Bartaman Patrika
গল্পের পাতা
 

তবু যেতে হয়

—কাজটা তালে ছেড়েই দিলি সুবি!
সুবি উত্তর দেয় না। মাথা নিচু করে দাঁড়িয়ে থাকে সে। লাঙলপোতা গ্রামের ছোট্ট বাড়ির মাটির বারান্দার এক কোণে দাঁড়িয়ে পায়ের উপর পা ঘষে সুবিনয়। এ তার দীর্ঘ দিনের অভ্যেস। ঘরের ভিতরে তার শয্যাশায়ী মা অলকা। শুয়ে শুয়েই সান্ত্বনা দেন।
—ও বিপিন, যা হোক বাবা রাগ কোরো না। আমি পরে বুজিয়ে বলব না হয়।
—অত সময় কি আচে মাসি! নেহাত আমার পরিচিত তাই। নইলে লোকের অভাব নেই। হাজার হাজার লোক হন্যে হয়ে আচে কাজের জন্যে।
একটা গ্লাসে জল এনে বিপিনকে দেয় মুকুন্দ। সুবিনয়ের বাবা। বলেন, ‘জলটুকু খেয়ে নাও বিপিন।’
এক নিঃশ্বাসে গ্লাসের অনেকটা জল খেয়ে নেয় বিপিন। বাকিটায় চোখে মুখে ঝাপটা দেয়। পরে পাঞ্জাবির পকেট থেকে রুমাল বের করে মুখ মোছে। বিপিনকে ভালো করে খেয়াল করে সুবিনয়। মুখ মুছে আবার প্রসঙ্গটা শুরু করে বিপিন।
—তা কী ঠিক করলি? আজ রাতের গাড়ি ধরছিস তো?
—বাপ মা রে ছেড়ে থাকতে ভালো লাগে না গো বিপিনদা।
খানিকটা সঙ্কোচেই কথাটা বলে সুবিনয়।
—হ্যাঁ!
বিব্রত হয় যেন বিপিন। পরে হাসে। বিশ্রী ভাবে হাসে সে। যেন কি ভয়ানক একটা হাসির কথা শুনেছে। পরে সে কাছে আসে সুবিনয়ের। ভালো করে দেখে তাকে। বলে, ‘বয়েস কত? খোকাটি হয়ে আচিস তো রে!’ এই কথা বলে আবার হাসে বিপিন। বারবার হাসে। বলে, ‘বাপ-মা-র জন্যি খুব দরদ যে! ক’দিন পর বে করলে বাপ-মারে ভাত দিবি তো রে!’ বলে আবার হাসে। ফের শুরু করে, ‘মুকুন্দকা, ছেলে তোমার জোর সেয়ানা হয়েচে। খাটতে পারবে না বলে, বাপ-মায়ের দোহাই দে দিলে। কেন? আর যারা কাজ করচে তাদের বাপ-মা নেই নাকি রে সুবি!’ বলে হাসতে হাসতে বসে পড়ে বিপিন। যেন অনেক কষ্টে হাসিটা চাপার চেষ্টা করে সে। দেখে  সুবিনয়কে। পরে আস্তে আস্তে উঠে পড়ে সে। মুকুন্দর কাছে আসে। বলে, ‘এ বয়েসে ছেলে কোথায় দেখবে, না দামড়া ছেলেকে বয়ে নে চল। কপাল তোমার মন্দ গো কাকা।’ 
কথাগুলো বলে উঠোনে নেমে পড়ে বিপিন। আবার হাসে। বলে, ‘হাসি যেন চাপতেই পারছি না গো! দামড়া ছেলে বলে কী! না, বাপ-মাকে ছেড়ে থাকতে পারি না! ফাঁকিবাজ কহিকা!’
বিপিন চলে যায়। কিন্তু পরিবেশটা কী রকম যেন ভারী করে দিয়ে গেল। তার হাতে অনেক কাজ। বিপিনের হাত ধরেই লাঙলপোতার সুবল, কার্তিক, তারক, অসীমরা এ বছর গেল সুরাত। সুবিনয়ও গেয়েছিল আমেদাবাদ। সেখানে রাজমিস্ত্রির কাজে লেবারের কাজ করেছে সে বারো দিন। এর অতিরিক্ত আর থাকতে পারেনি। বিপিন চলে যাওয়ার পরে সে কথাই ভাবছিল সুবিনয়। ভিতর থেকে মা ডাকেন। সুবি!
মায়ের পাশে গিয়ে বসে সুবিনয়।
—খুব খাটুনির কাজ না রে সুবি! যাকগে! করতে হবে না বাবা।
—খাটতে তো আমার ভয় নেই মা, এ বয়েসে খাটব না তো, খাটব কবে!
—তো!
—তোমাদের ছেড়ে থাকতে পারি না যে!
মা দীর্ঘশ্বাস ফেলেন।
—ঠিক আচে। কাজ নেই আর গিয়ে। একানেই যা হোক জুটে যাবে তোর।
দুপুরের ওষুধ নিয়ে ঢোকে মুকুন্দ। অলকাকে সোজা করে বসিয়ে দেয় সুবিনয়। ওষুধ খেতে খেতে হাসে অলকা। বলে আমাকে নিয়েই সমস্যা না গো!
মুকুন্দ খানিকটা যন্ত্রের মতন করে কিছু কাজ করে যায়। বলে, ‘আহ! তা কেন!’
—কেন আবার! আমি মরলে পরে তোমাদের মুক্তি!
সুবিনয় মাকে জড়িয়ে ধরে। মায়ের মৃত্যু কল্পনা করেই একটা গভীর শূন্যতা বুকের উপর চেপে বসতে চায় যেন।
মুকুন্দ কিন্তু দিব্যিই নিরুত্তর। বাবাকে দেখে খানিকটা অবাক লাগে সুবিনয়ের। অলকা ছেলের মাথায় হাত বুলিয়ে দেয়। চোখ দুটো ছল ছল করে তার। বলে, ‘আমি আর ভালো হব না, তাই না?’
—নিমাই বলচিল একবার কলকাতা নে যেতি পারলে..
—সে তো অনেক টাকা!
দীর্ঘশ্বাস ফেলে অলকা।
মাকে ছেড়ে সোজা হয়ে বসে পড়ে সুবিনয়। বলে, ‘হোক অনেক টাকা। তবু কলকেতা কি যাওয়া যায় না বাবা!’
—কলকেতা সোজা জাগা নয় সুবি। সেকানের হাসপাতালে মাসের পর মাস পড়ে থাকলি পর তবে গে একটা ব্যবস্তা হয়। অত দিনের খরচ-খরচাও কি কম!
মুকুন্দের কথার বাস্তবতা সুবিনয়ও বোঝে। চুপ করে বসে থাকে সে মায়ের পাশে। বোঝে, শুধু ভালোবাসাই নয়, সঙ্গতিও কী দারুণ জিনিস!
দুই
সে কথাই হচ্ছিল দু’জনার। সকালে পুকুর পাড়ে বসে রাতের বাসন মাজে মুকুন্দ। ইদানীং এই কাজগুলো দু’জনকেই করতে হয়। নিজেদের মধ্যে এলোমেলোভাবে একটা ভাগাভাগি করেও নিয়েছে দু’জন। সুবিনয় রান্নার জোগাড় করে। মুকুন্দই শুরু করে প্রসঙ্গটা। বলে, ‘তোর খোঁজ করচিল আজ বিপিন। বলচিল সুরাতে লোক নিচ্চে। গেলে ভালো ট্যাকা আচে। গণেশ গেল আজ!’
বিপিনের প্রসঙ্গে বিরক্ত হয় সুবিনয়।
—যাক! আমি যাব না। তাছাড়া চন্দনদের বাদায় কাল দে কাজ শুরু হবে। আড়াইশ ট্যাকা রোজ।
—মাত্র আড়াইশ! চন্দন তো গত বছরও তিনশো ট্যাকার বেশিতে কাজ করাল। 
—আসলে আমি না করলি পর, অন্য কেউ করবে। কাজের জন্যি লোকের আর অভাব কি! একবেলা খাতি দিলেও লোক পাবে চন্দন।
কী ভাবে যেন মুকুন্দ। দীর্ঘশ্বাস ফেলে।
—সেকানে আমার জন্যি একটা কাজ হয় না রে সুবি? 
মুকুন্দর দিকে স্থির দৃষ্টিতে চেয়ে থাকে সুবিনয়। পরে মাথা নাড়ে। অর্থাৎ হয় না। বাষট্টি বছর বয়েস হয়েছে মুকুন্দের। তার শরীরেও নানা রোগের বাসা। রোগা শরীর তার কালো চামড়ায় ঢাকা। তার নীচে তার জীবনীশক্তি প্রতি মুহূর্তে বাইরের জগতের চরম হুমকির মুখে টিকে আছে। সেই মুকুন্দ কাজ করবে!
—তোমারে আর কাজ করতি হবে না। আমি দেকচি। বেশি ট্যাকার একটা কিচু পেয়ে যাব ঠিক।
—ভাবচিলাম ছাগল কটারে বেচে দি। খানিকটা ট্যাকা আসে তাতে।
—বেচি দেবে! আর দুধ!
—হ্যাঁ। তাইতেই তো আটকে যাই। তর মারে ভালো খাওয়া দেতি লাগে। ওই দুধটুকু বাদ দেলি আর কি দেতি পারি!
—সেই কতাই তো! ছাগল বেচার মতলব তুমি ছাড়।
হাতের কাজ ফেলে চুপ করে বসে থাকে মুকুন্দ। নানা ভাবনা মাথায় আসে তার। তারপর দীর্ঘশ্বাস ফেলে।
—বিঘেটাক জমি থাকলি পর!
—থাকলি কি হতো! যা ছেল তা তো ঘোষালের কাচেই জমা হয়ি আচে।
— সেই! সে তো আর পাব বলি মনেও হয় না! ঘোষাল বলছেল সেদিন, অনেক কটা দিন হয়ি গেচে। এবার কটা ট্যাকার বিনিময়ে জমিটা লেখি দেতি।
—কী বললে তুমি!
—বলিনি কিচু। পরে ভাবচিলাম শুধুমাত্র কটা ট্যাকার জন্যি দে দেব! 
মুকুন্দের কাছে আসে সুবিনয়।
— দিও না। ভিটে বাদে ও জমিটাই আচে।
—আর আচে! এও কি থাকা! ও জমিতে চাষ করচে ঘোষাল। দেখে কষ্ট হয়।
কথা কটা এক নাগাড়ে বলে দীর্ঘশ্বাস ফেলে মুকুন্দ। চোখের জল মোছে। বলে, ‘জানি না অদ্দিষ্টে কী আচে! বেঁচে থাকাই কঠিন হয়ে উটচে, তা তোর মারে বাঁচানো!’
বলতে বলতে নিজেকে যেন আর ধরে রাখতে পারে না মুকুন্দ। সে কাঁদে। শিশুর মতন কাঁদে মুকুন্দ। পাশে ঠায় দাঁড়িয়ে থাকে সুবিনয়।
তিন
শেষ রাতে পেটের ব্যথাটা বাড়ে অলকার। কাটা ছাগলের মতো ছটফট করে সে। পেটে গরম সেঁক দেয় মুকুন্দ। তবু আরাম হয় না। মাথায় হাত বুলিয়ে দেয় তার। বারবার সান্ত্বনা দেয় তাকে। কে জানে সে সব হয়তো শুনতেও পায় না অলকা। প্রচণ্ড ব্যথায় কাতরায় সে। গোঁ গোঁ করে গোঙায়। চোখ দিয়ে জল পড়ে। অলকার পাশে বসে জানলা দিয়ে সুবিনয়ের ফেরার পথ দেখে মুকুন্দ। দিবাকর ডাক্তারের কাছে গেছে সে। দিবাকরের বেড়ার চেম্বার রাতেও খোলা থাকে। কারণ সেখানেই তার ঘর। সেখানেই দুবেলা রান্না করে রাতে বিছানা পেতে শুয়ে পড়ে দিবাকর। চাঁচ বেড়ার ছিদ্র দিয়ে শীতে ঠান্ডা বাতাস ঢোকে ঘরে। স্যাঁতসেঁতে ঘরটায় কারেন্টের ব্যবস্থাও নেই। গরমে কষ্টও হয় খুব। চরম অনাড়ম্বরে লালিত দিবাকরের চেম্বার একমাত্র সেজে ওঠে হালখাতায়। রোগীরা এসে দিবাকরের সারা বছরের বকেয়া ফি যার যেমন বাকি তা মিটিয়ে যায়। আবার নতুন খাতা করে দিবাকর। এই সব গুণের কারণেই হয়তো দিবাকরের চেম্বার, দিবাকর ডাক্তারের দোকান হয়েই বেশি জনপ্রিয়তা পেয়ে চলেছে বছরের পর বছর। সে পাশ করা ডাক্তার নয়। জ্বর, সর্দি, কাশি, পেটব্যথা, অম্ল, অনিদ্রা এই ধরনের সাধারণ ওষুধের জ্ঞান নিয়েই শুরু করেছিল দিবাকর। সেইথেকে প্রতিদিন নিজেকে সমৃদ্ধ করে চলেছে সে। আজও নতুন ওষুধের নাম শুনলেই সঙ্গে সঙ্গে খাতায় লিখে রাখে। এখন দিবাকরের বয়েসও হয়েছে। তবুও গ্রামের মানুষের সেইই খড়কুটো। 
সুবিনয়ের পথ চেয়ে চেয়ে আতঙ্ক আর বিরক্তি যেন ক্রমশ বেড়ে চলে মুকুন্দের। সে মাথায় হাত বুলিয়ে দেয় অলকার। অলকা বিশ্রী ভাবে চোখ বড় করে যন্ত্রণা হজম করার চেষ্টা করে। বহু বছর এভাবেই বহু ব্যথাকে হজম করে এসেছে সে। কিন্তু এখন যেন আর পেরে ওঠে না। মুকুন্দও বোঝে সে কথা। অলকার যন্ত্রণা তাকে অস্থির করে। বাইরে বারান্দায় এসে দাঁড়িয়ে থাকে মুকুন্দ। অলকাকে সে বড় ভালোবাসে। মনে পড়ে এ বাড়িতে অলকার প্রথম দিন। মনে পড়ে তাদের ঘর-সংসার। সুবির জন্ম। তারপরই পারম্পর্য মেনে মনে পড়ে অভাব, দুঃখ দুর্দশার নিদারুণ করুণ ছবি। সেই কবে থেকে বিছানায় পড়ে আছে অলকা। পেটের ব্যথাটাও ইদানীং বাড়ছে। প্রায়ই তা নিয়ে ভোগে অলকা। বাঁচার খুব চেষ্টা ছিল আগে তার। ইদানীং সে আশাও যেন প্রায় ছেড়েই দিয়েছে সে। সেও ত বোঝে, বাঁচতে গেলে সঙ্গতি চাই! মুকুন্দ কাঁদে। কাঁদে আর কান পেতে শোনে সে। একা অলকা  ছটপট করছে অন্ধকার ঘরে। অনবরত একটানা গোঙাচ্ছে সে। মুক্তি চাইছে। মনে মনে অলকার মৃত্যু কামনা করেও বুকটা আঁতকে ওঠে মুকুন্দের।
মাটির দেওয়ালে হেলান দিয়ে কাঁদে মুকুন্দ। 
কিছুক্ষণ পরেই সুবিনয় ঢোকে। উঠোনের অন্ধকার সাঁতরে সরীসৃপের মতন এসে ওঠে সুবিনয়। ধুপ ধুপ শব্দ হচ্ছে কোথায়! ভালো করে দেখার চেষ্টা করে সুবিনয়। দেখে বুকটা ধক করে ওঠে তার। মাটির দেওয়ালে নির্মম ভাবে মাথা ঠুকছে মুকুন্দ। ধুপ ধুপ ধুপ। অলকার যন্ত্রণাকে একা বইতে দিতে চায়না হয়তো মুকুন্দ। জীবনের সমস্ত যন্ত্রণাই তো এতদিন এক সঙ্গেই বয়ে এসেছে তারা। শেষ বেলায় অলকাকে একা ছাড়তে চায়না হয়তো তাই। সুবিনয় ছুটে গিয়ে জড়িয়ে ধরে মুকুন্দকে। মুকুন্দের সারা শরীর ঘেমে গিয়েছে। চোখ দিয়ে জল পড়ছে তার। রাতের অন্ধকারে কি বীভৎস দেখাচ্ছে মুকুন্দকে!! তাকে জড়িয়ে কাঁদে সুবিনয়। শিশুর মতন কাঁদে। কাঁদতে কাঁদতেই ঘরের ভিতরের অপার্থিব এক শূন্যতাকে যেন উপলব্ধি করে সুবিনয়। বিষয়টা হয়তো মুকুন্দও খেয়াল করে। হুড়মুড় করে উঠে পড়ে দু’জন। ঢুকে পড়ে ঘরে। অলকা ঘুমাচ্ছে। ব্যথা তার কমে গিয়েছে কখন! মাটির মেঝেতে চাপ চাপ রক্ত! রক্ত বমি করে ঘুমাচ্ছে অলকা। ক্লান্ত শরীর তার শান্ত হয়ে ঘুমিয়ে আছে।
চোখের জল মুছে অলকার পাশে বসে মুকুন্দ। বলে,
—কী বলে দিবাকর!
দীর্ঘশ্বাস ফেলে সুবিনয়। বলে,
—তার কিচু আর করার নেই। কলকেতা যেতে বলে।
কথাটা শুনেই হাউমাউ করে কাঁদে মুকুন্দ। তার কান্নায় জেগে ওঠে অলকা। বিছানার পাশে স্তব্ধ দুটো কালো মূর্তি দেখে প্রথমে যেন মানুষ দুটোকে ঠহর করতে পারে না সে। পরে ভালো করে দেখে। বলে, রাত শেষে ভোর হয়ি এল। ঘুমাওনি তোমরা! আমি ভালো আছি। ঘুমাও এবার। 
অলকার কথায় মুকুন্দর দু'চোখ সজল হয়ে আসে। সুবিনয় তার পিঠে হাত রেখে বলে, শোয়ার আর সময় নেই। এবার বেরতে হবে।
অলকা বিষ্মিত হয়। বলে, 
—এত ভোরে কোতায় বেরবি!
কথাটা শুনে দু’জনে একসঙ্গে বলে উঠল
—কলকেতা, সুরাত।
17th  March, 2024
জীবন যখন অনলাইন
অনিন্দিতা বসু সান্যাল

বেণী-সমেত লম্বা চুলের ডগাটা কাটতে কাটতেই ফোনটা এল। সকাল সাতটা। খবরের কাগজ অনেকক্ষণ আগেই ফেলে গিয়েছে চারতলার ফ্ল্যাটের বারান্দার সামনে। ভোরেই ওঠার অভ্যেস মন্দিরার। বিশদ

28th  April, 2024
মেট্রোর দুপুর

সিঁড়ির শেষ ধাপে পৌঁছে দাঁড়িয়ে পড়ল দীপন। কারণ দুটো— এক, এতগুলো সিঁড়ি লাফিয়ে লাফিয়ে উঠে একটু না দাঁড়ালে আর পারা যাচ্ছিল না। দুই, সামনে মধ্য দুপুরের কলকাতা বৈশাখের রোদে ঝলসাচ্ছে। পা রাখার আগে এটাই শেষ সুযোগ। পকেট থেকে সেলফোনটা বের করল। বসে পড়ল মেট্রোর সিঁড়িতে। চোখ রাখল স্ক্রিনে। 
বিশদ

21st  April, 2024
অথ দাম্পত্যচরিতম
সোমজা দাস

যে লোকটা ফুলকুল্লি স্টেশনের লাগোয়া বিন্তিমাসির চায়ের দোকানে প্রতি সপ্তাহের মঙ্গল আর শুক্কুরবার বেলা এগারোটা থেকে সাড়ে বারোটা অবধি বসে থাকে, ওই যে যার মাথায় খড়খড়ে মরচে রঙের চুল, গালে চটামটা লালচে দাড়ি, উদাস চোখ, তার কথা বলছি। সে-ই দশানন দাস।    বিশদ

07th  April, 2024
ছোট গল্প: বন্ধনহীন গ্রন্থি
বিতস্তা ঘোষাল

—অনেকদিন তোমার পোস্ট আমার অ্যাকাউন্টে দেখাচ্ছে না। আজ একজন বললেন, তোমার হ্যাজব্যান্ড চলে গেলেন। তিনি তোমার পেজ শেয়ারও করলেন। আমি জানতাম না অনিকেত তোমার স্বামী। ওঁর সঙ্গে বহুদিন আগে আমার দেখা হয়েছিল। বিশদ

31st  March, 2024
গুপ্ত রাজধানী: দারা শিকোহের গ্রন্থাগার
সমৃদ্ধ দত্ত

রামায়ণকে বুঝতে হলে, হিন্দু শাস্ত্রের অন্তর্নিহিত দর্শনকে আত্মস্থ করতে হলে, যোগ বশিষ্ট পাঠ করা দরকার। আর শুধু পাঠ করা নয়, প্রজাদের মধ্যেও ছড়িয়ে দেওয়া হবে। সম্রাট শাহজাহানের জ্যেষ্ঠ পুত্র দারা শিকোহকে একথা বলেছিলেন দরবারের অন্যতম হিন্দু পণ্ডিত চন্দ্রভান ব্রাহ্মণ। বিশদ

31st  March, 2024
অতীতের আয়না: হারিয়ে যাওয়া হাড়গিলে পাখি
অমিতাভ পুরকায়স্থ

নিউ মার্কেটের পূর্ব ও পশ্চিম গেটের একটু উপরের দিকে সবুজ বৃত্তাকার জায়গাটার দিকে কখনও নজর করেছেন? খেয়াল করলে দেখবেন একটি এমব্লেম বা প্রতীক। কলকাতা পৌরসংস্থার এই মোহরচিহ্ন শহরের প্রতীক হিসেবেও ব্যবহৃত হতো। বিশদ

31st  March, 2024
সম্পর্ক
অর্পিতা সরকার

 

ওদের তিনতলা বাড়ি, বাবা সরকারি চাকুরে। সুস্মিতা ওর বাবা-মায়ের একমাত্র সন্তান। তারপরেও বাবার সাধারণ জীবনযাত্রার কারণেই স্কুল-কলেজে কখনও সেভাবে গর্ব করতে পারেনি সুস্মিতা। ওর বাবার মুখে একটাই কথা, ‘নিজে ইনকাম করো, তারপর বুঝবে রোজগার করতে কত কষ্ট করতে হয়। বিশদ

24th  March, 2024
গুরুদ্বার সিস গঞ্জ

দিল্লি দেখতে এসে চাঁদনী চক যাওয়া হবে না? তা কীভাবে হয়? অতএব দেশ ও বিদেশের পর্যটকদের অত্যন্ত প্রিয় ভ্রমণস্থল চাঁদনী চক।
বিশদ

17th  March, 2024
দেখা যায় না, শোনা যায় পুতুল বাড়ি
 

আকর্ষণ, বিতর্ক, কৌতূহলের চিরন্তন কেন্দ্রবিন্দু অলৌকিক দুনিয়া। বিশ্বাসী-অবিশ্বাসী দুই শিবিরেরই এব্যাপারে আগ্রহ ষোলোআনা। তাই ভৌতিক সাহিত্য হোক বা সিনেমা, বাজারে কাটতি বরাবরই বেশি।
বিশদ

17th  March, 2024
প্রস্থান
দীপারুণ ভট্টাচার্য

শববাহী গাড়িটা গেটের ভিতর ঢুকতেই অরুণবাবু চারপাশটা দেখলেন। বেঞ্চে পাশাপাশি বসে আছে তার ছেলে নীলাঞ্জন আর বউমা সুতপা। নীলাঞ্জন বড় চাকরি করে। সে ফোন পেয়েছিল অফিসে যাওয়ার পর। সুতপাকে বলেছিল, ‘বেরতে একটু সময় লাগবে। বিশদ

10th  March, 2024
গুপ্ত রাজধানী: জাহান আরার সমাধি
সমৃদ্ধ দত্ত

নভরোজ পরব চলছে। আগ্রা জুড়ে উৎসবের উচ্ছ্বাস। এখন ১৬৪৪। বাদশাহ শাহজাহানের আগ্রা দুর্গে সবথেকে বেশি উজ্জ্বল আয়োজন। স্বাভাবিক। প্রতি বছর নভরোজের সময় আগ্রা দুর্গ এভাবেই সেজে ওঠে। সম্রাটের পুত্রকন্যারা এই সময়টায় পরস্পরের সঙ্গে মিলিত হন। বিশদ

10th  March, 2024
অতীতের আয়না: বাঙালির সার্কাস
অমিতাভ পুরকায়স্থ

১৯২০ সালের ২০ মে। নিজের ‘গ্রেট বেঙ্গল সার্কাস’ নিয়ে সিঙ্গাপুরে ট্যুরে গিয়ে জন্ডিস হয়ে মারা গেলেন প্রিয়নাথ বসু। শুধু উপমহাদেশের সার্কাসের জন্য আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি ও উৎকর্ষের নতুন মানদণ্ড ছাড়াও, বিনোদন শিল্প হিসেবে সার্কাসকে দৃঢ় ভিত দিয়ে গেলেন তিনি। বিশদ

10th  March, 2024
ভোগ
শুচিস্মিতা  দেব

পুতুলকে সদ্যই নিমতিতা থেকে ‘রায়চৌধুরী ভিলা’তে এনেছে তার পিসি সবিতা। সবিতা এই পরিবারের বহু দিনের থাকা-খাওয়ার মাসি। টিভি সিরিয়ালের মতো প্রকাণ্ড বাড়িখানা দেখে পেরথমেই ভেবলেছে পুতুল। ফুটবল মাঠের মতো বৈঠকখানা। বিশদ

03rd  March, 2024
রুপোর চাকু

আলমারিটা খুলতেই দাদার চোখ চলে গিয়েছিল। উপরের তাকে জামা কাপড়ের পাশে খালি জায়গায় শোয়ানো ছিল। বাজপাখির চোখ দাদার।
বিশদ

25th  February, 2024
একনজরে
বনগাঁ মহকুমার বনগাঁ, বাগদা, গাইঘাটা কিংবা নদীয়ার কল্যাণী বা হরিণঘাটা, উত্তর ২৪ পরগনার স্বরূপনগর মূলত কৃষিপ্রধান এলাকা। এইসব এলাকায় উৎপাদিত ফসল দেশের বিভিন্ন প্রান্তে পৌঁছতে ...

পর্দার ‘মুন্নাভাই’ মুরলি প্রসাদকে পাশ করাতে গিয়ে পরীক্ষায় বসেছিলেন শিক্ষক রুস্তম পারভি। রিয়েল লাইফে তেমনই কাণ্ড ঘটাতে গিয়ে হাতেনাতে ধরা পড়লেন এক ন্যাশনাল এলিজিবিলিটি টেস্ট (নিট) পরীক্ষার্থীর দাদা। ঘটনাস্থল রাজস্থানের বারমার। ...

২ মে ২০১৮। উয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লিগ সেমি-ফাইনালের ফিরতি পর্বের লড়াই। মাদ্রিদের সান্তিয়াগো বার্নাব্যুতে দুরন্ত লড়াই মেলে ধরে বায়ার্ন মিউনিখ। ...

গত জানুয়ারি মাস থেকে এখনও পর্যন্ত দার্জিলিং জেলায় ৩০ জন ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়েছেন। তবে জেলায় ম্যালেরিয়ায় আক্রান্ত হওয়ার কোনও খবর নেই বলে জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

শেয়ার ও বিমা সূত্রে অর্থাগম হতে পারে। কাজের প্রসার ও নতুন কর্মলাভের সম্ভাবনা। বিদ্যা হবে। ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

বিশ্ব রেডক্রস দিবস
বিশ্ব থ্যালাসেমিয়া দিবস
১৭৯৪ - ফ্রান্সের রসায়ন বিজ্ঞানের জনক এ্যান্থেনিও লেভিকে ফাঁসিতে ঝোলানো হয়েছিল
১৮২৮- রেড ক্রস এর প্রতিষ্ঠাতা জিন হেনরি ডুনন্টের জন্ম
১৮৬১ - বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের জন্ম
১৮৬৩ - ভারতে প্রথম রেডক্রস দিবস উদযাপিত হয়
১৯০২ - দক্ষিণ ফ্রান্সে অবস্থিত একটি পাহাড় থেকে বিকট শব্দে হঠাৎ অগ্ন্যুৎপাত শুরু হওয়ায় সেন পিয়ারে নামের একটি শহর সম্পূর্ণ ধ্বংস হয়ে যায়
১৯২৯- শাস্ত্রীয় সঙ্গীতশিল্পী গিরিজা দেবীর জন্ম
১৯৫৩- গায়ক রেমো ফার্নাডেজের জন্ম
১৯৬২- জোড়াসাঁকোর ঠাকুরবাড়িতে রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয় উদ্বোধন
১৯৭০ – প্রাক্তন অস্ট্রেলীয় ক্রিকেট তারকা মাইকেল বেভানের জন্ম
১৯৮১ - কলকাতা হাইকোর্টের প্রথম ভারতীয় স্থায়ী প্রধান বিচারপতি ফণিভূষণ চক্রবর্তীর মৃত্যু
১৯৯৩ - অস্ট্রেলীয় ক্রিকেট তারকা প্যাট কামিন্সের জন্ম
১৯৯৬ - দক্ষিণ আফ্রিকায় বর্ণবৈষম্য যুগের পরবর্তী নতুন সংবিধান চালু হয়
২০০৮ -  অভিনেতা,পরিচালক ও নাট্যব্যক্তিত্ব জ্ঞানেশ মুখোপাধ্যায়ের মৃত্যু
২০২৩ - সাহিত্যিক সমরেশ মজুমদারের মৃত্যু



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৮২.৬৬ টাকা ৮৪.৪০ টাকা
পাউন্ড ১০৩.১৭ টাকা ১০৬.৬২ টাকা
ইউরো ৮৮.৩৮ টাকা ৯১.৫১ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৭২,২০০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৭২,৫৫০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৬৮,৯৫০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৮১,৬৫০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৮১,৭৫০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

২৫ বৈশাখ, ১৪৩১, বুধবার, ৮ মে ২০২৪। অমাবস্যা ৯/৩০ দিবা ৮/৫২। ভরণী নক্ষত্র ২১/১৫ দিবা ১/৩৪। সূর্যোদয় ৫/৩/৪২, সূর্যাস্ত ৬/২/২৯। অমৃতযোগ প্রাতঃ ৬/৪৭ মধ্যে পুনঃ ৯/২৩ গতে ১১/৮ মধ্যে পুনঃ ৩/২৭ গতে ৫/১০ মধ্যে। রাত্রি ৬/৪৬ গতে ৮/৫৯ মধ্যে পুনঃ ১/২৪গতে উদয়াবধি। মাহেন্দ্রযোগ দিবা ১/৪৩ গতে ৩/২৭ মধ্যে। রাত্রি ৮/৫৯ গতে ১০/২৭ মধ্যে। বারবেলা ৮/১৮ গতে ৯/৫৫ মধ্যে পুনঃ ১১/৩৩ গতে ১/১১ মধ্যে। কালরাত্রি ২/১৮ গতে ৩/৪০ মধ্যে। 
২৫ বৈশাখ, ১৪৩১, বুধবার, ৮ মে ২০২৪। অমাবস্যা দিবা ৮/৪৮। ভরণী নক্ষত্র দিবা ১/৫৬। সূর্যোদয় ৫/৪, সূর্যাস্ত ৬/৪। অমৃতযোগ দিবা ৭/৩৫ গতে ১১/৮ মধ্যে ও ১/৪৭ গতে ৫/২০ মধ্যে এবং রাত্রি ৯/৪৭ মধ্যে ও ১১/৫৬ গতে ১/২২ মধ্যে। কালবেলা ৮/১৯ গতে ৯/৫৭ মধ্যে ও ১১/৩৪ গতে ১/১১ মধ্যে। কালরাত্রি ২/১৯ গতে ৩/৪২ মধ্যে। 
২৮ শওয়াল।

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
আইপিএল: লখনউকে ১০ উইকেটে হারাল হায়দরাবাদ

10:27:54 PM

আইপিএল: ১৯ বলে হাফসেঞ্চুরি অভিষেক শর্মার, হায়দরাবাদ ১২০/০ (৬.৩ ওভার) টার্গেট ১৬৬

10:15:03 PM

আইপিএল: ১৬ বলে হাফসেঞ্চুরি ট্রাভিস হেডের, হায়দরাবাদ ৭৯/০ (৪.৪ ওভার) টার্গেট ১৬৬

10:04:52 PM

আইপিএল: হায়দরাবাদকে ১৬৬ রানের টার্গেট দিল লখনউ

09:26:56 PM

আইপিএল: ২৮ বলে হাফসেঞ্চুরি আয়ূষ বাদোনির, লখনউ ১৪৬/৪ (১৯ ওভার), বিপক্ষ হায়দরাবাদ

09:19:23 PM

আইপিএল: ২৪ রানে আউট ক্রুণাল পান্ডিয়া, লখনউ ৬৬/৪ (১১.২ ওভার), বিপক্ষ হায়দরাবাদ

08:43:15 PM