজে ওঠে। সম্রাটের পুত্রকন্যারা এই সময়টায় পরস্পরের সঙ্গে মিলিত হন। বিশদ

10th  March, 2024
অতীতের আয়না: বাঙালির সার্কাস
অমিতাভ পুরকায়স্থ

১৯২০ সালের ২০ মে। নিজের ‘গ্রেট বেঙ্গল সার্কাস’ নিয়ে সিঙ্গাপুরে ট্যুরে গিয়ে জন্ডিস হয়ে মারা গেলেন প্রিয়নাথ বসু। শুধু উপমহাদেশের সার্কাসের জন্য আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি ও উৎকর্ষের নতুন মানদণ্ড ছাড়াও, বিনোদন শিল্প হিসেবে সার্কাসকে দৃঢ় ভিত দিয়ে গেলেন তিনি। বিশদ

10th  March, 2024
ভোগ
শুচিস্মিতা  দেব

পুতুলকে সদ্যই নিমতিতা থেকে ‘রায়চৌধুরী ভিলা’তে এনেছে তার পিসি সবিতা। সবিতা এই পরিবারের বহু দিনের থাকা-খাওয়ার মাসি। টিভি সিরিয়ালের মতো প্রকাণ্ড বাড়িখানা দেখে পেরথমেই ভেবলেছে পুতুল। ফুটবল মাঠের মতো বৈঠকখানা। বিশদ

03rd  March, 2024
একনজরে
পর্দার ‘মুন্নাভাই’ মুরলি প্রসাদকে পাশ করাতে গিয়ে পরীক্ষায় বসেছিলেন শিক্ষক রুস্তম পারভি। রিয়েল লাইফে তেমনই কাণ্ড ঘটাতে গিয়ে হাতেনাতে ধরা পড়লেন এক ন্যাশনাল এলিজিবিলিটি টেস্ট (নিট) পরীক্ষার্থীর দাদা। ঘটনাস্থল রাজস্থানের বারমার। ...

বনগাঁ মহকুমার বনগাঁ, বাগদা, গাইঘাটা কিংবা নদীয়ার কল্যাণী বা হরিণঘাটা, উত্তর ২৪ পরগনার স্বরূপনগর মূলত কৃষিপ্রধান এলাকা। এইসব এলাকায় উৎপাদিত ফসল দেশের বিভিন্ন প্রান্তে পৌঁছতে ...

রানিগঞ্জের কয়লাখনি অঞ্চলে ধস দুর্গতদের অবিলম্বে পুনর্বাসন চান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এই সংক্রান্ত প্রকল্পের কাজ দ্রুত শেষ আসানসোলে দলের নেতৃত্বকে নির্দেশও দিলেন তিনি। পাশাপাশি আঙুল তুললেন কেন্দ্রের বিরুদ্ধেও।  ...

গত জানুয়ারি মাস থেকে এখনও পর্যন্ত দার্জিলিং জেলায় ৩০ জন ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়েছেন। তবে জেলায় ম্যালেরিয়ায় আক্রান্ত হওয়ার কোনও খবর নেই বলে জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

শেয়ার ও বিমা সূত্রে অর্থাগম হতে পারে। কাজের প্রসার ও নতুন কর্মলাভের সম্ভাবনা। বিদ্যা হবে। ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

বিশ্ব রেডক্রস দিবস
বিশ্ব থ্যালাসেমিয়া দিবস
১৭৯৪ - ফ্রান্সের রসায়ন বিজ্ঞানের জনক এ্যান্থেনিও লেভিকে ফাঁসিতে ঝোলানো হয়েছিল
১৮২৮- রেড ক্রস এর প্রতিষ্ঠাতা জিন হেনরি ডুনন্টের জন্ম
১৮৬১ - বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের জন্ম
১৮৬৩ - ভারতে প্রথম রেডক্রস দিবস উদযাপিত হয়
১৯০২ - দক্ষিণ ফ্রান্সে অবস্থিত একটি পাহাড় থেকে বিকট শব্দে হঠাৎ অগ্ন্যুৎপাত শুরু হওয়ায় সেন পিয়ারে নামের একটি শহর সম্পূর্ণ ধ্বংস হয়ে যায়
১৯২৯- শাস্ত্রীয় সঙ্গীতশিল্পী গিরিজা দেবীর জন্ম
১৯৫৩- গায়ক রেমো ফার্নাডেজের জন্ম
১৯৬২- জোড়াসাঁকোর ঠাকুরবাড়িতে রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয় উদ্বোধন
১৯৭০ – প্রাক্তন অস্ট্রেলীয় ক্রিকেট তারকা মাইকেল বেভানের জন্ম
১৯৮১ - কলকাতা হাইকোর্টের প্রথম ভারতীয় স্থায়ী প্রধান বিচারপতি ফণিভূষণ চক্রবর্তীর মৃত্যু
১৯৯৩ - অস্ট্রেলীয় ক্রিকেট তারকা প্যাট কামিন্সের জন্ম
১৯৯৬ - দক্ষিণ আফ্রিকায় বর্ণবৈষম্য যুগের পরবর্তী নতুন সংবিধান চালু হয়
২০০৮ -  অভিনেতা,পরিচালক ও নাট্যব্যক্তিত্ব জ্ঞানেশ মুখোপাধ্যায়ের মৃত্যু
২০২৩ - সাহিত্যিক সমরেশ মজুমদারের মৃত্যু



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৮২.৬৬ টাকা ৮৪.৪০ টাকা
পাউন্ড ১০৩.১৭ টাকা ১০৬.৬২ টাকা
ইউরো ৮৮.৩৮ টাকা ৯১.৫১ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৭২,২০০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৭২,৫৫০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৬৮,৯৫০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৮১,৬৫০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৮১,৭৫০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

২৫ বৈশাখ, ১৪৩১, বুধবার, ৮ মে ২০২৪। অমাবস্যা ৯/৩০ দিবা ৮/৫২। ভরণী নক্ষত্র ২১/১৫ দিবা ১/৩৪। সূর্যোদয় ৫/৩/৪২, সূর্যাস্ত ৬/২/২৯। অমৃতযোগ প্রাতঃ ৬/৪৭ মধ্যে পুনঃ ৯/২৩ গতে ১১/৮ মধ্যে পুনঃ ৩/২৭ গতে ৫/১০ মধ্যে। রাত্রি ৬/৪৬ গতে ৮/৫৯ মধ্যে পুনঃ ১/২৪গতে উদয়াবধি। মাহেন্দ্রযোগ দিবা ১/৪৩ গতে ৩/২৭ মধ্যে। রাত্রি ৮/৫৯ গতে ১০/২৭ মধ্যে। বারবেলা ৮/১৮ গতে ৯/৫৫ মধ্যে পুনঃ ১১/৩৩ গতে ১/১১ মধ্যে। কালরাত্রি ২/১৮ গতে ৩/৪০ মধ্যে। 
২৫ বৈশাখ, ১৪৩১, বুধবার, ৮ মে ২০২৪। অমাবস্যা দিবা ৮/৪৮। ভরণী নক্ষত্র দিবা ১/৫৬। সূর্যোদয় ৫/৪, সূর্যাস্ত ৬/৪। অমৃতযোগ দিবা ৭/৩৫ গতে ১১/৮ মধ্যে ও ১/৪৭ গতে ৫/২০ মধ্যে এবং রাত্রি ৯/৪৭ মধ্যে ও ১১/৫৬ গতে ১/২২ মধ্যে। কালবেলা ৮/১৯ গতে ৯/৫৭ মধ্যে ও ১১/৩৪ গতে ১/১১ মধ্যে। কালরাত্রি ২/১৯ গতে ৩/৪২ মধ্যে। 
২৮ শওয়াল।

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
আইপিএল: লখনউকে ১০ উইকেটে হারাল হায়দরাবাদ

10:27:54 PM

আইপিএল: ১৯ বলে হাফসেঞ্চুরি অভিষেক শর্মার, হায়দরাবাদ ১২০/০ (৬.৩ ওভার) টার্গেট ১৬৬

10:15:03 PM

আইপিএল: ১৬ বলে হাফসেঞ্চুরি ট্রাভিস হেডের, হায়দরাবাদ ৭৯/০ (৪.৪ ওভার) টার্গেট ১৬৬

10:04:52 PM

আইপিএল: হায়দরাবাদকে ১৬৬ রানের টার্গেট দিল লখনউ

09:26:56 PM

আইপিএল: ২৮ বলে হাফসেঞ্চুরি আয়ূষ বাদোনির, লখনউ ১৪৬/৪ (১৯ ওভার), বিপক্ষ হায়দরাবাদ

09:19:23 PM

আইপিএল: ২৪ রানে আউট ক্রুণাল পান্ডিয়া, লখনউ ৬৬/৪ (১১.২ ওভার), বিপক্ষ হায়দরাবাদ

08:43:15 PM